৩৬। দাখিলপত্রের পরীক্ষা

(১) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধারা ৩৫ এর অধীন পেশকৃত দাখিলপত্র বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে যথাশীঘ্র সম্ভব পরীক্ষা করিবেন এবং পরীক্ষান্তে যদি প্রমাণিত হয় যে,উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পরিশোধিত [মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক] তৎকর্তৃক এই আইনের অধীন প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক অপেক্ষা কম, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা [প্রদেয় কর নির্ধারণ করিবেন এবং] উক্ত ব্যক্তিকে আদেশ দ্বারা, আদেশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে মধ্যে―

(ক) পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে, চলতি হিসাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে; এবং

(খ) সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে, তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত পন্থায়, অপরিশোধিত পরিমাণ মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধ করার নির্দেশ দান করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরীক্ষান্তে যদি প্রমাণিত হয় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তৎকর্তৃক এই আইনের অধীন প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক] অপেক্ষা অধিক পরিমাণ মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধ করিয়াছেন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তিকে, আদেশ দ্বারা, উক্ত অধিক পরিমাণ পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক] তৎকর্র্তৃক পরবর্তী করমেয়াদে প্রদেয় মূল্য সংযোজন করের বা,ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্কের বিপরীতে সমন্বয় সাধনের সুযোগ দান করিবেন।

(৩) ধারা ৩৫ এর অধীন পেশকৃত দাখিলপত্র পরীক্ষাকালে যদি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কোন করযোগ্য পণ্যের যথাযথ উপকরণ-উৎপাদ সম্পর্ক নির্ধারণের প্রয়োজন আছে বলিয়া মনে করেন অথবা কোন সরবরাহকৃত করযোগ্য পণ্য বা প্রদত্ত করযোগ্য সেবা এবং উহা হইতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ কম দেখানো হইয়াছে বলিয়া মনে করেন

তাহা হইলে তিনি উক্ত পণ্যের যথাযথ উপকরণ-উৎপাদ সম্পর্ক নির্ধারণ অথবা, ক্ষেত্রমত, উক্ত পণ্য বা সেবার পরিমাণ ও উহা হইতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সমীক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন।

(৪) যে ক্ষেত্রে কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি ধারা ৩৫ এর অধীন দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হন অথবা উক্ত ধারার অধীন পেশকৃত দাখিলপত্রে কোন ভুল বা ভুল বলিয়া তাহার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে এমন কোন তথ্য সরবরাহ করেন যাহার ফলে পরিশোধিত মূল্য সংযোজন করের বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন

কর ও সম্পূরক শুল্কের পরিমাণ কম হয়, বা রপ্তানির ক্ষেত্রে, যথাযথ পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমাণ অর্থ

প্রত্যর্পণযোগ্য বলিয়া দাবি করেন, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এই আইন বা বিধির অধীন কোন দন্ডের বিধান ক্ষুন্ন না করিয়া, উক্ত ব্যক্তিকে যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ দান করার পর, কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা কর্তৃক সংগৃহীত তথ্যের বা উপ-ধারা (৩) এর অধীনে কৃত সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রদেয় সঠিক মূল্য সংযোজন কর বা

প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ নির্ধারিত মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক] প্রদান বা নির্ণীত প্রত্যর্পণ উক্ত ব্যক্তির জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।

[(৫) যদি কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এবং (৪) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হন বা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে নিজেকে বিরত রাখেন তাহা হইলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ধারা ৩৭ এর অধীন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করিতে পারিবেন।]


অর্থ আইন, ১৯৯২ (১৯৯২ সনের ২১ নং আইন) এর ধারা ১১(১০) বলে প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭০ বলে সন্নিবেশিত।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৩ বলে সংযোজিত।

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment