ষোড়শ অধ্যায় : অপরাধ, বিচার ও ‌দন্ড

Displaying 1-10 of 10 results.

১১১। মূসক নিবন্ধন বা টার্নওভার কর সনদপত্র ও কর দলিল সংক্রান্ত অপরাধ ও দন্ড।-

১১১। মূসক নিবন্ধন বা টার্নওভার কর সনদপত্র ও কর দলিল সংক্রান্ত অপরাধ ও দন্ড।- [(১)] যদি কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে-
(ক) জাল বা ভুয়া ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা সম্বলিত মূসক নিবন্ধন সনদপত্র বা র্টানওভার কর সনদপত্র বা সমন্বিত কর চালানপত্র এবং উৎসে কর কর্তন  সনদপত্র তৈরী বা ব্যবহার করেন; বা
(খ) জাল বা ভুয়া কর চালানপত্র, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট, সমন্বিত কর চালান পত্র এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র তৈরী বা ব্যবহার করেন;
(গ) অন্য কোন উপায়ে প্রদেয় কর ফাঁকি প্রদান করেন; বা
(ঘ) উক্ত ব্যক্তি প্রাপ্য না হওয়া সত্ত্বেও কর ফেরৎ দাবি করেন; তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা প্রদেয় করের সমপরিমাণ
অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
[(২) কোন ব্যক্তি অনলাইনে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি গ্রহণের আবেদনের সময় কোন ভুল বা অসত্য প্রদান করিলে, উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।]


অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৫ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

 

১১২। মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বিবৃতি বা বিবরণ প্রদানের অপরাধ ও দন্ড।-

১১২। মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বিবৃতি বা বিবরণ প্রদানের অপরাধ ও দন্ড।- যদি কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে কোন কর দলিলাদিতে মূসক কর্মকর্তার নিকট মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর বিবরণ বা বিবৃতি প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদ-ে বা প্রদেয় করের সমপরিমাণ অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

১১৩। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধ ও দন্ড।-

১১৩। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধ ও দন্ড।- মূসক কর্মকর্তাকে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন দায়িত্ব পালনে যদি কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ড বা অন্যূন ১০(দশ) হাজার টাকা বা অনূর্ধ্ব ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

১১৪। অপরাধের তদন্ত, বিচার ও আপীল।-

১১৪। অপরাধের তদন্ত, বিচার ও আপীল।- (১) ফৌজদারী কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অপরাধসমূহ ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে এবং তিনি এই আইনে বর্ণিত যে কোন অর্থদন্ড আরোপ করিতে পারিবেন।
(২) অপরাধসমূহ জামিনযোগ্য (নধরষধনষব) ও অ-আমলযোগ্য (হড়হ-পড়মহরুধনষব) হইবে।
(৩) কমিশনারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এমন কোন মূসক কর্মকর্তার নিকট হইতে লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন না।
(৪)নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়সীমার মধ্যে মূসক কর্মকর্তা এই আইনের অধীন দন্ডনীয় অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন করিবেন।
(৫) উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন বিচারের ক্ষেত্রে যে সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি অবলম্বন করেন সেই একই পদ্ধতিতে অপরাধসমূহের বিচার করিবেন এবং উক্ত অপরাধ সংক্রান্ত আপীল, রিভিউ, রিভিশন, ইত্যাদি ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন নিষ্পত্তি করিতে হইবে।

 

১১৫। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অতিরিক্ত ক্ষমতা।-

১১৫। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অতিরিক্ত ক্ষমতা।- এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অপরাধ সংঘটনকারীর ব্যাংক এ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করিবার ক্ষমতা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের থাকিবে।

১১৬। কোম্পানী, ব্যক্তি সংঘ বা সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ কর্তৃক অপরাধ সংঘটন।-

১১৬। কোম্পানী, ব্যক্তি সংঘ বা সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ কর্তৃক অপরাধ সংঘটন।- (১) কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি সংঘ বা স¤পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এমন প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রতিনিধি বা মূসক এজেন্ট উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে বা উক্ত অপরাধ সংঘটন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
(২) উক্ত পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রতিনিধি বা মূসক এজেন্টের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার একই কার্যধারায় উক্ত কো¤পানীকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উক্ত কো¤পানীর উপর অর্থদন্ড ব্যতীত কারাদন্ড আরোপ করা যাইবে না।

 

১১৭। অপরাধে সহায়তাকারী।-

১১৭। অপরাধে সহায়তাকারী।- যদি কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা সহযোগিতা করেন বা প্ররোচিত বা প্রলুব্ধ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনকারীর ন্যায় একই অপরাধে অপরাধী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্ত অপরাধীর ন্যায় একই দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

১১৯। অপরাধের আপোষরফা।-

১১৯। অপরাধের আপোষরফা।- (১) নির্ধারিত পদ্ধতিতে অপরাধসমূহ আপোষযোগ্য (পড়সঢ়ড়ঁহফধনষব) হইবে।
(২) মামলা দায়ের করিবার জন্য কমিশনার কর্তৃক পূর্বানুমোদনের পূর্বে বা পরে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে আপোষরফা করা যাইবে, তবে মামলা রুজু করিবার পর আপোষরফা করিতে হইলে আদালতের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।

 

১২০। অর্থদন্ড প্রদেয় করের অতিরিক্ত।-

১২০। অর্থদন্ড প্রদেয় করের অতিরিক্ত।- জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আরোপিত অর্থদন্ড প্রদেয় মূসক, সম্পূরক শুল্ক, টার্নওভার কর বা জরিমানার অতিরিক্ত হিসাবে গণ্য হইবে।