৩। মূল্য সংযোজন কর আরোপ

(১) প্রথম তফসিলে উল্লিখিত পণ্যসমূহ ব্যতীত বাংলাদেশে আমদানিকৃত সকল পণ্য এবং উক্ত তফসিলে উল্লিখিত পণ্যসমূহ ব্যতীত সকল পণ্যের সরবরাহের উপর এবং ^১[দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত সেবাসমূহ ব্যতীত ^২[বাংলাদেশে আমদানিকৃত বা]^৩[বাংলাদেশে প্রদত্ত] সকল সেবার উপর ধারা ৫ এ বর্ণিত মূল্যের ভিত্তিতে পনের শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর ধার্য ও প্রদেয় হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত পণ্য বা সেবার উপর শূন্য হারে কর আরোপিত হইবে; যথা:

(ক) বাংলাদেশ হইতে রপ্তানিকৃত বা রপ্তানিকৃত বলিয়া গণ্য কোন পণ্য বা সেবা;

^৪[(কক) ***]

^৫[(খ)Customs Act, 1969 (IV of 1969) অতঃপর Customs Act উল্লিখিত, এর

section 24 মোতাবেক বাংলাদেশ হইতে বিদেশগামী কোন যানবাহনে বাংলাদেশের বাহিরে

ভোগের জন্য সরবরাহকৃত খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী:

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত পণ্যের বা সেবার ক্ষেত্রে এই উপ-ধারা প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-

(অ) বাংলাদেশে পুনঃ আমদানিকৃত বা পুনঃ আমদানির জন্য অভিপ্রেত কোন পণ্য বা সেবা;

(আ)Customs Act এর section 131 মোতাবেক রপ্তানির জন্য উপস্থাপন করা হইয়াছে, কিন্তু রপ্তানি চালান (bill of export) দাখিলের ৩০ দিন বা কমিশনার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে বর্ধিত

সময়ের মধ্যে রপ্তানি হয় নাই, এইরূপ কোন পণ্য বা সেবা।]

^৬[(৩) মূল্য সংযোজন কর প্রদান করিবেন,―

(ক) আমদানীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে, আমদানী পর্যায়ে আমদানীকারক;

(খ) বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত বা উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে, প্রস্তুতকরণ বা উৎপাদন পর্যায়ে সরবরাহকারী;

(গ) সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে, সেবা প্রদানকারী; এবং

^৭[(ঘ) বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখার বাহির হইতে সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, সেবা গ্রহণকারী; এবং

(ঙ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, ^৮[সরবরাহকারী ও সেবাগ্রহণকারী]।]]

^৯[(৩ক) ***]

^১০[(৪) এই ধারার অধীন মূল্য সংযোজন কর ধার্য ও প্রদানের উদ্দেশ্যে কোন আমদানিকৃত বা

সরবরাহকৃত পণ্যের শ্রেণীবিন্যাস (Classification) এর ক্ষেত্রে Customs Act এর অধীন উক্ত পণ্যের

শ্রেণীবিন্যাস প্রযোজ্য হইবে।]

^১১[(৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ড, জনস্বার্থে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা-

(ক) যে কোন করযোগ্য পণ্য বা পণ্য শ্রেণীকে করযোগ্য সেবা এবং যে কোন করযোগ্য সেবাকে করযোগ্য পণ্য হিসেবে ঘোষণা করিতে পারিবে; এবং

(খ) করযোগ্য যে কোন সেবার, পরিধি নির্ধারণের লক্ষ্যে, ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারিবে।]

^১অর্থ আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১৫ নং আইন) এর ধারা ৮৬(ক) বলে “দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত” শব্দগুলির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।

^২অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৫৯ বলে সন্নিবেশিত।

^৩অর্থ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ২(৩) বলে সন্নিবেশিত।

^৪অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৭২(ক)(অ) বলে বিলুপ্ত

^৫অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৭২(ক)(আ) বলে প্রতিস্থাপিত 

^৬অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৮(২)

^৭অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৭২(খ)বলে উপ-ধারা (৩) এর দফা (ঘ) এর পরিবর্তে নূতন দফা যথাক্রমে দফা (ঘ) এবং (ঙ) প্রতিস্থাপিত।

^৮অর্থ আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৬৪ দ্বারা “সরবরাহকারী” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।

^৯অর্থ আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ৩০ নং আইন) এর ধারা ৭২ দ্বারা বিলুপ্ত।

^১০অর্থ আইন, ১৯৯২ (১৯৯২ সনের ২১ নং আইন) এর ধারা ১১(৩)বলে প্রতিস্থাপিত।

^১১অর্থ আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১৫ নং আইন) এর ধারা ৮৬(গ) বলে সংযোজিত।

About Author

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.