Business News

Displaying 81-90 of 172 results.

ব্যবসার জন্য বাংলাদেশ এখন আকর্ষণীয় স্থান

Picture

বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন বহুজাতিক কম্পানির প্রতিনিধিরা। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইয়ুথ কার্নিভালের আয়োজনে ক্যারিয়ার কার্নিভালে অংশ নিয়ে তাঁরা এ কথা বলেন। দিনব্যাপী চলা এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নোকিয়া, জিএলএম এরিকসন আয়ারল্যান্ড, ব্যাংক এশিয়া, সিটিসেল ও অ্যালকাটেলের প্রতিনিধিরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে ইয়ুথ কার্নিভালের প্রধান উদ্যোক্তা এলএম এরিকসন আয়ারল্যান্ডের সিনিয়র সলিউশন ম্যানেজার শাহীনুর আলম জনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সফল ব্যক্তিদের সঙ্গে সফল হতে আগ্রহীদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ইয়ুথ কার্নিভালের যাত্রা শুরু। ২০১৮ সালের মধ্যে অন্তত এক কোটি মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে ইয়ুথ কার্নিভাল কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে অংশ নেয় চাকরি প্রত্যাশী কয়েক শ শিক্ষার্থী।

তাঁরা বলেন, উন্নত বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বাজারে যখন ব্যবসা করতে গিয়ে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিতভাবে লোকসান গুনতে হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে নতুন নতুন ব্যবসার পথ তৈরি হচ্ছে। সে কারণেই এখন অনেক বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে।

তথ্যসূত্র : কালেরকন্ঠ

নতুন গাড়ির শুল্কায়নে কঠোর নির্দেশনা

Picture

যাযাদি রিপোর্ট শুল্ককর ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় নতুন গাড়ির শুল্কমূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কাস্টমস হাউসগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরের মতে, নতুন গাড়ির শুল্কমূল্য নির্ধারণে অসৎ পন্থা অবলম্বন করছেন আমদানিকারকরা। এ ধরনের নতুন গাড়ি আমদানিতে উৎপাদকের রপ্তানি মূল্যের সনদ জমা না দিয়ে লিয়াজোঁ অফিস অথবা তৃতীয় পক্ষের সনদ দিচ্ছে। এসব তৃতীয় পক্ষের আমদানিকারকের চাহিদা মোতাবেক মূল্য সনদ দিয়ে থাকে। ফলে গাড়ির সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে শুল্কায়ন সম্ভব হয় না। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে নতুন গাড়ির শুল্কমূল্য নির্ধারণ করতে একটি আদেশ জারি করে সব কাস্টমস হাউসে পাঠিয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, কিছুসংখ্যক আমদানিকারক শুল্ককর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে জাল-জালিয়াতি করে প্রস্তুতকারক রপ্তানিকারকের পরিবর্তে বাণিজ্যিক রপ্তানিকারকের সম্পর্ক দেখিয়ে কিংবা প্রকৃত রপ্তানিকারকের সঙ্গে সম্পর্ক গোপন করে আন্ডার ইনভয়েস দাখিল করে থাকে। এতে সরকার শুধু তার ন্যায়সঙ্গত রাজস্ব থেকেই বঞ্চিত হয় না, আমদানিকারকদের মধ্যে বৈষম্যও সৃষ্টি হয় এবং অবৈধ পথে মুদ্রা পাচারও ঘটে। এ ধরনের জাল-জালিয়াতি এখন শুল্ক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি উচ্চ ঝুঁকির বিষয়।
গাড়ি আমদানির সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশে যেসব নতুন ব্যক্তিগত গাড়ি আমদানি হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই প্রস্তুতকারক দেশের পরিবর্তে অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এসব গাড়ির মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। একই মডেলের গাড়ির দাম জাপানে চেয়ে বাংলাদেশে কম। এক কথায়, যেটা অবিশ্বাস্য। লিয়াজোঁ অফিসের মাধ্যমে এসব আমদানি করা হয়। এসব লিয়াজোঁ অফিসই গাড়ির মূল্য নির্ধারণের সনদ দিয়ে থাকে। এ কারণে শুল্ক ফাঁকির প্রবণতা বাড়ছে। অপরদিকে, ক্রেতারা না জেনেশুনেই ঠকছেন।
সূত্র জানায়, গুলশানে টয়োটা সুসো কর্পোরেশনের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে টয়োটা গাড়ি আমদানি করা হয়। অথচ এই গাড়ির উৎপাদক দেশ হচ্ছে জাপান। কিংসু মাটাইচি কর্পোরেশনের মাধ্যমে মিটসুবিশি গাড়ি আমদানি করা হয় থাইল্যান্ড থেকে। একই অবস্থা হুন্দাই, নিশান এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে।
এনবিআরের নতুন আদেশে বলা হয়েছে, গাড়ি আমদানিকারক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ডিলার হিসেবে গাড়ি আমদানি করলে রপ্তানিকারকের ইস্যু করা ইনভয়েস দাখিল করতে হবে। এই ইনভয়েস মূল্য সঠিক পাওয়া গেলে প্রাপ্ত মূল্যের ওপর শুল্কায়ন হবে। প্রয়োজনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মূল্য তালিকা বা অন্যান্য নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে শুল্কায়ন করতে হবে।
অপরদিকে, তৃতীয় পক্ষ থেকে গাড়ি আমদানি করলে জাপানে প্রস্তুত করা একই ব্র্যান্ড, মডেল ও ক্যাপাসিটির গাড়ির ক্ষেত্রে ইয়োলো বুকের গড় মূল্য শুল্কায়নের জন্য গ্রহণ করা যাবে। জাপান ছাড়া অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হলে হালনাগাদ ম্যাগাজিন অটোমোবাইল বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো জার্নালে প্রকাশিত মূল্যে শুল্কায়ন করা যাবে। প্রয়োজনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মূল্য তালিকা বা অন্যান্য নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে শুল্কায়ন করতে হবে।
এসবের পাশাপাশি কূটনীতিক, দূতাবাস, বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা একই ব্র্যান্ড, মডেল ও ক্যাপাসিটির গাড়ির ঘোষিত মূল্যকেও বিকল্প হিসেবে শুল্কায়নের ভিত্তিমূল্য ধরে শুল্কায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আমদানিকারকের ঘোষিত মূল্য গাড়ি খালাস করে পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট করতে হবে।
আদেশে আরো বলা হয়েছে, একই উৎস দেশে তৈরি একই ব্র্যান্ড, মডেল এবং সিলিন্ডার ক্যাপাসিটির নতুন গাড়ির দাম পুরনো গাড়ির চেয়ে কম হবে না। অর্থাৎ, নতুন গাড়ির দাম পুরনো গাড়ির চেয়ে কম দেখানো যাবে না।

তথ্যসূত্র: যায়যায়দিন

রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্য ছাড়াল এনবিআর

Picture

সেহ্রির পরপরই বুধবার ভোরে সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুক খুলতেই চোখে পড়ল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের নিজের একটি স্ট্যাটাস। তিনি সেখানে লিখলেন, বিদায়ী অর্থবছরের (২০১৪-১৫) রাজস্ব লক্ষ্য অর্জন করেছে এনবিআর। এ জন্য শুল্ক-কর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানান। তারপর থেকেই তাঁর স্ট্যাটাসে বাড়তে থাকল ‘লাইক’-এর সংখ্যা।

এরপর গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে লক্ষ্য অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদায়ী অর্থবছরের ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। এটি সাময়িক হিসাব। গত অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২৩৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে।
তবে এনবিআর রাজস্ব আদায়ের মূল লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় না হওয়ায় অর্থবছরের শেষ দিকে তা ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো কমিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবারই নয়, এর আগেও দুবার লক্ষ্য অর্জন করেছিল এনবিআর। ২০১১-১২ ও ২০১০-১১ অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিল।
সদ্য গত অর্থবছরের ১০ মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয়ে ছিল এনবিআরও। হঠাৎ করে কীভাবে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াল ব্রিফিংয়ে সে প্রশ্ন করা হয়। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের জবাব, ‘এটা কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়, এটা বাস্তবতা। আপনি যদি আপনার সম্পদের ওপর ভালো ধারণা পোষণ করেন, আস্থা রাখেন তাহলে ইতিবাচক ফল আসবেই।’
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শুল্ক থেকে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৩৮ হাজার ২৩৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা; যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি।
স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের (মূসক) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৪৮ হাজার ৬৩৮ কোটি ১ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর আয়কর ও ভ্রমণ কর হিসেবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪৯ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। আদায় বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংশয় ছিল রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কি না। তবে আমরা এনবিআরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের কর্মীরা দলগতভাবে কাজ করেছে। উদ্ভাবনী কার্যকলাপের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে।’ তিনি জানান, মাঠপর্যায়ের কর্মীরা তাঁকে জানিয়েছেন ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়বে।
নজিবুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের আমরা বলেছি কমপ্লায়েন্সের ওপর জোর দিতে। আর আইনের বাস্তবায়ন যেন কোনোভাবেই হয়রানির পর্যায়ে না যায়, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।’
২০১৫-১৬ অর্থবছর গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। এই অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এনবিআরকে জনবান্ধব সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করে এর চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘বিশাল এই লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করতে পারব।’
এনবিআর চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, এ জন্য কয়েকটি বিষয়ে জোর দেবে সংস্থাটি। এর একটি হলো জরিপ কার্যক্রম জোরদার করা। করের আওতায় বাইরে আছে কিন্তু কর দিতে সক্ষম এমন লোক খুঁজে বের করা হবে জরিপের মাধ্যমে। আরেকটি হলো, সমস্যাকেন্দ্রিক অর্থনীতি। এ খাতে বিনিয়োগের জন্য সরকার বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা রেখেছে। এ খাতে বিনিয়োগ হলে সেটাও রাজস্ব আদায়ের একটি বড় উৎস হয়ে উঠবে। আবার সরকার পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালকে কার্যকর করবে।
ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে তা সদ্য গত অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কতটুকু বাস্তবসম্মত? জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১০-১১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তাহলে এই অর্থবছরে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়া তো অসম্ভব নয়। এটা কোনো উচ্চাভিলাষ নয়। এটা সঠিক বাস্তবতা।’
অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে রাজস্ব ঘাটতি পূরণে এনবিআর বড় বড় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অগ্রিম আয়কর আদায় করে থাকে। এবারও কি তাই হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নজিবুর রহমান বলেন, ‘এবার কোনো অগ্রিম আয়কর নেওয়া হয়নি। এমন কোনো তাগিদও ছিল না।’

তথ্যসূত্র: প্রথমআলো

 

রাজস্ব আদায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ: বিসিআই

Picture

সম্প্রতি ঘোষিত বাজেট বিনিয়োগ ও শিল্পায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ (বিসিআই)। বাজেটে দেশি শিল্পের সুরক্ষা এবং শিল্প ও বিনিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

গত ৪ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় বিসিআই সচিব মো. নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেট বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট। বর্তমান বাজেট বৃহদাকার হলেও এটি অতীত বাজেটের ধারাবাহিকতা। চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবু প্রস্তাবিত বাজেটে গত বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আরও বলা হয়েছে, দ্রুত শিল্পায়ন ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে দেশে ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে শহরের উপর চাপ কমবে। তাছাড়া, বেশ কিছু পণ্যের কাঁচামালে কর হ্রাস, দেশে উৎপাদিত হচ্ছে এমন পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের করারোপ, রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য বিশেষ সুবিধা দেশীয় শিল্পের জন্য ইতিবাচক।

প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মানবসম্পদ খাতে ২২ শতাংশ বরাদ্দ এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করায় শিল্প ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে বিসিআই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিড়ি, সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের মূল্য ও করভার বৃদ্ধি তামাকজাত পণ্য নিরুৎসাহিতকরণে সহায়তা করবে। সেইসঙ্গে সহজলভ্য অন্য কোনো মাদকাসক্ত থেকে তরুণসমাজকে রক্ষায় প্রতিষেধনমুলক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটে শিশু বাজেট, ছিটমহল বাসীদের উন্নয়নের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ, সরকারি চাকরিজীবীদের সমৃদ্ধি সোপান ব্যাংক, অনলাইন মার্কেট ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর কর, অনুমোদনহীন বিদেশিদের নিয়োগে শাস্তি, কর্পোরেট ট্যাক্স অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ প্রণোদনা এবং উপজেলা ভিত্তিক কর অফিস স্থাপনের মতো নতুন প্রস্তাবনা প্রশংসার দাবিদার।

ঘোষিত বাজেটে প্রায় সাড়ে ৮৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ গ্রহণের কথা বলেছে সরকার। এতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন বলে উল্লেখ করেছে বিসিআই।

তথ্যসূত্র: অর্থসূচক

 

‘উন্নয়নশীল দেশে ট্যাক্স সুশাসন কঠিন’

Picture

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে করের ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। উন্নয়নের জন্য সুশাসনের পরিবর্তে সব করের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিশেষ ছাড় দিতে হয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সেরিনাতে ‘গ্লোবাল ক্রাফ্ট’ বা ক্যাপাসিটি ফর রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ফর ফেয়ার ট্যাক্সেশন’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান অক্সফাম যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজনে করে।

অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ঘানা, জিম্বাবুয়ে, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, মিশর, মালি, বুরুন্ডি, নাইজার, মরক্কো, চেক প্রজাতন্ত্র এবং পাকিস্তানসহ প্রায় ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে আমরা নানাভাবে ঠকে এসেছি। ঐতিহাসিকভাবেই শাসক গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ঠকানো হতো। আমরা কাউকে ঠকাতে চাই না। তবে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় এখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। ব্যবসায়ীদের বেশি সুবিধা দিয়েই করনীতি প্রণয়ন করতে হয়।

তিনি বলেন, করের আইনের মধ্যে কিছু জটিলতা থাকে। এটা বাধা সৃষ্টির জন্য নয়; বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া জন্য তৈরি। আয়কর, শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এমনভাবে করা হচ্ছে যেন তা সবার পথকে মসৃন করে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে করযোগ্য সব মানুষকে করের আওতায় আনতে হবে। করের বিষয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধি করলে ও মানুষকে করের বিনিময়ে প্রাপ্য সুবিধা দিলে সবাই কর দেবে।

‘সুপ্র’র চেয়ারপার্সন আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, করের বিষয়ে সবারই সচেতন হওয়া উচিত। দেশে বেসরকারিখাতে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা যথেষ্ট দুর্বল। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো ঠিকমতো কর দিচ্ছে না। বেসরকারি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই পরিবেশ ও মানবাধিকার মানা হচ্ছে না। এসব বিষয় নিশ্চিত করতে পারলেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সহজ হবে।

সিপিডির রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিক খান বলেন, উন্নয়নের জন্য কর আহরণের বিকল্প নেই। তবে মানুষ করের সুবিধা না পাওয়ায় আগ্রহী হয় না। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি করযোগ্য সব মানুষকে এর অর্ন্তভূক্ত করতে পারলে কর সমস্যা থাকবে না। এছাড়া কর আদায়ে নিযুক্ত কর্মকর্তারা সহজ ও বন্ধুর মতো আচরণ করলে মানুষ কর দিতে আগ্রহী হবে বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান এমপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ডিরেক্টর কেএএম মোর্শেদ, ইউএনডিপির সহকারি কান্ট্রি ডিরেক্টর কোলাওলে বানোসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।

তথ্যসূত্র: অর্থসূচক

 

রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি

Picture

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে বিভিন্ন মহল সংশয় প্রকাশ করলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বলছে,‘সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার’ চেয়ে বেশি রাজস্ব এসেছে এবার।

সমাপ্ত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ কোটি  টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।

বুধবার বিকালে  কাকরাইলে  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকেদের এ তথ্য জানান তিনি।

গেল অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ‘সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার’ চেয়ে আদায় বেশি হয়েছে ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। গেল অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের ‘মূল লক্ষ্যমাত্রা’ ধরা হয় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা । পরে তা সংশোধন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে এনবিআরের সদস্য (মূসক) এনায়েত হোসেন ও সদস্য (কর প্রশাসন) আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। নজিবুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সুশাসন, আধুনিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে আদায় কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্মিলিত প্রয়াসের ফলে লক্ষ্যমাত্রা শুধু অর্জনই হয় নি, অতিক্রমও করা হয়েছে।

তিনি জানান, এনবিআরের জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি কার্যক্রম যাতে হয়রানিমূলক না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য এনবিআর জরিপ কার্যক্রমের ওপর জোর দেবে।

রাজস্ব বোর্ডের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, গেল  অর্থবছর আমদানি পর্যায়ে ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৮ হাজার ২৩৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের মূসক খাতে ৪৮ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৮ হাজার ৬৩৮ কোটি এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৪৯ হাজার ২৬৪ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৯ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ-হরতালসহ টানা সহিংস আন্দোলনের ফলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে। বিশেষ করে আমদানি-রফতানি, উৎপাদন, পরিবহন, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীসহ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক খাতের বিশেল্গষকরা বিদায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছিলেন।

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। এনবিআর চেয়ারম্যান মনে করেন এই লক্ষ্যও অর্জন সম্ভব হবে। কারণ রাজস্ব আদায়ের বেশকিছু সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তাদের সামনে রয়েছে।

 

তথ্যসূত্র: সমকাল

ডিএসইকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান করা বড় চ্যালেঞ্জ : ডিএসই এমডি

Picture ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালা বলেছেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ মিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জে  পরিণত হয়ছে। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এক্সচেঞ্জকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।

আজ সোমবার হোটেল ওয়েস্টিনে বর্তমান অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ, প্রত্যাশা ও এর সম্ভ্যাব্য সমাধান বিষয়ে  এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরিচালনা পর্ষদের সাথে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলে।

এসময় ডিএসই এমডি বলেন, বাজারে অংশগ্রহণকারীদের সক্ষমতার সমস্যা, বিনিয়োগকারীদের সচেতনতার ঘাটতি, গুণগত মানের দিক থেকে ভালো আইপিও’র মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে শিল্পোন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করা  এসবই পুঁজিবাজারের জন্য চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, এডিবি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে দীর্ঘদিনের অংশীদার। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের ফেইজ ২ এর কাজ শেষের পথে এবং ফেইজ ৩ এর কাজ আগামী বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও উন্নতমানের পুঁজিবাজারে পরিণত করার জন্য নতুন প্রোডাক্ট, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ, ডেরিভেটিবস মার্কেট সবই যেন পরিকল্পনা অনুযায়ী গঠিত হয়।

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এডিবির অর্থায়নে যে সব প্রকল্প আগামীতে বাস্তবায়িত হবে সেখানে রেগুলেটরের সাথে ডিএসই যেন স্বক্রিয় অংশীদার হিসেবে বিবেচিত হয়।

এই অনুষ্ঠানে সঞ্চলনা করেন এডিবি’র নির্বাহী পরিচালক  মালিয়ামি বিন হামাদ।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র পরিচালক  শাকিল রিজভী, এডিবি’র নির্বাহী পরিচালক  উমেশ কুমার মুহাম্মদ সামি সাঈদ, কান্ট্রি ডিরেক্টর  কাজুহিকো হিগুচি, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর  ওলেগ টোনকোনোজেনকোভ।

এছাড়াও বাংলাদেশ মিশনের প্রধান অর্থনীতিবিদ  মোহাম্মদ জাহিদ হোসেইন, বাংলাদেশ ওমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টিজের প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমদ, এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিস-উদ-দৌলা, এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম, সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড মার্কেন্টাইল করপোরেশন (প্রাঃ) লিমিটেডের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আর কে রাহাত জামান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র: অর্থসূচক

দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই সূচক বেড়েছে

Picture

সূচকের ঊর্ধ্বগতির মধ্য দিয়ে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের দামও।

ডিএসই'র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে মোট ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৯টির দাম।

দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯৬৭ পয়েন্টে। আর ২ পয়েন্ট বেড়ে ডিএস৩০ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে।

হাতবদল হয়েছে মোট ১ হাজার ১৫ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। গতকাল সোমবার হাতবদল হয়েছিল মোট ৯৯২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

অন্যদিকে দেশের আরেক শেয়ারবাজার সিএসইতে দিনশেষে লেনদেন হয়েছে মোট ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১০৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭টির দাম।

ওই সময় পর্যন্ত নির্বাচিত খাত মূল্য সূচক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৬৪ পয়েন্টে।

হাতবদল হয়েছে মোট ৭৫ কোটি ৩১ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।


তথ্যসূত্র : সমকাল

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ন্যায়পাল নিয়োগ দেয়া হবে

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো রাষ্ট্রের ওপর ছেড়ে দিয়ে নিজের আওতাধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনিয়ম রোধে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মালিক যেহেতু সরকার তাই এসব ব্যাংকের মান বাড়ানোর দায়িত্বও সরকারের। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ন্যায়পাল নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন। এতে গভর্নর হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, বেসিক ব্যাংকের কথা নির্দেশ করে বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। সারা দুনিয়ায় এ রকম দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিচ্ছি কিনা, আটঘাট বেঁধে নামছি কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। গত অর্থবছরে অভিযুক্ত ১৮৪ জন ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে ১৮ জন মহাব্যবস্থাপক ও তদূর্ধ্ব। এছাড়া আরও দু’জন কর্মকর্তার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তদন্তাধীন। ব্যাংকারদের ভুল ও অন্যায়ের কারণে তাদের শাস্তি হচ্ছে এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন অভিযোগ গ্রহণ করে না। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য একজন ন্যায়পাল নিয়োগ দেয়া হবে। এমনটাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ব্যাংকগুলোর অন্যায় ও অনিয়ম ধরছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।


যেসব কর্মকর্তারা এ কাজ করছেন তাদের মাথা উঁচু করে তা করার আহ্বান জানান তিনি। এসব কর্মকর্তার প্রতি গভর্নরের সবসময় সমর্থন থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। 

তথ্যসূত্র : মানবজমিন

মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ কমেছে

Picture

দেশে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণপ্রবাহ কিছুটা কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিতরণকৃত মোট মেয়াদি শিল্পঋণ তার আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে। এর ফলে পাঁচ বছর পর আবার শিল্পঋণপ্রবাহ কমে গেল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪২ হাজার ৩১১ কোটি ৩২ লাখ টাকার শিল্পঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আর ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিতরণকৃত মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৫২৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
মূলত গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০১৩) দেশের অভ্যন্তরে যে রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিরতা বিরাজ করেছিল, তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সার্বিকভাবে শিল্প ও ব্যবসার ওপর। অবশ্য অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০১৪) রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে।
শিল্প খাতের কর্মকাণ্ড ও ঋণের চাহিদা সামগ্রিকভাবে এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্বারা অনেকটাই প্রভাবিত হয়েছে। মেট্রো চেম্বারের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘অর্থবছরের প্রথমার্ধে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাই শিল্পঋণের নিম্ন প্রবৃদ্ধির জন্য দায়ী।’
যদিও ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণের পরিসংখ্যান বিষয়টি পুরোপুরি সমর্থন করে না। কেননা, আলোচ্য অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আট হাজার ৮৮০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শিল্পঋণ বিতরণের পর দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা ব্যাপকভাবে বেড়ে হয় ১২ হাজার ৬৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
অবশ্য তৃতীয় প্রান্তিকে মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ আবার কমে হয় নয় হাজার ২৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর শেষ প্রান্তিকে ১১ হাজার ৪৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ করা হয়।
মেট্রো চেম্বারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অর্থবছরের প্রথমার্ধে দেশজুড়ে হরতাল-অবরোধ শিল্প খাতের ওপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলেছে। এর সঙ্গে ছিল অব্যাহত জ্বালানিসংকট। এর ফলে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধিও শ্লথ হয়ে পড়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখত প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিল্পঋণ বিতরণ যেটুকু কমেছে, তা খুবই নগণ্য। যেহেতু অর্থবছরের অর্ধেকটা সময়ই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গিয়েছে, সেহেতু শিল্পোৎপাদনও ব্যাহত হয়েছে। ফলে নতুন বিনিয়োগের তুলনায় বরং চলতি বিনিয়োগ ও উৎপাদন ধরে রাখার দিকেই মনোযোগ বেশি ছিল।’
বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এখন পর্যন্ত গত অর্থবছরের শিল্পোৎপাদন পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ উপাত্ত প্রকাশ করতে পারেনি। বিবিএসের ওয়েবসাইটে গত অর্থবছরের মে পর্যন্ত সময়কালের বড় ও মাঝারি শিল্পোৎপাদনের পরিমাণ সূচক (কোয়ান্টাম ইনডেক্স) রয়েছে। তাতে দেখা যায়, মে মাস শেষে দেশের বড় ও মাঝারি শিল্পের উৎপাদন তার আগের অর্থবছর শেষের (জুন, ২০১৩) তুলনায় প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) যে বিশ্লেষণ করেছে, তাতে দেখা যায় যে গড়ে শিল্পোৎপাদন বেড়েছে ৮ দশমিক ২১ শতাংশ।
তবে সার্বিকভাবে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির যে প্রাথমিক প্রাক্কলন করা হয়েছে, তাতে দেখা যায় যে গত অর্থবছরে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যেখানে ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা হয়েছিল ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ। তার মানে শিল্প খাতে শ্লথগতির বিষয়টি স্পষ্ট।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় নতুন বিনিয়োগের জন্য ঋণের চাহিদা ছিল কম। বিতরণকৃত শিল্পঋণের বেশির ভাগই মূলত উৎপাদন ধরে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।
ব্যাংকগুলোতে জমে যাওয়া বাড়তি নগদ অর্থও শিল্পঋণের সীমিত চাহিদার বিষয়টি সমর্থন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছর শেষে বাড়তি তারল্যের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা, যেখানে ২০১৩ সালের জুন শেষে তা ছিল ৭৯ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে জায়েদ বখত বলেন, ব্যাংকগুলোতে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ জমে যাওয়ায় এখন সুদের হার কমতে শুরু করেছে। আমানতের সুদের হার অনেক কমে গেছে। সে তুলনায় ঋণের সুদের হার অতটা এখনো কমেনি। তবে এটিও কমছে। আর তাই আগামী দিনে ঋণপ্রবাহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
বিআইডিএসের এই অর্থনীতিবিদ অবশ্য এও বলেন যে পদ্মা সেতুসহ সরকারি বড় বড় নির্মাণ প্রকল্পের ওপরই ব্যাংকের ঋণপ্রবাহের বৃদ্ধি নির্ভর করছে। এসব নির্মাণকাজ শুরু হলে আনুষঙ্গিক পণ্য ও সেবা সরবরাহে যে কাজ শুরু হবে, তা ঋণের চাহিদা তৈরি করবে।

তথ্যসূত্র: প্রথমআলো