Paripatra- 2014-2015

Displaying 1-3 of 3 results.

Paripatra-2 2014-2015

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
রাজস্ব ভবন
সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০।

নথি নং- ০৮.০১.০০০০.০৩০.০৩.০০৮.২০১৪ তারিখঃ ২২/০৭/২০১৪ খ্রিঃ।
পরিপত্র নং- ২ (আয়কর)/২০১৪

বিষয়ঃ ব্যাংক হিসাবে বাড়ী ভাড়া জমা সংক্রান্তঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৩৫ এবং বিধি ৮এ অনুসারে বাড়ী ভাড়া ব্যাংক হিসাবে জমা করার বিধান করা হয়েছে। এক বা একাধিক ভাড়াটিয়ার নিকট থেকে বাড়ী ভাড়া বাবদ মাসিক সর্বমোট ২৫ হাজার টাকার বেশী প্রাপ্ত হলেই বাড়ীর মালিককে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে হবে এবং ঐ হিসাবে প্রাপ্ত ভাড়া জমা করতে হবে।

বাড়ীর মালিক (ব্যক্তি, ফার্ম, কোম্পানী বা অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান) কর্তৃক এ বিধান পরিপালন করা না হলে গৃহ সম্পত্তি বাবদ অর্জিত আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের ৫০% অথবা ন্যূন্তম ৫,০০০ টাকা (যেটি বেশী) হারে বাধ্যতামূলকভাবে জরিমানা আরোপিত হবে। এছাড়া, কোন করদাতার ব্যবসা বা পেশা আয় থাকলে তাঁকে ব্যবসা/পেশা সংশ্লিষ্ট বাড়ী, অফিস বা দোকান ভাড়া বাবদ প্রদেয় অর্থ অবশ্যই ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায়, প্রদত্ত ভাড়া তার ব্যবসায়িক খরচ হিসেবে বিবেচিত হবে না বরং পরিশোধিত ভাড়া আয় হিসেবে বিবেচনাপূর্বক তার উপর আয়কর পরিশোধ করতে হবে।

বাড়ী ভাড়া পরিশোধের পদ্ধতি (ধারা ৩৫ ও বিধি ৮এ)ঃ

আয়কর অধ্যাদেশে হিসাব রক্ষণের পদ্ধতি বিষয়ক ধারা ৩৫ সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী কোন ব্যবসা বা পেশার জন্য বা অন্য কোন উৎসের আয়ের জন্য বা যে কোন শ্রেণীর করদাতা বা আয়ের জন্য হিসাব রক্ষণের পদ্ধতি নির্ধারণ করা যাবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সাধারণ বা বিশেষ আদেশ জারী করবে। উক্ত আদেশের মাধ্যমে হিসাব বা দলিলাদি কিভাবে বা কোন্‌ পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হবে বা বাণিজ্যিক লেনদেনের পদ্ধতি বা পরিশোধের পদ্ধতি কি হবে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্ধারণ করবে।

এ বিধানের সাথে সংগতি রেখে বাড়ী ভাড়া পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারণ করার জন্য আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এ বিধি ৮এ নামে নতুন একটি বিধি সংযোজন করা হয়েছে। উক্ত বিধি অনুযায়ী কিভাবে বাড়ী ভাড়া পরিশোধিত হবে বা ব্যাংক হিসাবে জমা করা হবে তা নির্ধারিত হয়েছে। উক্ত বিধানের আলোকে বাড়ীর মালিক ও ভাড়াটিয়াগণের করণীয়সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

ক) বাণিজ্যিক বা আবাসিক যে কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত গৃহ সম্পত্তির মালিক বা ভোগ দখলে থাকা করদাতা কর্তৃক এক বা একাধিক ভাড়াটিয়ার নিকট থেকে বাড়ী ভাড়া বাবদ মাসিক ২৫ হাজার টাকার বেশী (ফার্নিচার, ফিক্সচার ও ফিটিং ভাড়াসহ) প্রাপ্ত হলে বাড়ী ভাড়া জমা দেয়ার জন্য যে কোন  তফসিলি ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করতে হবে;

খ) উক্ত ব্যাংক হিসাবে অন্যান্য অর্জিত আয়সহ বাড়ী ভাড়া বা অগ্রীম ভাড়া হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ জমা করা যাবে;

গ) এক বা একাধিক ভাড়াটিয়ার নিকট থেকে মাসিক ২৫ হাজার টাকার বেশী বাড়ী ভাড়া প্রাপ্ত হলে হিসাবের সুবিধার জন্য করদাতা একটি পৃথক রেজিষ্টার সংরক্ষণ করতে পারেন;
ঘ) উক্ত রেজিষ্টারে সংশ্লিষ্ট ভাড়াটিয়াদের তথ্যাদি তথা নাম, ঠিকানা, ভাড়া প্রদানের তারিখ, ভাড়া বাবদ প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ করা এবং প্রয়োজনে ভাড়াটিয়াদের অন্যান্য তথ্যাদি সন্নিবেশ করতে হবে;

ঙ) করদাতা কর্তৃক বাড়ী ভাড়া জমা করা সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারকে অবহিত করতে হবে এবং আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় রিটার্নের সাথে বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাব বিবরণীর কপি অবশ্যই দাখিল করতে হবে।

চ) যৌথ মালিকানায় একাধিক ব্যক্তি বাড়ির মালিক হলে, যে সকল মালিকের ভাড়ার অংশ মাসিক ২৫ হাজার টাকা অতিক্রম করবে, তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাব খুলে বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত লেনদেন করতে হবে;

ছ) ভাড়ার পরিমাণ নির্বিশেষে ভাড়াটিয়াগণ ক্রস চেকের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করবেন অথবা বাড়ির মালিকের ব্যাংক হিসাবে ভাড়ার টাকা নগদ জমা করতে পারবেন। কোন ভাড়াটিয়া বাড়ীর মালিককে নগদে ভাড়া পরিশোধ করলে, বাড়ির মালিক তাঁর ব্যাংক হিসাবে উক্ত ভাড়া জমা করবেন;

জ) কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে পৃথক ব্যাংক একাউন্ট খুলে ভাড়ার লেনদেন করতে পারেন; এবং
ঝ) কোন বাড়ীর মালিক দেশে অবস্থান না করলে এবং তাঁর মালিকানাধীন বাড়ী রক্ষণাবেক্ষন ও ভাড়া আদায়ের জন্য তিনি যদি অন্য কাউকে Power of Attorney প্রদান করেন, তবে সেক্ষেত্রে Power of Attorney প্রাপ্ত ব্যক্তিকে উক্ত ভাড়া জমা করার জন্য ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে হবে।

গৃহ সম্পত্তির ভাড়া নির্ধারণঃ

গৃহ সম্পত্তি হতে ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারণ সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ২(৩) এবং ২৪ ধারায় অর্থ আইন-২০১৪ এর মাধ্যমে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। ফলে কোন করদাতা প্রকৃত ভাড়ার তুলনায় কম আয় ব্যাংকে জমা করলে, অথবা প্রাপ্ত ভাড়া নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে মোটেই জমা না করলে প্রচলিত নিয়মে উপকর কমিশনার আয়কর অধ্যাদেশের ২(৩) এবং ২৪ ধারা প্রয়োগ করে গৃহ সম্পত্তি খাতে আয় নির্ধারণ করতে পারবেন। ব্যাংক হিসাবে ভাড়া জমা করা সংক্রান্ত বিধানটি নিম্নে কয়েকটি উদাহরণ সহকারে স্পষ্ট করা হলোঃ

(১) জনাব অমিত হাসান ধানমন্ডিতে পৈত্রিক বাড়ীতে বসবাস করেন। ১০ টি ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ৬-তলা বাড়ীর বর্তমান মালিক তাঁর মরহুম পিতার চারজন উত্তরাধিকার। আইন অনুযায়ী তিনি, তাঁর মা এবং দুই বোন এই বাড়ীর মালিক। জনাব অমিত ৪টি ফ্ল্যাটের মালিক হিসেবে নিজে একটিতে বসবাস করেন এবং অন্য ৩টি ফ্ল্যাট প্রতিটি ২৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে আয় প্রাপ্ত হন। অন্যদিকে, তাঁর মা ২টি ফ্ল্যাটের মালিক কিন্তুছেলের সাথে বসবাস করেন এবং ফ্ল্যাট দুটিও মাসিক ২৫ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়ে তিনি আয় প্রাপ্ত হন। দুই বোনের রয়েছে ৪টি ফ্ল্যাটের মালিকানা। এছাড়া, জনাব অমিত গুলশানে ডেভেলপার কোম্পানী থেকে একটি ফ্ল্যাটের দখল বুঝে পেয়েছেন কিন্তু এখনো দলিল সম্পন্ন হয়নি। উক্ত ফ্ল্যাটটিও তিনি মাসিক ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। বসুন্ধরা শপিং মলে জনাব অমিতের রয়েছে ২টি দোকান। একটিতে নিজে ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং অন্যটি ভাড়া বাবদ মাসিক ১০ হাজার টাকা প্রাপ্ত হন।
এক্ষেত্রে, জনাব অমিত নিম্নরূপ ভাড়া প্রাপ্ত হচ্ছেনঃ

ক্রমিক ভাড়ার বিবরণ মাসিক ভাড়ার পরিমাণ ইউনিটের সংখ্যা সর্বমোট ভাড়া
১। ধানমন্ডিতে ৩টি ফ্ল্যাটের ভাড়া ২৫,০০০/- ৭৫,০০০/-
২। গুলশানে ১টি ফ্ল্যাটের ভাড়া ৪০,০০০/- ৪০,০০০/-
৩। বসুন্ধরায় দোকান ভাড়া ১০,০০০/- ১০,০০০/-
    সর্বমোট  ১২৫,০০০/-

এক্ষেত্রে, জনাব অমিত যেহেতু মাসিক ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা প্রাপ্ত হয়েছেন, সেহেতু তাঁর জন্য এ বিধান অবশ্যই পালনীয়। জনাব অমিতকে জুলাই, ২০১৪ থেকে যে কোন তফসিলি ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করতে হবে এবং বাড়ী ভাড়া বাবদ প্রাপ্ত চেক/নগদ অর্থ জমা করতে হবে। এছাড়া, হিসাব রক্ষনের সুবিধার্থে তিনি ভাড়াটিয়াগণের তথ্যাদি যেমন নাম, ঠিকানা, ভাড়া গ্রহণের তারিখ, ভাড়ার পরিমাণ, অগ্রীম ভাড়া গ্রহণ করা হলে গৃহীত অগ্রীমের পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ করার জন্য একটি পৃথক রেজিষ্টার সংরক্ষণ করতে পারেন। জনাব অমিতের পরিচালিত ব্যাংক হিসাব সংগ্রহপূর্বক ভাড়াটিয়াগণ নিজেরাই ভাড়ার টাকা ক্রস চেকের মাধ্যমে বা নগদে জমা করতে পারবেন অথবা নগদ টাকা জনাব অমিতের নিকট জমা দিবেন এবং তিনি এ টাকা তাঁর ব্যাংক হিসাবে জমা করবেন।

(২) জনাব সাগর ঢাকার আরামবাগে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছেন। প্রতি কক্ষে ৪ জন করে ভাড়াটিয়া থাকেন। প্রতি ভাড়াটিয়া ২ হাজার ৫ শত টাকা ভাড়া পরিশোধ করেন। একই সাথে জনাব সাগর কমলাপুরের পাশে অবস্থিত এবং তাঁর দখলে থাকা ৪টি ছোট ছোট ঘর ভাড়া দিয়ে প্রতিটি ঘর থেকে মাসিক ৩ হাজার টাকা ভাড়া প্রাপ্ত হন। এক্ষেত্রে জনাব সাগর নিম্নরূপ ভাড়া প্রাপ্ত হচ্ছেনঃ

ক্রমিক ভাড়ার বিবরণ প্রতি কক্ষের ভাড়া ইউনিটের সংখ্যা সর্বমোট টাকা
১।  আরামবাগে ৪টি রম্নমের ভাড়া ২,৫০০x৪=১০,০০০/- ৪০,০০০/-
২। কমলাপুরে অবস্থিত ঘর ভাড়া ৩,০০০/- ১২,০০০/-
    সর্বমোট ৫২,০০০/-

জনাব সাগর প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকার কম ভাড়া প্রাপ্ত হলেও যেহেতু তাঁর সর্বমোট মাসিক ভাড়া প্রাপ্তির পরিমাণ ৫২ হাজার টাকা অর্থাৎ ২৫ হাজার টাকার বেশী, সেহেতু তাঁকেও ব্যাংক হিসাবে এ ভাড়া জমা দেয়া সংক্রান্ত বিধান পরিপালন করতে হবে।

(৩) অগ্রণী ব্যাংক লি: এর ঢাকাস’ মৌচাক শাখা একটি ভাড়া বাড়ীতে অবস্থিত। উক্ত ভাড়া বাড়ীর জন্য মাসিক ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। এই বাড়ীর মালিক মরহুম জব্বারের উত্তরাধীকারী হিসেবে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। মুসলিম শরিয়া আইনে যেহেতু ১ ছেলে ১০ হাজার টাকা এবং ১ মেয়ে ৫ হাজার টাকা ভাড়া প্রাপ্ত হন, সেহেতু মোট মাসিক ভাড়া ২৫ হাজার টাকার বেশী হলেও একজন ব্যক্তির প্রাপ্ত ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারিত সীমার নীচে। এ ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বাড়ী ভাড়া ব্যাংক হিসাবে জমা করা বাধ্যতামূলক নয়।

তবে, যদি মরহুম জব্বারের একজন ছেলে উক্ত বাড়ী ব্যতীত অন্যান্য বাড়ী ভাড়া বাবদ আরো ১৬ হাজার টাকা প্রাপ্ত হয়, তাহলে যৌথ মালিকানাধীন বাড়ীর তাঁর অংশের ব্যাংকের ভাড়া বাবদ ১০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য বাড়ীর ১৬ হাজার টাকা সর্বমোট মাসিক ২৬ হাজার টাকার জন্য তাঁকে ব্যাংক হিসাব পরিচালনাসহ অন্যান্য বিধান পরিপালন করতে হবে।

(৪) জনাব আহসান দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ আয়কর পরিশোধ করে আসছেন। তাঁর আয়ের অন্যতম উৎস বাড়ী ভাড়া। ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে একটি ফ্লাটের ভাড়া বাবদ তিনি ৩০ হাজার টাকা প্রদর্শন করেছিলেন। নতুন এ বিধান প্রবর্তনের প্রেক্ষিতে জনাব আহসান ভাড়াটিয়ার সাথে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা নগদে গ্রহণ করেছেন এবং চেকের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন। ২০১৫-২০১৬ করবর্ষে জনাব আহসান যদি তাঁর বাড়ী ভাড়া বাবদ মাসিক ১০ হাজার টাকা প্রদর্শন করে ব্যাংক বিবরণীসহ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন এবং কর নির্ধারণ পর্যায়ে দেখা যায় যে, ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া আয় প্রদর্শন করা হয়েছিল, তবে সে ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ২(৩) ধারার ক্ষমতাবলে বাড়ী ভাড়া বাবদ মাসিক ৩০ হাজার টাকা অথবা যুক্তিসংগত পরিমাণ ভাড়া প্রাপ্তি প্রাক্কলন করবেন এবং যথাযথভাবে খরচ বিয়োজনপূর্বক গৃহ সম্পত্তি খাতে আয় নিরূপন করবেন।

প্রদেয় আয়করের পাশাপাশি ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভাড়া জমা না দেওয়ার কারণে বা আংশিক ভাড়া জমা করার কারণে ১২৩(২) ধারার বিধান অনুযায়ী বাড়ী ভাড়ার উপর প্রদেয় করের ৫০% অথবা কমপক্ষে ৫,০০০ টাকা (যেটি বেশী) জরিমানা হিসেবে আরোপ করবেন।

উলেস্নখ্য, বাড়ী ভাড়ার আয় গোপনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে যদি তথ্য-প্রমাণাদি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কোন বাড়ীর মালিক মাসিক ২৫ হাজার টাকার অধিক বাড়ী ভাড়া বাবদ প্রাপ্ত হলেও তার আয়কর নথিতে উক্ত অর্থের কম প্রাপ্তি হিসেবে প্রদর্শন করেছেন বা কোন আয় প্রদর্শন করেন নি, তাহলে তাঁর সংশ্লিষ্ট করবর্ষের কর মামলা ৯৩ ধারায় উন্মোচন/পূণ:উন্মোচন করে কর নির্ধারণ করা হবে এবং কর ফাঁকির জন্য ১২৮ ধারার জরিমানার পাশাপাশি এই বিধান লংঘনের জন্য ১২৩(২) ধারার নির্ধারিত জরিমানাও আরোপিত হবে।

(৫) জনাব হোসেন দশটি ফ্ল্যাট বিশিষ্ট একটি বাড়ির মালিক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র এবং দুই কন্যা রেখে যান। বাড়িটির পাঁচটি ফ্ল্যাটে বাড়ির মালিকগণ নিজেরা বসবাস করেন। অন্য পাঁচটি ফ্ল্যাট প্রত্যেকটি মাসিক ২০ হাজার টাকায় ভাড়া প্রদান করেন।

এক্ষেত্রে প্রচলিত আইন অনুসারে বাড়ির মালিকগণের কারো অংশেই মাসিক ভাড়া ২৫ হাজার টাকা অতিক্রম না করায় ব্যাংক হিসাব খোলা বাধ্যতামূলক নয়।

(৬) জনাব জাকির হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী একজন অনিবাসী বাংলাদেশী, তিনি ঢাকাস’ মিরপুরে একটি ৫ তলা দালানের মালিক। উক্ত বাড়ী রক্ষণাবেক্ষণ এবং ভাড়া আদায়ের জন্য তিনি তাঁর ভাই জনাব আমির হোসেনকে Power of Attorney প্রদান করেন।

এক্ষেত্রে উক্ত বাড়ী ভাড়া জমা করার জন্য জনাব আমির হোসেনকে একটি ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করে উক্ত ব্যাংক হিসাবে বাড়ী ভাড়ার টাকা জমা করতে হবে। জনাব জাকির হোসেনের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় উক্ত বাড়ী ভাড়া জমা হওয়া সংক্রান্ত জনাব আমির হোসেনের ব্যাংক হিসাবের বিবরণী দাখিল করতে হবে।

ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বাড়ী ভাড়ার টাকা জমা না করলে প্রযোজ্য করের ৫০% অথবা ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা  (যেটি বেশী) জরিমানা আরোপঃ

আয়কর আইনের ১২৩ ধারায় সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত হিসাব রক্ষণের পদ্ধতি অনুসরণ না করলে জরিমানা আরোপের বিধান করা হয়েছে। উপ-ধারা (২) অনুযায়ী ব্যক্তি বা কোম্পানী বা যে কোন শ্রেণীর করদাতার গৃহ সম্পত্তি আয় থাকলে এবং সর্বমোট ভাড়া প্রাপ্তির পরিমাণ মাসিক ২৫ হাজার টাকার অধিক হলে ঐ করদাতাকে বিধি ৮এ অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ ব্যাংক হিসাবে বাড়ী ভাড়া জমা করতে হবে। এ শর্ত পরিপালন করা না হলে গৃহ সম্পত্তি খাতের আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের ৫০% অথবা ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা (যেটি বেশী) আবশ্যিকভাবে জরিমানা আরোপিত হবে। তবে জরিমানা আরোপের পূর্বে করদাতাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে ১৩০ ধারার নোটিশ প্রদান করা হবে। জরিমানা আরোপের পদ্ধতি নিম্নরূপঃ

করদাতা জনাব আনিস বাড়ী ভাড়া জমা দেয়ার জন্য কোন ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করেননি এবং প্রাপ্ত বাড়ী ভাড়া তাঁর ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়নি। ২০১৫-২০১৬ করবর্ষে আয়কর রিটার্নে তিনি নিম্নরূপ আয় প্রদর্শন করেছেন:

ব্যবসা খাতে আয় ৫,০০,০০০/-
গৃহসম্পত্তি খাতে আয় ৬,০০,০০০/-
অন্যান্য উৎসের আয় ৩,৫০,০০০/-
মোট আয় ১৪,৫০,০০০/-

মোট আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ:

মোট আয় ১৪,৫০,০০০/-
করমুক্ত সীমা ২,২০,০০০/
  টা: ১২,৩০,০০০/-
প্রথম সত্মরে করের পরিমান হবে ১০% হারে টা: ৩,০০,০০০/
টা: ৯,৩০,০০০/-
এর উপর ৩০,০০০/-
দ্বিতীয় সত্মরে করের পরিমান হবে ১৫% হারে টা:৪,০০,০০০/-
টা: ৫,৩০,০০০/-
এর উপর  ৬০,০০০/-
     
তৃতীয় সত্মরে করের পরিমান হবে ২০% হারে টা: ৫,০০,০০০/-
টা: ৩০,০০০/-
এর উপর  ১,০০,০০০/-
অবশিষ্ট ৩০,০০০/- টাকার উপর ২৫% হারে করের পরিমাণ হবে ৭,৫০০/-
সর্বমোট প্রদেয় করের পরিমাণ ১,৯৭,৫০০/-
দাবীকৃত বিনিয়োগজনিত রেয়াতের পরিমাণ ধরা যাক শূন্য
নীট প্রদেয় করের পরিমাণ  ১,৯৭,৫০০/-

ব্যাংক হিসাবে বাড়ী ভাড়া জমা না করায় বাড়ী ভাড়ার উপর নিম্নরূপে জরিমানা আরোপিত হবে:

