দ্বিতীয় অধ্যায় : মূসক নিবন্ধন এবং টার্নওভার কর তালিকাভুক্তি

Displaying 1-10 of 12 results.

৪। নিবন্ধনের আবেদন ও নিবন্ধন প্রদান।-

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

সেগুনবাগিচা, ঢাকা

[মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক]

 

প্রজ্ঞাপন

 

ঢাকা, ০৩ নভেম্বর, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ/ ১৯ কার্তিক, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

 

এস, আর, ও নং ৩৩৩-আইন/২০১৬/১-মূসক-মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ১৩৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নি¤œরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিল, যথা:-

 

প্রথম অধ্যায়

 

প্রারম্ভিক

 

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম প্রবর্তন।- (১) এই বিধিমালা মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ নামে অভিহিত হইবে।

(২) এই বিধিমালার দ্বিতীয় অধ্যায় ও উক্ত অধ্যায় সংশ্লিষ্ট প্রথম অধ্যায়ের সংজ্ঞাসমূহ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

(৩) উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত অধ্যায় ব্যতীত এই বিধিমালার অন্যান্য অধ্যায়সমূহ বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে কার্যকর হইবে।

৪। মূসক নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি।-

মূসক নিবন্ধন এবং টার্নওভার কর তালিকাভুক্তি

২৭[৪। মূসক নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি।- (১) কেন্দ্রীয় বা শাখা ইউনিট নির্বিশেষে, নিম্নবর্ণিত প্রত্যেক ব্যক্তি কোন মাসের প্রথম দিন হইতে মূসক নিবন্ধনযোগ্য হইবেন, যথা:-

(ক) যে ব্যক্তির টার্নওভার উক্ত মাসের পূর্ববর্তী মাসের শেষে সমাপ্ত ১২ (বার) মাস সময়ে নিবন্ধনসীমা অতিক্রম করে; বা

(খ) যে ব্যক্তির প্রাক্কলিত টার্নওভার উক্ত মাসের পূর্ববর্তী মাসের প্রারম্ভ হইতে পরবর্তী ১২ (বার) মাস সময়ে নিবন্ধনসীমা অতিক্রম করে।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে বা টার্নওভার নিবিশেষে মূসক নিবন্ধিত হইতে হইবে, যিনি-

(ক) বাংলাদেশে সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য বা সেবা সরবরাহ, প্রস্তুত ; বা আমদানি করেন;

(খ) কোন টেন্ডারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বা কোন চুক্তি বা কার্যাদেশের বিপরীতে পন্য বা সেবা বা উভয়ই সরবরাহ করেন;

(গ) কোন আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় নিয়োজিত;

(ঘ) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত কোন নিদিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় বা কোন নিদিষ্ট পণ্য বা সেবা সরবরাহ,প্রস্তুত বা আমদানি সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নিয়োজিত।


২৭ অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৫৪ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

৫। নিবন্ধন।-

1[৫। নিবন্ধন।— (১) যদি কোন ব্যক্তি দুই বা ততোধিক স্থান হইতে অভিন্ন অথবা সমজাতীয় পণ্য বা সেবা উভয়ই সরবরাহ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সকল হিসাব—নিকাশ ও রেকর্ডপত্র কেন্দ্রীয় ইউনিটে সংরক্ষণ করেন, তাহা হইলে 2[নির্ধারিত শর্ত পদ্ধতিতে]  তিনি হিসাব—নিকাশ সংরক্ষণের উক্ত ঠিকানায় একটি মূসক নিবন্ধন গ্রহণ করিবেন;
 তবে শর্ত থাকে যে, অভিন্ন বা সমজাতীয় পণ্য বা সেবা সরবরাহ করা সত্বেও কোন ইউনিট হইতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের হিসাব—নিকাশ, কর পরিশেধ ও রেকর্ডপত্র স্বতন্ত্রভাবে সংক্ষরণ করিলে তাহাকে পৃথক নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে 3[:
আরও শর্ত থাকে যে. কেন্দ্রিয় নিবন্ধন গ্রহণ ও কর পরিশোধের লক্ষ্যে বোর্ড বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 4[(১ক) উপ—ধারা (১) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, ধারা ৫৮ এর অধীন বিশেষ পরিকল্পের অধীনে তামাকজাত পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নিবন্ধন প্রযোজ্য হইবে না।]
 (২) উপ—ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুন না কেন, যদি কোন ব্যক্তি দুই বা ততোধিক স্থান হইতে ভিন্ন ভিন্ন পণ্য বা সেবা সরবরাহ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাহা হইলে তাহাকে প্রতিটি স্থানের জন্য পৃথক নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে। 
 (৩) উপ—ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিত ব্যক্তির কেন্দ্রীয় এক ইউনিট হইতে অপর ইউনিটে পণ্য বা সেবার আদান—প্রদান বা চলাচল সরবরাহ বলিয়া গণ্য হইবে না এবং ফলশ্রম্নতিতে উৎপাদ কর দায় বা উপকরণ কর রেয়াত উদ্ভূত হইবে না।] 


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৫৫ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
2অর্থ আইন, ২০২০ (২০১৯ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৫৫ (ক) দ্বারা “নির্ধারিত পদ্ধতিতে” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
3অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৫৫ (ক) দ্বারা “কোলন” প্রতিস্থাপিত
4অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৩৬ সন্নিবেশিত

৬। মূসক নিবন্ধন পদ্ধতি।-

1[৬। মূসক নিবন্ধন পদ্ধতি।— (১) প্রত্যেক নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, মূসক নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিবেন।

(২) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তিকে নিবন্ধিত করিয়া ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা সংবলিত নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান করিবেন।
(৩) উপ—ধারা (১) এর অধীন কোন আবেদন বিধিসম্মত না হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়সীমা ও পদ্ধতিতে, আবেদনকারীকে উহা অবহিত করিবেন।]। 


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৫৬ বলে প্রতিস্থাপিত

৭। নিবন্ধিত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রকাশ ও সংরক্ষণ

৭। নিবন্ধিত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রকাশ ও সংরক্ষণ।- (১) বোর্ড, সময় সময় নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধিত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রণয়ন করিয়া উহা প্রকাশ, প্রচার ও সংরক্ষণ করিবে।

(২) কোন ব্যক্তির নাম প্রকাশিত তালিকায় না থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি নিবন্ধিত বলিয়া গণ্য হইবে না।

(৩) কোন ব্যক্তির নাম উক্ত তালিকায় থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি এই আইনের অধীন নিবন্ধিত বলিয়া গণ্য হইবে।

৮। স্বেচ্ছা মূসক নিবন্ধন।-

1[৮। স্বেচ্ছা মূসক নিবন্ধন।— (১) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৪ এর বিধান অনুযায়ী নিবন্ধনের আবশ্যকতা না থাকা সত্ত্বেও নিবন্ধিত হইতে ইচ্ছুক হন, তাহা হইলে তিনি 2[* * * *] স্বেচ্ছায় মূসক নিবন্ধনের মূসক নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট মূসক কর্মকর্তার নিকট, নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, আবেদন করিতে পারিবেন। 
 (২) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তিকে নিবন্ধিত করিয়া ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা সংবলিত নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান করিবেন। 
 (৩) স্বেচ্ছায় নিবন্ধিত ব্যক্তির উপর নিবন্ধিত অন্যান্য ব্যক্তির ন্যায় এই আইনেরসকল বিধান প্রতিপালন বাধ্যতামূলক হইবে এবং তিনি নিবন্ধনের তারিখ হইতে অন্যূন এক বৎসর অতিক্রম হইবার পূর্বে নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন না।”। 


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৫৭ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
2অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৫৬ দ্বারা ‘নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে’ শব্দগুলি বিলুপ্ত

৯। মূসক নিবন্ধন বাতিল।-

৯। মূসক নিবন্ধন বাতিল।-

(১) যদি কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা হইতে বিরত থাকেন, তাহা হইলে তিনি, নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, মূসক নিবন্ধন বাতিলের জন্য কমিশনারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন;

(২) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি যাহার আর নিবন্ধিত থাকিবার প্রয়োজন নাই, তাহার করযোগ্য সরবরাহ প্রদান অব্যাহত থাকিলে, তিনি নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে কমিশনারের নিকট নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন [*]

(৩) কমিশনার, নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, মূসক নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন।

(৪) যদি কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি মূসক নিবন্ধন বাতিলের জন্য উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন দাখিল না করেন এবং যথাযথ অনুসন্ধানের পর যদি কমিশনারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তির মূসক নিবন্ধন বাতিলযোগ্য, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে

মূসক নিবন্ধন বাতিলের আবেদনপত্র দাখিল করিবার নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী আবেদন করা না হইলে কমিশনার স্ব-উদ্যোগে তাহার মূসক নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন।

(৫) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির মূসক নিবন্ধন বাতিলের পর যদি দেখা যায় যে, তিনি তালিকাভুক্তিযোগ্য তাহা হইলে কমিশনার আবেদনের ভিত্তিতে বা স্ব-উদ্যোগে তাহাকে টার্নওভার করদাতা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবেন।

(৬) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির মূসক নিবন্ধন বাতিল করা হইলে, তিনি-

(ক) অনতিবিলম্বে কর চালানপত্র, সমন্বিত কর চালানপত্র এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র, রশিদ, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট, ইত্যাদি ব্যবহার বা ইস্যু করা হইতে বিরত থাকিবেন; এবং

