৪২। আপিল

[(১) যে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা যে কোন ব্যক্তি কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার এই আইন বা কোন বিধির অধীন প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে, পণ্যের সরবরাহ বা প্রদত্ত সেবার ক্ষেত্রে ধারা ৫৬ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশ অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে Customs Act এর Section 82 বা  Section 98 এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, উক্ত সিদ্ধান্ত বা [আদেশ প্রদানের বা, ক্ষেত্রমত, আদেশ জারির] [নব্বই দিনের] মধ্যে,

 (ক) উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ অতিরিক্ত কমিশনার বা তন্নিম্নের কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, কমিশনার (আপীল) এর নিকট; [***]

(খ) উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ কমিশনার, কমিশনার (আপীল) বা তাঁহার সমমর্যাদার কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, Customs Act এর Section 196  অধীন গঠিত Customs, Excise and মূল্য সংযোজন কর Appellate Tribunal, অতঃপর Appellate Tribunal বলিয়া উল্লিখিত, এর নিকট;এবং

(গ) উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ Appellate Tribunal কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নিকট;]আপীল করিতে পারিবেন।

[(১ক) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল গ্রহণের পর,-

(ক) আপীলটি কমিশনার (আপীল) এর নিকট করা হইলে, কমিশনার (আপীল) আপীলটি সম্পর্কে তাঁহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় তদন্ত অনুষ্ঠান বা তথ্য সংগ্রহ করিতে পারিবেন এবং আপীলকারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগদান করিয়া যে সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হইয়াছে উহা বহাল রাখিতে বা উহাতে কোন পরিবর্তন করিতে বা উহা বাতিল করিতে বা তাঁহার বিবেচনায় সঙ্গত কোন নূতন সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদান করিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যদি কমিশনার (আপীল) এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপীলকারী যথেষ্ট কারণবশতঃ উপরি-উক্ত [নব্বই দিন] মেয়াদের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা হইলে তিনি আপীলকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী [ষাট দিনের] মধ্যে আপীল দায়ের করার অনুমতি দিতে পারিবেন; এবং

(খ) আপীলটি Appellate Tribunal এর নিকট করা হইলে, Appellate Tribunal এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যতদুর সম্ভব, Customs Act এর উক্ত Tribunal সংক্রান্ত বিধানাবলী অনুযায়ী আপীলটির নিষ্পত্তি করিবে।]

(২) যদি কোন ব্যক্তি [***] কোন পণ্য বা সেবার উপর প্রদেয় মূল্য সংযোজন করের দাবী সম্পর্কিত অথবা এই আইনের অধীন আরোপিত কোন অর্থদন্ড সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল করার ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে তাহাকে, তাহার আপীল দায়ের করার কালে [আপীলটি―

১০[(ক) কমিশনার (আপীল) এর নিকট দায়ের করা হইলে, দাবীকৃত কর এর দশ শতাংশ বা ১১[দাবীকৃত কর না থাকিলে আরোপিত অর্থদন্ডের দশ শতাংশ]; ১২[*]এবং

(খ) কমিশনার বা তাঁহার সমমর্যাদার কোনো মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে Appellate Tribunal এ দায়ের করা হইলে, [দাবীকৃত কর এর দশ শতাংশ বা দাবীকৃত কর না থাকিলে আরোপিত অর্থদন্ডের দশ শতাংশ];১৩[*] এবং

১৪(গ) ***]

১৫[ (২ক) ***]

১৬[(২খ) উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) অনুযায়ী কমিশনার (আপীল) কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে Appellate Tribunal এ দায়ের করা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে উহার উপর দাবিকৃত কর বা আরোপিত অর্থদণ্ডের কোন অংশ জমা প্রদান করিতে হইবে না।

(৩) কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে বোর্ড কর্তৃক ধারা ৪৩ এর অধীন কোন কার্যধারা শুরু করার পর সেই সিদ্ধান্ত বা আদেশের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল করা যাইবে না।

১৭[(৪) উপ-ধারা (১) বা, ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (১ক) এর অধীন আপিল দায়ের হইবার পর ১৮[১(এক) বৎসরের মধ্যে] কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, ১৯[২ (দুই) বৎসরের মধ্যে] Appellate Tribunal  কর্তৃক আপীল নিষ্পত্তি করিতে হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সময়সীমার মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তিক্রমে সিদ্ধান্ত প্রদান করা না হইলে উহা কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, Appellate Tribunal  কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।]

২০[(৫) নির্ধারিত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান ধারা ৪২ এর অধীন বোর্ডের নিকট পেশকৃত কোনো আপিল অথবা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আপিল আদেশ অথবা উক্তরূপ কোনো আপিল হইতে উদ্ভূত বা তৎসম্পর্কিত কোনো বিষয় উক্ত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে অনিষ্পন্ন বা ক্ষেত্রমত, বাস্তবায়নাধীন থাকিলে উহা নির্ধারিত তারিখে Appellate Tribunal  এর নিকট স্থানান্তরিত হইবে এবং যতদূর সম্ভব, Customs Act,  এর Section 196] তে বর্ণিত পদ্ধতিতে Appellate Tribunal  কর্তৃক নিষ্পত্তিযোগ্য হইবে।

ব্যাখ্যা।― এই ধারায়, “নির্ধারিত তারিখ” বলিতে ১লা অক্টোবর, ১৯৯৫ বুঝাইবে।]


অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৯) বলে প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৭(ক)(অ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৬ নং আইন) এর ধারা ৮৭(ক)(আ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৭(ক)(আা)বলে বিলুপ্ত ।

অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৭(ক)(ঈ)বলে সন্নিবেশিত ।

অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৯) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৬ নং আইন) এর ধারা ৫৭(খ)দ্বারা সন্নিবেশিত।

অর্থ আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৮৭ দ্বারা বিলুপ্ত।

অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৬(১৩) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

১০অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৬ নং আইন)এর ধারা ৫৭(গ)(অ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

১১অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৬ নং আইন) এর ধারা ৫৭(গ)(আ) বলে প্রতিস্থাপিত।

১২অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪০(ক) দ্বারা সংযোজিত।

১৩অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪০(খ) দ্বারা বিলুপ্ত।

১৪অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪০(গ) দ্বারা বিলুপ্ত।

১৫অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৮১(ক) দ্বারা বিলুপ্ত।

১৬অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪০(ঘ) বলে সন্নিবেশিত।

১৭অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৭ (খ)বলে প্রতিস্থাপিত।

১৮অর্থ আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৭ বলে প্রতিস্থাপিত।

১৯অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৮১(খ) দ্বারা সন্নিবেশিত।

২০অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৯) দ্বারা সংযোজিত।

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment