Law-1991

Displaying 61-70 of 99 results.

৪২। আপিল

[(১) যে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা যে কোন ব্যক্তি কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার এই আইন বা কোন বিধির অধীন প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে, পণ্যের সরবরাহ বা প্রদত্ত সেবার ক্ষেত্রে ধারা ৫৬ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশ অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে Customs Act এর Section 82 বা  Section 98 এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, উক্ত সিদ্ধান্ত বা [আদেশ প্রদানের বা, ক্ষেত্রমত, আদেশ জারির] [নব্বই দিনের] মধ্যে,

 (ক) উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ অতিরিক্ত কমিশনার বা তন্নিম্নের কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, কমিশনার (আপীল) এর নিকট; [***]

(খ) উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ কমিশনার, কমিশনার (আপীল) বা তাঁহার সমমর্যাদার কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, Customs Act এর Section 196  অধীন গঠিত Customs, Excise and মূল্য সংযোজন কর Appellate Tribunal, অতঃপর Appellate Tribunal বলিয়া উল্লিখিত, এর নিকট;এবং

(গ) উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ Appellate Tribunal কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নিকট;]আপীল করিতে পারিবেন।

[(১ক) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল গ্রহণের পর,-

(ক) আপীলটি কমিশনার (আপীল) এর নিকট করা হইলে, কমিশনার (আপীল) আপীলটি সম্পর্কে তাঁহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় তদন্ত অনুষ্ঠান বা তথ্য সংগ্রহ করিতে পারিবেন এবং আপীলকারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগদান করিয়া যে সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হইয়াছে উহা বহাল রাখিতে বা উহাতে কোন পরিবর্তন করিতে বা উহা বাতিল করিতে বা তাঁহার বিবেচনায় সঙ্গত কোন নূতন সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদান করিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যদি কমিশনার (আপীল) এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপীলকারী যথেষ্ট কারণবশতঃ উপরি-উক্ত [নব্বই দিন] মেয়াদের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা হইলে তিনি আপীলকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী [ষাট দিনের] মধ্যে আপীল দায়ের করার অনুমতি দিতে পারিবেন; এবং

(খ) আপীলটি Appellate Tribunal এর নিকট করা হইলে, Appellate Tribunal এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যতদুর সম্ভব, Customs Act এর উক্ত Tribunal সংক্রান্ত বিধানাবলী অনুযায়ী আপীলটির নিষ্পত্তি করিবে।]

(২) যদি কোন ব্যক্তি [***] কোন পণ্য বা সেবার উপর প্রদেয় মূল্য সংযোজন করের দাবী সম্পর্কিত অথবা এই আইনের অধীন আরোপিত কোন অর্থদন্ড সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল করার ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে তাহাকে, তাহার আপীল দায়ের করার কালে [আপীলটি―

১০[(ক) কমিশনার (আপীল) এর নিকট দায়ের করা হইলে, দাবীকৃত কর এর দশ শতাংশ বা ১১[দাবীকৃত কর না থাকিলে আরোপিত অর্থদন্ডের দশ শতাংশ]; ১২[*]এবং

(খ) কমিশনার বা তাঁহার সমমর্যাদার কোনো মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে Appellate Tribunal এ দায়ের করা হইলে, [দাবীকৃত কর এর দশ শতাংশ বা দাবীকৃত কর না থাকিলে আরোপিত অর্থদন্ডের দশ শতাংশ];১৩[*] এবং

১৪(গ) ***]

১৫[ (২ক) ***]

১৬[(২খ) উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) অনুযায়ী কমিশনার (আপীল) কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে Appellate Tribunal এ দায়ের করা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে উহার উপর দাবিকৃত কর বা আরোপিত অর্থদণ্ডের কোন অংশ জমা প্রদান করিতে হইবে না।

(৩) কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে বোর্ড কর্তৃক ধারা ৪৩ এর অধীন কোন কার্যধারা শুরু করার পর সেই সিদ্ধান্ত বা আদেশের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল করা যাইবে না।

১৭[(৪) উপ-ধারা (১) বা, ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (১ক) এর অধীন আপিল দায়ের হইবার পর ১৮[১(এক) বৎসরের মধ্যে] কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, ১৯[২ (দুই) বৎসরের মধ্যে] Appellate Tribunal  কর্তৃক আপীল নিষ্পত্তি করিতে হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সময়সীমার মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তিক্রমে সিদ্ধান্ত প্রদান করা না হইলে উহা কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, Appellate Tribunal  কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।]

২০[(৫) নির্ধারিত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান ধারা ৪২ এর অধীন বোর্ডের নিকট পেশকৃত কোনো আপিল অথবা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আপিল আদেশ অথবা উক্তরূপ কোনো আপিল হইতে উদ্ভূত বা তৎসম্পর্কিত কোনো বিষয় উক্ত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে অনিষ্পন্ন বা ক্ষেত্রমত, বাস্তবায়নাধীন থাকিলে উহা নির্ধারিত তারিখে Appellate Tribunal  এর নিকট স্থানান্তরিত হইবে এবং যতদূর সম্ভব, Customs Act,  এর Section 196] তে বর্ণিত পদ্ধতিতে Appellate Tribunal  কর্তৃক নিষ্পত্তিযোগ্য হইবে।

ব্যাখ্যা।― এই ধারায়, “নির্ধারিত তারিখ” বলিতে ১লা অক্টোবর, ১৯৯৫ বুঝাইবে।]


অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৯) বলে প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৭(ক)(অ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৬ নং আইন) এর ধারা ৮৭(ক)(আ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৭(ক)(আা)বলে বিলুপ্ত ।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৭(ক)(ঈ)বলে সন্নিবেশিত ।

অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৯) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৬ নং আইন) এর ধারা ৫৭(খ)দ্বারা সন্নিবেশিত।

অর্থ আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৮৭ দ্বারা বিলুপ্ত।

অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৬(১৩) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

১০অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৬ নং আইন)এর ধারা ৫৭(গ)(অ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

১১অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৬ নং আইন) এর ধারা ৫৭(গ)(আ) বলে প্রতিস্থাপিত।

১২অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪০(ক) দ্বারা সংযোজিত।

১৩অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪০(খ) দ্বারা বিলুপ্ত।

১৪অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪০(গ) দ্বারা বিলুপ্ত।

১৫অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৮১(ক) দ্বারা বিলুপ্ত।

১৬অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪০(ঘ) বলে সন্নিবেশিত।

১৭অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৭ (খ)বলে প্রতিস্থাপিত।

১৮অর্থ আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৭ বলে প্রতিস্থাপিত।

১৯অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৮১(খ) দ্বারা সন্নিবেশিত।

২০অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৯) দ্বারা সংযোজিত।

৪৩। বোর্ডের নথিপত্র, ইত্যাদি তলব ও পরীক্ষার ক্ষমতা

(১) বোর্ড স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া এই আইনের অধীন কোন কার্যধারার নথিপত্র, উহাতে বোর্ডের অধস্তন কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা সিদ্ধান্তের বৈধতা বা ন্যায্যতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হওয়ার উদ্দেশ্যে, তলব ও পরীক্ষা করিতে পারিবে এবং উহা

তৎসম্পর্কে যেরেূপ বিবেচনা করে সেইরূপ আদেশ দান করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, অধিকতর মূল্যের পণ্য বাজেয়াপ্তকরনের কোন আদেশ, বা বাজেয়াপ্তির পরিবর্তে জরিমানা বৃদ্ধির কোন আদেশ, বা কোন অর্থদন্ড আরোপের কোন আদেশ, বা আরোপিত হয় নাই বা কম আরোপিত হইয়াছে এইরূপ মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক পরিশোধের আদেশ, উহা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারেন এইরূপ ব্যক্তিকে উহার বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইবার সুযোগদান না করিয়া এবং ব্যক্তিগতভাবে বা তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কৌসুলি বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে শুনানির সুযোগদান না করিয়া, প্রদান করা যাইবে না।

(২) কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত কোন কার্যধারার নথিপত্র উক্ত আদেশ বা সিদ্ধান্ত প্রদানের দুই বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর উপ-ধারা (১) এর অধীন তলব এবং পরীক্ষা করা যাইবে না।

(৩) যে ক্ষেত্রে ধারা ৪২ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আপীল বিবেচনাধীন রহিয়াছে সে ক্ষেত্রে উক্ত আপীল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন কার্যধারা শুরু করা যাইবে না।

৪৪। বোর্ডের ভুল, ইত্যাদি সংশোধনের ক্ষমতা

(১) বোর্ড এই আইন বা বিধির কোন বিধান অনুযায়ী প্রদত্ত কোন আদেশের নথিপত্র হইতে আপাত কোন ভুল বা অশুদ্ধতা স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া, বা উক্ত আদেশ প্রদানের এক বৎসরের মধ্যে কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে, সংশোধন করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন জরিমানা বৃদ্ধি করিতে বা অধিকতর মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক প্রদানে বাধ্য করিতে পারে এইরূপ কোনো সংশোধন, উক্ত সংশোধন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারেন এমন ব্যক্তিকে ব্যক্তিগতভাবে বা তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কৌসুলি বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে শুনানির সুযোগ দান না করিয়া, করা যাইবে না [:

আরও শর্ত থাকে যে, যেই ক্ষেত্রে ধারা ৪২ এর অধীনে আপীল করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আবেদনকারী উক্ত সুযোগ গ্রহণ করেন নাই, সেই ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার অধীনে তাহার আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না।]

(২) যে ক্ষেত্রে ধারা ৪৫ এর অধীন কোন আবেদন করা হইয়াছে সেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন কার্যধারা শুরু করা যাইবে না এবং যে ক্ষেত্রে উক্তরূপ কোন আবেদন বিবেচনাধীন রহিয়াছে সেক্ষেত্রে উক্তরূপ শুরুকৃত কার্যধারা বাতিল হইয়া যাইবে।


অর্থ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৭ (৯)(:)প্রতিস্থাপিত এবং শর্তাংশ সংযোজিত।

৪৫। সরকারের পুনরীক্ষণের ক্ষমতা

সরকার ৩[ধারা ৪৩ এর অধীন বোর্ড কর্তৃক] প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ দ্বারা অথবা বোর্ড কর্তৃক ধারা ৪৩-এর অধীন অধিকতর মূল্যের পণ্য বাজেয়াপ্তকরণ অথবা বাজেয়াপ্তির পরিবর্তে কোন জরিমানা বৃদ্ধিকরণ অথবা কোন অর্থদন্ড আরোপকরণ বা আরোপিত হয় নাই বা কম আরোপিত হইয়াছে এইরূপ কোন কর প্রদানে বাধ্যকরণের কোন আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে যদি উক্ত আবেদন উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে চার মাসের মধ্যে পেশ করা হইয়া থাকে,তৎসম্পর্কে সরকার যেরূপ যথাযথ বিবেচনা করে সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী যথেষ্ট কারণবশতঃ উপরি-উক্ত চার মাস মেয়াদের মধ্যে আবেদন পেশ করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা হইলে সরকার আবেদনকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী চার মাসের মধ্যে আবেদন পেশ করার অনুমতি দিতে পারিবে:

আরও শর্ত থাকে যে, অধিকতর মূল্যের পণ্য বাপজয়াপ্তকরনের কোন আদেশ বা বাজেয়াপ্তির পরিবর্তে জরিমানা বৃদ্ধির কোন আদেশ বা কোন অর্থদন্ড আরোপের কোন আদেশ বা আরোপিত হয় নাই বা কম আরোপিত হইয়াছে এইরূপ মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক পরিশোধের আদেশ, উহা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারেন এইরূপ ব্যক্তিকে উহার বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইবার সুযোগদান না করিয়া এবং ব্যক্তিগতভাবে বা তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কৌসুলি বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে শুনানির সুযোগ দান না করিয়া, প্রদান করা যাইবে না।

৪৬। ক্ষমতাপ্রাপ্ত ১[প্রতিনিধি ও মূসক পরামর্শকের মাধ্যমে উপস্থিতি ইত্যাদি]

[(১)] এই আইন বা বিধির অধীন কোন কার্যধারা উপলক্ষে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা, আপীলাত কর্তৃপক্ষ, বোর্ড বা সরকারের নিকট উপস্থিত হইবার অধিকারী বা উপস্থিতির জন্য তলবকৃত কোন ব্যক্তি Customs Act-এর [Section 196K],  তে বর্ণিত কোন ব্যক্তির মাধ্যমে [বা চার্টাড  এর মাধ্যমে] উপস্থিত হইতে পারিবেন এবং উক্ত Section এর বিধানাবলী তাহার উপর এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উহা এই ধারার অধীন উপস্থিতির জন্য এই আইনের অধীন প্রণীত হইয়াছে।

[(২) এই আইন বা বিধির অধীন যে কোন কার্যধারা উপলক্ষ্যে, বা যে কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তির পক্ষে মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত যে কোন কাজ সম্পাদনের জন্য অথবা উক্ত ব্যক্তির পক্ষে উপ-ধারা (১)অনুসারে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কর্মকর্তা, কর্তৃপক্ষ, বোর্ড বা সরকারের নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য বা উক্ত ব্যক্তিকে এই আইন বা বিধি হইতে উদ্ভূত হইয়াছে বা হইতে পারে এমন যে কোন বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তাধীনে, যে কোন ব্যক্তিকে মূল্য সংযোজন কর পরামর্শক হিসাবে লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে।]


