Law-1991

Displaying 41-50 of 99 results.

৩৬। দাখিলপত্রের পরীক্ষা

(১) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধারা ৩৫ এর অধীন পেশকৃত দাখিলপত্র বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে যথাশীঘ্র সম্ভব পরীক্ষা করিবেন এবং পরীক্ষান্তে যদি প্রমাণিত হয় যে,উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পরিশোধিত [মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক] তৎকর্তৃক এই আইনের অধীন প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক অপেক্ষা কম, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা [প্রদেয় কর নির্ধারণ করিবেন এবং] উক্ত ব্যক্তিকে আদেশ দ্বারা, আদেশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে মধ্যে―

(ক) পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে, চলতি হিসাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে; এবং

(খ) সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে, তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত পন্থায়, অপরিশোধিত পরিমাণ মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধ করার নির্দেশ দান করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরীক্ষান্তে যদি প্রমাণিত হয় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তৎকর্তৃক এই আইনের অধীন প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক] অপেক্ষা অধিক পরিমাণ মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধ করিয়াছেন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তিকে, আদেশ দ্বারা, উক্ত অধিক পরিমাণ পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক] তৎকর্র্তৃক পরবর্তী করমেয়াদে প্রদেয় মূল্য সংযোজন করের বা,ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্কের বিপরীতে সমন্বয় সাধনের সুযোগ দান করিবেন।

(৩) ধারা ৩৫ এর অধীন পেশকৃত দাখিলপত্র পরীক্ষাকালে যদি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কোন করযোগ্য পণ্যের যথাযথ উপকরণ-উৎপাদ সম্পর্ক নির্ধারণের প্রয়োজন আছে বলিয়া মনে করেন অথবা কোন সরবরাহকৃত করযোগ্য পণ্য বা প্রদত্ত করযোগ্য সেবা এবং উহা হইতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ কম দেখানো হইয়াছে বলিয়া মনে করেন

তাহা হইলে তিনি উক্ত পণ্যের যথাযথ উপকরণ-উৎপাদ সম্পর্ক নির্ধারণ অথবা, ক্ষেত্রমত, উক্ত পণ্য বা সেবার পরিমাণ ও উহা হইতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সমীক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন।

(৪) যে ক্ষেত্রে কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি ধারা ৩৫ এর অধীন দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হন অথবা উক্ত ধারার অধীন পেশকৃত দাখিলপত্রে কোন ভুল বা ভুল বলিয়া তাহার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে এমন কোন তথ্য সরবরাহ করেন যাহার ফলে পরিশোধিত মূল্য সংযোজন করের বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন

কর ও সম্পূরক শুল্কের পরিমাণ কম হয়, বা রপ্তানির ক্ষেত্রে, যথাযথ পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমাণ অর্থ

প্রত্যর্পণযোগ্য বলিয়া দাবি করেন, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এই আইন বা বিধির অধীন কোন দন্ডের বিধান ক্ষুন্ন না করিয়া, উক্ত ব্যক্তিকে যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ দান করার পর, কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা কর্তৃক সংগৃহীত তথ্যের বা উপ-ধারা (৩) এর অধীনে কৃত সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রদেয় সঠিক মূল্য সংযোজন কর বা

প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ নির্ধারিত মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক] প্রদান বা নির্ণীত প্রত্যর্পণ উক্ত ব্যক্তির জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।

[(৫) যদি কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এবং (৪) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হন বা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে নিজেকে বিরত রাখেন তাহা হইলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ধারা ৩৭ এর অধীন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করিতে পারিবেন।]


অর্থ আইন, ১৯৯২ (১৯৯২ সনের ২১ নং আইন) এর ধারা ১১(১০) বলে প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭০ বলে সন্নিবেশিত।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৩ বলে সংযোজিত।

১[৩৬ক। মূল্য সংযোজন কর সম্মাননাপত্র

(১) পূর্ববর্তী অর্থ বৎসরের সকল দাখিলপত্র পেশকারী ব্যক্তি ব্যক্তি মূল্য সংযোজন কর সম্মাননাপত্র লাভের অধিকারী হইবেন;

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসরের জন্য কমিশনার এর নিকট হইতে সরাসরি,বা প্রযোজ্য, ক্ষেত্রে অনলাইনে সম্মাননাপত্রের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন;

