৪১খ। বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার প্রয়োগ ও প্রবর্তন
বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ যেই কমিশনারেটে বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির বিধান কার্যকর করিবার জন্য নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে সেই কমিশনারেটে উহা কার্যকর হইবে।
Largest and fastest growing business Portals
বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ যেই কমিশনারেটে বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির বিধান কার্যকর করিবার জন্য নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে সেই কমিশনারেটে উহা কার্যকর হইবে।
(১) ধারা (২) এর দফা (ণণ) এর অধীন অর্থের মাধ্যমে পরিমাপযোগ্য মূল্য, ধারা ৫ এর অধীন কর ধার্যের জন্য মূল্য নিরূপন এবং ধারা ৮ এর অধীন টার্ণওভার কর নির্ধারণ ও পরিশোধ এবং তদসংক্রান্ত বিধি বা আদেশ বিষয়ে-
(ক) ধারা ৯ এর অধীন কর রেয়াত গ্রহণ,
(খ) ধারা ২৬ক এর অধীন নিরীক্ষা ও অনুসন্ধান,
(গ) ধারা ৩১ এর অধীন হিসাব রক্ষণ,
(ঘ) ধারা ৩৬ এর অধীন দাখিলপত্র পরীক্ষা,
(ঙ) ধারা ৩৭ এর অধীন দণ্ড আরোপ,
(চ) ধারা ৫৫ এর অধীন দাবীনামা জারি,
(ছ) ধারা ৬৭ এর অধীন কর ফেরত প্রদান,
সংক্রান্ত বিধানের আওতায় সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত কোন কার্যক্রম বা প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের কারণে উদ্ভূত বিরোধ, অথবা এই আইনের অধীন বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির বিধান প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে উদ্ভূত উক্তরূপ কোন বিরোধ, যাহা সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ বা আপীল কর্তৃপক্ষ বা সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রহিয়াছে, বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির জন্য উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জালিয়াতি বা ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত মামলা,বিরোধ, অসত্য ঘোষণা বা মিথ্যা তথ্য বা দলিলাদি সরবরাহের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা বা বিরোধ এবং জনস্বার্থে সাধারণ বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন,
এইরূপ গুরুত্বপূর্ণ আইনগত বিষয় বা উহার ব্যাখ্যা সম্পর্কিত বিরোধসমূহ এই আইনের অধীন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার আওতা বহির্ভূত হইবে।]]
১অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭৪ বলে প্রতিস্থাপিত।
বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার জন্য সহায়তাকারী (Facilitator) নির্বাচন (selection) বা ১[নিয়োগ ও তাহাকে প্রদেয় ফি,] সংক্ষুব্ধ আবেদনকারী ব্যক্তির কর্তব্য ও দায়িত্ব এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি
প্রক্রিয়ায় সমঝোতার (Negotiation) জন্য মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচন এবং তাহাদের দায়-দায়িত্ব বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭৫ বলে প্রতিস্থাপিত।
(১) ধারা ৪১গ এ বর্ণিত কোন বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির জন্য সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে উদ্ভূত এবং নিষ্পন্নাধীন বিরোধসমূহের ক্ষেত্রে, সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা মূল্য সংযোজন কর কমিশনার, ন্যায়নির্ণয়কারী কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত,আপীলাত কর্তৃপক্ষের নিকট ১[, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে,] আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন দাখিলের সময় সংক্ষুব্ধ আবেদনকারী এইমর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করিবেন যে, সংশ্লিষ্ট বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন ন্যায়নির্ণয়ন সম্পন্ন বা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হয় নাই।
(৩) বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া প্রবর্তনের পর এই আইনের ধারা ৩৭, ৪২ ও ৫৫ এর অধীন সংশিষ্ট ন্যায়নির্ণয়কারী কর্মকর্তা বা আপীলাত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কারণ দর্শানো নোটিশ, দাবীনামা সংক্রান্ত নোটিশ, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ সংক্রান্ত নোটিশ বা ধারা ৫ এর অধীন মূল্য অনুমোদন সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত বা এতদ্সংক্রান্ত অন্য যে কোন নোটিশ হইতে উদ্ভূত কোনো বিরোধের ক্ষেত্রে উক্তরূপ নোটিশ জারির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করিতে হইবে।
