৯৭। অপরাধের আপোষরফার পদ্ধতি।-(১) বোর্ড কোনো অপরাধের আপোষরফা করিতে পারিবে, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি-
(ক) কোনো মামলার আপোষরফার জন্য লিখিতভাবে বোর্ডের নিকট আবেদন করেন;
(খ) হলফনামা দাখিল করিয়া কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কিস্তিতে অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট কর পরিশোধ করিবার অঙ্গীকার করেন; এবং
(গ) এই মর্মে অঙ্গীকার করেন যে আপোষরফা করিতে যেই পরিমাণ প্রশাসনিক ব্যয় হইবে তিনি উহা বহন করিবেন।
(২) উপ-বিধি (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি একই ধরনের অপরাধ ইতঃপূর্বে করিয়া থাকিলে বোর্ড কোনো মামলা আপোষরফা করিতে পারিবে না।
(৩) আপোষরফার জন্য আবেদনকারী এবং সংশ্লিষ্ট কমিশনার ও অভিযোগ দাখিলকারী কর্মকর্তাকে বোর্ড শুনানির সুযোগ প্রদান করিবে।
(২) ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে ফরম “মূসক-১২.৬”এ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর-
(ক) উপ-বিধি (১) এর দফা (ক) এর অধীন জরিমানা আরোপেরলক্ষ্যে ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী
ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা; এবং (খ) ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশ ও উপ-বিধি (১) এর দফা (খ) এর অধীন জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ফরম “মূসক-১২.১২”এ কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন।
(৩) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত কারণ দর্শানো নোটিশে, অন্যান্য তথ্যের সহিত নি¤œবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:-
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা(যদি থাকে);
(খ) ব্যর্থতা বা অনিয়মের ধরন ও বিবরণ;
(গ) ব্যর্থতা বা অনিয়মের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদধীনে প্রণীত বিধান;
(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;
(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);
(চ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের শেষ তারিখ;
(ছ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যক্তিগত শুনানি দিতে আগ্রহী কিনা;
(জ) নির্ধারিত সময়ে জবাব পাওয়া না গেলে প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ প্রদান করা হইবে মর্মে অবহিতকরণ; এবং
(ঝ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও জবাব প্রেরণের ঠিকানা।
(৪) কারণ দর্শানো নোটিশ জারির তারিখ ও জবাব প্রদানের শেষ তারিখের মধ্যে অন্যূন ২ (দুই) সপ্তাহ ও অনূর্ধ্ব ৪ (চার) সপ্তাহ ব্যবধান থাকিতে হইবে।
(৫) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করিলে ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত সময় মঞ্জুর করিতে পারিবেন।
(৬) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য দায়ী ব্যক্তি শুনানি প্রদানে আগ্রহী হইলে তাহাকে শুনানি প্রদান করিয়া ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.১৩”এ ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন, যাহাতে অন্যান্য তথ্যের সহিত, নি¤œবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:-
(ক) ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা (যদি থাকে);
(খ) আনীত অভিযোগের ধরন ও বিবরণ;
(গ) আনীত অভিযোগের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদাধীনে প্রণীত কোনো বিধান;
(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;
(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);
(চ) আরোপিত জরিমানার পরিমাণ;
(ছ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব;
(জ) ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য (যদি থাকে);
(ঝ) আনীত অভিযোগ ও অভিযুক্ত ব্যক্তির জবাব বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা;
(ঞ) বিশ্লেষণের ফলাফল (অভিযোগ প্রমাণিত বা খন্ডিত);
(ট) আদেশ;
(ঠ) আদেশে কোনো জরিমানা আরোপ করা হইয়া থাকিলে জরিমানা ও ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করসহ (যদি থাকে) মোট প্রদেয় অর্থেরর পরিমাণ এবং
তাহা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের তারিখ, হিসাব কোড ও জমা প্রদানের পদ্ধতি (সড়ফব ড়ভ ঢ়ধুসবহঃ);
(ড) ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে আপিলের স্থান, সময় ও পদ্ধতি; এবং
(ঢ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও যোগাযোগের ঠিকানা।
(৭) উপ-বিধি (৪) এ নির্ধারিত সময়ে বা উপ-বিধি (৫) এ নির্ধারিত বর্ধিত সময়ে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব পাওয়া না গেলে ন্যায়-নির্ণয়নকারীকর্মকর্তা প্রাপ্ত দলিলাদির ভিত্তিতে ন্যায়নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন।