Business News

Displaying 121-130 of 172 results.

রিজার্ভ বাড়লেও নাজুক অবস্থায় দেশের ব্যাংকিং খাত

রিজার্ভ বাড়লেও নাজুক অবস্থায় দেশের ব্যাংকিং খাত

বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরে ব্যাংকিং খাতে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। সরকারের মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা ও ধ্বজাধারী আমলাদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটসহ নানামুখী অনিশ্চয়তার কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। তাই দিন দিন ব্যাংকে অলস অর্থের পরিমাণ বাড়ছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বাড়লেও তা দেশের অর্থনীতির জন্য কোনো সুসংবাদ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার ৭শ’ কোটি (১৭ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, বৈধ পথে প্রবাসীদের আয় ও রফতানি আয় বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণের কারণেই রিজার্ভ ক্রমাগত বাড়ছে।
তবে রিজার্ভ বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য তেমন কোনো সুসংবাদ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন বলেন, বাজারে হস্তক্ষেপ করে ডলার কিনে রিজার্ভ বাড়িয়ে সঠিক কাজ করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বড় অংকের রিজার্ভ ধরে রেখে কোনো লাভ নেই। একে যে করেই হোক বিনিয়োগে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষ না খেয়ে যাতে না মরে—সে পরিমাণ খাদ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ জমা থাকলেই যথেষ্ট। কিন্তু বাম্পার ফলনের কারণে আমাদের গুদামগুলোতে ১৫ লাখ টনের বেশি খাদ্য মজুত আছে। আগামী এক-দেড় বছরে কোনো খাদ্য আমদানি করতে হবে না। সে হিসাবে বেশি রিজার্ভ ধরে রাখা ‘বোকামি’ ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশের ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফা হয়েছিল ৪ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। এর আগের বছর যা ছিল ৯ হাজার ১২১ কোটি টাকা। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে নিট মুনাফা কমেছে ৪ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা বা ৫১ শতাংশ। একই ধারা দেখা যাচ্ছে চলতি বছরও। এ বছরের প্রথম ছয় মাসের হিসাব অনুযায়ী অধিকাংশ ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কমেছে।
২০১২ সালে ব্যাংকগুলোর প্রতি ১০০ টাকা সম্পদের বিপরীতে আয় হয়েছে মাত্র ৬০ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে আয় অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। আর ১০০ টাকা ইক্যুইটির বিপরীতে আয় দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১৪ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে ইক্যুইটির বিপরীতে আয় কমেছে সাড়ে ৬ টাকা।
আর যেসব ব্যবসায়ী ঋণ নিয়েছেন, তাদের ব্যবসায়-বাণিজ্যের মন্দা ও সঠিক সময়ে উত্পাদনে যেতে না পারার কারণে ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। এতে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। আর খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আয় থেকে অর্থ এনে বাড়তি প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। এতে ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা কমে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে সামনে ব্যাংকিং খাতের জন্য আর্থিক দুর্যোগ অপেক্ষা করছে।
ব্যাংকের এ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মালিক-কর্মকর্তারাও। গত ৭ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যাংক সুদ হার ও চার্জ বিষয়ক সেমিনারে এমনই আভাস দেন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ এবং ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। তারা বলেন, ব্যাংকগুলোর হাতে এখন প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ রয়েছে। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় তা বিনিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্যাংকগুলোকে ভবিষ্যতে খারাপ পরিস্থিতি পার করতে হতে পারে বলে তারা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশ এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরাও এ অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। বিনিয়োগ না হওয়ায় ব্যাংকে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা না কাটলে ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে ব্যবসা করবেন না। অর্থনীতি বাঁচাতে হলে এখন প্রয়োজন সে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠা, যার লক্ষণ খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, ব্যাংকগুলোর উল্লেখযোগ্য আয় না হলেও আমানতকারীকে ঠিকই সুদ দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় বাড়ছে। অস্থিতিশীল অবস্থায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থাও ভালো নয়। অনেক প্রতিষ্ঠান ঠিক সময়ে ব্যাংক ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারছে না। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক অবস্থাকে অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতের অবস্থা বেশ নাজুক।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/10/23/221630#.UmdGnVMrfDk


