১০৮। ফরম, নোটিশ এবং দলিলাদির সত্যায়ন।-
১০৮। ফরম, নোটিশ এবং দলিলাদির সত্যায়ন।- এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন ফরম, নোটিশ, দাখিলপত্র এবং অন্যান্য দলিলের আকার এবং আকৃতি বোর্ড যেরূপ উপযুক্ত বলিয়া বিবেচনা করিবে, সেইরূপ পদ্ধতিতে নির্ধারণ করিতে পারিবে।
Largest and fastest growing business Portals
১০৮। ফরম, নোটিশ এবং দলিলাদির সত্যায়ন।- এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন ফরম, নোটিশ, দাখিলপত্র এবং অন্যান্য দলিলের আকার এবং আকৃতি বোর্ড যেরূপ উপযুক্ত বলিয়া বিবেচনা করিবে, সেইরূপ পদ্ধতিতে নির্ধারণ করিতে পারিবে।
১০৯। নোটিশ জারি।- (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন সমন বা নোটিশ বা সিদ্ধান্ত বা আদেশ বা নির্দেশ কোন ব্যক্তির উপর জারি করা প্রয়োজন হইলে, উহা উক্ত ব্যক্তির উপরে যথাযথভাবে জারি করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উহা-
(ক) উক্ত ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধি কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করা হয়;
(খ) উক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ জ্ঞাত বাংলাদেশের বাসস্থানে বা ব্যবসায়ের স্থানে প্রেরণ করা হয়;
(গ) উক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়;
(ঘ) ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে প্রেরণ করা হয়; বা
(ঙ) দফা (ক) হইতে দফা (ঘ) এ উল্লি¬খিত পদ্ধতিতে জারি করা না যায়; তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে আঁটিয়া দেওয়া হয়।
(২) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন জারিকৃত নোটিশ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পরিপালিত হওয়ার পর নোটিশ জারির বৈধতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
১১০। দলিলপত্রের বৈধতা।- (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন জারিকৃত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন নোটিশ বা অন্যান্য দলিল যথাযথ বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উহাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর, এবং নাম ও পদবী মুদ্রিত বা স্ট্যাম্পযুক্ত থাকে এবং টেলিফোন বা ফ্যাক্স বা মোবাইল ফোন ন¤¦র বা ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ থাকে এবং নোটিশটি একটি দাপ্তরিক নথি ও পত্র ন¤¦র স¤¦লিত হয়।
(২) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন প্রস্তুতকৃত, ইস্যুকৃত বা সম্পাদিত কোন দলিল-
(ক) ফরমে করা হয় নাই বলিয়া বাতিল বা বাতিলযোগ্য গণ্য হইবে না; বা
(খ) উহাতে কোন ভুল-ত্রুটি থাকিলে বা কিছু বাদ পড়িলে উহার যথার্থতা ক্ষুণœ হইবে না; যদি উহা বিষয় ও প্রসংগের সহিত সংগতিপূর্ণ হয়।
১১১। মূসক নিবন্ধন বা টার্নওভার কর সনদপত্র ও কর দলিল সংক্রান্ত অপরাধ ও দন্ড।- ১[(১)] যদি কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে-
(ক) জাল বা ভুয়া ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা সম্বলিত মূসক নিবন্ধন সনদপত্র বা র্টানওভার কর সনদপত্র বা সমন্বিত কর চালানপত্র এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র তৈরী বা ব্যবহার করেন; বা
(খ) জাল বা ভুয়া কর চালানপত্র, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট, সমন্বিত কর চালান পত্র এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র তৈরী বা ব্যবহার করেন;
(গ) অন্য কোন উপায়ে প্রদেয় কর ফাঁকি প্রদান করেন; বা
(ঘ) উক্ত ব্যক্তি প্রাপ্য না হওয়া সত্ত্বেও কর ফেরৎ দাবি করেন; তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা প্রদেয় করের সমপরিমাণ
অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
[(২) কোন ব্যক্তি অনলাইনে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি গ্রহণের আবেদনের সময় কোন ভুল বা অসত্য প্রদান করিলে, উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।]
১অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৫ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
১১২। মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বিবৃতি বা বিবরণ প্রদানের অপরাধ ও দন্ড।- যদি কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে কোন কর দলিলাদিতে মূসক কর্মকর্তার নিকট মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর বিবরণ বা বিবৃতি প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদ-ে বা প্রদেয় করের সমপরিমাণ অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
১১৩। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধ ও দন্ড।- মূসক কর্মকর্তাকে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন দায়িত্ব পালনে যদি কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ড বা অন্যূন ১০(দশ) হাজার টাকা বা অনূর্ধ্ব ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
১১৪। অপরাধের তদন্ত, বিচার ও আপীল।- (১) ফৌজদারী কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অপরাধসমূহ ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে এবং তিনি এই আইনে বর্ণিত যে কোন অর্থদন্ড আরোপ করিতে পারিবেন।
(২) অপরাধসমূহ জামিনযোগ্য (নধরষধনষব) ও অ-আমলযোগ্য (হড়হ-পড়মহরুধনষব) হইবে।
(৩) কমিশনারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এমন কোন মূসক কর্মকর্তার নিকট হইতে লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন না।
(৪)নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়সীমার মধ্যে মূসক কর্মকর্তা এই আইনের অধীন দন্ডনীয় অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন করিবেন।
(৫) উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন বিচারের ক্ষেত্রে যে সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি অবলম্বন করেন সেই একই পদ্ধতিতে অপরাধসমূহের বিচার করিবেন এবং উক্ত অপরাধ সংক্রান্ত আপীল, রিভিউ, রিভিশন, ইত্যাদি ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
১১৫। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অতিরিক্ত ক্ষমতা।- এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অপরাধ সংঘটনকারীর ব্যাংক এ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করিবার ক্ষমতা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের থাকিবে।
১১৬। কোম্পানী, ব্যক্তি সংঘ বা সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ কর্তৃক অপরাধ সংঘটন।- (১) কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি সংঘ বা স¤পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এমন প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রতিনিধি বা মূসক এজেন্ট উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে বা উক্ত অপরাধ সংঘটন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
(২) উক্ত পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রতিনিধি বা মূসক এজেন্টের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার একই কার্যধারায় উক্ত কো¤পানীকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উক্ত কো¤পানীর উপর অর্থদন্ড ব্যতীত কারাদন্ড আরোপ করা যাইবে না।
১১৭। অপরাধে সহায়তাকারী।- যদি কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা সহযোগিতা করেন বা প্ররোচিত বা প্রলুব্ধ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনকারীর ন্যায় একই অপরাধে অপরাধী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্ত অপরাধীর ন্যায় একই দন্ডে দন্ডিত হইবেন।