(খ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূসক নিবন্ধন সনদপত্র এবং উহার সকল প্রত্যায়িত অনুলিপি কমিশনারের নিকট ফেরত প্রদান এবং বকেয়া কর পরিশোধ ও চূড়ান্ত মূসক দাখিলপত্র দাখিল করিবেন।

[(৭) কোন ব্যক্তি অনলাইনে নিবন্ধিত গ্রহণ করিবার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।-

(ক) নিবন্ধিনের আবেদন উল্লিখিত ব্যক্তির ঠিকানা, অস্তিত্ব ও কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক অন্যান্য তথ্যাদি করিবেন;

(খ) যাচাইয়ান্তে ব্যক্তির ঠিকানা বা অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি অসত্য প্রমানিত হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধন বাতিলের জন্য কমিশনারের নিকট সুপারিশ করিবেন; এবং

(গ) কমিশনার এইরূপ সুপারিশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করিয়া, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, বকেয়া কর আদায়পূর্বক নিবন্ধন বাতিল ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।]


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৫৮ এর দফা (ক) দ্বারা দাড়ি প্রতিস্থাপিত এবং শর্তাংশ বিলুপ্ত

অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৫৮ এর দফা (খ) দ্বারা নতুন উপ-ধারা সংযোজিত

 

১০। তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তি ও তালিকাভুক্তি।-

১০। তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তি ও তালিকাভুক্তি।- (১) যদি কোন ব্যক্তি অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া ১২ মাসের কোন ত্রৈমাসিক শেষে তালিকাভুক্তিসীমা অতিক্রম করেন কিন্তু যদি নিবন্ধনসীমা অতিক্রম না করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত ত্রৈমাসিক সময় সমাপ্ত হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে, টার্নওভার করদাতা হিসাবে তালিকাভুক্তির [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার] নিকট আবেদন করিবেন।

(২) [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তিকে টার্নওভার করদাতা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিয়া ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা সম্বলিত টার্নওভার কর সনদপত্র প্রদান করিবেন।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৫৯ এর ধারা দফা (ক) দ্বারা “কমিশনারের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৫৯ এর ধারা দফা (ক) দ্বারা “কমিশনারের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

 

১১। তালিকাভুক্তি বাতিল।-

১১। তালিকাভুক্তি বাতিল।-

(১) প্রত্যেক তালিকাভুক্ত ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত কারণে তাহার টার্নওভার কর তালিকাভুক্তি বাতিলের জন্য [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার] নিকট নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, আবেদন করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) যদি তিনি অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ করেন;

(খ) যদি তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রমের টার্নওভার পর পর তিনটি কর মেয়াদে আনুপাতিক হারে তালিকাভুক্তি সীমার নিম্নে থাকে।

(২) [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তির তালিকাভুক্তি বাতিল করিতে পারিবেন।

(৩) মূসক নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত আবেদন তালিকাভুক্তি বাতিলের আবেদন হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং কমিশনার যে তারিখে মূসক নিবন্ধন সনদপত্র ইস্যু করিবেন সেই তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী দিবসে টার্নওভার কর তালিকাভুক্তি বাতিল হইয়াছে বলিয়া গণ্য

হইবে।

(৪) যদি কোন ব্যক্তি তালিকাভুক্তি বাতিলের জন্য উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন না করেন, তাহা হইলে কমিশনার নির্ধারিত সময়সীমা ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তির তালিকাভুক্তি বাতিল করিয়া প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৬০ এর ধারা দফা (ক) দ্বারা “কমিশনারের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

 

অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৬০ এর ধারা দফা (খ) দ্বারা “কমিশনারের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

 

 

১২। কমিশনার কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে নিবন্ধনযোগ্য ও তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তিকে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তিকরণ।-

১২। 1[* *] স্ব—উদ্যোগে নিবন্ধনযোগ্য ও তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তিকে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তিকরণ।— 2[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] যথাযথ অনুসন্ধানের পর যদি সন্তুষ্ট হন যে, কোন ব্যক্তি মূসক নিবন্ধনযোগ্য বা টার্নওভার কর তালিকাভুক্তিযোগ্য কিন্তু তিনি নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেন নাই, তাহা হইলে 3[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] স্ব—উদ্যোগে উক্ত ব্যক্তিকে মূসক নিবন্ধিত বা টার্নওভার কর তালিকাভুক্ত করিবেন এবং সনদপত্র প্রদান করিবেন।

1অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৫৭ এর দফা (ক) দ্বারা “কমিশনার কতৃর্ক” শব্দগুলি বিলুপ্ত
2অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৫৭ এর দফা (খ) দ্বারা “কমিশনারের” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

3অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৫৭ এর দফা (খ) দ্বারা “কমিশনারের” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত