চতুর্থ অধ্যায় : মূসক আদায় পদ্ধতি

Displaying 1-10 of 18 results.

২৭। করযোগ্য আমদানির উপর মূসক আদায় পদ্ধতি।-

খ- ‘ক’- আমদানির ক্ষেত্রে

[২৭। করযোগ্য আমদানির উপর মূসক আদায় পদ্ধতি।- কাস্টমস আইনের অধীন যে পদ্ধতি ও সময়ে আমদানি শুল্ক আইনের আদায় করা হয় সেই একই পদ্ধতি ওসময়ে, আমদানির উপর আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য না হইলেও করযোগ্য আমদানির উপর মূসক আদায় করিতে হইবে। ]


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৬৭ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

২৮। করযোগ্য আমদানির মূল্য নির্ধারণ।-

[২৮। করযোগ্য আমদানির মূল্য নির্ধারণ।- কোন করযোগ্য আমদানির ক্ষেত্রে মূসক আরোপের ভিত্তিমূল্য হইবে নিম্নবর্ণিত পরিমাণের সমষ্টি, যথা:-

(ক) কাস্টমস আইনের অধীন আমদানি শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্যে ধার্যকৃত পণ্য মূল্যের পরিমাণ; এবং

(খ) পণ্য আমদানির উপর প্রদেয়, যদি থাকে, আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর (মূসক এবং আগাম আয়কর ব্যতীত)। ]


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৬৮ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

২৯। পুনঃআমদানিকৃত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ।-

২৯। পুনঃআমদানিকৃত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ।- পণ্য রপ্তানির পর উহা পুনঃআমদানি করিবার ক্ষেত্রে যদি পণ্যটির আকৃতি, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও গুণগতমান অপরিবর্তিত থাকে, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের মেরামতের পর যে পরিমাণ মূল্য বর্ধিত হয় উহার সহিত বীমা, ভাড়া এবং ল্যান্ডিং চার্জ যোগ করিয়া মূসকযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করিতে হইবে।

৩০। রপ্তানির নিমিত্ত আমদানি।-

৩০। রপ্তানির নিমিত্ত আমদানি।- কোন পণ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভোগের উদ্দেশ্যে খালাস বা ছাড় না করিয়া রপ্তানির উদ্দেশ্যে আনয়ন করা হইলে, উক্ত পণ্য করযোগ্য হইবে না।

৩১। আমদানিকালে আগাম কর পরিশোধ ও সমন্বয়।-

[৩১। আমদানিকালে আগাম কর পরিশোধ ও সমন্বয়।- — (১) প্রত্যেক নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি আমদানিকৃত পণ্যের সরবরাহের উপর প্রদেয় মূসক উপ—ধারা (২) এ উল্লিখিত হারে আগাম পরিশোধ করিবেন। 
 2[(২) করযোগ্য আমদানির উপর মূসক যে সময় ও পদ্ধতিতে আদায় করা হয় সেই একই সময় ও পদ্ধতিতে করযোগ্য আমদানি মূসক আরোপযোগ্য ভিত্তিমূল্যের উপর বোর্ড কতৃর্ক নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আমদানিকৃত উপকরণের ক্ষেত্রে 3[৩ (তিন)] শতাংশ হারে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) শতাংশ হারে আগাম কর প্রদেয় হইবে।]

(৩) প্রত্যেক নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত আমদানিকারক যিনি আগাম কর পরিশোধ করিয়াছেন তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদে বা তৎপরবর্তী 4[চারটি কর মেয়াদের] মূসক দাখিলপত্রে পরিশোধিত আগাম করের সমপরিমাণ অর্থ হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণ করিতে পারিবেন। 
(৪) যে ব্যক্তি আগাম কর পরিশোধ করিয়াছেন কিন্তু নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত নহেন তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে আগাম কর ফেরত প্রদানের নিমিত্ত কমিশনারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন। 
(৫) কমিশনার আবেদন প্রাপ্তির পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা নিষ্পত্তি করিবেন। ]

 


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৬৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
2অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৫৮(ক) দ্বারা প্রতিস্থাপিত
3অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৪২ দ্বারা ‘৪(চার)’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

4অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৫৮(খ) দ্বারা ‘দুইটি কর মেয়াদের’ পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

৩২। করযোগ্য সরবরাহের মূল্য নির্ধারণ।-

খ- ‘খ’- সাধারণ সরবরাহের ক্ষেত্রে

1[৩২। করযোগ্য সরবরাহের মূল্য নির্ধারণ।— (১) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, করযোগ্য সরবরাহের পণ হইতে উক্ত পণের কর—ভগ্নাংশের সমপরিমাণ অর্থ বিয়োগ করিয়া যাহা পাওয়া যাইবে তাহাই হইবে সরবরাহ মূল্য। 
 2[(২) আমদানিকৃত সেবার করযোগ্য সরবরাহের পণ হইবে সরবরাহের মূল্য বা সরবরাহকারী এবং সরবরাহগ্রহীতা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হইলে উহার ন্যায্য বাজার মূল্য।] 
 (৩) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক তাহার সহযোগীর নিকট সরবরাহকৃত করযোগ্য সরবরাহের মূল্য হইবে উক্ত সরবরাহের ন্যায্য বাজার মূল্য হইতে উহার কর—ভগ্নাংশ বিয়োজিত মূল্য, যদি—
(ক) উক্ত সরবরাহ পণবিহীন হয় বা উহার পণ ন্যায্য বাজার মূল্য অপেক্ষা কম হয়; এবং
(খ) উক্ত সহযোগী এইরূপ সরবরাহের নিমিত্তে উদ্ভূত সমুদয় উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণের অধিকারী না হন। 
(৪) অন্যবিধভাবে নির্ধারিত না থাকিলে পণবিহীন করযোগ্য সরবরাহের মূল্য শূন্য 
হইবে উক্ত সরবরাহের ন্যায্য বাজার মূল্য হইতে উহার কর ভগ্নাংশ বিয়োজিত মূল্য। 
3[(৫) পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ও তালিকাভুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট 
কর্মকর্তার নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপকরণ—উৎপাদ সহগ (Input - Output coerfficiente) দাখিল করিতে হইবে ।

4[৩২ক। বোর্ড কর্তৃক ব্যাখ্যা প্রদান।- (১) বোর্ড এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা করযোগ্য যে কোন সেবার পরিধি নির্ধারণের লক্ষ্যে কিংবা অন্য যে কোন বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারিবে।


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৭০ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
2অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৫৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
3অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৪৩ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
4অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৭১ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

৩৩। করযোগ্য সরবরাহের উপর মূসক প্রদানকাল।-

৩৩। করযোগ্য সরবরাহের উপর মূসক প্রদানকাল।- (১) কোন করযোগ্য সরবরাহের উপর আরোপিত মূসক নিম্নবর্ণিত কার্যাবলীর মধ্যে যাহা সর্বাগ্রে ঘটে, উহা সংঘটিত হওয়ার সময় প্রদেয় হইবে, যথা:—
 (ক) যখন সরবরাহ প্রদান করা হয়; 
 (খ) যখন সরবরাহ সংক্রান্ত চালানপত্র ইস্যু করা হয়; বা 
 (গ) যখন পণের আংশিক বা সমুদয় গ্রহণ করা হয়।

(ঘ) যখন কোন সরবরাহ ব্যক্তিগহভাবে ব্যবহার করা হয় বা অন্যের ব্যবহারের জন্য প্রদান করা হয়। 
(২) কোন সরবরাহ আনুক্রমিক (চৎড়মৎবংংরাব) বা পর্যাবৃত্ত (চবৎরড়ফরপ) হিসাবে বিবেচিত হইলে উহগার উপর আরোপিত মূসক নিম্নবর্ণিত কার্যাবলীর মধ্যে যাহা সবার্গ্রো ঘটে, উহা সংঘঠিত হইবার সময় প্রদেয় হইবে, যথা:—
 (ক) যখন উক্ত সরবরাহের প্রত্যেকটির বিপরীতে পৃথক চালানপত্র ইস্যু করা হয়; 
 (খ) যখন উক্ত সরবরাহের প্রত্যেকটির বিপরীতে প্রাপ্য পণের আংশিক বা সমুদয় গ্রহণ করা হয়;
 (গ) যখন অনুক্রম সরবরাহের বিপরীতে মূল্য প্রদেয় হয়; বা
(৩) উপ—ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও বিতরণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোন পণ্য (যেমনঃ পানি, গ্যাস, তৈল বা বিদ্যুৎ) বা সেবার আনুক্রমিক বা পর্যাবৃত্তিক সরবরাহ করা হইলে, যে তারিখে উক্ত সরবরাহের প্রত্যেকটির বিপরীতে চালানপত্র ইস্যু করা হয়, উক্ত তারিখ হইতে 2[৯০ (নব্বই)] দিনের মধ্যে আরোপিত মূসক পরিশোধ করিতে হইবে।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৭২ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৬০ দ্বারা “৬০(ষাট্ট)” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

৩৪। আনুক্রমিক বা পর্যাবৃত্ত সরবরাহ।-

৩৪। আনুক্রমিক বা পর্যাবৃত্ত সরবরাহ।-  (১) আনুক্রমিক বা পর্যাবৃত্ত সরবরাহের প্রতিটি সরবরাহ পৃথক সরবরাহ হিসাবে গণ্য হইবে।