শেয়ারবাজারে ইতিবাচক মোড়

শেয়ারবাজারে ইতিবাচক মোড়

নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে সংলাপের জন্য প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানোর খবরের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের দুই শেয়ারবাজারে। গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৮৭ শতাংশ এবং অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৮০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে।
এমনকি বিএনপির ওই চিঠি চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের পথে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে_ বিনিয়োগকারীদের মনে এমন আশার সঞ্চার হয়েছে বলেও মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সিএসই সভাপতি আল-মারুফ খান বলেন, রাজনৈতিক সংকটাবস্থাই দেশের চলমান অর্থনৈতিক এবং শেয়ারবাজারের সংকটের প্রধান কারণ। এখন এ সংকট উত্তরণের জন্য বিরোধী পক্ষগুলোর যে কোনো উদ্যোগেই অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব ফেলবে। তবে অর্থনীতিতে এর প্রভাব দৃশ্যমান হতে সময় লাগলেও শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক ভালো ফল পাওয়া যাবে।
এদিকে সংকট সমাধানে সামান্য আশা জাগতেই গতকাল দেশের দুই শেয়ারবাজারে আবারও স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর ব্যাপক দর বেড়েছে। ডিএসইতে এদিন অন্তত ২৮ কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। দিনের চার ঘণ্টার লেনদেন সময়ের মধ্যে শেষ ঘণ্টায় এর অন্তত ২১ কোম্পানির শেয়ারের বিপুল ক্রয় আদেশ থাকা সত্ত্বেও বিক্রেতা ছিল না। বিনিয়োগকারীদের আশা, এসব কোম্পানির শেয়ারদর আরও বৃদ্ধি পাবে। অথচ গত রোববার পুরো সময় ও সোমবার সকালে এসব কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়েছিল।
এসব কোম্পানির পাশাপাশি ঈদের ছুটির পর গত রোববার সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছিল। সোমবারও প্রায় সব শেয়ারের ব্যাপক দরপতন দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু লেনদেনের দ্বিতীয়াংশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি সিকিউরিটিজ প্রায় ২২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার ক্রয় করলে দরপতন বন্ধ হয়। বিপরীতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর সামান্য বৃদ্ধি দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছিল।
লেনদেন সংক্ষেপ : গতকাল ডিএসইতে ২৮৬ কোম্পানির শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও কর্পোরেট বন্ড কেনাবেচা হয়েছে। এরমধ্যে ২৪৮টিরই দর বেড়েছে, কমেছে মাত্র ২২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দর। এ ছাড়া সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৬১টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির দর। এতে ডিএসইর ডিএসই-এক্স সূচক পৌনে ৫১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে ৩৮১৪ পয়েন্টে উঠেছে। আর সিএসইর নির্বাচিত খাত মূল্য সূচক বেড়েছে প্রায় ১০২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে ৭৪৬৩ পয়েন্টে ্উঠেছে।
দুই বাজারে লেনদেন হওয়া প্রায় সব শেয়ারের দরবৃদ্ধির পাশাপাশি উভয় বাজারের শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ আগের দিনের থেকে সাড়ে ২১ কোটি টাকা বেড়ে ২০৫ কোটি ৫১ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এরমধ্যে ডিএসইতে ১৮৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এবং সিএসইতে ১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে চারটি উপাদান জরুরি

বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে চারটি উপাদান জরুরি

বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবস্থায় বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য নতুন বাজার, নতুন পণ্য, দক্ষ শ্রমিক, ভোক্তাসেবা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ জরুরি।

বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে তৈরি করা ‘ডায়াগনসটিক ট্রেড ইন্টিগ্রেশন স্টাডি’র (ডিটিআইএস) খসড়া প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণই বেরিয়ে এসেছে।

দেশের বাণিজ্য ব্যবস্থায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে একটি অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে ডিটিআইএসের খসড়া প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

খসড়াটির পর্যালোচনার জন্য গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি কর্মশালার আয়োজন করে। এর উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদের সভাপতিত্বে বিশ্বব্যাংকের এ দেশীয় পরিচালক জোহানেস জাট, এ দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হান্না, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রতিনিধি ক্রিস্টিয়ান ক্রাউস এবং অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব (ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক) অমিতাভ চক্রবর্তী বক্তব্য দেন।

খসড়া প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাণিজ্য উন্নয়নে প্রাথমিক নীতিমালার পরিবর্তন ঘটনো প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রপ্তানি খাতকে শক্তভিত্তির উপর দাঁড় করতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রপ্তানি খাতকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করা এবং নতুন বাজার সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য এগিয়ে যাচ্ছে।

http://www.prothom-alo.com/economy/article/57115


সপ্তাহে সাত দিন বেনাপোল ও আখাউড়া বন্দর খোলা

সপ্তাহে সাত দিন বেনাপোল ও আখাউড়া বন্দর খোলা

ভারত সীমান্তে অবস্থিত বাংলাদেশের বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সপ্তাহের সব দিনই আমদানি ও রপ্তানি করা যাবে। রাষ্ট্রীয় ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই খোলা থাকবে এই দুটি স্থলবন্দর। কোনো সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না। বর্তমানে এই দুটি বন্দর শুক্রবার বন্ধ থাকে।
একইভাবে বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ও আখাউড়ার বিপরীতে ত্রিপুরার আগরতলা স্থলবন্দরও সপ্তাহের সাত দিনই খোলা থাকবে।
আগামী জানুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা হতে পারে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকেরা সপ্তাহের সব দিন বন্দর খোলা রাখার দাবি করে আসছেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দুই দিনব্যাপী শুল্কসংক্রান্ত যৌথ দলের বৈঠকের প্রথম দিনে এই বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠক আজ মঙ্গলবার শেষ হবে। রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে এই বৈঠক চলছে।
সভায় অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, সাপ্তাহিক ছুটি না থাকলে কার্যদিবস বাড়বে। আর এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন হবে। বন্দরে পণ্যজটও কমবে, দ্রুত খালাস হবে। আমদানিকারকের ব্যয় কমবে।
সভা সূত্রে আরও জানা গেছে, দুই দেশের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন এখন থেকে প্রতিদিন একই সময়ে খোলা হবে। আবার একই সময়ে বন্ধ হয়ে যাবে। দুই দেশের স্থানীয় সময়ের তারতম্যের প্রতিদিন এক কার্যঘণ্টা কমে যায়।
প্রসঙ্গত, উভয় দেশে স্থানীয় সময়ের তারতম্য আধাা ঘণ্টা। এই তারতম্যের কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত আধা ঘণ্টা আগে খুললেও ভারতের সীমান্ত খোলার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিটি চালানে কতটি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে, তা এ দেশের স্থলবন্দরে কর্মরত শুল্ক কর্মকর্তাদের আগে জানাতে হবে। একইভাবে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে কতটি পণ্যবাহী ট্রাক গেল, তা-ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে আগে জানাতে হবে।
যেমন একটি চালানে যদি ১০০ ট্রাক পণ্য আসে, ভারতের শুল্ক কর্মকর্তারা তাদের নিয়মিত কার্যক্রম শেষে তা সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেবেন। পরে বাংলাদেশের শুল্ক স্টেশনে পৌঁছানোর পর শুল্ক কর্মকর্তারা ১০০ ট্রাক পণ্য এসেছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এ সময় তাঁরা পণ্যের পরিমাণও খতিয়ে দেখবেন।
সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, এতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আনার প্রবণতা কমে যাবে। রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।
এ ছাড়া সভায় একমত পোষণ করা হয় যে বিশেষ প্রয়োজনে দুই দেশের শুল্ক কর্মকর্তারা ভিসা ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করে উভয় দেশের শুল্ক স্টেশনে যেতে পারবেন। এতে কোনো জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে বলে মত দেওয়া হয়। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে এই সুবিধা কার্যকর করা হতে পারে। তার আগে উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হবে।
মূলত উভয় দেশের মধ্যে শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা কাঠামোর আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকি উভয় দেশের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করার বিষয়ে সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে কীভাবে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬টি স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়াকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অকার্যকর শুল্ক স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া চোরাচালান প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে মেঘালয়ের পূর্ব খাসিয়া পার্বত্য জেলার ইছামতী-বেলতলি দিয়ে বাংলাদেশের লুবিয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে একটি বাণিজ্য পথ তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই সম্ভাব্য বাণিজ্য পথটি তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই সভায় ভারতের পক্ষে রাজস্বসংক্রান্ত সচিব সুমিত বোস প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। এটি উভয় দেশের মধ্যে এই সংক্রান্ত নবম বৈঠক। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উভয় পক্ষ একটি যৌথ কার্যপত্রে সই করতে পারেন বলে জানা গেছে।
উভয় দেশের কার্যসূচিতে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে সভায় আলোচনা করার কথা রয়েছে।


শেষ দিকে অধিকাংশ শেয়ারের দর বাড়লেও কমেছে সূচক

শেষ দিকে অধিকাংশ শেয়ারের দর বাড়লেও কমেছে সূচক

রোববারের বড় দরপতনের পর গতকাল সোমবার দেশের দুই শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে। এমনকি আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৬২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৃহৎ মূলধনী কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারদর কমায় সূচক কমেছে সামান্য।
এদিকে লেনদেনের শেষটা ইতিবাচক ধারায় সম্পন্ন হলেও দিনের শুরুটা হয় ভীতি জাগিয়ে। রোববারের মতো ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে গতকালও দিনের লেনদেন শুরু হয়েছিল। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ৯টি ছাড়া সবগুলো কোম্পানির শেয়ারের বড় দরপতন হয়। অব্যাহত দরপতনের মুখে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ডিএসই-এক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮২ পয়েন্ট কমে ৩৬৮৯ পয়েন্টে নেমে যায়। এ অবস্থায় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি থেকে শেয়ার কেনা শুরু হলে ক্রয় চাহিদা বাড়লে দরপতন বন্ধ হয়।
শেষ পর্যন্ত প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে প্রায় ৫৯ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৩৩ শতাংশের। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪৭ শতাংশের দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারানো অব্যাহত ছিল ৪০ শতাংশ শেয়ারের। কিন্তু ডিএসই-এক্স সূচক প্রায় ৮ পয়েন্ট কমে ৩৭৬৪ পয়েন্টের কিছুটা নিচে নেমেছে এবং সিএসইর নির্বাচিত খাত মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট কমে নেমেছে ৭৩৬১ পয়েন্টে।
এ ছাড়া আগের দিনের উভয় শেয়ারবাজারে যেখানে ১২২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল, গতকাল তা বেড়ে ১৮৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইতে ১৬৭ কোটি ১২ লাখ টাকার এবং সিএসইতে ১৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
এ অবস্থায় গতকাল উল্লেখযোগ্য কোম্পানির শেয়ারে ব্যাপক উত্থান-পতনও ছিল লক্ষণীয়। বিশেষ করে দিনের লেনদেনের শুরুতে অন্তত ৭টি কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শেষাংশে এর ৬টিসহ মোট ১৩ কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়।
ডিএসইর লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অন্তত ১৪টি কোম্পানির শেয়ারে যে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়েছে, তার ব্যবধান আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। এসব কোম্পানি হলো_ এএমসিএল (প্রাণ), আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বিডি অটোকার, বিচ হ্যাচারি, দেশ গার্মেন্টস, জেমিনি সি ফুডস, হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার, ইনটেক অনলাইন, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, জেএমআই সিরিঞ্জেস, জুট স্পিনার্স, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, শমরিতা হাসপাতাল এবং সোনারগাঁ টেক্সটাইল। এ ছাড়া ১০ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত দর ওঠানামা করেছে ২২ কোম্পানির।
ডিএসইর খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, একমাত্র সিরামিক্স খাতের ৫ কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও অন্য সবগুলো খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দরই বেড়েছে। বেশির ভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের এদিন দর বেড়েছে। আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৫৭ কোটি টাকার লেনদেন বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গতকাল ডিএসইর সবগুলো খাতেরই কম-বেশি শেয়ার কেনাবেচা বেড়েছে। এর মধ্যে ৩০ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন দিয়ে বস্ত্র খাত ছিল খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে। এর পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৪ কোম্পানির পৌনে ২৫ কোটি টাকার, জ্বালানি ও শক্তি খাতের ১৫ কোম্পানির ১৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন।
একক কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির সর্বাধিক সাড়ে ৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর পরের অবস্থানে ছিল স্কয়ার ফার্মা, আর্গন ডেনিম, জেএমআই সিরিঞ্জেস ও এনভয় টেক্সটাইল।


এবার চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক ৪৬১ কোটি টাকা ঋণ দেবে

এবার চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক ৪৬১ কোটি টাকা ঋণ দেবে

এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংক ৪৬১ কোটি টাকার ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর এ খাতে তারা ৩৫৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। ওই হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ঋণের পরিমাণ কিছু বেড়েছে। এর বাইরে সরকারি মালিকানাধীন কয়েকটি বিশেষায়িত ও বেসরকারি ব্যাংক আরও বেশ কিছু ঋণ দেবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, এ বছর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৯১ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। গত বছরও ব্যাংকটি এ খাতে ৬৬ একই পরিমাণ ঋণ দিয়েছিল। জনতা ব্যাংক ২২টি প্রতিষ্ঠানকে এবার দিচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা। গত বছর চামড়া খাতে তাদের ঋণ ছিল ১৩৫ কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংক দিচ্ছে ৭০ কোটি টাকা। গত বছর ব্যাংকটি দিয়েছিল ১০২ কোটি টাকা। আর রূপালী ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা গত বছরে ছিল ৩০ কোটি টাকা। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ঋণ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসব ঋণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে কিছু ঋণ ছাড় করা হয়েছে। বাকিটা আজ ছাড় হবে। তবে আগেকার কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান যেন ঋণ না পায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক আগের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে কম ঋণ দিচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আমিনুর রহমান বলেন, এর আগে কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে ঋণ নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করেনি তাদের এবার আর ঋণ দেয়া হচ্ছে না। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এখনও ঋণ খেলাপি হয়নি, তবে ঋণ পরিশোধের নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানকেও আমরা ঋণ দিচ্ছি না।
প্রতি বছর চামড়ার বার্ষিক চাহিদার সিংহভাগ জোগান আসে কোরবানির পশু থেকে। ফলে এ শিল্পের জন্য উন্নতমানের চামড়া কিনতে ব্যবসায়ীরাও এ সময় ব্যস্ত থাকেন। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ট্যানারি শিল্পের বার্ষিক চামড়ার মোট চাহিদার ৮০ শতাংশই সংগ্রহ করা হয় কোরবানি দেয়া পশু থেকে। এ চামড়া অন্য সময় সংগৃহীত পশুর চামড়া থেকে উন্নতমানের। বিপুল পরিমাণ চামড়ার সরবরাহ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এ সময় সব চামড়া নিজেদের নগদ অর্থে কিনতে পারেন না। এ কারণে তারা এসে ধরনা দেন ব্যাংকগুলোতে, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকে।
ব্যাংকাররা জানান, চামড়া কিনতে এক বছর মেয়াদে ঋণ দেয়া হয়। এ ব্যবসায় জড়িত নিয়মিত গ্রাহকরা যা পেয়ে থাকেন। প্রতি বছরের মতো এবারও ঋণের টাকা দেয়া হচ্ছে বড় চামড়া প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিকে। সাধারণত তারা এ টাকা নিয়ে দিয়ে থাকেন চামড়ার আড়তদারদের। আর আড়তদাররা দেয় মাঠ পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীদের। তবে চামড়া খাতে বিতরণ করা ঋণের এক বড় অংশই বছরের পর বছর খেলাপি হয়ে রয়েছে। এ খাতে বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার বেশি। যার বেশিরভাগই বিতরণ করা হয়েছিল ৯০ দশকের প্রথমার্ধে। এসব কারণে বেসরকারি ব্যাংকগুলো চামড়া কেনায় ঋণ দিতে আগ্রহ দেখায় না। যদিও বর্তমানে এ খাতে ঋণ আদায়ের হার আগের তুলনায় ভালো। ব্যাংকগুলোর সতর্কতার সঙ্গে ঋণ অনুমোদনের ফলে খেলাপির প্রবণতা আগের তুলনায় কমেছে।
রূপালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দীন এ প্রসঙ্গে বলেন, সাধারণত চামড়া কিনতে এক বছর মেয়াদে ঋণ দেয়া হয়। এ ব্যবসায় জড়িত নিয়মিত গ্রাহকরা ঋণ পেয়ে থাকেন। প্রতি বছরের মতো এবারও ঋণ খেলাপি নয় এমন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হচ্ছে।

amardesh: 09.10.2013



সাড়ে চার মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে ডিএসই সূচক

কাজ শুরু করেছে ডিএসইর তদন্ত কমিটি

সাড়ে চার মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে ডিএসই সূচক

ধারাবাহিক পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকটি গতকাল তিন হাজার ৭৯২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এ বছরের শুরুতে নতুন সূচক কার্যকর করার পর এটিই ছিল সূচকটির সর্বনিম্ন অবস্থান। গত ২৮ মে’র পর আর এ পর্যায়ে নামেনি সূচক। সাড়ে চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে এখন সূচকটি। গতকাল ৬৪ পয়েন্ট হারিয়ে সূচকটি এ পর্যায়ে পৌঁছে। একইভাবে কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সব ক’টি সূচক। গতকাল সেখানে সার্বিক মূল্যসূচক ১৯৩ ও সিএসসিএক্স সূচকের ১২১ পয়েন্ট অবনতি ঘটে। তবে মন্দা বাজারেও লেনদেনের উন্নতি ঘটেছে গতকাল। ঢাকায় লেনদেন পৌঁছেছে ২৬৫ কোটি টাকায়। সোমবার এখানে লেনদেন হয় ২৩৩ কোটি টাকা। চট্টগ্রামে ১৮ কোটি টাকা থেকে ২৯ কোটি টাকায় পৌঁছে লেনদেন। এ দিকে ১২ কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি খতিয়ে দেখতে ডিএসইর করা তদন্ত কমিটি সোমবার কাজ শুরু করেছে। গতকাল লেনদেনে তার স্পষ্ট প্রভাব ছিল। প্রতিটি কোম্পানিই গতকাল বড় দরপতনের শিকার হয়। এ তালিকায় আরো যুক্ত হয় দুর্বল মৌলভিত্তির আরো কিছু কোম্পানি। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানি দিনের শুরু থেকেই ক্রেতা হারায়। কোনো কোনোটি প্রথমদিকে দর ধরে রাখতে সক্ষম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে দর হারাতে থাকে। গতকাল দুই পুঁজিবাজারের লেনদেনের শুরুটা ছিল কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্রয় চাপ বৃদ্ধি পায়। এরপর চলতে থাকে টানা দরপতন। সকালে ডিএসইএক্স সূচকের তিন হাজার ৮৫৭ পয়েন্ট থেকে লেনদেন শুরু করে। দিনশেষে ৬৪ পয়েন্ট হারিয়ে তিন হাজার ৭৯২ পয়েন্টে স্থির হয়। বিনিয়োগকারীরা বাজার আচরণে খুবই হতাশ। ঈদের আগে হাতে আর মাত্র দুই দিন সময় রয়েছে। এখন শেয়ার বিক্রি করলেও কেউ টাকা তোলার সুযোগ পাবে না। সব সময় এ দিনগুলোতে বিক্রয় চাপ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। কিন্তু এবার ঘটেছে উল্টোটা। বিক্রয়চাপ ক্রমশ বাড়ছে। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা না হলেও সামনের দিনগুলোতে এ প্রবণতা আরো বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই বাড়ছে বিক্রয়চাপ। অথচ এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষেরও মাথাব্যথা নেই। এ অবস্থায় নিজেদের খুবই অসহায় মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করেন তারা। তখন বাজারে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তারা এ ব্যাপারে দ্রুত নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপ দাবি করেন। বাজারের চরম মন্দার মধ্যেও ুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুটা স্বস্তি এনে দেয় নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড। গতকাল লেনদেনের প্রথম দিন ৩৭২ শতাংশ দাম বাড়ে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ার ৪০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে সর্বোচ্চ দর উঠে ৪৮.৭০ টাকা। ৪৭.২০ টাকায় লেনদেন শেষ করে কোম্পানিটি। সে হিসাবে ুদ্র বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে পাওয়া প্রতিটি শেয়ারে গড়ে ৩০ টাকার বেশি লাভ পেয়েছেন আইপিওতে বিনিয়োগকারীরা। গতকাল দুই বাজারের বেশ কয়েকটি খাতই শত ভাগ দরপতনের শিকার হয়। এদের মধ্যে ছিল ট্যানারি, জ্বালানি, নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও টেলিযোগাযোগ। তথ্য প্রযুক্তি, প্রকৌশল, সিমেন্ট, বীমা ও রসায়ন খাতে একটি ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলো দর হারায়। ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ডই ছিল একটির বেশি মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া খাত। দিনশেষে ঢাকা বাজারে লেনদেন হওয়া ২৮৫টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে ৪৫ািটর দাম বাড়লেও কমে ২২১টির। ১৯টির দর ছিল অপরিবর্তিত। অন্য দিকে চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে ২০৮টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হলেও দাম বাড়ে মাত্র ২০টির। ১৭২টি সিকিউরিটিজ এ বাজারে দর হারায়। ১৬টির দর ছিল অপরিবর্তিত। দিনের লেনদেনের শীর্ষ ছিল নতুন তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস। ২২ কোটি ৮১ লাখ টাকায় প্রথম দিন ৫৫ লাখ শেয়ার হাতবদল হয় কোম্পানিটির। ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা লেনদেন করে টেক্সটাইল খাতের এনভয় টেক্সটাইল ছিল দ্বিতীয়। ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ দশে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল স্কয়ার ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, সিএমসি কামাল, তিতাস গ্যাস, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস। ৩৭২ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে দিনের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস। এ ছাড়া আরগন ডেনিমসের ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ দাম বাড়ে। অন্য দিকে দিনের সর্বোচ্চ দর হারায় মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক। ১০ শতাংশ দর হারায় কোম্পানিটি। এ ছাড়া ইমাম বাটন ৯.৯০, সেন্ট্রাল ফার্মা ৯.৭৬, মিথুন নিটিং ৯.৫৮, দেশ গার্মেন্ট ৯.২৫, জুট স্পিনার্স ৯.১৭, মডার্ন ডাইং ৯.০৫ ও বিডি অটোকার ৯ শতাংশ দর হারায়।
 

dailynayadiganta: 09.10.2013



'টিআইএন আছে ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার জনের'

'টিআইএন আছে ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার জনের'

 

রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

 

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, দেশে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান টিআইএন ধারীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ জন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ফাইল ছবি
তিনি রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বলে সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানায়।
তিনি বলেন, "সংখ্যার এই হিসাবে অনেক ডুপ্লিকেশন আছে। সেই জন্য বর্তমানে টিআইএন-এর ক্লিনসিং-এর কাজ চলছে।"
এ সংক্রান্ত সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, "অতীতে কর ফাঁকি রোধে কঠোর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।"
দেশের কর সংস্কৃতি খুব দুর্বল উল্লেখ করে তিনি বলেন, "করদাতার সংখ্যা টিন ধারীর সংখ্যা অর্ধেকের চেয়েও কম।"
দেশের বিভিন্ন উপজেলায় কর অফিস খোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, "পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় তা খোলা হবে।"
সরকারি দলের বেগম সুলতানা বুলবুলের অপর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের আয়কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা বেশি।

samakal: 07.10.2013


দুই মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে ডিএসই সূচক

দুই মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে ডিএসই সূচক

নতুন সপ্তাহের শুরুতেই বড় ধরনের দরপতনের ঘটনা ঘটেছে পুঁজিবাজারে। আর এর ফলে দেশের শীর্ষ পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকটি নেমে এসেছে বিগত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচকটির অবনতি ঘটে ৬৬ দশমিক ১১ পয়েন্ট। দিন শেষে তিন হাজার ৮৮২ পয়েন্টে স্থির হয় সূচকটি। গত ৪ আগস্টের পর আর এ পর্যায়ে নামেনি ডিএসইএক্স সূচক। এ ছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট। দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও একই পরিস্থিতির শিকার হয়। গতকাল এ বাজারের সার্বিক মূল্যসূচক ২০৩ দশমিক ৯১ ও সিএসসিএক্স সূচক ১৩৭ দশমিক ২৬ পয়েন্ট হ্রাস পায়। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারগুলোতে ধারাবাহিক নেতিবাচক প্রবণতার শিকার হলেও একদিনে সূচকের এ ধরনের অবনতি খুব একটা দেখা যায়নি। বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন কোরবানির ঈদ ও ঈদ পরবর্তী রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে সামনে রেখেই বাজারে বড় ধরনের বিক্রয় চাপের ফল এ দরপতন। দরপতনের পাশাপাশি অবনতি ঘটে বাজারগুলোর লেনদেনেরও। ঢাকায় আগের দিনের ২৬৪ কোটি টাকা থেকে লেনদেন নেমে আসে ২৪৬ কোটি টাকায়। অপর দিকে চট্টগ্রামে ২২ কোটি থেকে ১৭ কোটি টাকায় নেমে আসে লেনদেন। গতকাল যথারীতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শুরু হয় দুই পুঁজিবাজারের লেনদেন। কিন্তু লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে বিক্রয় চাপে পড়ে বাজারগুলো। ঢাকায় ডিএসইএক্স সূচকের তিন হাজার ৯৪৮ পয়েন্ট থেকে লেনদেন শুরু করে প্রথমে তিন হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে উঠে যায় সূচকটি। এরপর বিক্রয় চাপের শুরু হলে কমতে থাতে থাকে সূচকটি। দিনের বাকি সময় আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাজার। দিনশেষে তিন হাজার ৮৮২ পয়েন্টে স্থির হয় সূচকটি। এ দিকে গতকাল দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানা বিক্রয় চাপের ফলে দুই পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর সব ক’টিই দরপতনের শিকার হয়। দিনের শুরুতে এদের কয়েকটি কোম্পানি মূল্যবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাজারে বিক্রয় চাপ বাড়তে থাকলেও এসব কোম্পানিও দর ধরে রাখতে পারেনি। এ সম্পর্কে বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাজারে বিক্রয় চাপ যখন তীব্র হয় তখন চেষ্টা করলেও কারসাজিকারীরা সফল হতে পারে না। কারণ তখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে এক ধরনের শঙ্কা সৃষ্টি হয়, যা প্রকারান্তরে আতঙ্কে রূপ নেয়। তখন কোনো ধরনের কারসাজি খাটে না। তাদের মতে, বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত থাকলে অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে এরাই তুলনামূলকভাবে বেশি দর হারাবে। এতে দ্রুত লাভের আশায় যারা বিশেষ মহলটির ফাঁদে পা দিয়েছেন তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বেশি। চলমান বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএসইর একজন পর্ষদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে নয়া দিগন্তকে জানান, বাজার এখন অনেকটা স্থিতিশীল বলা যায়। তবে সামনের দিনগুলোতে বাজারের জন্য কোনো ইতিবাচক খবর নেই। কোরবানির ঈদের আগে বিক্রয় চাপের আশঙ্কা যেমন রয়েছে তেমনি ঈদের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তাও বিবেচনায় রাখতে হবে। এর মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার আভাস পাওয়া গেলেই বাজারে স্বস্তির দেখা মিলতে পারে, নতুবা নয়। তাই এ মুহূর্তে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে খুবই সতর্কতার সাথে এগোনোর পরামর্শ দিলেন তিনি। গতকাল দুই বাজারের প্রধান প্রধান খাতেই বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারায়। এদের মধ্যে ছিল প্রকৌশল, সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতের দরপতনের হার ছিল শতভাগ। এ ছাড়া রসায়ন, টেক্সটাইল ও খাদ্য ও বিবিধ খাতে দুই-একটি কোম্পানি দর ধরে রাখতে সক্ষম হলেও বাকিগুলো দরপতনের শিকার হয়। হাতেগোনা কিছু কোম্পানি মূল্যবৃদ্ধির ধারায় ছিল ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ডে। দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৩টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২১টির। ২৩৯টি দরপতনের শিকার হয়। ২২টির দর ছিল অপরিবর্তিত। অপর দিকে চট্টগ্রামে লেনদেন হওয়া ২১২টি সিকিউরিটিজের মধ্যে মাত্র ১৫টির দাম বাড়লেও দর হারায় ১৮৮টি। ৯টির দর ছিল অপরিবর্তিত। ডিভিডেন্ড ঘোষণার নেতিবাচক প্রভাবে দরপতন সত্ত্বেও গতকাল ডিএসইর লেনদেন শীর্ষে উঠে আসে জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ২০০৪ সালে সর্বশেষ সাধারণ সভা ও ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা কোম্পানিটি গতকাল ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরগুলোর জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কোনো ধরনের ডিভিডেন্ড না দিয়ে ২০১২ অর্থবছরে ২১ শ’ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ২১টি বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দেবে কোম্পানিটি। গতকাল ৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকায় ৫১ হাজার শেয়ার বেচাকেনা হয় কোম্পানিটির। সাত কোটি ৮১ লাখ টাকা লেনদেন করে দিনের দ্বিতীয় ছিল ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। ডিএসইর শীর্ষ দশে আরো ছিল ওরিয়ন ফার্মা, সিএমসি কামাল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, আরগন ডেনিমস, তাল্লু স্পিনিং, আরএন স্পিনিং, বিচ হ্যাচারিজ ও জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস। উল্লেখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া একমাত্র কোম্পানি ছিল প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দাম বাড়ে কোম্পানিটির। অপর দিকে দিনের সর্বোচ্চ দর হারায় দেশবন্ধু পলিমার। কোম্পানিটি গতকাল ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ দর হারায়। এ ছাড়া রেকর্ড পরবর্তী মূল্য সমন্বয়ের কারণে ১২ দশমিক ২২ শতাংশ দরপতন ঘটে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের।

dailynayadiganta: 07.10.2013



অর্থনীতিতে আইএমএফ সন্তুষ্ট

অর্থনীতিতে আইএমএফ সন্তুষ্ট

সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সংস্কার কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সন্তুষ্ট। সংস্থার দেওয়া ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় করতে তাই ইতিবাচক সুপারিশ করবে ঢাকা সফররত আইএমএফ মিশন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রোববার আইএমএফের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেছেন। সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা সফররত মিশনপ্রধান রডরিগো কিউবেরো। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে আবাসিক প্রধান এতেরি ভিনত্রাজে।
বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের দেওয়া বর্ধিত ঋণসুবিধার (ইসিএফ) আওতায় ১০০ কোটি ডলারের অর্থ ছাড় করতে দেওয়া বিভিন্ন শর্ত যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কি না, তা যাচাইয়ে এই প্রতিনিধিদল গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসে। পর্যালোচনা শেষে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে তারা।
রডরিগো কিউবেরো বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে ইসিএফের পরবর্তী কিস্তির ১৪ কোটি পাঁচ লাখ ডলার ছাড় হবে। আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদে এটি পাস হয়েছে। আর এই কিস্তির অর্থ যোগ হলে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে ৫৬ কোটি ২০ লাখ ডলার।’
কিউবেরো আরও বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা, এ সময় সরবরাহ ও বিনিয়োগ কমে যেতে পারে। এতে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নেমে আসতে পারে।’
আইএমএফ রাষ্ট্র খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরকারের পুনর্মূলধন জোগানোর সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মত দিয়েছে। তবে সংস্থাটি মনে করে, ব্যাংকগুলোতে নিজস্ব তদারকি ও নজরদারি দরকার। নিরীক্ষা কমিটি ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজন রয়েছে। একই সঙ্গে তারা মনে করে, ভবিষ্যতে যাতে লোকসান না হয়, সে জন্য ঋণ ও ঝুঁকি বিশ্লেষণব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ সংশোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করায় সন্তোষ প্রকাশ করে আইএমএফ বলেছে, এতে রাষ্ট্র খাতের ব্যাংকগুলোর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এসব ব্যাংকের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি ও নজরদারি বাড়বে।

prothom-alo: 07.10.2013