অর্থ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা (১০)(ক) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা (১০)(খ)দ্বারা উপ-ধারা (১) হিসাবে সংখ্যায়িত।

অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(১১) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১২ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪১ দ্বারা সন্নিবেশিত।

অর্থ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা (১০)(খ) দ্বারা (২) সংযোজিত।

৪৭। সরকারের নথিপত্র, ইত্যাদি তলব ও পরীক্ষার ক্ষমতা

সরকার স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া অথবা কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে, এই আইনের বা বিধির অধীন কোন আদেশ সংক্রান্ত কার্যধারার নথিপত্র, আদেশ প্রদানের এক বৎসরের মধ্যে, উক্ত আদেশের বৈধতা বা ন্যায্যতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হওয়ার উদ্দেশ্যে তলব ও পরীক্ষা করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ পরীক্ষান্তে কোন আপাত ভুল বা অশুদ্ধতা সংশোধন করিয়া তৎসম্পর্কে উহা যেরূপ বিবেচনা করে সেইরূপ আদেশ দান করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, অধিকতর মূল্যের পণ্য [বাজেয়াপ্তকরণের] কোন আদেশ, বা বাজেয়াপ্তির পরিবর্তে জরিমানা বৃদ্ধির কোন আদেশ, বা কোন অর্থদন্ড আরোপের কোন আদেশ বা অধিকতর পরিমাণ মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক পরিশোধের কোন আদেশ, উহা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারেন এইরূপ ব্যক্তিকে উহার বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইবার সুযোগদান না করিয়া এবং ব্যক্তিগতভাবে বা তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কৌসুলি বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে শুনানির সুযোগদান না করিয়া, প্রদান করা যাইবে না [:

আরও শর্ত থাকে যে, যেই ক্ষেত্রে ধারা ৪২-এর অধীনে আপীল করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আবেদনকারী উক্ত সুযোগ গ্রহণ করেন নাই, সেই ক্ষেত্রে এই ধারার অধীনে তাহার আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না।]


৬ অর্থ আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৮৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

৭ অর্থ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৭(১১)দ্বারা প্রতিস্থাপিত এবং শর্তাংশ সংযোজিত।

[৪৮। তল্লাশির ক্ষমতা

[***] পদমর্যাদায় [সহকারী কমিশনার], মূল্য সংযোজন কর এর নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা] লিখিত আদেশ দ্বারা, যে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে এইরূপ যে কোন স্থান, ঘরবাড়ী, নৌযান বা অন্য কোন যানবাহনে প্রবেশ করিবার ক্ষমতা দান করিতে পারিবে যে স্থান, ঘরবাড়ী, নৌযান বা অন্য কোন যানবাহন হইতে বা দ্বারা এই আইনের অধীন মূল্য সংযোজন কর আরোপযোগ্য কোন পণ্য বা কোন সেবা এই আইন বা কোন বিধির বিধান লঙ্ঘন করিয়া সরবরাহ, প্রদত্ত বা বহন করা হয় বা হইয়াছে বলিয়া তিনি বিশ্বাস করেন বা তাহার উক্তরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে এবং উক্ত আদেশে উক্তরূপ স্থান, ঘরবাড়ী, নৌযান বা যানবাহন তল্লাশির ক্ষমতাও প্রদান করা যাইতে পারে।


অর্থ আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৫৮ দ্বারা বিলুপ্ত।

অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(১) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

১[৪৮ক। মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ

এই আইন ও তদধীনে প্রণীত প্রণীত বিধিমালার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, Code of Criminal Procedure,1898 (Act V of 1898) অতঃপর  Code of Criminal Procedure বলিয়া উল্লিখিত এর Sectoin 36- এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ যে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার উপর Code of Criminal Procedure এর Schedule III তে বর্ণিত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।]


অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৬(১৪)দ্বারা সংযোজিত।

৪৯। গ্রেফতারের ক্ষমতা

বোর্ডের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা এইরূপ যে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন যে ব্যক্তি এই আইনের অধীন দন্ডনীয় কোন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া উক্ত কর্মকর্তার বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে।

৫০। যে সকল অপরাধের ক্ষেত্রে বিনা পরওয়ানায় গ্রেফতার করা যাইবে না

[Code of Criminal Procedure]-এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৩৭ এ উল্লিখিত অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে অপরাধীকে উক্ত Code এর আওতায় বিনা পরওয়ানায় গ্রেফতার করা যাইবে না।


অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৬(১৫)দ্বারা প্রতিস্থাপিত।