২[(৪) বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তিযোগ্য কোন মামলা, যাহা সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রহিয়াছে, উহা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে অথবা সংশ্লিষ্ট বিভাগ স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া, যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে কোন মামলা বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হইবে।]
(৫) হাইকোর্ট বিভাগ বা আপিল বিভাগ কর্তৃক বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার জন্য অনুমতি প্রদানের পর বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার মেয়াদকাল পর্যন্ত, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলাটি স্থগিত (Stay) থাকিবে।
(৬) যদি হাইকোর্ট বিভাগ বা আপীল বিভাগ উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আবেদনের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি নিষ্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদানসহ আবেদনপত্রটি মঞ্জুর করেন, তাহা হইলে নির্দেশিত কর্তৃপক্ষ, আইন দ্বারা বারিত না হইলে, উক্তরূপ নির্দেশিত পন্থায় মামলাটি নিষ্পত্তি করিবেন।
১অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭৬(ক) বলে সন্নিবেশিত।
২অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭৬(খ) বলে প্রতিস্থাপিত।
এই আইনের অধীন বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনপত্র ১[, ইহার যাচাই ও প্রক্রিয়াকরণ] বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
১অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭৭(ক) বলে সন্নিবেশিত।
(১) বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াধীন কোন আবেদনপত্র যেই মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেটে দাখিল করা হইয়াছে, সেই একই কমিশনারেটে উক্ত বিরোধের উদ্ভব হইয়া থাকিলে, তাহা নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সকল আনুষ্ঠানিকতা বা সমঝোতা,মতৈক্য বা মতানৈক্য বা নিষ্পত্তি উক্ত আবেদনপত্র দাখিলের সর্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে।
(২) বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় দাখিলকৃত আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট আপীল), আপীলাত ট্রাইব্যুনাল অথবা অন্য কোন আদালত যেখানে উহা নিষ্পন্নাধীন রহিয়াছে, তাহা আবেদনপত্র দাখিলের সর্বোচ্চ ৬০ (ষাট) কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
(১) যেই ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ বিরোধ সংক্রান্ত কোন ঘটনা বা আইন (Fact or law)সম্পর্কে ঐক্যমত পোষণ করেন, সেই ক্ষেত্রে বিরোধীয় বিষয়ে মতৈক্যের ভিত্তিতে (By agreement) আংশিক অথবা সম্পূর্ণভাবে উহা বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করা যাইবে।
(২) যেই ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ আবেদনকারী ব্যক্তি এবং মূল্য সংযোজন কর কমিশনারের প্রতিনিধির মধ্যে আংশিক বা সম্পূর্ণ মতৈক্যের ভিত্তিতে কোন বিরোধ নিষ্পত্তি হইবে, সেই ক্ষেত্রে সহায়তাকারী (Facilitator), পক্ষদ্বয়ের মধ্যে উপনীত মতৈক্যের বিষয়াদি বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করিবেন এবং উহা সংক্ষুব্ধ আবেদনকারী ব্যক্তি, সংশ্লিষ্ট কমিশনার এবং বোর্ডকে ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে অবহিত করিবেন।
১[(৩) মতৈক্যের ভিত্তিতে কোন বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, অর্থদণ্ড, জরিমানা ও আরোপিত সুদ, যদি থাকে, পরিশোধ করা বা ফেরত প্রদান বা এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতৈক্যের শর্তসমূহ সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে যেন উহা মতৈক্যের সময় প্রতিশ্রুত সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়ন করা যায়।]
(৪) মতৈক্যের (Agreement) বিষয়টি আবেদনকারী, মূল্য সংযোজন কর কমিশনারের প্রতিনিধি এবং সহায়তাকারী কর্তৃক সীলমোহরকৃত এবং স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।
(৫) যেই ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে এই মর্মে তথ্য উদঘাটিত হইবে যে, আবেদনকারী কর্তৃক জালিয়াতি বা অসত্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে উপ-ধারা (১) এর অধীন মতৈক্যটি (Agreement) গৃহীত হইয়াছে, তাহা হইলে উক্তরূপে উপনীত মতৈক্যের বিষয়টি শুরু হইতে বাতিল (Void ab initio) বলিয়া গণ্য হইবে।
(৬) যেই ক্ষেত্রে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কোনো মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভবপর হয় নাই, সেই ক্ষেত্রে সহায়তাকারী উক্তরূপ ব্যর্থ বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির বিষয়টি লিখিতভাবে আবেদনকারী, সংশিষ্ট কমিশনার,বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা আদালতকে যথাশীঘ্র সম্ভব অবহিত করিবেন।
(৭) যেই ক্ষেত্রে মতৈক্যের ভিত্তিতে বিরোধ-নিষ্পত্তি করা হইয়াছে এবং তাহা সংশিষ্ট সকল পক্ষকে অবহিত করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে সরকার পক্ষে কোন পাওনা আদায় অথবা ফেরত প্রদানের বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করিতে হইবে।
২[(৮) এই ধারার অধীন মতৈক্য বা ব্যর্থ বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি লিপিবদ্ধ করণের ফরম বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।]
১অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭৮(ক) বলে প্রতিস্থাপিত।
২অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭৮(খ) বলে সংযোজিত।
(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন বিরোধ মতৈক্যের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা হইলে উক্তরূপ গৃহীত সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষের মধ্যে বাধ্যতামূলক হইবে।
(২) বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির মাধ্যমে আবেদনকারী ব্যক্তি বা মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পাদিত মতৈক্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন আদালতে কোনরূপ আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।
(৩) এই আইনের অধীন মতৈক্যের ভিত্তিতে নিষ্পত্তিকৃত প্রতিটি আদেশ, আদেশে বর্ণিত প্রতিটি বিষয় চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ গৃহীত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তসমূহ ব্যতীত বিরোধের যে অংশ উক্ত সিদ্ধান্তের অন্তর্ভুক্ত থাকিবে না, তাহা এই আইনের আওতায় অথবা বলবৎযোগ্য অন্য যে কোন আইনের আওতায় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে।
১[(৪) ধারা ৪১জ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী কোন পক্ষ প্রতিশ্রুত সময়সীমার মধ্যে মূল্য সংযোজন কর কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সপূরক শুল্ক, অর্থদ- বা জরিমানা পরিশোধ বা ফেরত প্রদানে ব্যর্থ হইলে, উক্ত সময়সীমা উত্তীর্ণের পর সংশ্লিষ্ট পক্ষ পরিশোধযোগ্য বা ফেরতযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত,মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক, অর্থদ-, জরিমানার উপর মাসিক ৩ (তিন) শতাংশ হারে সুদ প্রদান করিবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধারা ৫৬ বা ধারা ৬৭ এর বিধান অনুযায়ী উহা আদায় বা, ক্ষেত্রমত, ফেরত প্রদান করা যাইবে।]
১অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৭৯ বলে প্রতিস্থাপিত।
(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যেই সকল বিরোধের ক্ষেত্রে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে মতৈক্যের ভিত্তিতে বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি সম্ভবপর হয় নাই, সেই ক্ষেত্রে আবেদনকারী স্ব স্ব আপীল আদালত অথবা ট্রাইব্যুনালে
যথানিয়মে আপীল করিতে পারিবেন।
(২) কোন আবেদনাধীন বিরোধের বিষয়ে ধারা ৪১ছ এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে মতৈক্যের ভিত্তিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সম্পন্ন না হইয়া থাকিলে অথবা সমঝোতা ব্যর্থ হইলে, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হইবে এবং সেই ক্ষেত্রে মূল মামলাটি সংশিষ্ট আপীল কর্তৃপক্ষ, সংশিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কোন যথাযথ আদালতে, উক্তরূপ বাতিলের তারিখ হইতে সচল হইয়াছে মর্মে গণ্য হইবে এবং এই ক্ষেত্রে আইনের সংশিষ্ট ধারার আওতায় পরবর্র্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করিতে হইবে।
(৩) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির আবেদনপত্র দাখিলের তারিখ হইতে সহায়তাকারী কর্তৃক বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় ব্যয়িত সময়সহ তৎসম্পর্কিত ফলাফল সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিতকরণের সময়কাল, আপীল দাখিলের সময় গণনার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকৃত কোনো ব্যক্তি বা সহায়তাকারীকে কোনো আদালতে উপস্থিত হইয়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য লিখিত আদেশ বা নোটিশ ইস্যু করা যাইবে না বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় উপস্থাপিত কোন দলিলাদি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করার জন্য বাধ্য করা যাইবে না বা এই বিষয়ে কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কর্তৃপক্ষের নিকট দেওয়ানী বা ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাইবে না।]
১অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৮০ বলে প্রতিস্থাপিত।