(২) যদি আনুক্রমিক বা পর্যাবৃত্ত সরবরাহের প্রতিটি সরবরাহ তাৎক্ষণিকভাবে পৃথক করা না যায়, তাহা হইলে উক্ত সরবরাহকে পৃথক সরবরাহের পর্যায়ক্রম হিসাবে গণ্য করা হইবে, যাহার প্রত্যেকটি উক্ত সরবরাহের অনুপাতের সহিত সংগতিপূর্ণ এবং যাহার সহিত পর্যায়ক্রমিক পণের প্রত্যেক পৃথক অংশ আনুপাতিক হারে সংশ্লিষ্ট।

(৩) লিজ বা সম্পত্তি ব্যবহারের অধিকার সংক্রান্ত সরবরাহের প্রতিটি অংশের ক্ষেত্রে, লিজ বা সম্পত্তির উক্তরূপ ব্যবহারের অব্যাহত সময়কাল সরবরাহের সময় হিসাবে গণ্য হইবে।

৩৫। একক ও বহুবিধ সরবরাহ।-

[৩৫। একই চালানে একাধিক ধরনের পণ্য সেবা সরবরাহ।- কোন সরবরাহ একাধিক ধরনের পণ্য বা সেবা থাকিলে নিম্নরূপে করারোপ করিতে হইবে, যথা:-

(ক) প্রতিটি সরবরাহের সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ধরনের পণ্য বা সেবাকে পৃথক ভাবে প্রদর্শন করিতে হইবে;

(খ) অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ হইতে একক সরবরাহের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সরবরাহকে কৃত্রিমভাবে বিভাজন করা যাইবে না;


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৭৩ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

৩৬। চলমান ব্যবসা হিসাবে প্রতিষ্ঠান বিক্রয়।-

খ- ‘গ’- বিশেষ সরবরাহের ক্ষেত্রে

৩৬। চলমান ব্যবসা হিসাবে প্রতিষ্ঠান বিক্রয়।- (১) কোন ব্যক্তি তাহার চলমান ব্যবসা হিসাবে কোন প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে হস্তান্তর করিলে উক্ত হস্তান্তর একক সরবরাহ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত একক সরবরাহ বাংলাদেশে কোন সরবরাহ হিসাবে বিবেচিত হইবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রযোজ্যতার ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক কার্যক্রমটি বিক্রয়ের পর চলমান থাকিবে এইরূপ উদ্দেশ্যে চলমান ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করিতে হইবে এবং উক্তরূপে হস্তান্তরিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের অব্যাহত পরিচালনার নিমিত্তে যাহা কিছু প্রয়োজন তাহা ক্রেতা কর্তৃক সম্পূর্ণরূপে অর্জন করিতে হইবে।

(৩) কোন চলমান ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের একটি অংশ পৃথকভাবে পরিচালনাযোগ্য হইলে, উক্ত অংশ একটি পৃথক অর্থনৈতিক কার্যক্রম হিসাবে গণ্য হইবে।

(৪) উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রযোজ্যতার ক্ষেত্রে, সরবরাহকারীর উপকরণ কর রেয়াত প্রাপ্যতা নির্ধারণের লক্ষ্যে,-

(ক) হস্তান্তরের জন্য গৃহীত সেবার উপর প্রদত্ত উপকরণ কর সরবরাহকারীর অন্যান্য কার্যক্রমের অনুবৃত্তিক্রমে নির্ধারিত হইবে; এবং

(খ) ধারা ৪৭ এর অধীন নির্ণীত রেয়াতযোগ্য অনুপাতের মধ্যে হস্তান্তরের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

(৫) কোন ব্যক্তি প্রদেয় সমুদয় কর ও বকেয়া পরিশোধ না করিয়া কোন চলমান ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হস্তান্তর করিতে পারিবেন না।

(৬) উপ-ধারা (৫) এর বিধান সত্তে¡ও, নির্ধারিত শর্ত ও সীমা সাপেক্ষে, কমিশনার তৎকর্তৃক হস্তান্তর মঞ্জুর করিতে পারিবেন, যদি প্রদেয় সমুদয় কর ও বকেয়া পরিশোধের নিমিত্ত ক্রেতা কোন তফসিলি ব্যাংক হইতে নিঃশর্ত ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল করেন।

(৭) উপ-ধারা (১) এর বিধানমতে, হস্তান্তরের তারিখ হইতে ক্রেতা সরবরাহকারীর উত্তরাধিকার (successor)  হিসাবে বিবেচিত হইবেন এবং ক্রেতা কর্তৃক এই আইন যথাযথভাবে পরিপালনের লক্ষ্যে সরবরাহকারী ক্রেতাকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করিবেন এবং উক্তরূপ তথ্য প্রদান নিশ্চিতকরণার্থে বোর্ড প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।