(৩) বোর্ড, বিধি দ্বারা সম্মাননাপত্র প্রদানের পদ্ধতি, শর্ত ও উপযোগিতা নির্ধারণ করিতে পারিবে।]


অর্থ আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭২ বলে সন্নিবেশিত।

৩৭। অপরাধ ও দণ্ডসমূহ

[(১) নিম্নে টেবিলে উল্লিখিত বিধানাবলী লংঘন বা উহাতে উল্লিখিত নির্দেশ অমান্যকরণ বা অন্যান্য কার্যাবলীর জন্য উহার বিপরীতে উল্লিখিত দণ্ড আরোপনীয় হইবে, যথা:-

টেবিল

ক্রমিক নং

অপরাধের বর্ণনা

আরোপনীয় দণ্ড

 

(১)

(২)

(৩)

১।

এই আইনের অধীন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও নিবন্ধনের জন্য আবেদন করিতে ব্যর্থ হওয়া

 

অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং

অনূর্ধ্ব বিশ হাজার টাকা।

 

২।

নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কোন দাখিলপত্র পেশ করিতে

ব্যর্থ হওয়া

 

অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং

অনূর্ধ্ব বিশ হাজার টাকা।

 

৩।

নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্যের কোন পরিবর্তন সম্পর্কে মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে অবহিত করিতে ব্যর্থ হওয়া

 

অন্যূন পাঁচ হাজার টাকা এবং

অনূর্ধ্ব দশ হাজার টাকা।

 

৪।

ধারা ২৫ এর অধীন কোন সমনের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হওয়া;

 

অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং

অনূর্ধ্ব ত্রিশ হাজার টাকা।

 

৫।

উপ-ধারা (২) এর দফা (জ) তে উল্লিখিত নথিপত্র,ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা Point of Sales (POS)Software কম্পিউটার সংরক্ষণে ব্যর্থ হওয়া

 

অন্যূন বিশ হাজার টাকা এবং

অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকা।

 

৬।

এই আইনের অন্য কোনো বিধান লঙ্ঘন করা

অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং অনূর্ধ্ব ত্রিশ হাজার টাকা।

 

 

 

 (২) যদি কোনো ব্যক্তি -

(ক) কর চালানপত্র প্রদান না করেন অথবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের দিক হইতে অসত্য কর চালানপত্র প্রদান করেন, অথবা

(খ) তৎকর্তৃক সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক দুইবার নির্দেশিত হওয়া সত্ত্বেও, মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক প্রদান করিতে অথবা কোন কর মেয়াদে দাখিলপত্র প্রদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রান্ত হইয়া গেলেও উহা দাখিল করিতে ব্যর্থ হন, অথবা

(গ) গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের দিক হইতে অসত্য দাখিলপত্র প্রদান করেন, অথবা

(ঘ) বিক্রয় হিসাব পুস্তকে বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্য লিপিবদ্ধ না করিয়া এবং চলতি হিসাব পুস্তকে প্র্রদেয় মূল্য সংযোজন কর লিপিবদ্ধ না করিয়া পণ্য সরবরাহপূর্বক মূল্য

সংযোজন কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেন, অথবা

(ঙ) ক্রয় হিসাব পুস্তকে উপকরণ ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য [২৪ ঘন্টার মধ্যে] লিপিবদ্ধ না করিয়া মূল্য সংযোজন কর ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেন, অথবা

(চ) মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে কোন জাল বা মিথ্যা দলিলপত্র প্রদান করিয়া উহার মাধ্যমে কর ফাঁকি দেন বা দেওয়ার চেষ্টা করেন বা প্রত্যর্পণ গ্রহণ করেন বা গ্রহণের চেষ্টা করেন, অথবা

(ছ) সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা কর্তৃক নির্দেশিত হওয়া সত্ত্বেও, কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি কোন তথ্য বা দলিলাদি সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হন, অথবা

(জ) এই আইন বা বিধি অনুযায়ী সংরক্ষণ করা প্রয়োজন এইরূপ কোন নথিপত্র, ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা Point of Sales (POS)Software এ কম্পিউটারে হিসাব সংরক্ষণ না করেন অথবা অনুরূপ কোন নথিপত্র, ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা POS Software এ কম্পিউটারে সংরক্ষিত হিসাব ধ্বংস বা পরিবর্তন করেন বা উহার অঙ্গচ্ছেদ করেন বা উহাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেন অথবা উক্ত নথিপত্র, ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা POS Software এ কম্পিউটারে হিসাব এই আইনের প্রয়োজন মোতাবেক সংরক্ষণ না করেন, অথবা

(ঝ) সজ্ঞানে মিথ্যা বিবরণ বা মিথ্যা ঘোষণা প্রদান করেন, অথবা

(ঞ) মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত কোন নথিপত্র, ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা POS Software বা কম্পিউটার বহি বা অন্য কোন দলিলপত্র পরিদর্শন বা আটক করার

জন্য এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে তাহার ব্যবসার স্থলে প্রবেশকালে বাধা প্রদান করেন বা প্রবেশ করা হইতে বিরত করেন, অথবা

(ট) কোনো পণ্যের উপর প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হইয়াছে বলিয়া জানা বা বিশ্বাস করার মত কারণ থাকা সত্ত্বেও উক্ত পণ্য গ্রহণে বা উহার দখল অর্জনে বা লেনদেনে লিপ্ত হন, অথবা

(ঠ) জাল বা ভূয়া চালানপত্রের মাধ্যমে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করেন, অথবা

(ড) অন্য যে কোনো উপায়ে মূল্য সংযোজন কর বা সম্পূরক শুল্ক ফাঁকি দেন বা দেওয়ার চেষ্টা করেন, অথবা

(ঢ) নিবন্ধিত ব্যক্তি না হইয়াও এইরূপ কোন কর চালানপত্র প্রদান করেন যাহাতে মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ উল্লেখ করা থাকে, অথবা

(ণ) ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৪ক) এর বিধান অনুযায়ী করণীয় কোন কিছু না করিলে বা করণীয় নয় এমন কিছু করেন, অথবা

(ত) এই আইন বা বিধির অধীন কোন পণ্য অপসারণ বা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চলতি হিসাবে যে পরিমাণ, যাহা দ্বারা জমাকৃত অর্থের এবং প্রদত্ত উপকরণ কর বাবদ প্রাপ্য রেয়াতের সমষ্টির দ্বারা প্রদেয় উৎপাদ কর পরিশোধ বা সমন্বয় করা যায়, জের রাখা প্রয়োজন কিন্তু সেই পরিমাণ জের না রাখিয়া পণ্য অপসারণ বা সেবা প্রদান করেন, অথবা

(থ) দফা (ক) হইতে দফা (ত) এ বর্ণিত যে কোন কার্য করে বা করিতে সহায়তা করেন,তাহা হইলে তাহার উক্ত কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের কারণে যদি -

(অ) কর ফাঁকি সংঘটিত হয়, তাহা হইলে তিনি উক্ত কর ফাঁকি জনিত অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদানের উপর প্রদেয় করের অন্যূন অর্ধেক পরিমাণ এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ অর্থদ-ে দ-নীয় হইবেন;

(আ) উক্ত অপরাধ কর ফাঁকি ব্যতীত অন্যান্য অনিয়ম সংক্রান্ত হয়, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

(২ক) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোন অপরাধের কারণে কোন ব্যক্তি দণ্ডিত হইলেও তিনি ধারা ৫৫ এর বিধান অনুযায়ী অনাদায়ী বা কম পরিশোধিত বা বেশী প্রত্যর্পিত বা ফেরত প্রদত্ত মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক, সুদসহ, প্রদান বা পরিশোধে বা ফেরত প্রদানে বাধ্য থাকিবেন।

(২খ) কোন ব্যক্তি ভুলবশতঃ বা ভুল ব্যাখ্যার কারণে মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধ না করিলে বা অনাদায়ী থাকিলে বা প্রত্যর্পণ বা ফেরত নিলে তিনি ধারা ৫৫ ও উপ-ধারা (৩) এর বিধান অনুযায়ী উক্ত মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বা অন্যান্য শুল্ক ও কর সুদসহ পরিশোধ করিবেন; এবং উক্ত ক্ষেত্রে তাহার উপর এই আইনের অধীন কোন দণ্ড আরোপ করা যাইবে না।]

[(৩)কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি বা উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী এই আইনের অধীন প্রদেয় বা উৎসে কর্তিত কর অথবা আরোপিত অর্থদ- অথবা অন্য কোন পাওনা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ বা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে, তাহাকে নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী দিবস হইতে অপরিশোধিত পরিমাণের উপর, ধারা ৪১ঝ এর ক্ষেত্র ব্যতিত, মাসিক ২ (দুই) শতাংশ হারে সুদ প্রদান করিতে হইবে।]

[(৩ক) উপ-ধারা (৩) এর অধীন মাসিক দুই শতাংশ হারে [সুদসহ] মূল্য সংযোজন কর বা,ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধের কারণে এই আইন বা তদধীনে প্রণীত বিধিমালার অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের দন্ড সম্পর্কিত কোন বিধানের কার্যকরতা ক্ষুন্ন হইবে না।]

[(৩খ) ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৪কক) এবং (৪খ) এর বিধান অনুযায়ী উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন এবং জমা প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী উক্ত ধারাসমূহের অধীন উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে,-

(ক) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী আরোপিত সুদসহ উক্ত মূল্য সংযোজন কর তাহার নিকট হইতে এইরূপে আদায় করা হইবে যেন তিনি উক্ত ধারাসমূহের অধীন একজন পণ্য বা সেবা সরবরাহকারী;

(খ) দফা (ক) এর বিধানাবলি ক্ষুণœ না করিয়া উৎসে কর্তিত মূল্য সংযোজন কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী ব্যক্তি, কর্তিত মূল্য সংযোজন কর জমা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট কমিশনার অনধিক ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা ব্যক্তিগত জরিমানা করিতে পারিবেন।]

(৪) এই আইনের অন্যত্র যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট হইতে দুইবার এতদুদ্দেশ্যে নোটিশ প্রাপ্তি সত্বেও, করমেয়াদ সমাপ্তির তিন মাসের মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক প্রদানে ব্যর্থ হন, অথবা উপ-ধারা (২) এবং ধারা ৩৮ এ বর্ণিত যে কোন অপরাধ, যে কোন ১২ মাস সময়ে অন্ততঃ দুইবার করেন অথবা যদি কোন নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের জন্য আদিষ্ট হওয়া সত্বেও আদেশ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে নিবন্ধিত হইতে ব্যর্থ হন,

 [তাহা হইলে,-

(ক) নিবন্ধিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, তাহার ব্যবসায় অঙ্গন তালাবদ্ধ করিয়া দেওয়া যাইবে এবং তাহার নিবন্ধনও বাতিল করা যাইবে; এবং

(খ) নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তির ক্ষেত্রে, তাহার ব্যবসায় অঙ্গন তালাবদ্ধ করিয়া দেওয়া যাইবে];

[(৫) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্তিসঙ্গত শুনানীর সুযোগ (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ইচ্ছা করিলে ব্যক্তিগতভাবে বা তাহার মনোনীত কৌসলীর মাধ্যমে শুনানীর সুযোগসহ) প্রদান না করিয়া তাহার উপর এই ধারার অধীন কোন অর্থদন্ড,কোন [স্পেশাল জজের আদালত] কর্তৃক দন্ডারোপ ব্যতীত, আরোপ করা যাইবে না বা তাহার ব্যবসায় অঙ্গন

১০[তালাবদ্ধ করা যাইবে না বা তাহার নিবন্ধন বাতিল করা যাইবে না।]

১১[(৬) এই আইনের অন্যত্র যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি স্পেশাল জজের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হইলে অন্যূন ৩ (তিন) মাস এবং অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা মূল্য সংযোজন কর বা ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্কের ১২[অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ] অর্থদন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।


অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন এর ধারা ৭১(ক) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ৪ নং আইন) এর ধারা ৬২ দ্বারা সন্নিবেশিত।

অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন এর ধারা ৭১(খ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১৫ নং আইন) এর ধারা ৬(১১) দ্বারা সংযোজিত।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৪(গ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৪(ঘ) দ্বারা সন্নিবেশিত।

অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৮)(ক) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৮(৫) দ্বারা (৫) সংযোজিত।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৪(ক)(চ) দ্বারা সংযোজিত।

১০অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৮)(খ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

১১অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৪(চ)(ঙ)বলে প্রতিস্থাপিত।

১২অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭১(গ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

১[৩৭ক। স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচারকার্য পরিচালনা

(১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) অথবা অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের ধারা ৩৭ এর উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত অপরাধসমূহের জন্য স্পেশাল জজ কর্তৃক দন্ডারোপ করার ক্ষেত্রে তদকর্তৃক উহা এমনভাবে বিচার্য হইবে যেন উক্ত অপরাধসমূহ Criminal Law Amendment Act, 1958 (Act No. XL of 1958) এর তফসিলভুক্ত কোন অপরাধ।

(২) স্পেশাল জজ, সহকারী কমিশনারের নি¤েœ নহেন এমন পদমর্যাদার কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার নিকট হইতে, বোর্ডের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন না।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার দপ্তর বা এখতিয়ারাধীন এলাকা বিচারকার্য পরিচালনাধীন স্পেশাল জজের এখতিয়ারাধীন এলাকার অন্তর্ভুক্ত হইবে।


অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৫ বলে সন্নিবেশিত।

১[৩৭খ। স্পেশাল জজ এর বিশেষ এখতিয়ার

(১) স্পেপশাল জজ এই আইনের অধীন অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ড আরোপ এবং, ক্ষেত্রমত, অধিকতর তদন্ত, সম্পত্তি অবরুদ্ধকরণ, ক্রোক, বাজেয়াপ্তকরণ আদেশসহ আবশ্যক অন্য যে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) স্পেশাল জজ এই আইনের অধীন দায়েরকৃত কোন মামলায় অধিকতর তদন্তের আদেশ প্রদান করিলে উক্তরূপ আদেশে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি সময়সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন, যাহা ৬ (ছয়) মাসের অধিক হইবে না।]


অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৫ বলে সন্নিবেশিত।

৩৮। বাজেয়াপ্তকরণ

যদি―

(১) কোন নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে কোন করযোগ্য পণ্য প্রস্তুত বা উৎপাদন করেন বা বা করযোগ্য পণ্যের ব্যবসায়ে নিয়োজিত হন], তাহা হইলে উক্ত পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

[(২) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি―

(ক) কোন করযোগ্য পণ্য চালানপত্র ব্যতিরেকে ব্যবসায় অঙ্গন হইতে অপসারণ করেন, বা

[(কক) চালানপত্রে প্রদর্শিত কর অথবা সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবার উপর প্রযোজ্য কর পরিশোধ ব্যতীত পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদান করেন; বা]

(খ) করযোগ্য এইরূপ কোন পণ্য চালানপত্র সহ ব্যবসায় অঙ্গন হইতে অপসারণ করেন যাহার গন্তব্য স্থান পর্যন্ত উক্ত চালানপত্র উহার সহিত না থাকে, বা

(গ) ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৪ক) এ বর্ণিত বিধান প্রতিপালনে ব্যর্থ হন,

তাহা হইলে উক্ত পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে এবং উক্ত নিবন্ধিত ব্যক্তি, তাহার প্রতিনিধি বা উক্তরূপ কর্মকান্ডের সহিত জড়িত যে কোন ব্যক্তিকে উক্ত পণ্যের উপর প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্কের [অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ] অর্থ প্রদান করিতে হইবে।]


অর্থ আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৮৫ বলে প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৫৬ বলে সন্নিবেশিত।

অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭২ বলে প্রতিস্থাপিত।

৩৯। বাজেয়াপ্তির সীমা

(১) এই আইনের অধীন কোন পণ্য বাজেয়াপ্তকরণ বলিতে উক্ত পণ্য যে মোড়কে পাওয়া যায় সেই মোড়ক এবং উহাতে প্রাপ্ত সকল বস্তুও অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(২) এই আইনের অধীনে বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত যে কোন প্রকার যানবাহনও বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে:

[তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য যানবাহন আটক করা হইলে বিধিতে উল্লিখিত কর্মকর্তা উহার এবং উহাতে পরিবহনকৃত পণ্যের ন্যায়-নির্ণয়ন অনিষ্পন্ন থাকা অবস্থায় (Pending adjudication), [***] বিধিদ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্তর্বর্তীকালীন ছাড় প্রদান করিতে পারিবেন।]

(৩) যে কোন জলযানের বাজেয়াপ্তকরণ বলিতে উহার ট্যাকল, সাজসজ্জা ও আসবাবপত্রও অন্তর্ভুক্ত হইবে।


অর্থ আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১৫ নং আইন) এর ধারা ৬(১২) বলে প্রতিস্থাপিত।

১[৪০। ন্যায়-নির্ণয়নের ক্ষমতা

এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধির অধীনে

বাজেয়াপ্তকরণ এবং অর্থদন্ড [বা অর্থদন্ড] আরোপকরণ সংক্রান্ত মামলাসমূহের ন্যায়-নির্ণয়ন করা হইবে,―

(ক) আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে Customs Act, 1969 এর Section 179-এর বিধান অনুযায়ী; এবং

(খ) পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে, মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নিম্নবর্ণিত টেবিল অনুযায়ী―

[টেবিল

ন্যায়-নির্ণয়নের ধরন

ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

ক্ষমতা

 

(অ) পণ্য বা সেবা বাজেয়াপ্তকরণ এবং কর ফাঁকি অথবা বাজেয়াপ্তকরণ বা কর ফাঁকি সংশ্লিষ্ট অর্থদ- আরোপ

 

কমিশনার

পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য ২০ (বিশ) লক্ষ টাকার অধিক হইলে;

অতিরিক্ত কমিশনার

পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা হইলে;

যুগ্ম-কমিশনার

পণ্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ১৫ (পনের) লক্ষ টাকা হইলে;

উপ-কমিশনার

পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা হইলে;

সহকারী কমিশনার

পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা হইলে;

রাজস্ব কর্মকর্তা

পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা হইলে;

(আ) দফা (অ) তে বর্ণিত কর ফাঁকি ব্যতীত অন্যান্য অনিয়মের ক্ষেত্রে অর্থদণ্ড-আরোপ

বিভাগীয়

 

কর্মকর্তা পূর্ণ ক্ষমতা।]

ব্যাখ্যা।- এই টেবিলে বর্ণিত “পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য” নির্ধারণের ক্ষেত্রে, আটককৃত পণ্য বা সেবা বহনকারী যানবাহনের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হইবে না।]


অর্থ আইন, ২০০৭ (২০০৭ সনের ১০ অধ্যাদেশ) এর ধারা ৬৫ বলে প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৬ নং আইন) এর ধারা ৫৬(ক) বলে সন্নিবেশিত।

অর্থ আইন, ২০১২ ২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭৩ বলে প্রতিস্থাপিত।

৪১। বাজেয়াপ্তির পরিবর্তে জরিমানা আরোপ

যখন এই আইন বা বিধি অনুযায়ী কোন পণ্য বাজেয়াপ্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা পণ্যের মালিককে বাজেয়াপ্তির বিকল্প হিসেবে উক্ত পণ্যের উপর প্রদেয় কর, অন্যান্য সরকারী পাওনা, অর্থদন্ড এবং উক্ত কর্মকর্তার বিবেচনায় [ফাকিকৃত ক্রয়ের সর্বনিম্ন এক চতুর্থাংশ হইতে সর্বোচ্চ অর্ধাংশ পর্যন্ত জরিমানা আরোপণপূর্বক] উক্ত পণ্য বিমোচনের সুযোগ দিতে পারিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন আইন দ্বারা বা উহার অধীনে যে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করা হইয়াছে সেই পণ্যের ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছু প্রযোজ্য হইবে না।


অর্থ আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ৪ নং আইন) এর ধারা ৬৩ বলে প্রতিস্থাপিত।

১[৪১ক। বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি

(১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ বা শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট নিষ্পন্নাধীন রহিয়াছে, এইরূপ ন্যায়নির্ণয়ন অথবা ধারা ৪১গ এ বর্ণিত কোন বিরোধের ক্ষেত্রে, কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি এই আইন ও

বিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উক্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সহায়তাকারীর নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

(২) ন্যায়নির্ণয়ন বা আপীল চূড়ান্ত হইবার পূর্বে এই ধারার অধীন বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার আওতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।


অর্থ আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৬ বলে সন্নিবেশিত।