বাড়ী ভাড়ার উপর প্রদেয় আয়কর
=
১,৯৭,৫০০/- X ৬,০০,০০০/-
১৪,৫০,০০০/-
= ৮১,৭২৪/-

বাড়ী ভাড়ার উপর প্রদেয় আয়কর ৮১,৭২৪/- টাকার ৫০%  অথবা ৫,০০০ টাকা, এ দুয়ের মধ্যে যেটি বেশী অর্থাৎ ৪০,৮৬২/- টাকা জরিমানা হিসেবে আরোপিত হবে। ফলে করদাতা জনাব আনিস এর মোট প্রদেয় আয়করের পরিমাণ হবে ১,৯৭,৫০০/- + ৪০,৮৬২/- = ২,৩৮,৩৬২/- টাকা। উলেস্নখ্য, আলোচ্য করদাতার ক্ষেত্রে ৭৩ ধারায় সরল সুদ ও সারচার্জ প্রদেয় হলে তাও আলাদাভাবে নিয়ম অনুযায়ী আরোপিত হবে।

ব্যাংকের মাধ্যমে বাড়ী ভাড়া জমা না করায় ব্যবসা বা পেশা খাতে খরচ অগ্রাহ্যকরণ:

আয়কর আইনের ৩০ ধারায় সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী ব্যবসা বা পেশা খাতে  আয় রয়েছে এমন যে কোন করদাতার (ব্যক্তি, ফার্ম, কোম্পানী পর্যায়ের করদাতা ইত্যাদি) বাড়ী ভাড়া বাবদ বাড়ীর মালিককে প্রদেয় ভাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাড়ী ভাড়া বাবদ প্রদেয় অর্থ অবশ্যই ক্রস চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় কর নির্ধারণ পর্যায়ে এ খরচ অগ্রাহ্য করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট করদাতার আয় হিসেবে বিবেচনা করে প্রযোজ্য হারে আয়কর আরোপিত হবে। ১ জুলাই, ২০১৪ তারিখের পর পরিশোধিত ভাড়ার ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মিসেস হক এর বিবিধ মালের ব্যবসা থেকে আয় রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি মাসিক ৫ হাজার টাকা হিসেবে বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা বাড়ী ভাড়া বাবদ খরচ হিসেবে দাবী করেছেন। নতুন সন্নিবেশিত বিধান অনুযায়ী মিসেস হক যদিও মাসিক ৫ হাজার টাকা হিসেবে বাড়ী ভাড়া বাবদ ব্যয় দাবী করেছেন, যদি তিনি এ ব্যয় ক্রস চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ না করেন, তাহলে মিসেস হকের দাবীকৃত এ খরচ অগ্রাহ্য হবে এবং বাড়ীভাড়া বাবদ পরিশোধিত অর্থ তাঁর ব্যবসা আয় হিসেবে বিবেচনাপূর্বক প্রযোজ্য হারে আয়কর আরোপিত হবে।

উপরোক্ত বিধানসমূহ ১ জুলাই, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ থেকে প্রযোজ্য হবে অর্থাৎ ২০১৫-২০১৬ করবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। এ বছর অর্থাৎ ২০১৪-১৫ কর বছরের জন্য যে সকল বাড়ীর মালিক রিটার্ন দাখিল করবেন তাঁরা পূর্বের নিয়মেই রিটার্ন দাখিল করবেন।

(মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ)
প্রথম সচিব (কর নীতি)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা।

 

 

Paripatra-1 2014-2015

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
রাজস্ব ভবন
সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০।

নথি নং- ০৮.০১.০০০০.০৩০.০৩.০০৮.২০১৪ তারিখঃ ০৯/০৭/২০১৪ খ্রিঃ।

পরিপত্র নং-১(আয়কর)/২০১৪

বিষয়ঃ আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53H এবং আয়কর বিধিমালা, 17II তে আনীত সংশোধনের বিষয়ে স্পষ্টিকরণঃ-

আয়কর বিধিমালায় একটি নতুন বিধি  17II  সন্নিবেশের মাধ্যমে সারা দেশের জমি/স্থাপনা রেজিষ্ট্রেশন পর্যায়ে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর  53H  ধারায় কর আরোপের নিমিত্তে তিনটি তফসিল  (a), (b)  ও  (c) অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে কর হার নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ বিধিমালা প্রয়োগের বিষয়ে নিম্নরূপ ব্যাখ্যা প্রদান করা হলোঃ

ক। ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার যে সকল জমি/স্থাপনা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ অথবা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক ইতোপূর্বে বরাদ্দ বা বিক্রয় করা হয়েছিল, সে সকল জমি বা স্থাপনা পরবর্তীতে হস্তান্তর/বিক্রয় দলিল রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালা  17II  তে উল্লিখিত তফসিল  (a)  ও তফসিল  (b)  তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে। অন্যান্য জমি হস্তান্তর/বিক্রয় দলিল রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালা  17II  তে তফসিল  (c)  তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে।

খ। চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদ (আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা), খুলশী, নাসিরাবাদ, হালিশহর, পাঁচলাইশ, সিডিএ এভিনিউ ও মেহেদীবাগ এলাকায় যে সকল জমি বা স্থাপনা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ অথবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক ইতোপূর্বে বরাদ্দ বা বিক্রয় করা হয়েছিল, সে সকল জমি বা স্থাপনা হস্তান্তর/বিক্রয় দলিল রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালা  17II তে উল্লিখিত তফসিল (a) ও তফসিল  (b) তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে। অন্যান্য জমি হস্তান্তর/বিক্রয় দলিল রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালা 17II তে উল্লিখিত তফসিল (c)  তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে।

গ। ঢাকা জেলার বসুন্ধরা (ব্লক-এ থেকে ব্লক-জি পর্যন্ত) ও নিকেতন আবাসিক এলাকার দলিল রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে তফসিল  (b) এর দফা (১) তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে।

ঘ। আয়কর বিধিমালা  17II  এর তফসিল  (c)  এর ক্রমিক ২ তে উল্লিখিত জেলাসমূহ অর্থাৎ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম জেলায় রাজউক ও সিডিএ এর অধিক্ষেত্রাধীন এলাকা ব্যতীত সকল এলাকায় (সিটি কর্পোরেশন এলাকা নির্বিশেষে) দলিল মূল্যের ৩% হারে কর আদায় করতে হবে। তবে বর্ণিত জেলাসমূহের ক্ষেত্রে রাজউক ও সিডিএ এর অধিক্ষেত্রাধীন এলাকাসমূহে দলিল মূল্যের ৪%। হারে কর আদায় করতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের যে কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় (রাজউক ও সিডিএ এর অধীন এলাকাসমূহ ব্যতীত) দলিল মূল্যের ৩% হারে কর আদায় করতে হবে।

ঙ। সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা সদরের পৌরসভায় অবস্থিত ১ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের জমি বা দালান ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতার ই-টিআইএন সনদ দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ক্রেতা অনিবাসী বাংলাদেশী হলে ই-টিআইএন সনদ দাখিল করা বাধ্যতামূলক নয়। নাবালকের জন্য জমি বা স্থাপনা ক্রয়ের ক্ষেত্রে জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় নাবালকের আইনগত অভিভাবককে ই-টিআইএন দাখিল করতে হবে। যৌথ নামে রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে যে অংশীদারের অংশের দলিল মূল্য ১ লক্ষ টাকার অধিক হবে তাঁকে বা তাঁদেরকে ই-টিআইএন সনদ দাখিল করতে হবে।

চ। রিয়েল এস্টেট বা ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রয়ের ক্ষেত্রে উক্ত জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের সময় আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 53FF ধারায় কর পরিশোধের পাশাপাশি পূর্বের ন্যায় 53H ধারায়ও প্রযোজ্য কর পরিশোধ করতে হবে।

ছ। অর্থ আইন, ২০১৪ তে মূলধনী সম্পত্তির সংজ্ঞা সংশোধন করায় এবং কৃষি জমি বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে করারোপের বিধান করে 53H ধারা সংশোধন করায় শ্রেণী নির্বিশেষে সকল জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে 53H ধারায় কর আদায় করতে হবে।

জ। না দাবী দলিল হস্তান্তর দলিল নয় বিধায়, না দাবী দলিলের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে উক্ত দলিল রেজিষ্ট্রেশনের সময় 53H ধারার কর প্রযোজ্য হবে না।
ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে নিম্নে দুটি উদাহরণ দেয়া হলোঃ-

উদাহরণ-০১

রাজউকের আওতাধীন গুলশান বাণিজ্যিক এলাকায় ৫ কাঠা জমি বিক্রয় করা হলে এবং উক্ত জমির দলিল মূল্য ৯ কোটি টাকা হলে রেজিষ্ট্রেশনকালে কি পরিমাণ আয়কর আদায় করতে হবে?

(ক) প্রতি কাঠার জন্য ১০,৮০,০০০ টাকা হারে ৫ কাঠার জন্য প্রদেয় কর ১০,৮০,০০০ টাকা x ৫ কাঠা= ৫৪,০০,০০০ টাকা।
(খ) দলিল মূল্য ৯,০০,০০,০০০ টাকার ৪% হারে = ৩৬,০০,০০০ টাকা।
সুতরাং প্রদেয় করের পরিমাণ হবে (ক) ও (খ) এর মধ্যে যেটি বেশি অর্থাৎ ৫৪,০০,০০০ টাকা।

উদাহরণ-০২

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানীর নিকট থেকে ক্রয়কৃত ১/২ কাঠা জমিসহ ২,৫০০ বর্গফুট বিশিষ্ট একটি আবাসিক ফ্ল্যাটের দলিল মূল্য (জমির মূল্য ২০,০০,০০০ টাকা এবং ফ্ল্যাটের মূল্য ৩৭,৫০,০০০ টাকা) ৫৭,৫০,০০০ টাকা হলে, 53FF ধারায় ও 53H ধারায় কি পরিমাণ আয়কর প্রদেয় হবে?

53FF ধারায় প্রতি বর্গমিটার ১৫০০ টাকা হারে প্রদেয় করের পরিমাণ হবে (১৫০০ x ২৫০০) / ১০.৭৬=৩,৪৮,৫১৩ টাকা।

53H ধারায় প্রদেয় করঃ

(ক) জমির জন্য প্রদেয় করঃ-

(অ) কাঠা প্রতি ২,৪০,০০০ টাকা হারে ২,৪০,০০০ দ্ধ ০.৫০ কাঠা= ১,২০,০০০ টাকা।

(আ) জমির দলিল মূল্য ২০,০০,০০০ টাকার ৪% হারে = ৮০,০০০ টাকা।

সুতরাং জমির জন্য প্রদেয় করের পরিমাণ (অ) এবং (আ) এর মধ্যে যেটি বেশি অর্থাৎ ১,২০,০০০ টাকা।

(খ) ২৫০০ বর্গফুট ফ্ল্যাটের জন্য প্রদেয় করঃ-

(অ) প্রতি বর্গমিটার ৬০০ টাকা হারে (২৫০০ দ্ধ ৬০০) স্ট ১০.৭৬ = ১,৩৯,৪০৫ টাকা।

(আ) ফ্ল্যাটের দলিল মূল্য ৩৭,৫০,০০০ টাকার ৪% হারে =১,৫০,০০০ টাকা।

সুতরাং ফ্ল্যাটের জন্য প্রদেয় করের পরিমাণ (অ) এবং (আ) এর মধ্যে যেটি বেশি, অর্থাৎ ১,৫০,০০০ টাকা।

অতএব, জমি ও ফ্ল্যাটের জন্য ৫৩ঐ ধারায় প্রদেয় করের পরিমাণ হবে (১,২০,০০০ টাকা + ১,৫০,০০০ টাকা) = ২,৭০,০০০ টাকা।

(মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ)
প্রথম সচিব (কর নীতি)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা।
ফোনঃ ৮৩১১৩৯৬

 

 

Paripatra-3 2014-2015

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
রাজস্ব ভবন
সেগুনবাগিচা, ঢাকা।
নথি নং-০৮.০১.০০০০.০৩০.০৩.০০৭.২০১৪.৮১  তারিখঃ ২০/০৮/২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ।
পরিপত্র-৩ (আয়কর)/২০১৪

 

বিষয়ঃ ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের বাজেট কার্যক্রমের আওতায় আয়কর আইন, বিধি ও প্রজ্ঞাপনের পরিবর্তন সম্পর্কিত স্পষ্টীকরণ।

অর্থ আইন, ২০১৪ এবং বিভিন্ন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এবং আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে কতিপয় সংশোধনী আনা হয়েছে। নব প্রবর্তিত ও সংশোধিত আইন, বিধি ও প্রজ্ঞাপনসমূহের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতকল্পে ও করদাতাদের জ্ঞাতার্থে উক্ত পরিবর্তন/সংশোধনসমূহ নিম্নরূপে উপস্থাপন করা হলোঃ

১। ২০১৪-২০১৫ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর হারঃ

(ক) ব্যক্তি শ্রেণীর কর হারঃ

(i) অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে ব্যক্তি করদাতা, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার,
অংশীদারি ফার্ম, ব্যক্তি সংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের
সীমা ২০১৩-২০১৪ কর বছরের ন্যায় ২,২০,০০০/- টাকা বহাল রয়েছে। ২০১৪-২০১৫ কর বছরের জন্য এরূপ করদাতাদের আয়ের উপর প্রযোজ্য কর হার
নিম্নরূপে পুনঃবিন্যাস করা হয়েছেঃ-

মোট আয়

কর হার

প্রথম ২,২০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর শূন্য
পরবর্তী ৩,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১০%
পরবর্তী ৪,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১৫%
পরবর্তী ৫,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০%
পরবর্তী ৩০,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২৫%
অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর  ৩০%

(ii) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের পুরুষ করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ২,৫০,০০০/- টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২,৭৫,০০০/- টাকা করা হয়েছে।

(iii) প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩,০০,০০০/- টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩,৫০,০০০/- টাকা করা হয়েছে।

(iv) মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,০০,০০০/- টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মু্‌ক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নং মুবিম/প্রঃ৩/মুক্তিযোদ্ধা/গেজেট/২০০৩/৪৭৯, তারিখঃ ২০শে ভাদ্র ১৪১০/ ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০০৩ এ উল্লেখিত তালিকায় যে সকল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সে সকল করদাতা এ সুবিধা পাবেন।

(v) করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ বিগত বছরের ন্যায় অপরিবর্তিত রয়েছেঃ

এলাকার বিবরণ

ন্যূনতম আয়কর

সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা

৩,০০০/-

জেলা সদরের পেক্সরসভায় অবস্থিত করদাতা

২,০০০/-

অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতা

১,০০০/-

করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বে আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ বা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের কম বা ঋণাত্মক হলেও তাঁকে তাঁর জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।

(খ) ব্যক্তি করদাতাদের উপর প্রযোজ্য সারচার্জের হার পুনঃবিন্যাসঃ-

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে ব্যক্তি করদাতাদের প্রদেয় আয়করের উপর প্রযোজ্য সারচার্জ আরোপের বিধানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পূর্বের ন্যায় আয়কর রিটার্নের সাথে দাখিলকৃত সম্পদ ও দায় বিবরণীতে প্রদর্শিত নীট সম্পদের পরিমাণ ২ (দুই) কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হলে নীট সম্পদের উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত হারে প্রদেয় আয়করের উপর সারচার্জ আরোপিত হবেঃ

নীট সম্পদের মূল্য

সারচার্জের হার

(ক) দুই কোটি টাকা পর্যন্ত

শূন্য

(খ) দুই কোটি টাকার অধিক কিন্তু দশ কোটি টাকার অধিক নয়

১০%

(গ) দশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু বিশ কোটি টাকার অধিক নয়

১৫%

(ঘ) বিশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু ত্রিশ কোটি টাকার অধিক নয়

২০%

(ঙ) ত্রিশ কোটি টাকার অধিক হলে

২৫%

উক্ত সারচার্জ বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বাদে প্রদেয় আয়করের উপর প্রযোজ্য হবে।

সারচার্জ কিভাবে আরোপিত হবে তা নিচের উদাহরণগুলোর সাহায্যে স্পষ্ট করা হলোঃ-

    টাকা
(১) একজন করদাতার নীট সম্পদ ১,৯০,০০,০০০/-
  মোট আয়- ১০,০০,০০০/-
  আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ ১,০৬,০০০/-
  প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ শূন্য
(২) একজন করদাতার নীট সম্পদ ২,১০,০০,০০০/-
  মোট আয়- ১০,০০,০০০/-
  আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ ১,০৬,০০০/-
  প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (১০%) ১০,৬০০/-
(৩) একজন করদাতার নীট সম্পদ ১১,০০,০০,০০০/-
  মোট আয়- ১০,০০,০০০/-
  আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ ১,০৬,০০০/-
  প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (১৫%) ১৫,৯০০/-
(৪) একজন করদাতার নীট সম্পদ ২০,৫০,০০,০০০/-
  মোট আয়- ১০,০০,০০০/-
  আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ ১,০৬,০০০/-
  প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (২০%) ২১,২০০/-
(৫) একজন করদাতার নীট সম্পদ ৩০,১৪,০০,০০০/-
  মোট আয়- ১০,০০,০০০/-
  আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ ১,০৬,০০০/-
  প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (২৫%) ২৬,৫০০/-
(৬) একজন করদাতার নীট সম্পদ ৩২,০০,০০,০০০/-
  মোট আয়- ১০,০০,০০০/-
  আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ ১,০৬,০০০/-
  বিনিয়োগজনিত আয়কর রেয়াত ২০,০০০/-
  বিনিয়োগজনিত আয়কর রেয়াত বাদে প্রদেয় আয়কর ৮৬,০০০/-
  অগ্রিম আয়কর পরিশোধ ৭৫,০০০/-
  অবশিষ্ট প্রদেয় আয়কর ১১,০০০/-
  প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ ৮৬,০০০/- টাকার ২৫% ২১,৫০০/-

ব্যক্তি (individual) শ্রেণীর করদাতা ভিন্ন অন্য কারো উপর এ সারচার্জ আরোপিত হবে না।

(গ) অনিবাসী ব্যক্তির করহার:

অর্থ আইন, ২০১৪ তে বাংলাদেশী নয় এমন অনিবাসী ব্যক্তিদের কর হার ২৫% থেকে বৃদ্ধি করে ৩০% করা হয়েছে। তবে অনিবাসী ব্যক্তি করদাতা বাংলাদেশী নাগরিক হলে তাদের আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য হারে (০%, ১০%, ১৫%, ২০%, ২৫% ও ৩০%) কর প্রদেয় হবে।

(ঘ) ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্প থেকে উদ্ভূত আয়ের উপর আয়কর রেয়াতঃ

কোন ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা যদি স্বল্প উন্নত এলাকা (less developed area) বা সবচেয়ে কম উন্নত এলাকায় (least developed area) অবস্থিত কোন ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্পের মালিক হন এবং উক্ত কুটির শিল্পের দ্রব্যাদি উৎপাদনে নিয়োজিত থাকেন, তাহলে তিনি উক্ত ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্প থেকে উদ্ভূত আয়ের উপর নিম্নবর্ণিত হারে আয়কর রেয়াত লাভ করবেন, যথা :-

বিবরণ

রেয়াতের হার

যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বৎসরের উৎপাদনের পরিমাণ পূর্ববর্তী বৎসরের উৎপাদনের পরিমাণের তুলনায় ১৫% এর অধিক, কিন্তু ২৫% এর অধিক নয়;

প্রদেয় আয়করের ৫%;

যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বৎসরের উৎপাদনের পরিমাণ পূর্ববর্তী বৎসরের উৎপাদনের পরিমাণের তুলনায় ২৫% এর অধিক হয়।

প্রদেয় আয়করের ১০%

(ঙ) কোম্পানীর কর হারঃ

নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানীর কর হার ৩৭.৫% থেকে হ্রাস করে ৩৫% করা হয়েছে।
পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে বিদ্যমান কর হার ২৭.৫% অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী ৩০% এর চেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশপ্রদান করলে ১০% হারে কর রেয়াত পাবে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে এরূপ কোম্পানীর কর হার হবে ২৪.৭৫%। অপরদিকে ১০% এর কম লভ্যাংশ ঘোষণা করলে অথবা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশ প্রদান না করলে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানীর কর হার হবে ৩৫%।

২০১৪-১৫ কর বছরের জন্য কোম্পানীর আয়করের হার (প্রাপ্ত লভ্যাংশ আয় ও মূলধনী আয় ব্যতীত) নিম্নরূপঃ

কোম্পানীর ধরণ

কর হার

মন্তব্য

নন-পাবলিকলি ট্রেডেড
কোম্পানী (স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানী)
৩৫%  
পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী (স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানী) ২৭.৫% শর্তঃ
১। ১০% এর কম লভ্যাংশ প্রদান করলে কর হার ৩৫%;
২। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড
এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ প্রদান না করলে কর হার
৩৫%;
৩। ন্যূনতম ৩০% নগদ লভ্যাংশ প্রদান করলে কর হার ২৪.৭৫%;
৪। ন্যূনতম ২০% শেয়ার ওচঙ এর
মাধ্যমে পুঁজিবাজারে হস্তান্তর করা হলে হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট কর বছরে কর হার
২৪.৭৫%।
ব্যাংক, বীমা, অর্থলগ্নীকারী
প্রতিষ্ঠান
৪২.৫%  
মার্চেন্ট ব্যাংক ৩৭.৫%  
সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানী ৪৫% পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী হলে কর হার ৪০%।
মোবাইল ফোন অপারেটর
কোম্পানী
৪৫% ১। ন্যূনতম ১০% শেয়ার পুঁজিবাজারেহস্তান্তর করা হলে কর হার ৪০%।
২। পরিশোধিত মূলধনের ২০% এর
অধিক আইপিও এর মাধ্যমে হস্তান্তর
করলে হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট কর বছরে কর হার
৩৬%।

তাছাড়া কোন কোম্পানী কর্তৃক প্রাপ্ত লভ্যাংশ আয়ের ক্ষেত্রে আয়করের হার ২০% এবং মূলধনী মুনাফার ক্ষেত্রে আয়করের হার হবে ১৫%।

অর্থ আইন, ২০১৪ অনুযায়ী ১ জুলাই, ২০১৪ তারিখে আরব্ধ কর বছরের জন্য আয়করের হার পরিশিষ্ট-১৭ এ দেখানো হয়েছে।

২। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 16CCC সংশোধন [ফার্মের বা কোম্পানীর ন্যূনতম কর হার হ্রাস সংক্রান্ত]ঃ

আয়কর অধ্যাদেশের 16CCC ধারায় ফার্মের ৫০ লক্ষ টাকার অধিক মোট প্রাপ্তি হলে অথবা কোম্পানীর মোট প্রাপ্তির উপর ন্যূনতম প্রদেয় করের হার ০.৫০% থেকে হ্রাস করে ০.৩০% করা হয়েছে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৩। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সংক্রান্ত কতিপয় সংশোধনঃ

বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা একীভূত হয়ে “বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক” হিসেবে পুনর্গঠিত হওয়ার প্রেক্ষিতে উক্ত প্রতিষ্ঠান দুটির পরিবর্তে “বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক” এর নাম অন্তর্ভুক্ত করে আইনের ১৯(১১), ১৯(১৫)(এএ), ২৮(৩) এবং ২৯(১)( xviii এ) ধারা সংশোধন করা হয়েছে।

৪। সরকারী ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগ বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়া সংক্রান্ত ধারা 19D বিলোপঃ

ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগকৃত টাকার উপর ১০% কর পরিশোধ করলে বিনিয়োগকৃত অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশড়ব না করে বিনিয়োগ মেনে নেয়া সংক্রান্ত ১৯ডি ধারা বিলোপ করা হয়েছে। ফলে ১ জুলাই ২০১৪ তারিখে অথবা এর পরে ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত অর্থের উৎসের ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। তবে ৩০ জুন, ২০১৪ তারিখ বা তার পূর্বে ক্রয়কৃত ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১০% কর পরিশোধ করলে বিনিয়োগকৃত অর্থের উৎস সম্পর্কে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন প্রশড়ব উত্থাপন করা হবে না।

৫। কোম্পানী করদাতা কর্তৃক ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যতীত গৃহীত ঋণ সংক্রান্ত 19(26) ধারার বিধান সংশোধনঃ

কোন কোম্পানী ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করলে তা আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর 19(26) ধারার বিধান অনুসারে করদাতা কোম্পানীর করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে উক্ত ধারায় একটি প্রোভাইসো সংযোজন করে এরূপ বিধান করা হয়েছে যে, কোম্পানী করদাতা কর্তৃক এরূপে গৃহীত ঋণ 19(26) ধারায় মোট আয়ের সাথে যোগ হবার পর যদি পরবর্তী কোন বছরে পরিশোধ করা হয়, তবে যে বছর উক্ত ঋণ পরিশোধ করা হবে, সে বছরের করযোগ্য আয় থেকে উক্ত ঋণের পরিশোধিত অংকের পরিমাণ বাদ যাবে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে প্রযোজ্য হবে।

৬। গৃহসম্পত্তি খাতে আয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 25 সংশোধনঃ

সংশোধিত বিধান অনুযায়ী গৃহসম্পত্তি নির্মাণের জন্য গৃহীত ঋণ কেবলমাত্র ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত হলেই বাড়ি ভাড়া খাতে আয় নির্ধারণকালে উক্ত ঋণের বিপরীতে প্রদেয় সুদ অনুমোদনযোগ্য খরচ হিসেবে গণ্য করা হবে। অন্য কোন উৎস হতে গৃহীত ঋণের সুদ গৃহসম্পত্তি খাতে অনুমোদনযোগ্য খরচ হিসেবে বিবেচিত হবে না।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে প্রযোজ্য হবে।

উদাহরণঃ XYZ লিঃ একটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য ABC লিঃ এর নিকট থেকে ১০% সুদে ৫০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে XYZ লিঃ উক্ত বাণিজ্যিক ভবনের ভাড়া আয় থেকে অইঈ লিঃ কে প্রদেয় ঋণের সুদ বাবদ ৫ কোটি টাকা ২০১৪-২০১৫ কর বছরে খরচ হিসেবে দাবী করে। কোন বাণিজ্যিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে উক্ত ঋণ গ্রহণ করা হয়নি বিধায় XYZ লিঃ এর দাবীকৃত ঋণের সুদ অনুমোদনযোগ্য খরচ হিসেবে বিবেচিত হবে না।

৭। ব্যবসা বা পেশা আয়ের ক্ষেত্রে পারকুইজিট বাবদ অনুমোদনযোগ্য খরচের সর্বোচ্চ সীমা বৃদ্ধি [ধারা 30(e)]ঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এর clause(e) সংশোধনের মাধ্যমে প্রত্যেক কর্মকর্তা/কর্মচারীর জন্য বাৎসরিক পারকুইজিট বাবদ নিয়োগকারীর হাতে অনুমোদনযোগ্য ব্যয় সীমা ২,৫০,০০০/- টাকা হতে বৃদ্ধি করে ৩,৫০,০০০/- টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে নিয়োগকারী তার কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বাৎসরিক সর্বোচ্চ ৩,৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত পারকুইজিট প্রদান করলে তা অনুমোদনযোগ্য খরচ হিসেবে বিবেচিত হবে। উক্ত নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত পারকুইজিট প্রদান করা হলে অতিরিক্ত অংক নিয়োগকারীর হাতে করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য হবে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৮। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এর কতিপয় clause এ বিদ্যমান ব্যবসা বা পেশার আয়ের ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য খরচের খাতের সংশোধনঃ

(ক) হেড অফিস খরচঃ- আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এর clause(g) সংশোধন করে এরূপ বিধান করা হয়েছে যে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত নয় এরূপ কোম্পানীর ক্ষেত্রে হেড অফিস খরচ খাতে অনুমোদনযোগ্য খরচ নির্ধারণকালে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে প্রদর্শিত মুনাফাকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হবে। প্রদর্শিত মুনাফার সর্বোচ্চ ১০% পর্যন্ত হেড অফিস খরচ করযোগ্য আয় নির্ধারণকালে অনুমোদনযোগ্য ব্যয় হবে। এক্ষেত্রে নিরূপিত করযোগ্য আয় যাই হোক না কেন অনুমোদনযোগ্য হেড অফিস খরচ নির্ধারণের সময় করদাতা কোম্পানী কর্তৃক নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে প্রদর্শিত মুনাফাকেই ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে।

(খ) রয়্যালটি, টেকনিক্যাল সার্ভিস ফি ইত্যাদিঃ- আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এর clause (h) সংশোধন করে এরূপ বিধান করা হয়েছে যে, রয়্যালটি, টেকনিক্যাল সার্ভিস ফি, টেকনিক্যাল নো-হাউ-ফি অথবা টেকনিক্যাল এসিস্টেন্স ফি খাতে সর্বোচ্চ অনুমোদনযোগ্য খরচ নির্ধারণকালে করদাতা কোম্পানী কর্তৃক নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে প্রদর্শিত মুনাফার ৮% এ খাতে খরচ হিসেবে অনুমোদন যোগ্য হবে। এক্ষেত্রে নিরূপিত করযোগ্য আয় যাই হোক না কেন অনুমোদনযোগ্য রয়্যালটি, টেকনিক্যাল সার্ভিস ফি, টেকনিক্যাল নো হাউ ফি অথবা টেকনিক্যাল এসিস্টেন্স ফি খাতে খরচ নির্ধারণের সময় করদাতা কোম্পানী কর্তৃক নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে প্রদর্শিত মুনাফাকেই ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে।

(গ) ইনসেনটিভ বোনাসঃ- আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এর clause (j) অনুসারে ইনসেনটিভ বোনাস খাতে অনুমোদনযোগ্য খরচ নির্ধারণকালে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে প্রদর্শিত মুনাফাকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হবে। করযোগ্য আয় নির্ধারণকালে প্রদর্শিত মুনাফার সর্বোচ্চ ১০% পর্যন্ত ইনসেনটিভ বোনাস খাতে খরচ পূর্বের ন্যায় অনুমোদনযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে নিরূপিত করযোগ্য আয় যাই হোক না কেন অনুমোদনযোগ্য ইনসেনটিভ বোনাস খাতে খরচ নির্ধারণের সময় করদাতা কোম্পানী কর্তৃক নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীতে প্রদর্শিত মুনাফাকেই ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৯। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে ক্রস চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত বিধান সংযোজনঃ

ব্যবসা বা পেশা আয় রয়েছে এমন করদাতা কর্তৃক বাণিজ্যিক অথবা আবাসিক কাজে ব্যবহৃত যে কোন সম্পত্তির (ভবন, ফ্ল্যাট, এপার্টমেন্ট, অফিস স্পেস, দোকান, ফ্যাক্টরী ইত্যাদি) ভাড়া পরিশোধের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এ একটি নতুন clause (n) সন্নিবেশ করা হয়েছে। এ বিধান অনুযায়ী ব্যবসা বা পেশা পরিচালনাকারীকরদাতা কর্তৃক ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে যে কোন অংকের গৃহ সম্পত্তির ভাড়া ক্রস চেক অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করা না হলে উক্ত ভাড়া খাতে দাবীকৃত খরচ অগ্রাহ্য করা হবে।

এ বিধান ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

১০। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 33 ধারা সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 33 এর clause (d) তে 19(21B),(26), (27) or (28) অন্তর্ভুক্ত করে 19 ধারা এবং 33(d) ধারায় বিদ্যমান অসামঞ্জস্যতা দূর করা হয়েছে।

১১। হিসাব রক্ষণ পদ্ধতি (Method of accounting) সংক্রান্ত ধারা 35 সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে হিসাব রক্ষণের পদ্ধতি বিষয়ক ধারা 35 সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী কোন ব্যবসা বা পেশার জন্য বা অন্য কোন উৎসের আয়ের জন্য বা যে কোন শ্রেণীর করদাতা বা আয়ের জন্য হিসাব রক্ষণের পদ্ধতি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারণ করা যাবে। এ লক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সাধারণ বা বিশেষ আদেশ জারী করতে পারবে বলে বিধান করা হয়েছে। উক্ত আদেশের মাধ্যমে হিসাব বা দলিলাদি কিভাবে বা কোন্‌ পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হবে বা বাণিজ্যিক লেনদেনের পদ্ধতি বা পরিশোধের পদ্ধতি কি হবে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্ধারণ করবে।

এ বিধানের সাথে সংগতি রেখে বাড়ী ভাড়া পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারণ করার জন্য আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এ নতুন একটি বিধি 8A সংযোজন করা হয়েছে। উক্ত বিধি অনুযায়ী কিভাবে বাড়ী ভাড়া পরিশোধিত হবে বা ব্যাংক হিসাবে জমা করা হবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। উক্ত বিধানের আলোকে বাড়ীর মালিক ও ভাড়াটিয়াগণের করণীয় সম্পর্কে ২২/০৭/২০১৪ খ্রিঃ তারিখে জারীকৃত বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত পরিপত্র-২ এ বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

35 ধারার (3) উপধারায় সংশোধনী এনে এরূপ বিধান করা হয়েছে যে, চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টগণকে কোম্পানীর হিসাব নিরীক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে, উক্ত কোম্পানীর হিসাবের খাতাপত্র এবং আর্থিক বিবরণীসমূহ বাংলাদেশ একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (BAS) এবং বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (BFRS) অনুসারে প্রস্তুত করা হয়েছে মর্মে প্রত্যয়ণপত্র প্রদান করতে হবে।

এ বিধান ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

১২। শিল্পের কর অবকাশ সুবিধা সংক্রান্ত section 46B সংশোধনঃ

(ক) আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 46B ধারায় বর্ণিত কর অবকাশের জন্য শিল্প স্থাপনের সময়সীমা ৩০ জুন, ২০১৫ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ জুন, ২০১৯ করা হয়েছে। ফলে উক্ত সময়কালের মধ্যে স্থাপিত কর অবকাশযোগ্য শিল্প নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রযোজ্য হারে কর অব্যাহতি পাবে।

(খ) পরিবেশ বান্ধব শিল্পকে উৎসাহিত করার লক্ষে Hybrid Hoffmann Kiln (HHK) পদ্ধতির অটোমেটিক ইট নির্মাণ শিল্পকে কর অবকাশযোগ্য শিল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

(গ) রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের সিটি কর্পোরেশন এলাকাসমহূ ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯ সময়কালের মধ্যে স্থাপিত ও বাণিজ্যিক উৎপাদন আরম্ভ করা শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১০ বছরের জন্য নিম্নরূপ ক্রমহ্রাসমান হারে কর অবকাশ সুবিধা প্রদান করা হয়েছেঃ-

কর অব্যাহতির সময়কাল

অব্যাহতির হার

প্রথম ও দ্বিতীয় বছর আয়ের ১০০%
তৃতীয় বছর আয়ের ৭০%
চর্তু বছর আয়ের ৫৫%
পঞ্চম বছর আয়ের ৪০%
ষষ্ঠ বছর আয়ের ২৫%
সপ্তম থেকে দশম বছর আয়ের ২০

১৩। সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে স্থাপিত উৎপাদনমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে কর অব্যাহতি প্রদানঃ

যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান (কোম্পানী) কর অবকাশ সুবিধাযোগ্য তালিকাভুক্ত শিল্প নয়, সে সকল উৎপাদনমূখী শিল্প ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯ এর মধ্যে দেশের যে কোন সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার বাইরে স্থাপন করে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করলে সে সকল উৎপাদনমূখী শিল্প প্রতিষ্টানকে এস,আর,ও নং ১৮৫-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখঃ ১ জুলাই ২০১৪ (পরিশিষ্ট-১১) এর মাধ্যমে,

নিম্নরূপ কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছেঃ

ক্র:
নং

শর্তাবলী

কর রেয়াতের
হার

ক। ১ জুলাই, ২০১৪ হতে ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্য‘ম শুরু করলে বাণিজ্যিক কার্য‘ম শুরুর পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত ২০%
খ। সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পূর্বেই শুরু হয়েছে এরূপ কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান ১ জুলাই, ২০১৪ হতে ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার বাইরে সম্পূর্ণরূপে স্থানান্তরপূর্বক বাণিজ্যিক কার্য‘ম শুরু করলে, স্থানান্তর পরবর্তী বাণিজ্যিক কার্য‘ম শুরুর পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত ২০%
গ। সিটি কর্পোরেশনের এলাকার বাইরে বাণিজ্যিক কার্য‘ম শুরু হয়েছে, এরূপ বিদ্যমান কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত ১০%

তবে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে কর অব্যাহতির এ বিধান প্রযোজ্য হবে নাঃ

(অ) কোন কর অবকাশ সুবিধা প্রাপ্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান কর অবকাশ মেয়াদকালে এ অব্যাহতি সুবিধা পাবে না;

(আ) আয়কর অব্যাহতি প্রাপ্ত কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান কর অব্যাহতির মেয়াদকালে এ অব্যাহতি সুবিধা পাবে না;

(ই) Income-tax Ordinance, 1984 (Ord. XXXVI of 1984) এর section 44 এর ক্ষমতাবলে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের অধীন হ্রাসকৃত হারে কর সুবিধা ভোগকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান হ্রাসকৃত হারে কর সুবিধা ভোগের মেয়াদকালে এ অব্যাহতি সুবিধা পাবে না;

(ঈ) কোন কে এক্সচেঞ্জে publicly traded company হিসেবে তালিকাভুক্ত কোমপানী এ অব্যাহতি সুবিধা পাবে না;

(ঙ) পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক হালনাগাদ পরিবেশ ছাড়পত্র প্রাপ্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান না হলে এ অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

১৪। ভৌত অবকাঠামোর কর অবকাশ সংক্রান্ত ধারা 46C সংশোধনঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 46C ধারায় বর্ণিত ভৌত অবকাঠামো সুবিধার ক্ষেত্রে কর অবকাশের জন্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের সময়সীমা ৩০জুন, ২০১৫ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে ৩০ জুন, ২০১৯ এর মধ্যে নির্মিত কর অবকাশযোগ্য ভৌত অবকাঠামোসমূহ প্রযোজ্য হারে কর অব্যাহতি পাবে।

১৫। ট্রেজারী বন্ড, ট্রেজারী বিল, ডিবেঞ্চার এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ এর উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 51 সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ এর সুদের উপর উৎসে অগ্রিম (upfront) করের হার ১০% থেকে হ্রাস করে ৫% করা হয়েছে। একই সাথে ধারা 51(1) এর প্রোভাইসোটি এবং উক্ত ধারার উপধারা (3) বিলোপ করে ট্রেজারী বন্ড, ট্রেজারী বিল এবং ডিবেঞ্চারের সুদের উপর ৫% হারে উৎসে অগ্রিম কর সংগ্রহের বিধান করা হয়েছে।

১ জুলাই, ২০১৪ বা এরপর যে সকল ট্রেজারী বন্ড, ট্রেজারী বিল ও সরকারী সিকিউরিটিজ বিক্রয় করা হবে, সে সকল সিকিউরিটিজ বিক্রয়ের সময় মেয়াদান্তে উদভূত সুদ বা ডিসকাউন্টের উপর অগ্রিম (upfront) উৎসে আয়কর সংগ্রহ করতে হবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

১৬। লোকাল এলসির মাধ্যমে মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের জন্য একটি নতনু ধারা 52U সন্নিবেশঃ

ধারা 52 হতে “লোকাল এলসি” শব্দগুলো বিলোপ করতঃ লোকাল এলসি’র মাধ্যমে মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের পৃক বিধান করে 52U ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। নতুন প্রবর্তিত এ ধারার বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপঃ

  • লোকাল এলসি অথবা অনুরূপ কোন ফাইন্যান্সিং এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে এলসি মূল্য ৫ লক্ষ টাকার অধিক হলে সম্পূর্ণ এলসি মূল্যের উপর এলসি issuing ব্যাংক কর্তৃক এলসি’র মূল্য পরিশোধকালে ৩% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রে এলসি’র মূল্য ৫ লক্ষ টাকার অধিক না হলে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে না।
  • কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য সামগ্রী যেমন-আলু, পিঁয়াজ, রসুন, ছোলা, বুট, ডাল, আদা, হলুদ, মরিচ, চাল, গম, ভুট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্য তেল, চিনি, গোলমরিচ, এলাচ, দারূচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, খেজুর, সকল প্রকার ফল ইত্যাদি যে কোন অংকের মালামাল লোকাল এলসি’র মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।
  • লোকাল এলসি’র পরিবর্তে অন্য কোন ফাইন্যান্সিং এগ্রিমেন্টের আওতায় যেমন ইনভয়েস ফাইন্যান্সিং, সাপস্নাইয়ার ফাইন্যান্সিং অথবা অন্য যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, প্রকৃতিগতভাবে লোকাল এলসি’র অনুরূপ প্রক্রিয়ায় মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের এ বিধান প্রযোজ্য হবে।
  • Inland Documentary Bill Purchase (IDBP) বা Local Documentary Bill Purchase (LDBP) বা অনুরূপ কোন পদ্ধতিতে মালামালের বিক্রেতা যদি এলসি’র মেয়াদ পূর্তির পূর্বে কোন negotiating ব্যাংক হতে উক্ত এলসি’র বিপরীতে অর্থ গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে উক্ত negotiating ব্যাংক উৎসে কর্তনযোগ্য করের পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে উক্ত এলসি’র বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করবে। তবে এলসি issuing ব্যাংকই এলসি’র মূল্য চূড়ান্তভাবে পরিশোধের সময় উৎসে কর কর্তন করে তা মালামাল বিক্রেতার পক্ষে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করবে।
  • লোকাল এলসির মাধ্যমে কেবলমাত্র দেশের অভ্যন্তরে পুনঃবিক্রয় অথবা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিক্রয়ের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে ধারা 52U প্রযোজ্য হবে। স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে অথবা চুক্তিপত্রের আওতায় মালামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে অর্থের লেনদেন লোকাল এলসি’র মাধ্যমে হলেও পুনঃবিক্রয় অথবা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিক্রয়ের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত না হলে 52U ধারা প্রযোজ্য হবে না। এক্ষেত্রে ঠিকাদারী/সরবরাহ কার্যক্রমের জন্য প্রযোজ্য ধারা 52 এবং আয়কর বিধি-১৬ অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে আয়কর কর্তন করতে হবে।
  • যেক্ষেত্রে সরবরাহ/ঠিকাদারী বিলের উপর ধারা 52 এবং আয়কর বিধি-১৬ অনুযায়ী কর কর্তন করা হবে, সেক্ষেত্রে উক্ত সরবরাহ/ঠিকাদারী বিল লোকাল এলসি’র মাধ্যমে পরিশোধ করা হলেও একই সরবরাহ/ঠিকাদারী বিলের উপর পুনরায় 52U ধারায় উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে না।
  • বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ১০০% পণ্য রপ্তানী সংক্রান্ত আদেশ (মাস্টার এলসি) বাস্তবায়নের লক্ষে রপ্তানীর আদেশাধীন পণ্য প্রস্তুতে জড়িত আনুষঙ্গিক অন্যান্য পণ্য ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি’র মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে 52U ধারার আওতায় উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে না।
  • লোকাল এলসি’র বিপরীতে উৎসে কর্তিত এ কর চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে বিবেচিত না হয়ে অগ্রিম কর হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

উদাহরণ ১ঃ

ABC Ltd. কে ২ কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার জন্য XYZ Ltd. চুক্তিবদ্ধ হয় এবং উক্ত চুক্তি মূল্য পরিশোধের জন্য XYZ খঃফ. এর অনুকূলে অইঈ খঃফ. একটি স্থানীয় ঋণপত্র (লোকাল এলসি) প্রদান করে। উক্ত যন্ত্রপাতি অইঈ খঃফ. নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন কাজে ব্যবহারের জন্য স্থাপন করে। এক্ষেত্রে উক্ত যন্ত্রপাতি লোকাল এলসির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হলেও তা পুনঃবিক্রয় অথবা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিক্রয়ের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়নি বিধায় ধারা 52U প্রযোজ্য হবে না। বরং এক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 52 এবং বিধি 16 অনুসারে সরবরাহ মূল্যের উপর আয়কর কর্তন প্রযোজ্য হবে। উক্ত সরবরাহ বিলের উপর ABC Ltd. বিধি-১৬ অনুসারে কর কর্তন করে জমা দেয়ার পর একই সরবরাহ বিলের উপর L/C Issuing Bank বা L/C Negotiating Bank কে 52U অথবা অন্য কোন ধারায় পুনরায় কোন কর কর্তন করতে হবে না।

উদাহরণ-২ঃ

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দু’টি কোম্পানী যথাক্রমে LMN Ltd. এবং PQR Ltd. বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে সম্মত হয়। এ উদ্দেশ্যে পণ্যের ক্রেতা LMN Ltd. এর পক্ষে তার ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড পণ্যের বিক্রেতা PQR Ltd. কে স্থানীয় ঋণপত্র (Local L/C) প্রদান করে। ৯০ দিন মেয়াদী এ ঋণপত্রের মূল্যমান ১ কোটি টাকা। এলসি’র মেয়াদপূর্তীর পর পণ্য বিক্রেতা PQR Ltd. উক্ত এলসি’র মূল্য আদায়ের জন্য তার ব্যাংক রূপালী ব্যাংক লিমিটেড এর মাধ্যমে এ এলসি ডকুমেন্ট দাখিল করে। এক্ষেত্রে L/C Issuing Bank হিসেবে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডকে এলসি’র অর্থ পরিশোধকালে এলসি মূল্যের উপর ৩% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে। একই লেনদেনের জন্য L/C Negotiating ব্যাংককে অন্য কোন ধারায় পুনরায় উৎসে কর কর্তন করতে হবে না।

উদাহরণ-৩ঃ

কর্ণফুলী ট্রেডার্স লিমিটেড লোহার রড ক্রয়-বিক্রয়ে নিয়োজিত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। উক্ত কোম্পানী ২৫ জুলাই, ২০১৪ তারিখে রড প্রস্তুতকারী কোম্পানী সুরমা স্টীল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হতে ১০ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য ক্রয় করে এবং উক্ত পণ্য মূল্যের বিপরীতে সুরমা স্টীল ইন্ডাস্ট্রিজ এর অনুকূলে কর্ণফুলী ট্রেডার্স লিমিটেড এর পক্ষে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক ১২০ দিন মেয়াদী স্থানীয় ঋণপত্র ইস্যু করে। সুরমা স্টীল ইন্ডাস্ট্রিজ উক্ত ঋণপত্রটি তার ব্যাংক যমুনা ব্যাংক লিমিটেড এর নিকট ১ আগষ্ট, ২০১৪ তারিখে IDBP/LDBP পদ্ধতিতে বিক্রয় করে।

এক্ষেত্রে L/C NEGOTIATING BANK হিসেবে যমুনা ব্যাংক লিঃ কর্তৃক সুরমা স্টীল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে IDBP/LDBP এর বিপরীতে অর্থ পরিশোধের সময় এলসি মূল্যের উপর ৩% হারে কর্তনযোগ্য কর বিবেচনায় নিয়ে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে L/C ISSUING BANK অর্থাৎ প্রাইম ব্যাংক লিঃ কর্তৃক এলসি’র মেয়াদ পূর্তীতে L/C NEGOTIATING BANK কে এলসি মূল্য পরিশোধকালে ৩% হারে উৎসে কর কর্তন করে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে এবং সুরমা স্টীল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর অনুকূলে উক্ত উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত সনদপত্র প্রদান করতে হবে।

১৭। এ্যাকচুয়ারিয়াল সার্ভিস (actuarial service) কে প্রফেশনাল সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত করে উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 52A সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে 52A ধারার explanation এর clause (a) সংশোধন করে “প্রফেশনাল সার্ভিস” এর মধ্যে “এ্যাকচুয়ারিয়াল সার্ভিস” কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে এ্যাকচুয়ারিয়াল সার্ভিস (actuarial service) থেকে প্রাপ্ত ফি এর উপর এ ধারায় বর্ণিত অন্যান্য করদাতার ন্যায় ১২ ডিজিটের টিআইএন থাকলে ১০% হারে অন্যথায় ১৫% হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

১৮। পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের সুদের উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 52D সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 52D তে একটি নতুন প্রোভাইসো এবং ৬ষ্ঠ তফসিল পার্ট-A তে একটি নতুন প্যারাগ্রাফ 32A সংযোজনের মাধ্যমে পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রমযোজিত (cumulative) বিনিয়োগ হতে অর্জিত সুদ আয় করমুক্ত করা হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকার অধিক বিনিয়োগের সুদের উপর ৫% হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান বহাল রয়েছে। তাছাড়া, ৮২সি ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড এর সুদের উপর কর্তিত করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করার বিধান করা হয়েছে। কর নির্ধারণ পর্যায়ে পেনশনার সঞ্চয়পত্র/ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড এর মুনাফা খাতে ধারা 82C(4) অনুসারে আয় পরিগণনার সময় পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড এর মুনাফার উপর কর্তিত করের আনুপাতিক অংশই করদাতার এ খাতে আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে পেনশনার সঞ্চয়পত্র/ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড এর মুনাফার পরিমাণ সুনির্দিষ্ট বিধায় প্রকৃত মুনাফার পরিমাণ সুনির্দিষ্ট বিধায় প্রকৃত মুনাফার পরিমাণ এবং এ খাতে ধারা 82C(4) অনুসারে নিরূপিত আনুপাতিক আয় এর পার্থক্যের উপর ধারা 82C(6) এর বিধান প্রযোজ্য হবে না এবং জনাব স্বপন কুমার রায় কে উক্ত পার্থক্যের জন্য কোন অতিরিক্ত কর পরিশোধ করতে হবে না। এরূপ পার্থক্য তাঁর সম্পদ পরিবৃদ্ধির উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।

উদাহরণ-২ঃ

জনাব হাবিবুর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরিজীবী। এপ্রিল ২০১৪ মাসে অবসর গ্রহণ করেন। ১ জুলাই, ২০১৪ তারিখে তিনি ৩০ লক্ষ টাকার পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন এবং ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে তিনি ৩,৯৫,৭০০/- টাকা মোট মুনাফা অর্জন করেন। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে তিনি একটি প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে মোট ১২ লক্ষ টাকা অর্জন করেন।

জনাব হাবিবুর রহমানের পেনশনার সঞ্চয়পত্র হতে অর্জিত মুনাফা ৩,৯৫,৭০০/- টাকার উপর ৫% হারে ১৯,৭৮৫/- টাকা উৎসে কর কর্তন করতে হবে এবং উক্ত কর ২০১৫-১৬ কর বছরে তাঁর চূড়ান্ত করদায় বলে গণ্য হবে ।
কর নির্ধারণ পর্যায়ে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা খাতে ধারা 82C(4) অনুসারে আয় পরিগণনার সময় পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর কর্তিত করের আনুপাতিক অংশই জনাব হাবিবুর রহমানের এ খাতে আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার পরিমাণ সুনির্দিষ্ট বিধায় প্রকৃত মুনাফার পরিমাণ এবং এ খাতে ধারা 82C(4) অনুসারে নিরূপিত আনুপাতিক আয় এর পার্থক্যের উপর ধারা 82C(6) এর বিধান প্রযোজ্য হবে না এবং জনাব হাবিবুর রহমানকে উক্ত পার্থক্যের জন্য কোন অতিরিক্ত কর পরিশোধ করতে হবে না। এরূপ পার্থক্য তাঁর সম্পদ পরিবৃদ্ধির উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।
উদাহরণ-৩ঃ
জনাব বিধান চন্দ্র লস্কর যুক্তরাজ্যে চাকুরিরত একজন অনিবাসী বাংলাদেশী করদাতা। তিনি জুলাই ২০১৪ মাসে ৫ বছর মেয়াদী ৩ লক্ষ টাকার ডঊউই ক্রয় করেন এবং জুলাই ২০১৫ মাসে পুনরায় ৫ বছর মেয়াদী ১০ লক্ষ টাকার WEDB ক্রয় করেন। এক্ষেত্রে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩ লক্ষ টাকার ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের প্রাপ্ত মুনাফার উপর উৎসে কর কর্তন করতে হবে না এবং ২০১৫-১৬ কর বছরে উক্ত মুনাফা করমুক্ত আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

২০১৫-১৬ অর্থ বছরে যেহেতু জনাব বিধান চন্দ্র লস্করের ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের পরিমাণ পূর্বের বিনিয়োগসহ ৫ লক্ষ টাকা অতিক্রম করেছে সেহেতু ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ধারণকৃত সম্পূর্ণ বিনিয়োগ অর্থাৎ ১৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের অর্জিত মুনাফার উপর ৫% হারে কর কর্তন করতে হবে। উক্ত উৎসে কর্তিত কর ২০১৬-১৭ কর বছরের জন্য করদাতার চূড়ান্ত করদায় বলে গণ্য হবে।

উদাহরণ-৪ঃ

জনাব আজিজুর রহমান একজন সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে মার্চ ২০১৪ মাসে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি জুলাই ২০১৪ মাসে ৫ বছর মেয়াদী ৪ লক্ষ টাকার পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন এবং জুলাই ২০১৫ মাসে পুনরায় ৫ বছর মেয়াদী ১৫ লক্ষ টাকার পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন।

এক্ষেত্রে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৪ লক্ষ টাকার পেনশনার সঞ্চয়পত্র হতে প্রাপ্ত মুনাফার উপর উৎসে কর কর্তন করতে হবে না এবং ২০১৫-১৬ কর বছরে উক্ত মুনাফা করমুক্ত আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

২০১৫-১৬ অর্থ বছরে যেহেতু জনাব আজিজুর রহমানের পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ পূর্বের বিনিয়োগসহ ৫ লক্ষ টাকা অতিক্রম করেছে সেহেতু ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ধারণকৃত সম্পূর্ণ বিনিয়োগ অর্থাৎ ১৯ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের অর্জিত মুনাফার উপর ৫% হারে কর কর্তন করতে হবে। উক্ত উৎসে কর্তিত কর ২০১৬-১৭ কর বছরের জন্য করদাতার চূড়ান্ত করদায় বলে গণ্য হবে।

১৯। ইট ভাটা থেকে কর সংগ্রহ সংক্রান্ত ধারা 52F সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 52F সংশোধন করে ইট ভাটায় উৎপাদন ক্ষমতার ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে ইট ভাটার ইট তৈরির অনুমতিপত্র সংগ্রহকালে বা নবায়নকালে অগ্রিম আয়কর পরিশোধের হার নিম্নরূপে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছেঃ-

সেকশন

উৎসে সংগৃহীত আয়করের হার
প্রতিটি এক সেকশন এর জন্য

৪৫,০০০/-

প্রতিটি দেড় সেকশন এর জন্য

৭০,০০০/-

প্রতিটি দুই সেকশন এর জন্য

৯০,০০০/-

যন্ত্রের সাহায্যে ইট তৈরির ক্ষেত্রে

১,৫০,০০০/-

তাছাড়া 184A(1) ধারার CLAUSE (V) অনুসারে ব্রিক ফিল্ড সংক্রান্ত নিম্নোক্ত দুটি বিধান করা হয়েছেঃ-

ক) প্রতি বছর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের সময় ব্রিক ফিল্ডের মালিককে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে; এবং

খ) জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে ইট ভাটার ছাড়পত্র নবায়নের সময় ব্রিক ফিল্ডের মালিককে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২০। ট্রাভেল এজেন্ট হতে উৎসে কর আরোপ সংক্রান্ত ধারা 52JJ সন্নিবেশঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে ট্রাভেল এজেন্সি কর্তৃক প্রাপ্ত কমিশন বা অন্যান্য প্রাপ্তির উপর কর কর্তনের উদ্দেশ্যে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 52JJ সন্নিবেশ করা হয়েছে। উক্ত বিধান অনুসারে ট্রাভেল এজেন্সী কর্তৃক প্রাপ্ত কমিশন, ডিসকাউন্ট, ইনসেনটিভ বোনাস কিংবা অনুরূপ কোন প্রাপ্তির উপর কমিশন, ডিসকাউন্ট, ইনসেনটিভ বোনাস ইত্যাদি প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস্‌ কর্তৃপক্ষ, জেনারেল সেলস্‌ এজেন্ট (GSA) বা অনুরূপ অন্য কোন কর্তৃপক্ষকে ৩% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২১। কুইক রেন্টাল কোম্পানীর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 52N সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 52N ধারায় সংশোধনী এনে কুইক রেণ্টাল কোম্পানীসমূহকে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের হার ৪% থেকে বৃদ্ধি করে ৬% হারে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২২। বোতলজাত খাবার পানি বা মিনারেল ওয়াটার এর উপর উৎসে অগ্রিম কর আরোপ সংক্রান্ত ধারা 52S সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 52S সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান মোতাবেক সফ্‌ট ড্রিংকস বা কোমল পানীয় এর ন্যায় বোতলজাত খাবার পানি বা মিনারেল ওয়াটার এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য স্ট্যাম্প/ব্যান্ডরোল সরবরাহকালে ক্রেতার নিকট হতে সংশ্লিষ্ট পণ্যের মূল্যের উপর ৩% হারে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড কর্তৃক অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ করতে হবে।এক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য বলতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত মূল্যকে বোঝাবে।

বোতলজাত খাবার পানি বলতে ছোট-বড় যে কোন আকারের বোতল, জার, ক্যান বা সিলিন্ডারে বাজারজাতকৃত খাবার পানি যার ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর আইন অনুযায়ী স্ট্যাম্প/ব্যান্ডরোল প্রযোজ্য তাকে বুঝাবে। বোতলজাত খাবার পানি বা মিনারেল ওয়াটার এর ব্যান্ডরোল ক্রয়ের সময় পরিশোধিত এ অগ্রিম কর পরবর্তীতে করদাতার সংশ্লিষ্ট কর বর্ষের প্রদেয় করের বিপরীতে সমন্বয় করা হবে।

বোতলজাত খাবার পানি বা মিনারেল ওয়াটার এর ক্ষেত্রে উৎসে অগ্রিম কর সংগ্রহের এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২৩। জীবন বীমা পলিসির মুনাফার উপর উৎসে কর আরোপ সংক্রান্ত ধারা 52T সন্নিবেশঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে জীবন বীমা পলিসির মুনাফা প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের বিধান করা হয়েছে। যে সকল জীবন বীমা পলিসির মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, সে সকল জীবন বীমা পলিসির অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে পলিসি হোল্ডার কর্তৃক পরিশোধিত প্রিমিয়ামের অতিরিক্ত মুনাফা প্রদান করা হলে সমুদয় মুনাফার উপর ৫% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।

উৎসে কর্তিত এ কর পলিসি হোল্ডারের অগ্রীম আয়কর হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট করবর্ষের প্রদেয় করের বিপরীতে সমন্বয় করা হবে। তবে বীমা চলাকালীন সময়ে বীমার কিস্তি পরিশোধকারী পলিসি হোল্ডার মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবার/উত্তরাধীকার কর্তৃক প্রাপ্ত অর্থের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।
তাছাড়া, বীমার মেয়াদ সম্পূর্ণ পূর্তির আগে বীমাকৃত অংকের অংশ বিশেষ ফেরৎ প্রদান করা হলে, উক্ত অর্থের উপর উৎসে কর কর্তনের এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।

উদাহরণ-১ঃ জনাব আশরাফুল আলম ১৯৯৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আমেরিকান লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সাথে বার্ষিক ৭,৫০০ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ১ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি পলিসি গ্রহণ করেন। জনাব আশরাফুল আলম ১৮ বছর মেয়াদের এ পলিসির অর্থ ৬ বছর পর ২৫% অর্থাৎ ২৫,০০০ টাকা, ১২ (বার) বছর পর ২৫% অর্থাৎ ২৫,০০০ টাকা এবং মুনাফাসহ ১৮ বছর পূর্তিতে ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ তারিখে মোট ১,১৫,০০০ টাকা প্রাপ্ত হন। এক্ষেত্রে জনাব আশরাফুল আলমের প্রাপ্ত মুনাফার পরিমাণ নিম্নরূপঃ-

৬ বছর পূর্তিতে প্রাপ্ত
১২ বছর পূর্তিতে প্রাপ্ত
১৮ বছর পূর্তিতে মুনাফাসহ প্রাপ্ত
মোট প্রাপ্তি
২৫,০০০/-
২৫,০০০/-
১,২৫,০০০/-
১,৭৫,০০০/-
বাদঃ ১৮ বছরের প্রিমিয়াম বাবদ পরিশোধ (৭,৫০০ x১৮) ১,৩৫,০০০/-
মুনাফার পরিমাণ
সুতরাং, এক্ষেত্রে ৪০,০০০ টাকা মুনাফার উপর ৫% হারে
উৎসে কর কর্তনের পরিমাণ হবে ২,০০০ টাকা।
৪০,০০০/-

উদাহরণ-২ঃ

জনাব জহুরুল ইসলাম তার সন্তানের নামে ১৬ বছর মেয়াদের বার্ষিক ৭,৬০০ টাকা প্রিমিয়ামে ১৯৯৮ সালে ১ লক্ষ টাকা মূল্য মানের শিক্ষাবীমা গ্রহণ করেন যা থেকে তিনি মেয়াদান্তে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মুনাফাসহ ২,৩০,০০০/- টাকা প্রাপ্ত হন।

এক্ষেত্রে মোট মুনাফার পরিমাণ হবে [২,৩০,০০০ টাকা - (৭৬০০ x১৬)] = ১,০৮,৪০০
টাকা এবং উক্ত মুনাফার উপর ৫% হারে কর কর্তনের পরিমাণ হবে ৫,৪২০ টাকা।

উদাহরণ-৩ঃ

জনাব লাল মিয়া জানুয়ারী ২০০৯ এ বার্ষিক ৯,০০০ টাকা প্রিমিয়ামের ভিত্তিতে ১ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৮ বছর মেয়াদী একটি জীবন বীমা পলিসি গ্রহণ করেন। ৩ কিস্তিতে ফেদরতযোগ্য এ বীমা পলিসির ৬ বছর পূর্তিতে জানুয়ারী ২০১৫ মাসে বীমা মূল্যের ২৫% অর্থাৎ ২৫,০০০ টাকা ফেরত পান।

এক্ষেত্রে ফেরত প্রাপ্ত ২৫,০০০ টাকার উপর উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য নয়, কারণ এটি মুনাফা নয় বরং পলিসি হোল্ডার কর্তৃক বীমা মূল্যের অংশ বিশেষ ফেরৎ প্রাপ্তি।
এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২৪। মোবাইল ফোন কোম্পানী কর্তৃক পরিশোধিত রেভিনিউ শেয়ারিং, লাইসেন্স ফিস, চার্জ ইত্যাদির উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 52V সন্নিবেশঃ

মোবাইল ফোন কোম্পানী কর্তৃক স্পেকট্রাম এসাইনমেন্ট ফিস, লাইসেন্স একুইজিশন ফিস, এপ্লিকেশন ফিস, বার্ষিক লাইসেন্স ফিস, লাইসেন্স রিনিউয়াল ফিস, রেভিনিউ শেয়ারিং, সোশাল অবলিগেশন ফান্ডে দান অথবা অন্য কোন ফিস বা চার্জেস ইত্যাদি যে কোন নামে অর্থ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (BTRC) কে পরিশোধকালে উক্ত সকল অর্থের উপর ১০% হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান করা হয়েছে।

উৎসে কর্তিত এ কর অগ্রিম আয়কর হিসেবে অর্থ গ্রহণকারী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী কমিশনের (BTRC) করযোগ্য আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট কর বছরে সমন্বয় করা হবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২৫। বাড়ি ভাড়া হতে উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 53A সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে ধারা 53A সংশোধন করে বাড়ী ভাড়ার উপর উৎসে কর কর্তনের পরিধি সমপ্রসারণ করা হয়েছে। সংশোধিত 53A ধারার বিধান অনুযায়ী করদাতার শ্রেণী বা মর্যাদা (status) নির্বিশেষে বাড়ী ভাড়া থেকে উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষের মধ্যে হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে কোন হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার কোম্পানী করদাতা না হলেও তাদেরকে বাড়ীভাড়া পরিশোধ কালে ৫% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২৬। Export cash subsidy এর উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 53DDD সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53DDD সংশোধন করতঃ export cash subsidy এর উপর উৎসে কর কর্তনের হার ৫% থেকে হ্রাস করে ৩% করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২৭। ডিষ্ট্রিবিউশন খাতে অনুমিত কমিশন হতে উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 53E সংশোধনঃ

যে সকল পণ্য পূর্ব নির্ধারিত খুচরা মূল্যে (এমআরপি) বিক্রি হয়, সে সকল পণ্য লিখিত চুক্তির আওতায় ডিলার বা এজেন্ট এর মাধ্যমে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে, এমআরপি ও ডিলার মূল্যের পার্থক্যকে কমিশন বলে গণ্য করে উক্ত অনুমিত কমিশনের উপর ৫% হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান করা হয়েছিল। অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে 53E(2) ধারা সংশোধন করতঃ উক্ত অনুমিত কমিশনের উপর উৎসে কর কর্তনের হার ৫% থেকে হ্রাস করে ৩% নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২৮। জমি বা গৃহ সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে হস্তান্তর মূল্যের উপর উৎসে অগ্রিম কর সংগ্রহের হার পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত ধারা 53H এর প্রতিস্থাপনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53H প্রতিস্থাপন এবং আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে একটি নতুন বিধিমালা 17II সন্নিবেশের মাধ্যমে জমি বা গৃহ সম্পত্তি বিক্রিয়কালে প্রযোজ্য উৎসে কর কর্তনের হার সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম জেলার কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ এলাকার জমি বা স্থাপনা রেজিস্ট্রেশনের সময় জমির ক্ষেত্রে কাঠা প্রতি হার অথবা দলিল মূল্যের ৪% (যেটি বেশী) এবং স্থাপনার ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৬০০ টাকা অথবা স্থাপনার দলিলমূল্যের ৪% (যেটি বেশী) হারে কর সংগ্রহের বিধান করা হয়েছে।

জমি বা গৃহ সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রয় মূল্যের উপর বিদ্যমান উৎসে কর কর্তনের হার পরিবর্তন করে আয়কর বিধি 17II অনুসারে পৃক তিনটি তফসিল (a), (b) এবং (c) তে উৎসে কর কর্তনের প্রযোজ্য হার উল্লেখ করা হয়েছে।

তাছাড়া, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 2(15) সংশোধন করে মূলধনী সম্পত্তির সংজ্ঞা পরিবর্তন করায় এবং ধারা 53H প্রতিস্থাপন করায় পে․রসভার বাইরের কৃষি জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন মূল্যের ১% হারে উৎসে কর আরোপের বিধান করাহয়েছে। অগ্রিম আদায়কৃত এ কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনার বিধান বহাল আছে। নির্দিষ্টকৃত এলাকার জমির ক্ষেত্রে কাঠা প্রতি আয়কর এবং স্থাপনার ক্ষেত্রে বর্গমিটার প্রতি প্রদেয় আয়কর বিষয়ক পরিপত্র নং-১(আয়কর)/২০১৪ তাং-৯ জুলাই ২০১৪ তে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

২৯। রাজউক, সিডিএ, কেডিএ, আরডিএ এবং এনএইচএ কর্তৃক দীর্ঘমেয়াদী লীজ দলিল রেজিষ্ট্রেশনের সময় দলিল মূল্যের উপর উৎসে অগ্রিম কর সংগ্রহের বিধান সংক্রান্ত ধারা 53HH সন্নিবেশঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে নতুন ধারা 53HH সন্নিবেশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ) এই ৫টি সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ১০ বছর বা এর অধিক মেয়াদের স্থাবর সম্পত্তির লীজ দলিল রেজিষ্ট্রেশনের সময় দলিল মূল্যের ৪% হারে উৎসে কর সংগ্রহের বিধান করা হয়েছে।

আরোপিত এ কর লীজদাতা প্রতিষ্ঠান (lessor) কে পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ) সমূহকে এ অগ্রিম কর পরিশোধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট লীজদাতা কর্তৃপক্ষের করযোগ্য আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের বিপরীতে উক্ত অগ্রিম কর সমন্বয় করা যাবে। অর্থাৎ রাজউক, সিডিএ, কেডিএ, আরডিএ এবং এনএইচএ কর্তৃক পরিশোধিত এই অগ্রিম কর ২০১৫-১৬ কর বর্ষ হতে সংশ্লিষ্ট কর বর্ষের প্রদেয় করের বিপরীতে সমন্বয় করা যাবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

৩০। অনলাইন বিজ্ঞাপনের উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 53K সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 53K ধারা সংশোধন করে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি অনলাইন বিজ্ঞাপনের জন্য প্রদেয় অর্থের উপরও ৩% হারে উৎসে কর কর্তন করার বিধান করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

৩১। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর শেয়ার হস্তান্তর থেকে অর্জিত মুনাফার উপর উৎসে কর সংগ্রহ সংক্রান্ত ধারা 53N সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 53N সন্নিবেশিত হয়েছে। উক্ত ধারার বিধান অনুসারে কোন শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক স্টক এক্সচেঞ্জ এর শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার হস্তান্তর অথবা হস্তান্তরের ঘোষণা বা হস্তান্তরের অনুমতি প্রদানের সময় স্টক এক্সচেঞ্জসমূহের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে উক্ত শেয়ার হস্তান্তর হতে অর্জিত মুনাফার উপর ১৫% হারে উৎসে কর সংগ্রহ করতে হবে।

হস্তান্তরিত শেয়ারের হস্তান্তর মূল্য এবং উক্ত শেয়ারের অর্জন মূল্য (cost of acquisition) এর পার্থক্যকে মুনাফা হিসেবে গণ্য করে উক্ত মুনাফার উপর ১৫% হারে উৎসে কর সংগ্রহ করতে হবে।

এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ অনুসারে ২১ নভেম্বর, ২০১৩ থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছে। উক্ত আইনের আওতায় স্টক এক্সচেঞ্জসমূহের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সদস্যগণ তাঁদের সদস্যপদের বিপরীতে প্রত্যেকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সমান সংখ্যক শেয়ার প্রাপ্ত হন এবং প্রত্যেক সদস্য নিজ নিজ স্টক এক্সচেঞ্জ এর একটি Trading Right Entitlement Certificate বা TREC বিনা মূল্যে প্রাপ্ত হন। এ প্রক্রিয়ায় প্রাক্তন মিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যগণ নবগঠিত ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের (শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ কোম্পানী)
শেয়ার হোল্ডারে পরিণত হন।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জের উক্ত শেয়ারসমূহ এবং Trading
Right Entitlement Certificate (TREC) হস্তান্তরযোগ্য। 53N ধারার বিধান অনুসারে উক্ত শেয়ার হস্তান্তর থেকে অর্জিত মুনাফার উপর ১৫% হারে উৎসে কর সংগ্রহ করতে হবে।

প্রতি শেয়ারের অর্জন মূল্য (cost of acquition) নির্ধারণ এবং মুনাফার উপর করারোপঃ

ডিমিউচু্যয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার কোম্পানীসমূহের শেয়ার হস্তান্তর হতে অর্জিত মুনাফা নিরূপনের লক্ষে প্রতিটি শেয়ারের অর্জন মূল্য (cost of acqusition) নিরূপণ করে নিম্নরূপে কর আরোপ করা হবেঃ-

ক) ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার কোম্পানী প্রাক্তন মিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ লাভের জন্য যে অর্থ পরিশোধ করেছে, তাই হবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ হতে প্রাপ্ত সকল শেয়ারের এবং Trading Right Entitlement Certificate (TREC) এর অর্জন মূল্য (cost of acquition);

খ) ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার কোম্পানীসমূহের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পূর্বে অর্থাৎ ২১ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখের পূর্বে প্রস্তুতকৃত BALANCE SHEET এ স্টক এক্সচেঞ্জ এর সদস্যপদ লাভের জন্য পরিশোধিত অর্থের যেপরিমাণ প্রদর্শন করা হয়েছে, তাই হবে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে প্রাপ্ত সকল শেয়ার এবং Trading Right Entitlement Certificate (TREC) এর অর্জন মূল্য। এ ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের কোন শেয়ার হোল্ডার কোম্পানী যদি স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ/ শেয়ারের পুনঃমূল্যায়ন (revaluation) করে Balance Sheet এর সম্পদ পার্শ্বে অর্জন মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য প্রদর্শন করে, সেক্ষেত্রে পুনঃমূল্যায়নের ফলে নিরূপিত বাড়তি মূল্য বা পুনঃমূল্যায়ন রিজার্ভ (revaluation reserve) যা Balance Sheet এর দায় ও ইক্যুইটি পার্শ্বে প্রদর্শণ করা হয়ে থাকে তা বিবেচনায় না নিয়ে প্রকৃত অর্জন মূল্যকেই উক্ত শেয়ার ও Trading Right Entitlement Certificate (TREC) এর অর্জন মূল্য (cost of acquition) হিসেবে গণ্য করতে হবে;

গ) স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার হস্তান্তর থেকে অর্জিত মুনাফার উপর করারোপের লক্ষে, প্রাক্তন স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদের অর্জন মূল্যই ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে প্রাপ্ত সমুদয় শেয়ারের অর্জন মূল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। মোট অর্জন মূল্যকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ হতে প্রাপ্ত মোট শেয়ার সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে প্রতি শেয়ারের অর্জন মূল্য নিরূপণ করতে হবে;

ঘ) হস্তান্তরিত শেয়ারের মোট মূল্য হতে উক্ত শেয়ার সমূহের অর্জন মূল্য (প্রতি শেয়ারের অর্জন মূল্য x হস্তান্তরিত শেয়ার সংখ্যা) বাদ দিয়ে অর্জিত মুনাফা নিরূপণ করতঃ নিরূপিত মুনাফার উপর ১৫% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে;

ঙ) যেহেতু প্রাক্তন স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য ব্যয়িত সমুদয় মূল্য ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের সকল শেয়ারের অর্জন মূল্য হিসাবে বিবেচিত হবে, সেহেতু Trading Right Entitlement Certificate (TREC) এর অর্জন মূল্য শূণ্য হিসেবে গণ্য করে TREC হস্তান্তর হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থই অর্জিত মূলধনী মুনাফা হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে এক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের বিধান না থাকায় উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে না। TREC হস্তান্তর থেকে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থের উপর করদাতা কোম্পানীকে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর দ্বিতীয় তফসিলে বর্ণিত মূলধনী মুনাফার উপর প্রযোজ্য হারে অর্থাৎ ১৫% হারে কর প্রদান করতে হবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

উদাহরণ-১ঃ

কর্ণফুলী সিকিউরিটিজ লিঃ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সদস্য এবং বর্তমান শেয়ারহোল্ডার। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর উক্ত কোম্পানী স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদের বিপরীতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৭২,১৫,১০৬ টি শেয়ার এবং উক্ত এক্সচেঞ্জের একটি TREC প্রাপ্ত হয়। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ থেকেও উক্ত কোম্পানী তার সদস্যপদের বিপরীতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৪২,৮৭,৩৩০ টি শেয়ার এবং উক্ত স্টক এক্সচেঞ্জের একটি TREC প্রাপ্ত হয়।
উক্ত কোম্পানী ৩১/১২/২০১২ তারিখের Balance Sheet এর সম্পদ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদের প্রকৃত অর্জন মূল্য ১,১৬,০৬,০০০/- টাকা হলেও পুনঃমূল্যায়িত মূল্য (revaluation price) ৭,২১,৫১,০৬০/- টাকা প্রদর্শন করে এবং পুনঃমূল্যায়ন রিজার্ভ হিসেবে অবশিষ্ট ৬,০৫,৪৫,০৬০ টাকা Balance Sheet এ ইক্যুইটি হিসাবে প্রদর্শন করে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদের প্রকৃত অর্জন মূল্য ৫০,০০,০০০/- টাকা হলেও উক্ত তারিখের Balance Sheet এ সম্পদ হিসেবে ৪,২৮,৭৩,৩০০ টাকা প্রদর্শন করে এবং পুনঃমূল্যায়ন রিজার্ভ হিসেবে অবশিষ্ট ৩,৭৮,৭৩,৩০০/- টাকা Balance Sheet এ ইক্যুইটি হিসেবে প্রদর্শন করে।

মার্চ ২০১৫ তে যদি উক্ত কোম্পানী তার মালিকানাধীন স্টক এক্সচেঞ্জ এর শেয়ার হতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর ৩০ লক্ষ শেয়ার প্রতিটি ৯০ টাকা দরে বিক্রয় করে এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর শেয়ার হতে ১০ লক্ষ শেয়ার প্রতিটি ৮৫ টাকা দরে বিক্রয় করে এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের TREC টি ৫ কোটি টাকায় বিক্রয় করে, তবে নিম্নরূপে কর পরিশোধ করতে হবেঃ-

ক্রমিক
নং

বিবরণ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ

চট্টগ্রাম স্টক

সদস্যপদের প্রকৃত অর্জন মূল্য

১,১৬,০৬,০০০/-

৫০,০০,০০০/-

ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ
হতে প্রাপ্ত শেয়ার সংখ্যা

৭২,১৫,১০৬ টি

৪২,৮৭,৩৩০ টি

প্রতিটি শেয়ারের অর্জন মূল্য (১÷২)

১.৬০৬৮৫৭

১.১৬৬২২

হস্তান্তরিত শেয়ারের সংখ্যা

৩০,০০,০০০ টি

১০,০০,০০০ টি

প্রতিটি শেয়ারের হস্তান্তর মূল্য

৯০/-

৮৫/-

হস্তান্তরিত শেয়ারের মোট হস্তান্তর মূল্য ২৭,০০,০০,০০০/-

৮,৫০,০০,০০০/-

হস্তান্তরিত শেয়ারের প্রকৃত অর্জন মূল্য (৪÷৩) ৪৮,২৫,৭১০/-

১১,৬৬,২২০/-

শেয়ার হস্তান্তর থেকে অর্জিত মুনাফা (৬-৭) ২৬,৫১,৭৪,২৯০/-

৮,৩৮,৩৩,৭৮০/-

53N ধারার বিধান অনুযায়ী উৎসে কর সংগ্রহের হার ১৫%

১৫%

১০

উৎসে সংগ্রহযোগ্য করের পরিমাণ ৩,৯৭,৭৬,১৪৩/-

১,২৫,৭৫,০৬৭/

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের Trading Right Entitlement Certificate (TREC) হস্তান্তর বাবদ প্রাপ্ত ৫ কোটি টাকা সম্পূর্ণই অর্জিত মূলধনী মুনাফা বলে গণ্য হবে এবং উক্ত মূলধনী মুনাফার উপর কর্ণফুলী সিকিউরিটিজকে ১৫% হারে কর পরিশোধ করতে হবে।

উদাহরণ-২ঃ

যমুনা সিকিউরিটিজ লিঃ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সদস্য হিসেবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৭২,১৫,১০৬ টি শেয়ার এবং একটি Trading Right Entitlement Certificate (TREC) প্রাপ্ত হয়।

এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ অর্জনের প্রকৃত মূল্য ৮০,০০,০০০/- টাকা প্রদর্শন করে। অর্থাৎ উক্ত কোম্পানী তার Balance Sheet এ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর সদস্যপদের মূল্য বাজার দরে পুনঃমূল্যায়ন করেনি। জানুয়ারী ২০১৫ তে উক্ত কোম্পানী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ এর ২০ লক্ষ শেয়ার প্রতিটি ৫০ টাকা মূল্যে হস্তান্তর করলে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 53N ধারার বিধান অনুসারে নিম্নরূপে উৎসে কর কর্তন করতে হবেঃ-

ক্রমিক
নং

বিবরণ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ

সদস্যপদের প্রকৃত অর্জন মূল্য ৮০,০০,০০০/-

ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ হতে প্রাপ্ত শেয়ার সংখ্যা ৭২,১৫,১০৬ টি

প্রতিটি শেয়ারের অর্জন মূল্য (১÷২) ১.১০৮৭৮

হস্তান্তরিত শেয়ারের সংখ্যা ২০,০০,০০০ টি

প্রতিটি শেয়ারের হস্তান্তর মূল্য ৫০/-

হস্তান্তরিত শেয়ারের মোট হস্তান্তর মূল্য ১০,০০,০০,০০০ /-

হস্তান্তরিত শেয়ারের প্রকৃত অর্জন মূল্য (৪÷৩) ২২,১৭,৫৬০/-

শেয়ার হস্তান্তর থেকে অর্জিত মুনাফা (৬-৭) ৯,৭৭,৮২,৪৪০/-

53N ধারার বিধান অনুযায়ী উৎসে কর কর্তনের হার ১৫%

-

উৎসে কর্তনযোগ্য করের পরিমাণ ১,৪৬,৬৭,৩৬৬ /-

উদাহরণ-৩ঃ

মেঘনা সিকিউরিটিজ লিঃ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সদস্য হিসেবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৭২,১৫,১০৬ টি শেয়ার এবং একটি Trading Right Entitlement Certificate (TREC) প্রাপ্ত হয়।

উক্ত কোম্পানী ৩০/০৬/২০১৩ ইং তারিখের Balance Sheet এ সম্পদ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ অর্জনের প্রকৃত মূল্য ৩২,০২,০০,০০০/- টাকা প্রদর্শন করে। অর্থাৎ উক্ত কোম্পানী তার Balance Sheet এ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর সদস্যপদের মূল্য বাজার দরে পুনঃমূল্যায়ন করেনি। সেপ্টেম্বর ২০১৪ তে উক্ত কোম্পানী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ এর ৫ লক্ষ শেয়ার প্রতিটি ৪০ টাকা মূল্যে হস্তান্তর করলে আয়কর
অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 53N ধারার বিধান অনুসারে নিম্নরূপে উৎসে কর সংগ্রহ করতে হবেঃ-

ক্রমিক
নং

বিবরণ

ঢাকা স্টক
এক্সচেঞ্জ

সদস্যপদের প্রকৃত অর্জন মূল্য ৩২,০২,০০,০০০/-
ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ হতে প্রাপ্ত শেয়ার সংখ্যা ৭২,১৫,১০৬ টি
প্রতিটি শেয়ারের অর্জন মূল্য (১÷২) ৪৪.৩৭৯১১
হস্তান্তরিত শেয়ারের সংখ্যা ৫,০০,০০০ টি
প্রতিটি শেয়ারের হস্তান্তর মূল্য ৪০/-
হস্তান্তরিত শেয়ারের মোট হস্তান্তর মূল্য ২,০০,০০,০০০/-
হস্তান্তরিত শেয়ারের প্রকৃত অর্জন মূল্য (৪÷৩) ২,২১,৮৯,৫৫৫/-
শেয়ার হস্তান্তর থেকে ক্ষতি (৬-৭) (২১,৮৯,৫৫৫) /-

এক্ষেত্রে মেঘনা সিকিউরিটিজ লিঃ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর শেয়ার হস্তান্তর করে মুনাফা অর্জন করেনি, বরং তার ক্ষতি হয়েছে বিধায় আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 53N ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না অর্থাৎ উৎসে কোন কর সংগ্রহ করতে হবে না।

উদাহরণ-৪ঃ

পদ্মা সিকিউরিটিজ লিঃ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সদস্য হিসেবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৪২,৮৭,৩৩০ টি শেয়ার এবং একটি Trading Right Entitlement Certificate (TREC)) প্রাপ্ত হয়।

উক্ত কোম্পানী ৩০/০৬/২০১৩ ইং তারিখের Balance Sheetএ সম্পদ হিসেবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ অর্জনের প্রকৃত মূল্য ৩,০০,০০০/- টাকা প্রদর্শন করে। অর্থাৎ উক্ত কোম্পানী Balance Sheet এ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর সদস্যপদের মূল্য বাজার দরে পুনঃমূল্যায়ন করেনি। জানুয়ারী ২০১৫ তে উক্ত কোম্পানী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ এর ১০ লক্ষ শেয়ার প্রতিটি ৩০ টাকা মূল্যে হস্তান্তর করলে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 53N ধারার বিধান অনুসারে নিম্নরূপে উৎসে কর সংগ্রহ করতে
হবেঃ-

ক্রমিক
নং

বিবরণ

চট্টগ্রাম স্টক
এক্সচেঞ্জ

সদস্যপদের প্রকৃত অর্জন মূল্য ৩,০০,০০০/-
ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ হতে প্রাপ্ত শেয়ার সংখ্যা ৪২,৮৭,৩৩০ টি
প্রতিটি শেয়ারের অর্জন মূল্য (১÷২) ০.০৬৯৯৭
হস্তান্তরিত শেয়ারের সংখ্যা ১০,০০,০০০ টি
প্রতিটি শেয়ারের হস্তান্তর মূল্য ৩০/-
হস্তান্তরিত শেয়ারের মোট হস্তান্তর মূল্য ৩,০০,০০,০০০/-
হস্তান্তরিত শেয়ারের প্রকৃত অর্জন মূল্য (৪÷৩) ৬৯,৯৭০/-
শেয়ার স্থানান্তর থেকে অর্জিত মুনাফা (৬-৭) ২,৯৯,৩০,০৩০/-
53N ধারার বিধান অনুযায়ী উৎসে কর সংগ্রহের হার ১৫%
১০ উৎসে সংগ্রহযোগ্য করের পরিমাণ ৪৪,৮৯,৫০৪/-

উদাহরণ-৫ঃ

সুরমা সিকিউরিটিজ লিঃ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সদস্য হিসেবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৪২,৮৭,৩৩০ টি শেয়ার এবং একটি Trading Right Entitlement Certificate (TREC) বিনা মূল্যে প্রাপ্ত হয়।

উক্ত কোম্পানী ৩০/০৬/২০১৩ ইং তারিখের Balance Sheet এ সম্পদ হিসেবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ অর্জনের প্রকৃত মূল্য ২৮,০০,০০,০০০/- টাকা প্রদর্শন করে। অর্থাৎ উক্ত কোম্পানী তার Balance Sheet এ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর সদস্যপদের মূল্য বাজার দরে পুনঃমূল্যায়ন করেনি। এপ্রিল ২০১৫ তে উক্ত কোম্পানী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ এর ১০ লক্ষ শেয়ার প্রতিটি ৭০ টাকা মূল্যে হস্তান্তর করলে আয়কর
অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 53N ধারার বিধান অনুসারে নিম্নরূপে উৎসে কর সংগ্রহ করতে হবেঃ-

ক্রমিক
নং

বিবরণ

চট্টগ্রাম স্টক
এক্সচেঞ্জ

সদস্যপদের প্রকৃত অর্জন মূল্য

২৮,০০,০০,০০০/-

ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ হতে প্রাপ্ত শেয়ার সংখ্যা

৪২,৮৭,৩৩০ টি

প্রতিটি শেয়ারের অর্জন মূল্য (১÷২)

৬৭.১৭৪৬৮

হস্তান্তরিত শেয়ারের সংখ্যা

১০,০০,০০০ টি

প্রতিটি শেয়ারের হস্তান্তর মূল্য

৭০/-

হস্তান্তরিত শেয়ারের মোট হস্তান্তর মূল্য

৭,০০,০০,০০০ /-

হস্তান্তরিত শেয়ারের প্রকৃত অর্জন মূল্য (৪÷৩)

৬,৭১,৭৪,৬৮০/-

শেয়ার হস্তান্তর থেকে অর্জিত মুনাফা (৬-৭)

২৮,২৫,৩২০ /-

53N ধারার বিধান অনুযায়ী উৎসে কর সংগ্রহের হার

১৫%

১০

উৎসে সংগ্রহযোগ্য করের পরিমাণ

৪,২৩,৭৯৮/-

৩২। শেয়ার বাজারের মুনাফার উপর উৎসে কর আরোপ সংক্রান্ত ধারা 53O সন্নিবেশঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে কোম্পানী ও ফার্ম শ্রেণীর করদাতা কর্তৃক শেয়ার বাজার থেকে অর্জিত মুনাফার উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত একটি নতুন ধারা 53O সংযোজন করা হয়েছে। উক্ত ধারার বিধান মোতাবেক কোম্পানী/ফার্ম শ্রেণীর করদাতা কর্তৃক ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর শেয়ার লেনদেন থেকে অর্জিত মুনাফার উপর ১০% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।

বিনিয়োগকারীদের হিসাব সংরক্ষক বা তত্ত্বাবধানকারী (custodian) ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা Trading Right Entitlement Certificate (TREC) হোল্ডার সংশ্লিষ্ট কোম্পানী বা ফার্মের শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত মুনাফার উপর ১০% হারে কর পরিগণনা করে উৎসে কর আদায় করবে। উৎসে কর্তিত এ কর সংশ্লিষ্ট কোম্পানী বা ফার্মের শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত মুনাফার উপর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রতিটি আর্থিক বছরের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্ত বর্ষের জন্য কোম্পানী বা ফার্মের বেনিফিশিয়ারী ওনার্স একাউন্ট (বি.ও. একাউন্ট) পরিচালনাকারী TREC হোল্ডার, ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে উক্ত বি.ও. একাউন্টে শেয়ার ক্রয়বিক্রে য়র মাধ্যমে যে পরিমাণ নীট মুনাফা অর্জিত (net realized gain) হবে, তার উপর ১০% হারে কর কর্তন করে যথানিয়মে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করতঃ, সংশ্লিষ্ট বি.ও. একাউন্ট-এর হিসাবে ডেবিট করতে হবে। Net realized gain হিসাব করার সময় উক্ত বি.ও. হিসাবে সংশ্লিষ্ট বছরে ডেবিটকৃত কমিশন, ফিস, ঋণের আনুপাতিক সুদ বা চার্জ ইত্যাদি খরচ মোট অর্জিত মুনাফা থেকে বাদ দিতে হবে। তবে unrealized gain করযোগ্য আয় নয় এবং এর উপর কোন উৎসে কর কর্তন করতে হবে না।

কোন কোম্পানী বা ফার্মের বি.ও. হিসাবে পর্যাপ্ত ক্রেডিট ব্যালেন্স না থাকলেও সংশ্লিষ্ট TREC হোল্ডার, ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে উৎসে কর কর্তন করে সংশ্লিষ্ট বি.ও. একাউন্টে ডেবিটকরতঃ যথাসময়ে সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হবে।

কর নির্ধারণ পর্যায়ে কোম্পানী বা ফার্ম কর্তৃক শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত মুনাফা খাতে ধারা 82C(4) অনুসারে আয় পরিগণনার সময় অর্জিত মুনাফার উপর কর্তিত করের আনুপাতিক অংশই করদাতার এ খাতে আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত মুনাফার পরিমাণ সুনির্দিষ্ট বিধায় প্রকৃত মুনাফার পরিমাণ এবং এ খাতে ধারা 82C(4) অনুসারে নিরূপিত আনুপাতিক আয় এর পার্থক্যের উপর ধারা 82C(6) এর বিধান প্রযোজ্য হবে না এবং করদাতাকে উক্ত পার্থক্যের জন্য কোন অতিরিক্ত কর পরিশোধ করতে হবে না।

করদাতা কোম্পানী বা ফার্মের শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত মুনাফার উপর উৎসে কর্তিত এ কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য হবে। উৎসে কর কর্তনের এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে এবং ৮২সি ধারায় চূড়ান্ত করদায় সংক্রান্ত বিধান ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

উদাহরণ-১ঃ

XYZ লিঃ সুরমা সিকিউরিটিজ লিঃ এর একটি বি.ও. হিসাব পরিচালনার মাধ্যমে শেয়ার বা সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বিভিন্ন শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে XYZ লিঃ ২৫,০০,০০০/- টাকা মুনাফা অর্জন করে। সুরমা সিকিউরিটিজ লিঃ উক্ত অর্থ বছরে ঋণের সুদ বাবদ ২,০০,০০০/- টাকা এবং বিভিন্ন ফিস/কমিশন ও চার্জ বাবদ ২০,০০০/- টাকা, XYZ লিঃ এর বি.ও. একাউন্টে চার্জ করে। ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে উৎসে কর কর্তনের পূর্বে XYZ লিঃ এর বি.ও. একাউন্টের ডেবিট ব্যালেন্স অর্থাৎ সুরমা সিকিউরিটিজ লিঃ এর নিকট XYZ লিঃ এর দেনার পরিমাণ ছিল ৫,০০,০০,০০০/- টাকা।

এক্ষেত্রে সুরমা সিকিউরিটিজ লিঃ XYZ লিঃ এর নীট অর্জিত মুনাফা [২৫,০০,০০০ - (২,০০,০০০+২০,০০০)] = ২২,৮০,০০০/- টাকার উপর ১০% হারে ২,২৮,০০০/- টাকা উৎসে কর কর্তন করে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করবে এবং উক্ত কর্তিত কর XYZ লিঃ এর বি.ও. হিসাবে ডেবিট করবে। ফলে XYZ লিঃ এর সুরমা সিকিউরিটিজ এর নিকট দেনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে (৫,০০,০০,০০০+২,২৮,০০০) = ৫,০২,২৮,০০০/- টাকা হবে। অর্থাৎ কোন অর্থ বছরে কোম্পানী বা ফার্ম করদাতার শেয়ার লেনদেন থেকে নীট মুনাফা অর্জিত হলে, উক্ত কোম্পানী বা ফার্ম এর বি.ও. একাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলে অথবা ঋণাত্বক ব্যালেন্স থাকলেও উক্ত কোম্পানী বা ফার্মের নীট অর্জিত মুনাফার উপর কর কর্তন করে সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হবে।

৩৩। নগদ লভ্যাংশ আয়ের উপর কর কর্তন সংক্রান্ত ধারা 54 সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে ব্যক্তি করদাতাগণের নগদ লভ্যাংশ আয়ের উপর আয়কর কর্তন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 54 এর বিধান সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুসারে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীগণ ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল করলে নগদ লভ্যাংশ আয়ের উপর ১০% হারে আয়কর কর্তন করতে হবে। যে সকল ব্যক্তি বিনিয়োগকারীগণ ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল করতে ব্যর্থ হবেন তাঁদের ক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ আয়ের উপর ১৫% হারে আয়কর কর্তন করতে হবে। ব্যক্তি বিনিয়োগকারীগণ যে সকল TREC হোল্ডার, ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইঙ হিসাব পরিচালনা করেন, সে সকল প্রতিষ্ঠানের নিকট ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল করবেন এবং ইঙ হিসাব পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান উক্ত ইঙ হিসাবে টিআইএন এর তথ্য হালনাগাদ করে সংরক্ষণ করবেন, যার ভিত্তিতে প্রযোজ্য কর হার প্রয়োগ করে নগদ লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানীসমূহকে লভ্যাংশ হতে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

৩৪। দাখিলকৃত রিটার্ন অনুসারে প্রদেয় করের পরিমাণ সংক্রান্ত ধারা 74 সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে দাখিলকৃত রিটার্ন অনুসারে প্রদেয় করের পরিমাণ সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 74 এর বিধান সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুসারে রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের উপর প্রদেয় করের পরিমাণ অথবা ১৬সিসিসি ধারা অনুসারে প্রদেয় ন্যূনতম কর, এ দুটির মধ্যে যেটি বেশি, সেটিই হবে ৭৪ ধারা অনুসারে প্রদেয় কর। উক্ত প্রদেয় কর হতে অগ্রিম পরিশোধিত কর, উৎসে পরিশোধিত কর এবং পূর্ববর্তী বছরের ফেরতযোগ্য কর (যদি থাকে) সমন্বয় করে অবশিষ্ট কর রিটার্ন দাখিলের পূর্বেই করদাতাকে পরিশোধ করতে হবে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৩৫। আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ধারা 75 সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 75 ধারায় বর্ণিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত বিধানের সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছেঃ

  • করদাতার বাসায় কেবল একটি টেলিফোন থাকলে;
  • করদাতা ১৬০০ বর্গফুটের অধিক আয়তন বিশিষ্ট একটি বহুতলা দালানের মালিক হলে;
  • করদাতার একটি TIN থাকলে;
  • করদাতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচনের একজন পদপ্রার্থী হলে;

উপরোক্ত চারটি শ্রেণীর করদাতাগণের কর বছরে কোন করযোগ্য আয় না থাকলে অথবা পূর্ববর্তী তিন কর বছরে করযোগ্য আয় না থাকলে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে ৭৫ ধারায় বর্ণিত অন্যান্য ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা বহাল রয়েছে। তবে কোন করদাতা ইচ্ছা করলে করযোগ্য আয় না থাকলেও রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৩৬। সঠিক রিটার্নের ভিত্তিতে কর নির্ধারণ সংক্রান্ত ধারা 82 সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে উক্ত ধারায় নতুন Clause (d) সংযোজন করে এরূপ বিধান করা হয়েছে যে, কোন রিটার্নে ১২ ডিজিটের টিআইএন উল্লেখ করা না হলে উক্ত রিটার্নকে সঠিক রিটার্ন হিসেবে গণ্য করে ৮২ ধারায় কর নির্ধারণ করা যাবে না।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৩৭। সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে ২০% আয় বৃদ্ধি করে আয়কর রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত ধারা 82BB সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 82BB উপধারা (২) প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে 82BB ধারায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত বিধান করা হয়েছে। এছাড়া ধারা 82BB তে একটি প্রোভাইসো সংযোজনের মাধ্যমে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ন নিরীক্ষার ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট বছরের পূর্ববর্তী বছরের নিরূপিত আয় অথবা যে ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বছরের আয় নিরূপিত হয়নি সেক্ষেত্রে রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের ২০% আয় বৃদ্ধি করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে এবং নিম্নলিখিত শর্তসমূহ পূরণ করলে কর বিভাগ কর্তৃক উক্ত রিটার্ন অডিট না করার বিধান করা হয়েছে।

পালনীয় শর্তসমূহঃ

ক) রিটার্নে করমুক্ত আয় প্রদর্শন করলে করমুক্ত আয়ের সমর্থনে যাচাইযোগ্য দালিলিক প্রমাণাদি রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে।

খ) যে কোন উৎস থেকে ৫ লক্ষ টাকার অধিক ঋণ গ্রহণ প্রদর্শন করা হলে দাখিলকৃত রিটার্নের সাথে গৃহীত ঋণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিবরণী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হবে।

গ) রিটার্নে কোনরূপ দান গ্রহণ প্রদর্শন করা যাবে না।

ঘ) আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 44 ধারা অনুযায়ী জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রযোজ্য হয় এরূপ আয় প্রদর্শন করা যাবে না।

ঙ) রিটার্নে ফেরতযোগ্য কর দেখানো যাবে না বা রিটার্নের ভিত্তিতে ফেরতযোগ্য কর সৃষ্টি হতে পারবে না।

উলিস্নখিত শর্তসমূহ ছাড়াও 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে অবশ্যই উক্ত ধারার মে․লিক শর্তাবলী পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ দাখিলকৃত রিটার্নটি অবশ্যই সঠিক ও সম্পূর্ণ (correct & complete) হতে হবে, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 75(2) অথবা 75(3) ধারায় বর্ণিত নির্ধারিত সময় বা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে দাখিল করতে হবে এবং রিটার্ন দাখিলের পূর্বে ৭৪ ধারায় প্রদেয় সমুদয় কর পরিশোধ করতে হবে।

উদাহরণ-১ঃ

করদাতা জনাব ইকবাল হোসেন ২০১৪-১৫ কর বছরে ১০ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় সারচার্জসহ প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৬ শত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। ৩০ জুন, ২০১৩ তারিখে তিনি ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করেন। তিনি ২০১৪-১৫ কর বছরের আয়কর রিটার্নে IT-10B ফরম এর ক্রমিক নং- ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ এবং ১৮ তে কোন তথ্যাদি প্রদান করেননি। অর্থাৎ করদাতা ২০১৩-১৪ আয় বছরের খরচের হিসাব, সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ এবং সম্পদ বৃদ্ধির ব্যাখ্যা প্রদর্শন করেননি।

এক্ষেত্রে করদাতা জনাব ইকবাল বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করে রিটার্ন দাখিল করলেও ২০১৪-১৫ কর বছরের দাখিলকৃত রিটার্নটিকে complete রিটার্ন বলে গণ্য করা যাবে না। ফলে করদাতা তাঁর রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-২ঃ

করদাতা জনাব বদিউল আলম ২০১৪-১৫ কর বছরে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। ৩০ জুন, ২০১৩ তারিখে তিনি ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করেন। ২০১৪-১৫ কর বছরের আয়কর রিটার্নে ওঞ-১০ইই ফর্‌ম এ ২০১৩-১৪ আয় বছরের যাবতীয় খরচ বাবদ মোট ১০ লক্ষ টাকা প্রদর্শন করেন এবং তা ওঞ-১০ই ফর্‌ম এর ক্রমিক নং- ১৫ তে উল্লেখ করেন। তিনি ৩০ জুন, ২০১৪ তারিখের ওঞ-১০ই ফরম এর ক্রমিক নং- ১৮ তে ১০ লক্ষ টাকা পার্থক্য প্রদর্শন করেন। অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০১৪ তারিখে করদাতা জনাব বদিউল আলমের সম্পদ বৃদ্ধি ও খরচের পরিমাণ ২০১৩-১৪ আয় বছরের আয়ের উৎসের তুলনায় ১০ লক্ষ টাকা বেশি।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব বদিউল আলম বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করে রিটার্ন দাখিল করলেও ২০১৪-১৫ কর বছরের দাখিলকৃত রিটার্নটিকে সঠিক রিটার্ন বলে গণ্য করা যাবে না এবং করদাতা তাঁর রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না। কারণ এক্ষেত্রে করদাতার সম্পদ বৃদ্ধি ও খরচের পরিমাণ তাঁর আয়ের পরিমাণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সুতরাং এ রিটার্নটিকে সাধারণ পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ন বলে অভিহিত করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ৮৩(২) অথবা ৮৪ ধারায় কর নির্ধারণ করা যাবে।

উদাহরণ-৩ঃ

করদাতা জনাব রুহুল আমিন ২০১৪-১৫ কর বছরে ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।

এক্ষেত্রে করদাতা জনাব রুহুল আমিন বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করেননি বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৪ঃ

করদাতা জনাব জসীমুদ্দিন আহম্মেদ ২০১৪-১৫ কর বছরে ১০ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় সারচার্জসহ প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৬ শত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে বিদেশে অর্জিত আয় হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা করমুক্ত আয় প্রদর্শন করেন কিন্তু উক্ত আয়ের স্বপক্ষে কোনরূপ দালিলিক প্রমাণাদি দাখিল করেন নাই। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।

এক্ষেত্রে করদাতা জনাব জসীমুদ্দিন আহম্মেদ বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকবে না, কারণ তিনি রিটার্নের সাথে করমুক্ত আয়ের স্বপক্ষে যাচাইযোগ্য প্রমাণাদি দাখিল করেননি।

উদাহরণ-৫ঃ

করদাতা মোসাঃ শামীমা পারভীন ২০১৪-১৫ কর বছরে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে তাঁর স্বামীর নিকট থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দান প্রাপ্তি প্রদর্শন করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১১ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।

এক্ষেত্রে করদাতা জনাবা শামীমা পারভীন বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বছরে দান প্রাপ্তি প্রদর্শন করেন বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৬ঃ

করদাতা সেহেলা সিদ্দিকা ২০১৪-১৫ কর বছরে ১০ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় সারচার্জসহ প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ৪ হাজার ৫ শত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে তাঁর মামার নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ প্রদর্শন করেন কিন্তু ঋণ গ্রহণের সমর্থনে তাঁর ব্যাংক বিবরণী দাখিল করেননি। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।

এক্ষেত্রে করদাতা সেহেলা সিদ্দিকা বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বর্ষে ঋণ গ্রহণের সমর্থনে ব্যাংক বিবরণী দাখিল করেননি বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৭ঃ

করদাতা জনাব রবিউল আওয়াল ২০১৪-১৫ কর বছরে ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১৬ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। তিনি উক্ত রিটার্নে মৎস্য চাষ খাতে ৫ লক্ষ টাকা আয় প্রদর্শন করেন।

এক্ষেত্রে করদাতা জনাব রবিউল আওয়াল বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বছরে হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রযোজ্য হয় এরূপ মৎস্য চাষ খাতে আয় প্রদর্শন করেছেন বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৮ঃ

করদাতা জনাব শামীম আল মামুন ২০১৪-১৫ কর বছরে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে উৎসে কর পরিশোধ বাবদ ৫০ হাজার টাকা, অগ্রিম আয়কর পরিশোধ বাবদ ১ লক্ষ টাকা এবং বিগত কর বছরের ফেরত যোগ্য কর বাবদ ৭৫ হাজার টাকা সর্বমোট ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা কর পরিশোধ দাবি করে উক্ত রিটার্নে ৩৫ হাজার টাকা ফেরতযোগ্য কর প্রদর্শন করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১১ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায়
রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।

এক্ষেত্রে করদাতা জনাব শামীম আল মামুন বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বর্ষের রিটার্নে ফেরতযোগ্য কর প্রদর্শন করেছেন বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৩৮। চূড়ান্ত করদায় সংক্রান্ত ধারা 82C সংশোধনঃ

ক) চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য হবে না এমন কয়েকটি নতুন খাতঃ

82C ধারার clause (a) এবং উক্ত ধারার প্রোভাইসোটি সংশোধন করে-

অ) লোকাল এলসি’র মাধ্যমে মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে কর্তিত করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য না করার বিধান করা হয়েছে। ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে এখাতে উৎসে কর্তিত কর ২০১৫-১৬ করবর্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর বছরের প্রদেয় করের বিপরীতে সমন্বয় করতে হবে। তবে এ খাতে ২০১৩-১৪ আয় বছরে পূর্বের বিধান অনুসারে উৎসে কর কর্তন করা হলে ২০১৪-১৫ কর বছরের জন্য পূর্বের বিধান বলবৎ থাকবে অর্থাৎ উৎসে কর্তিত কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হবে।

আ) তৈল বিপণনকারী কোম্পানী এবং উক্ত কোম্পানীসমূহের এজেন্ট বা ডিলার কর্তৃক তৈল সরবরাহ হতে উৎসে কর্তিত করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য না করার বিধান করা হয়েছে। ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে এখাতে উৎসে কর্তিত কর ২০১৫-১৬ করবছর থেকে সংশ্লিষ্ট কর বছরের প্রদেয় করের বিপরীতে সমন্বয় করতে হবে।

ই) oil refinary কোম্পানীসমূহ কর্তৃক তৈল সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর্তিত করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য না করার বিধান করা হয়েছে। ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে এখাতে উৎসে কর্তিত কর ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে সংশ্লিষ্ট কর বছরের প্রদেয় করের বিপরীতে সমন্বয় করতে হবে।

ঈ) গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী কর্তৃক গ্যাস সরবরাহ হতে উৎসে কর্তিত করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য না করার বিধান করা হয়েছে। ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে এখাতে উৎসে কর্তিত কর ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে সংশ্লিষ্ট কর বছরের প্রদেয় করের বিপরীতে সমন্বয় করতে হবে। তবে এ খাতে ২০১৩-১৪ আয় বছরে পূর্বের বিধান অনুসারে উৎসে কর কর্তন করা হলে ২০১৪-১৫ কর বছরের জন্য পূর্বের বিধান বলবৎ থাকবে অর্থাৎ উৎসে কর্তিত কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হবে।

খ) চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য হবে এমন কয়েকটি নতুন খাতঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 82C তে তিনটি নতুন ক্লজ (eee), (ss) এবং (sss) সন্নিবেশ করে নিম্নোক্ত খাতে উৎসে কর্তিত করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করার বিধান করা হয়েছেঃ

অ) ১ জুলাই, ২০১৪ অথবা তার পর ক্রয়কৃত পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে ৫ লক্ষ টাকার অধিক বিনিয়োগের সুদ আয় হতে উৎসে কর্তিত কর ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য হবে। তবে এ দু’টি খাতে সুদ আয় নিরূপণের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 82C(6) ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।

আ) 53N ধারা অনুসারে ১ জুলাই, ২০১৪ অথবা তার পর স্টক এক্সচেঞ্জ এর শেয়ার বিক্রয় থেকে অর্জিত মুনাফার উপর কর্তিত কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য হবে। তবে এ খাতে আয় নিরূপণের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 82C(6) ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।

ই) 53O ধারা অনুসারে ১ জুলাই, ২০১৪ অথবা তার পর কোম্পানী বা ফার্ম শ্রেণীর করদাতার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হতে অর্জিত মুনাফার উপর উৎসে কর্তিত কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য হবে। তবে এ খাতে আয় নিরূপণের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 82C(6) ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না। ৮২সি ধারায় চূড়ান্ত করদায় সংক্রান্ত এ বিধান ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৩৯। আন্তর্জাতিক লেনদেনের (international transaction) বিবরণী দাখিল সংক্রান্ত ধারা 107EE সন্নিবেশঃ

যে কোন করদাতা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে আন্তর্জাতিক লেনদেন করলে উক্ত লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত নির্ধারিত ছকে একটি বিবরণী আয়কর রিটার্নের সাথে দাখিল করার বিধান করে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে নতুন ধারা 107EE সন্নিবেশ করা হয়েছে। উক্ত বিবরণীর সুনির্দিষ্ট ছক সম্বলিত নতুন বিধি 75A আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে সংযোজন করা হয়েছে।

তাছাড়া, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর  Chatper XIA তে বর্ণিত Transfer Pricing সংক্রান্ত বিধি-বিধানসমূহ ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর করে এস.আর.ও নং-১৬১- আইন/আয়কর/২০১৪ তারিখঃ ২৬ জুন, ২০১৪ জারী করা হয়েছে।

যেহেতু Transfer Pricing সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ঈযধঃঢ়বৎ ঢওঅ তে বর্ণিত বিধি-বিধানসমূহ ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে সেহেতু ধারা 107EE এবং বিধি-75A তে বর্ণিত আন্তর্জাতিক লেনদেনের বিবরণী দাখিল সংক্রান্ত বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে অর্থাৎ ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৪০। কর ফাঁকির ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত ধারা 128 সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ১২৮ ধারা সংশোধন করে ফাঁকিকৃত করের উপর বার্ষিক ১০% এর পরিবর্তে বার্ষিক ১৫% হারে জরিমানা আরোপ করার বিধান করা হয়েছে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৪১। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী সঠিক না হলে জরিমানা আরোপের বিধান সংক্রান্ত ধারা 129A সন্নিবেশঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে নতুন ধারা 129A এর সন্নিবেশ করে ভুল বা মিথ্যা নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য জরিমানা আরোপের বিধান করা হয়েছে।

এ বিধান অনুযায়ী কোম্পানী পর্যায়ের করদাতাদের হিসাব নিরীক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একাউন্টিং ষ্ট্যান্ডার্ড (BAS) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (BFRS) যথাযথভাবে অনুসরণ করে কোম্পানীর হিসাবের খাতাপত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করা হয়েছে মর্মে চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট বা চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট ফার্ম কর্তৃক প্রত্যয়ন না করলে অথবা উপকর কমিশনার, আপীলাত যুগ্ম/অতিরিক্ত কর কমিশনার, আপীলাত কর কমিশনার বা আপীলাত ট্রাইবুনাল যদি যে․ক্তিকভাবে সন্দেহের ঊর্ধ্বে সন্তুষ্ট হন যে, নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী মিথ্যা বা ভুল, তাহলে সংশ্লিষ্ট
উপকর কমিশনার, যুগ্ম/অতিরিক্ত কর কমিশনার, আপীলাত কর কমিশনার, অথবা আপীলাত ট্রাইবুনাল সংশ্লিষ্ট চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট বা চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট ফার্মকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করবেন। উপকর কমিশনার, যুগ্ম কর কমিশনার এবং অতিরিক্ত কর কমিশনার কর্তৃক উক্ত ধারার জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর কমিশনারের অনুমোদন গ্রহণ করতে
হবে।

এ বিধান ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৪২। টিআইএন এর যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে করদাতার তথ্য সরবরাহ সংক্রান্ত ধারা 163 সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 163 সংশোধন করে একটি নতুন clause (s) সংযোজন করা হয়েছে। এ বিধানের পরিপ্রেক্ষিতে আয়কর কর্তৃপক্ষ করদাতার টিআইএন সনদে যে সকল তথ্য সন্নিবেশিত হয় সে সকল তথ্য 184A ধারার বিধান অনুযায়ী টিআইএন এর যথার্থতা পরীক্ষাকারী কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে পারবে।

১ জুলাই, ২০১৪ থেকে এ বিধান কার্যকর হবে।

৪৩। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 173 সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 173 সংশোধন করতঃ উক্ত ধারার উপধারা (৫) এ বর্ণিত 121 এর পরিবর্তে 121A প্রতিস্থাপন করে ধারা 121A এবং ধারা 173 এর মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দূর করা হয়েছে।

৪৪। ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিলের বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ধারা 184A প্রতিস্থাপনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 184A ধারা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যমান বিধান অনুসারে ২৫টি ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট টিআইএন সনদ দাখিলের ক্ষেত্রে ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল করার বিধান করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিস্থাপিত ধারা 184A তে নিম্নরূপ সংশোধনী আনা হয়েছেঃ-

অ) জেলা সদরের পে․রসভার অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় জমি বা স্থাপনা রেজিস্ট্রেশনের সময় জমি বা স্থাপনার ক্রেতাকে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল করতে হবে। তবে জমির ক্রেতা অনিবাসী বাংলাদেশী হলে এক্ষেত্রে টিআইএন সনদ দাখিল করতে হবে না;

আ) যে কোন শেয়ারহোল্ডারের সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিলের বিধান করা হয়েছে;

ই) ইট ভাটার মালিকগণকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে অনুমতিপত্র সংগ্রহের সময় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণের সময় সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের দপ্তরের আয়কর পরিশোধ সনদপত্র (Tax Clearence Certificate) দাখিলের বিধান করা হয়েছে;

ঈ) উপজেলা, পে․রসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিলের বিধান করা হয়েছে; এবং

উ) যে সকল কর্তৃপক্ষের নিকট টিআইএন সনদ দাখিল করা বাধ্যতামূলক সে সকল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আবশ্যিকভাবে টিআইএন এর যথার্থতা যাচাই সংক্রান্ত বিধান করা হয়েছে। টিআইএন সনদ দাখিল সংক্রান্ত 184A ধারার অন্যান্য বিধান পূর্বের ন্যায় বহাল রয়েছে।

১ জুলাই, ২০১৪ থেকে এ বিধান কার্যকর হবে।

৪৫। কর প্রদানকারী সনাক্ত নম্বর (TIN) সংক্রান্ত ধারা 184B সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 184B এর উপধারা (১) এর প্রতিস্থাপন, উপধারা (২) এর সংশোধন এবং নতুন উপধারা (৩) সংযোজন করে ১২ ডিজিটের টিআইএন সংক্রান্ত নিম্নরূপ বিধান করা হয়েছেঃ-

ক) করদাতাগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২ ডিজিটের টিআইএন ইস্যু করা হবে। কোন করদাতা ১২ ডিজিটের টিআইএন এর জন্য আবেদন না করলেও যদি আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে করদাতার প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে তবে আয়কর কর্তৃপক্ষ উক্ত করদাতার নামে ১২ ডিজিটের টিআইএন ইস্যু করতে পারবে;

খ) যে সকল করদাতার টিআইএন বিদ্যমান রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ আদেশ জারী করে রি-রেজিস্ট্রেশনের জন্য করদাতার প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করে ১২ ডিজিটের টিআইএন ইস্যু করতে পারবে; এবং

গ) পুরাতন ১০ ডিজিটের টিআইএন ধারীদের রিটার্ন দাখিলের পূর্বে ১২ ডিজিটের টিআইএন সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

৪৬। করদাতাগণ কর্তৃক ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে ঝুলানোর বিধান [ধারা 184C]ঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 184C সংশোধন করে যে সকল করদাতার ব্যবসা বা পেশা খাতে আয় রয়েছে তাদেরকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ ঝুলানোর বিধান করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

৪৭। বোর্ড এবং এর অধিনস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পুরস্কার সংক্রান্ত ধারা 184D সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 184D ধারায় সংশোধনী এনে কর ফাঁকি উদঘাটন ও তা আদায়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান ছাড়াও রাজস্ব সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানকে পুরস্কারের আওতায় আনা হয়েছে। 184D ধারার আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কোন্‌ কোন্‌ ক্ষেত্রে, কি উপায়ে এবং কি পরিমাণ পুরস্কার প্রদান করবে সে বিষয়ে একটি বিধি জারী করবে।

৪৮। ১২ ডিজিটের টিআইএন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এবং আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর অন্যান্য সংশোধনীঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এবং আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে ১২ ডিজিটের টিআইএন সংক্রান্ত নিম্নোক্ত সংশোধনী আনা হয়েছেঃ-

ক) আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 52A এর উপধারা (3) এর clause (a) এবং clause (b) তে “Taxpayer’s Identification Number” শব্দগুলির পরিবর্তে “twelve-digit Taxpayer’s Identification Number” প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ফলে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল না করলে পেশাগত বা কারিগরি সেবা প্রদানের উপর ১৫% হারে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে।

খ) আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪এর ধারা 53F এর উপধারা (1) এর clause (a) এবং clause (b) তে “Taxpayer’s Identification Number” শব্দগুলির পরিবর্তে “twelve-digit Taxpayer’s Identification Number” প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ফলে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল না করলে ব্যাংক সুদের উপর ১৫% হারে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে।

গ) আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪এর  ধারা184AA তে “taxpayer’s identification number” শব্দগুলির পরিবর্তে “twelve-digit Taxpayer’s Identification Number” প্রতিস্থাপন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অফিসিয়াল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণীর দলিলপত্রাদীতে ১২ ডিজিটের টিআইএন উল্লেখ করার জন্য বিধান করতে পারবে।

ঘ) আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি 24 এর উপবিধি (2) এ TIN শব্দসংক্ষেপের পর “(12 digit)” সংযোজন করা হয়েছে। ফলে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৭৬ এর বিধান অনুসারে রিটার্নের পরিবর্তে সার্টিফিকেট দাখিলের ক্ষেত্রে উক্ত সার্টিফিকেটে আবশ্যিকভাবে ১২ ডিজিটের টিআইএন উল্লেখ করতে হবে।

৪৯। অবচয় ভাতা অনুমোদন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৩য় তফসিল সংশোধনঃ

ক) অফিস ইক্যুইপমেন্ট এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিশেষ ধরনের স্থায়ী সম্পদের অবচয় ভাতা অনুমোদনঃ

যে কোন ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত অফিস ইক্যুইপমেন্ট এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কতিপয় বিশেষ ধরণের স্থায়ী সম্পদের অবচয় ভাতা নিম্নবর্ণিত হারে প্রদান করে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৩য় তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছেঃ-

Office equipment -10%

Pavement runway, Taxiway – 2.5%

Apron, Termac – 2.5%

Boarding Bridge – 10%

Communication, Navigation aid and others equipments – 5%

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

খ) ত্বরায়িত অবচয় ভাতা (accelarated depreciation) সংক্রান্ত বিধান পুনঃপ্রবর্তনঃ

১ জুলাই, ২০১৪ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯ তারিখের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও বাণিজ্যিক উৎপাদন আরম্ভকারী কর অবকাশযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রে কর অবকাশ সুবিধার বিকল্প হিসাবে ত্বরায়িত অবচয় (ধপপবষধৎধঃবফ ফবঢ়ৎবপরধঃরড়হ ধষষড়ধিহপব) ভাতা অনুমোদনের বিধান পুনঃপ্রবর্তন করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শর্তাবলী পরিপালন সাপেক্ষে কোম্পানী সমূহ ব্যবসায় ব্যবহৃত পস্নান্ট ও মেশিনারীর জন্য প্রম বছর ৫০% হারে, দ্বিতীয় বছর ৩০% হারে এবং তৃতীয় বছর ২০% হারে ত্বরায়িত অবচয় ভাতা প্রাপ্য হবে।

ত্বরায়িত অবচয় ভাতা প্রাপ্তির শর্তাবলী নিম্নরূপঃ-

– শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশী কোন কোম্পানী বা জাতীয় সংসদের আইন বলে কোন সংস্থার মালিকানায় ও ব্যবস্থাপনাধীন হতে হবে;

– শিল্প প্রতিষ্ঠানটি আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৪৬বি(২) ধারায় নির্দিষ্টকৃত শ্রেণীভুক্ত শিল্প হতে হবে;

– ত্বরায়িত অবচয় ভাতা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করতে হবে;

– বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ছয় মাসের মধ্যে কর অবকাশ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করা হয় নাই মর্মে ঘোষণাপত্র সহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ত্বরায়িত অবচয় ভাতা অনুমোদনের জন্য নির্দিষ্ট ছকে আবেদন করতে হবে;

– ত্বরায়িত অবচয় ভাতা দাবীকৃত শিল্প প্রতিষ্ঠান অন্য কোনরূপ অবচয় ভাতা প্রাপ্য হবে না।

এ বিধান ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

গ) মোবাইল ফোন কোম্পানীসমূহের লাইসেন্স ফি এর এমরটাইজেশন ভাতা অনুমোদন সংক্রান্ত বিধান সংশোধনঃ

মোবাইল ফোন কোম্পানীসমূহের লাইসেন্স ফি এর এমরটাইজেশন ভাতা অনুমোদন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৩য় তফসিলের প্যারাগ্রাফ ১০অ সংশোধন করে মোবাইল ফোন কোম্পানী সমূহ কর্তৃক ১ জুলাই ২০১২ এর পূর্বে বা পরে একাধিক বছরের জন্য পরিশোধিত স্পেকট্রাম এসাইনমেন্ট ফিস, এঝগ লাইসেন্স ফিস, লাইসেন্স একুইজিশন ফিস অথবা লাইসেন্স রিনিউয়াল ফিস এর জন্য পরিশোধিত অর্থ যে মেয়াদের জন্য পরিশোধিত হয়েছে, সে মেয়াদকালের আনুপাতিক হারে খরচ হিসেবে অনুমোদনযোগ্য হবে।

আইনের শর্ত অনুযায়ী ২০১৩-১৪ কর বছর হতে এ বিধান কার্যকর হবে। অর্থাৎ ২০১৩-১৪ কর বছরের পূর্ববর্তী কোন কর বছরের জন্য স্পেকট্রাম এসাইনমেন্ট ফিস, এঝগ লাইসেন্স ফিস, লাইসেন্স একুইজিশন ফিস অথবা লাইসেন্স রিনিউয়াল ফিস এর এমরটাইজেশন বাবদ দাবীকৃত খরচ অনুমোদনযোগ্য হবে না।

উদাহরণঃ

সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেশনের জন্য বাংলাদেশে নিবন্ধিত একটি কোম্পানী ২০ ডিসেম্বর ২০০৫ থেকে ২০ ডিসেম্বর ২০২০ সময়কালের জন্য এঝগ লাইসেন্স ফিস বাবদ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কে ৩৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে। ২০১৩-১৪ কর বছর থেকে লাইসেন্স এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার সংশ্লিষ্ট কর বছর পর্যন্ত উক্ত কোম্পানী ১৫ বছরের জন্য মোট পরিশোধিত ৩৪৪ কোটি টাকার আনুপাতিক অংশ (১৫ ভাগের ১ ভাগ) অর্থাৎ ২২,২৬,৬৬,৬৬৬ টাকা এঝগ লাইসেন্স ফিস এর এমরটাইজেশন বাবদ খরচ হিসেবে দাবী করতে পারবে। ২০১৩- ১৪ কর বছরের পূর্ববর্তী কর বছরের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।

৫০। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট-A এর কতিপয় সংশোধনঃ

ক) এনজিও সমূহের মাইক্রোক্রেডিট অপারেশনের আয়ের উপর কর অব্যাহতি প্রদান সংক্রান্ত বিধান সংশোধনঃ-

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট-A এর প্যারা ১অ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিও সমূহের মাইক্রোক্রেডিট অপারেশন থেকে উদ্ভূত সার্ভিস চার্জকে সম্পূর্ণ করমুক্ত আয় হিসেবে গণ্য করার বিষয়টি সুস্পষ্ট করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত সার্ভিস চার্জ ব্যতীত অন্য সকল আয় পূর্বের ন্যায় করযোগ্য হিসেবে গণ্য করার বিদ্যমান বিধান বহাল থাকবে।

এক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ বলতে আর্থিক চার্জ অথবা সুদ, মুনাফার অংশ, অথবা অন্য কোন নামে অভিহিত অর্থ যা ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচীর আওতায় ঋণগ্রহীতা কর্তৃক এনজিও সমূহকে পরিশোধিত অর্থ বুঝাবে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

খ) ধর্মীয় বা দাতব্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রাপ্ত স্বেচ্ছা অনুদানকে কর অব্যাহতি প্রদান সংক্রান্ত বিধান সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিল পার্ট- অ এর প্যারাগ্রাফ ২ তে সংশোধনী আনা হয়েছে। উক্ত সংশোধনীর মাধ্যমে ধর্মীয় বা দাতব্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত স্বেচ্ছা অনুদানকে সম্পূর্ণ করমুক্ত আয় হিসেবে গণ্য করার বিষয়টি সুস্পষ্ট করা হয়েছে। তবে ধর্মীয় বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য আয় পূর্বের ন্যায় করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য করার বিদ্যমান বিধান বহাল থাকবে।

গ) বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ সংক্রান্ত সংশোধনীঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের Part-A এর প্যারা 4 এবং ২১ সংশোধন “Companies Profits (Workers Participation) Act, 1968 (XII of 1968)” এর পরিবর্তে ুবাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন), Bangladesh Labour Act, 2006 (XLII of 2006)” চ প্রতিস্থাপন করে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর সাথে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর বিদ্যমান অসামঞ্জস্যতা দূর করা হয়েছে।

ঘ) কর মুক্ত নগদ লভ্যাংশ আয়ঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের Part-A, প্যারা 11A সংশোধন করে করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ১০,০০০/- টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০,০০০/- টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

ঙ) কৃষি আয়ের করমুক্ত সীমা বৃদ্ধিঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট- A এর প্যারা 29 সংশোধন করে কৃষি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে ২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তবে করমুক্ত কৃষি আয়ের এ বিধান কেবলমাত্র কৃষিখাতে আয় অর্জনকারী করদাতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ কোন করদাতার কৃষি আয় ব্যতীত অন্য কোন উৎসে আয় থাকলে, তার ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

চ) তথ্য প্রযুক্তি খাতে অর্জিত আয়কে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত কর অব্যাহতি প্রদানঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট- A এর প্যারা 33 সংশোধন করে Software Development অথবা Nationwide Telecommunication Transmission Network (NTTN) এবং Information Technology Enabled Service (ITES) খাতে অর্জিত আয়কে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

ছ) সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স এর কর অব্যাহতি সংক্রান্ত প্যারাগ্রাফ 44 সংশোধনঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট-A এর প্যারাগ্রাফ ৪৪ সংশোধন করে যে সকল সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯ এর মধ্যে বাণিজ্যিক প্রদর্শনী শুরু করবে, সে সকল সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্সের আয়কে নিম্নরূপে কর অব্যাহতি প্রদানের বিধান করা হয়েছেঃ-

অ) ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত) এর ক্ষেত্রেঃ

সময়কাল কর অব্যাহতির হার
প্রম ২ বছর ১০০%
৩য় ও ৪র্থ বছর ৫০%
৫ম বছর ২৫%

আ) রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং তিন পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রেঃ

সময়কাল কর অব্যাহতির হার
প্রথম৩ বছর ১০০%
৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ বছর ৫০%
৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম বছর ২৫%
   

১ জুলাই, ২০১২ থেকে ৩০ জুন, ২০১৪ এর মধ্যে রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং তিন পার্বত্য জেলায় যে সকল সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স
বাণিজ্যিক প্রদর্শনী শুরু করবে, সে সকল সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স পূর্বের বিধান অনুযায়ী ক্রমহ্রাসমান হারে ৭ বছরের জন্য কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হবে। যে সকল সিনেপ্লেক্স বা সিনেমা হল ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯ এর মধ্যে উলিস্নখিত এলাকায় বাণিজ্যিক প্রদর্শনী শুরু করবে, সে সকল সিনেপ্লেক্স বা সিনেমা হল নতুন
বিধান অনুসারে ১০ বছরের জন্য উপরোক্ত ছকে বর্ণিত ক্রমহ্রাসমান হারে কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হবে।

জ) Rice bran oil শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর অব্যাহতি সংক্রান্ত প্যারাগ্রাফ ৪৫ সংশোধনীঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট – A এর প্যারাগ্রাফ 45 সংশোধন করে ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯ এর মধ্যে যে সকল rice bran oil শিল্প প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে, সে সকল rice bran oil উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিম্নরূপে কর অব্যাহতি প্রদানের বিধান করা হয়েছেঃ-

অ) ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন এবং তিন পার্বত্য জেলার অধিক্ষেত্রাধীন এলাকাসমূহ ব্যতীত) বাণিজ্যিক উৎপাদন আরম্ভকারী ৎরপব নৎধহ ড়রষ শিল্পের ক্ষেত্রেঃ

সময়কাল কর অব্যাহতির হার
প্রম ২ বছর ১০০%
৩য় ও ৪র্থ বছর ৫০%
৫ম বছর ২৫%

১ জুলাই, ২০১২ থেকে ৩০ জুন, ২০১৪ এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ যে কোন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত rice bran oil শিল্প উপরে বর্ণিত হারে কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হবে, তবে ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯ এর মধ্যে স্থাপিত rice bran oil শিল্প যদি উক্ত দুই বিভাগের সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় তবে কোন কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হবে না।

আ) রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে এবং তিন পার্বত্য জেলায় বাণিজ্যিক উৎপাদন আরম্ভকারী rice bran oil শিল্পের ক্ষেত্রেঃ

সময়কাল কর অব্যাহতির হার
প্রথম ৩ বছর ১০০%
৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ বছর ৫০%
৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম বছর ২৫%

তবে, ১ জুলাই, ২০১২ থেকে ৩০ জুন, ২০১৪ এর মধ্যে যে সকল rice bran oil শিল্প উপরোক্ত এলাকায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে সে সকল rice bran oil শিল্প প্রতিষ্ঠান পূর্বের বিধান অনুযায়ী ৭ বছরের জন্য ক্রমহ্রাসমান হারে কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হবে।

যে সকল rice bran oil শিল্প প্রতিষ্ঠান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯ এর মধ্যে উপরোক্ত এলাকায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে, সে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান উপরোক্ত ছকের বর্ণনা মোতাবেক ক্রমহ্রাসমান হারে ১০ বছরের জন্য কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হবে।

ঝ) বাংলাদেশী নাগরিকগণের বিদেশে উপার্জিত আয়কে কর অব্যাহতি প্রদান সংক্রান্ত নতুন প্যারাগ্রাফ ৪৮ সন্নিবেশঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট -A তে নতুন অনুদ 48 সন্নিবেশ করে বাংলাদেশের কোন নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশের বাইরে উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা (foreign remittanc আইনানুগ পঙক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশে আনয়ন করলে, উক্ত বাংলাদেশী নাগরিকের বিদেশে উপার্জিত আয়কে সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।

বৈদেশিক আয়ের কর অব্যাহতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি (এস.আর.ও নং ২১৬- আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখ ১৩ জুলাই, ২০০৪) এস.আর.ও নং ১৫৬-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখ ২৬ জুন, ২০১৪ দ্বারা রহিত করা হয়েছে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

ঞ) গার্লস স্কুল বা গার্লস কলেজে প্রদত্ত অনুদানকে সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি প্রদান সংক্রান্ত নতুন প্যারাগ্রাফ ৪৯ সন্নিবেশঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট -A তে নতুন অনুছদ 49 সন্নিবেশ করে কোন করদাতা কর্তৃক, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত, দেশের কোন গার্লস স্কুল বা গার্লস কলেজকে, ব্যাংকের ক্রস চেকের মাধ্যমে প্রদত্ত যে কোন পরিমাণ অনুদান প্রদানকে সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ বা তৎপরবর্তী সময়ে প্রদত্ত অনুদানের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ২০১৫- ১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

ট) টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে প্রদত্ত অনুদানকে সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি প্রদান সংক্রান্ত নতুন প্যারাগ্রাফ ৫০ সন্নিবেশঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট -A তে নতুন অনুচ্ছেদ ৫০ সন্নিবেশ করে কোন করদাতা কর্তৃক শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কোন কারিগরী ও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানকে (Technical and Vocational Institute ব্যাংকের ক্রস চেকের মাধ্যমে প্রদত্ত যে কোন পরিমাণ অনুদানকে সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ বা তৎপরবর্তী সময়ে প্রদত্ত অনুদানের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ২০১৫- ১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

ঠ) জাতীয় পর্যায়ের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত অনুদানকে সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি প্রদান সংক্রান্ত নতুন প্যারাগ্রাফ 51 সন্নিবেশঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট -A তে নতুন অনুচ্ছেদ 51 সন্নিবেশ করে কোন করদাতা কর্তৃক কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্প উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের ইনস্টিটিউটকে ব্যাংকের ক্রস চেকের মাধ্যমে প্রদত্ত যে কোন পরিমাণ অনুদানকে সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ বা তৎপরবর্তী সময়ে প্রদত্ত অনুদানের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ২০১৫- ১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৫১। কর অব্যাহতি সংক্রান্ত কতিপয় প্রজ্ঞাপনঃ

ক) কতিপয় প্রজ্ঞাপন বাতিলঃ-

এস.আর.ও নং- ১৫৬-আইন/আয়কর/২০১৪, তাং-২৬/০৬/২০১৪ অনুসারে (পরিশিষ্ট-১) নিম্নোক্ত প্রজ্ঞাপন সমূহ রহিত করা হয়েছে-

  • স্থানীয় কর্তৃপক্ষের করযোগ্য আয়ের উপর হ্রাসকৃত হারে করারোপ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও নং-১৬৯-আইন/২০০১, তাং-২৮শে জুন, ২০০১ প্রত্যাহার করা হয়েছে;
  • এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত নয় এমন এনজিও সমূহের মাইক্রো-ক্রেডিট অপারেশন হতে অর্জিত আয়ের উপর কর অব্যাহতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন নং-২৮৩-আয়কর/২০০২, তারিখ-১৩ অক্টোবর, ২০০২ খ্রীষ্টাব্দ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
  • ফলে এ সকল এনজিও এর ১ জুলাই ২০১৪ তারিখের পর মাইক্রো-ক্রেডিট অপারেশন হতে অর্জিত আয়ের উপর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কর অব্যাহতি প্রযোজ্য হবে না বরং প্রযোজ্য হারে আয়কর প্রদান করতে হবে।
  • বৈদেশিক আয়ের কর অব্যাহতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন নং-২১৬-আইন/আয়কর/২০০৪, তারিখ-১৩ জুলাই, ২০০৪ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
  • শেয়ারবাজার হতে অর্জিত মুনাফার উপর কর সংক্রান্ত এস.আর.ও নং ২৬৯-
    আইন/আয়কর/২০১০, তারিখঃ ১ জুলাই, ২০১০ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

খ) ডিমিউচ্যুয়ালাইজড ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে কর অব্যাহতি প্রদানঃ-

এস.আর.ও নং ১৫৭-আইন/আয়কর/২০১৪, তাং-২৬ জুন, ২০১৪ অনুসারে (পরিশিষ্ট-২) স্টক এক্সচেঞ্জের কর অব্যাহতি সংক্রান্ত এস.আর.ও নং-১০২-আইন/৯৬, তাং-১৮ জুন,
১৯৯৬ রহিত ক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জের আয়কর ক্রমহ্রাসমান হারে নিম্নরূপে কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছেঃ

সময়কাল

কর অব্যাহতির হার

প্রখম বছর ১০০%
২য় বছর ৮০%
৩য় বছর ৬০%
৪র্থ বছর ৪০%
৫ম বছর ২০%

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

গ) কতিপয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের করযোগ্য আয়ের উপর হ্রাসকৃত হারে করারোপঃ

এস,আর,ও নং ১৫৮-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখঃ ২৬ জুন, ২০১৪ এর মাধ্যমে জনসেবা কাজে নিয়োজিত কতিপয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের, যথাঃ ঢাকা ওয়াসা, চট্টগ্রাম ওয়াসা, খুলনা ওয়াসা, রাজশাহী ওয়াসা, বাংলাদেশ হ্নবসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স‟ল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ হ্নটলিভিশন, বাংলাদেশ হ্নবতার, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ- পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BIWTA), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (BRTA), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন হ্নবার্ড, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং হ্নজানস অথরিটি, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজশাহী), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, মূলধনী আয় ব্যতীত সকল আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের হার হ্রাস করে ২৫% করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-৩ এবং ৩এ)।

২০১৪-২০১৫ কর বছর হতে হ্রাসকৃত এ কর হার প্রযোজ্য হবে।

ঘ) ভ্রমণ কর হার নির্ধারণ বিধিমালা, ২০১৪ প্রণয়নঃ

ভ্রমণ করের হার পুনঃনির্ধারণ পূর্বক নতুন বিধিমালা “বিদেশ ভ্রমণ কর হার নির্ধারণ বিধিমালা, ২০১৪” প্রণয়ন করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-৪)। উক্ত বিধিমালা অনুসারে নিম্নবর্ণিত হারে ১ জুলাই ২০১৪ তারিখ থেকে ভ্রমণ কর প্রযোজ্য হবেঃ-

অ) আকাশ পথে প্রযোজ্য ভ্রমণ করঃ

(i) উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও তাইওয়ান এ গমনের ক্ষেত্রে চার হাজার টাকা;

(ii) সার্কভুক্ত কোন দেশে গমনের ক্ষেত্রে এক হাজার দুই শত টাকা; এবং

(iii) দফা (ক) ও (খ) এ উলিখিত দেশসমূহ ব্যতীত অন্য কোন দেশে গমনের ক্ষেত্রে তিন হাজার টাকা।

আ) জলপথে প্রযোজ্য ভ্রমণ করঃ বাংলাদেশ হইতে জলপথে অন্য কোন দেশে গমনের ক্ষেত্রে প্রতি যাত্রীর নিকট হইতে আট শত টাকা হারে ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায়যোগ্য হইবে।

ই) স্থলপথে প্রযোজ্য ভ্রমণ করঃ বাংলাদেশ হইতে স্থলপথে অন্য কোন দেশে গমনের ক্ষেত্রে প্রতি যাত্রীর নিকট হইতে পাঁচ শত টাকা হারে ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায়যোগ্য হইবে। উক্ত বিধিমালা ১ জুলাই ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

ঙ) যানবাহনের জন্য অনুমিত করের হার সংশোধন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সংশোধনঃ বাজেট কার্যক্রম ২০১৪ এর মাধ্যমে ভাড়ায় চালিত যানবাহনের অনুমিত কর সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নিম্নরূপ প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়ঃ

ভাড়ায় চালিত যানবাহনঃ

অ) এস, আর, ও ১৬০-আইন/আয়কর/২০১৪ তারিখঃ ২৬ জুন, ২০১৪ অনুযায়ী (পরিশিষ্ট-৫) বাস, মিনিবাস, কোস্টার, ট্যাক্সি ক্যাব, প্রাইমমুভার, ট্রাক, ট্যাংকলরী, পিক-আপ, হিউম্যান হলার, ম্যাক্সি বা মাল বহনকারী অটোরিক্সা এর মালিককে নিম্নবর্ণিত হারে আয়কর প্রদান করতে হবে:-

i) যানবাহন রেজিষ্ট্রেশনের তারিখ থেকে ১০ বছর অতিক্রান্ত হলে-

যানবাহনের ধরন

করের হার

৫২ সিটের অধিক আসন বিশিষ্ট প্রতিটি বাসের জন্য ১২,০০০
৫২ সিট বা উহার কম আসন বিশিষ্ট প্রতিটি বাসের জন্য ৯,০০০
(অ) তাপানুকূল লাক্সারী বাস প্রতিটির জন্য ৩০,০০০
(আ) দোতলা বাস প্রতিটির জন্য ১২,৫০০
তাপানুকূল মিনিবাস/কোস্টার প্রতিটির জন্য ১২,৫০০
অন্যান্য মিনিবাস ও কোস্টার প্রতিটির জন্য ৫,০০০
কনটেইনার পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইমমুভার প্রতিটির জন্য ১৯,০০০
পাঁচ টনের অধিক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক বা ট্যাংকলরি
প্রতিটির জন্য
১২,৫০০
দেড় টনের বেশী কিন্তু পাঁচ টনের বেশী নহে এইরূপ
ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক বা ট্যাংক-লরী প্রতিটির জন্য
৭,৫০০
দেড় টন বা উহার কম ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক, পিকআপ,
সকল ধরণের হিউম্যান হলার, ম্যাক্সি বা মাল
বহনকারী বা যাত্রী বহনকারী অটোরিক্সা প্রতিটির জন্য
৩,০০০
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি ট্যাক্সি ক্যাবের জন্য ৯,০০০
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এইরূপ প্রতিটি ট্যাক্সি ক্যাবের জন্য ৩,০০০

ii) যানবাহন রেজিষ্ট্রেশনের তারিখ থেকে ১০ বছর অতিক্রান্ত হলে-

যানবাহনের ধরন

করের হার
৫২ সিটের অধিক আসন বিশিষ্ট প্রতিটি বাসের জন্য ৬,৫০০
৫২ সিট বা উহার কম আসন বিশিষ্ট প্রতিটি বাসের জন্য ৪,৫০০
(অ) তাপানুকূল লাক্সারী বাস প্রতিটির জন্য ১৫,০০০
(আ) দোতলা বাস প্রতিটির জন্য ৬,৫০০
তাপানুকূল মিনিবাস/কোস্টার প্রতিটির জন্য ৯,০০০
অন্যান্য মিনিবাস ও কোস্টার প্রতিটির জন্য ২,৫০০
কনটেইনার পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইমমুভার প্রতিটির জন্য ১০,০০০
পাঁচ টনের অধিক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক বা ট্যাংক-লরি প্রতিটির জন্য ৭,৫০০
দেড় টনের বেশী কিন্তু পাঁচ টনের বেশী নহে এইরূপ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক বা ট্যাংক-লরী প্রতিটির জন্য ৪,৫০০
দেড় টন বা উহার কম ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক, পিকআপ,
সকল ধরণের হিউম্যান হলার, ম্যাক্সি বা মাল বহনকারী বা যাত্রী বহনকারী অটোরিক্সা প্রতিটির জন্য
২,৫০০
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি ট্যাক্সি ক্যাবের জন্য ৪,৫০০
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এইরূপ প্রতিটি ট্যাক্সি ক্যাবের জন্য ১,৫০০

আ) এস.আর.ও নং-১৬২-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখঃ ২৬ জুন ২০১৪ (পরিশিষ্ট-৭) অনুসারে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত নৌ-যান এবং মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত কার্গো, কোাের ও ডাম্পবার্জ এর মালিককে নিম্নরূপে আয়কর প্রদান করতে হবেঃ-
i) যানবাহন রেজিষ্ট্রেশনের তারিখ থেকে ১০ বছর অতিক্রান্ত না হলে-

যানবাহনের ধরন

করের হার
অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত নৌ-যানের ক্ষেত্রে,
উহার দিবাকালীন যাত্রী পরিবহন এর ক্ষমতার ভিত্তিতে যাত্রীপ্রতি
১০০/-
অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত কার্গো বা
কোস্টারের ক্ষেত্রে, উহার মালামাল পরিবহন এর ক্ষমতার ভিত্তিতে
গ্রস টনেজপ্রতি
১৩৫/-
অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত ডাম্পবার্জের
ক্ষেত্রে, উহার মালামাল পরিবহন এর ক্ষমতার ভিত্তিতে গ্রস টনেজ
প্রতি
১০০/-

ii)যানবাহন রেজিষ্ট্রেশনের তারিখ থেকে ১০ বছর অতিক্রান্ত হলে-

যানবাহনেরর ধরন

করের হার

অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত নৌ-যানের ক্ষেত্রে, উহার দিবাকালীন যাত্রী পরিবহন এর ক্ষমতার ভিত্তিতে যাত্রীপ্রতি ৪০/-
অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত কার্গো বা কোষ্টারের ক্ষেত্রে, উহার মালামাল পরিবহন এর ক্ষমতার ভিত্তিতে ৬০/-
গ্রস টনেজপ্রতি  
অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত ডাম্পবার্জের ক্ষেত্রে, উহার মালামাল পরিবহন এর ক্ষমতার ভিত্তিতে গ্রস
টনেজপ্রতি
৫০/-

যানবাহনের জন্য অনুমিত করের এ হারসমূহ ১ জুলাই ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

চ) Transfer Pricing সংক্রান্ত বিধি-বিধান কার্যকর করা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারীঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর Chatper XIA তে বর্ণিত Transfer Pricing সংক্রান্ত বিধি-বিধানসমূহ ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর করে এস.আর.ও নং-১৬১-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখঃ ২৬ জুন, ২০১৪ জারী করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-৬)। তাছাড়া নির্দিষ্ট ছকে আন্তর্জাতিক লেনদেনের বিবরণী দাখিলের বিধান করে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 107EE সন্নিবেশ করা হয়েছে এবং উক্ত বিবরণীর সুনির্দিষ্ট ছক সম্বলিত একটি নতুন বিধি 75A আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে সংযোজন করা হয়েছে।

Transfer Pricing সংক্রান্ত উলিস্নখিত বিধানসমূহ ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে অর্থাৎ ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

ছ) জাতীয় পর্যায়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর হ্রাসকৃত হারে করারোপঃ

ট্রাস্ট আইনে নিবন্ধনকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর ১৫% কর হার সংক্রান্ত ২৮ জুন, ২০০৭ তারিখের এস.আর.ও নং-১৫৭-আইন/আয়কর/২০০৭ রহিত করে ট্রাস্ট আইন অথবা সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন আইন এর অধীন নিবন্ধনকৃত জাতীয় পর্যায়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের হার ১৫% করে এস.আর.ও নং- 163-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখঃ ২৬ জুন ২০১৪ জারী করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-৮)।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে প্রযোজ্য হবে।

জ) ব্যক্তিগত যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন বা নবায়ন কালে প্রদেয় অগ্রিম কর সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনঃ

ব্যক্তিগত যানবাহনের উপর প্রদেয় অগ্রিম করের হার পুনঃনির্ধারণ করে ১ জুলাই ২০০৯ তারিখের এস.আর.ও নং-১৮৭-আইন/২০০৯ সংশোধন করে এস.আর.ও নং-১৬৪-আইন/আয়কর/২০১৪ তারিখঃ ২৬ জুন, ২০১৪ জারী করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-৯)।

উক্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার, জীপ বা মাইক্রোবাসের রেজিস্ট্রেশনের সময় অথবা ফিটনেস নবায়নের সময় নিম্নোক্ত হারে কর পরিশোধ করতে
হবেঃ-

গাড়ীর ধরণ

প্রদেয় করের হার

১৫০০ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ১৫,০০০/-
২০০০ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ৩০,০০০/-
২৫০০ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ৫০,০০০/-
৩০০০ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ৭৫,০০০/-
৩৫০০ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ১,০০,০০০/-
৩৫০০ সিসির উপর প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ১,২৫,০০০/-
মাইক্রো‘বাস প্রতিটির জন্য ২০,০০০/-

তবে, একক বা যে․থ মালিকানায় একের অধিক মোটরকার বা জীপ বা মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা তদূর্ধ্ব গাড়ীর প্রতিটির জন্য উপরোক্ত হারের অতিরিক্ত ৫০% হারে আয়কর প্রদেয় হবে ।

এ হারসমূহ ১ জুলাই ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

ঝ) কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব  (CSR) সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সংশোধনঃ

কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব  (CSR) পালনের ক্ষেত্রে করদাতা কোম্পানীকে ১০% কর রেয়াত প্রদান সংক্রান্ত ৪ জুলাই ২০১১ তারিখের এস.আর.ও নং-২২৯-আইন/আয়কর- ২০১১ সংশোধন করে নতুন এস.আর.ও নং-১৮৬-আইন/আয়কর/২০১৪ তারিখঃ ১ জুলাই ২০১৪ জারী করা হয়েছে (পরিশিষ্ট- ১২)। উক্ত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঈঝজ সংক্রান্ত নিম্নোক্ত সংশোধনী আনা হয়েছেঃ-

অ) কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব  (CSR) পালন খাতে ৮ কোটির পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১২ কোটি টাকার উপর আয়কর রেয়াত প্রযোজ্য হবে;

আ) কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব  (CSR) পালন সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে;

ই) বিদ্যমান ২২ টি খাতে ঈঝজ কার্যক্রম সম্পাদন ছাড়াও কোন কোম্পানী কর্তৃক কোন বিশেষ দুর্যোগ বা টুর্ণামেন্ট বা জাতীয় অনুষ্ঠানের জন্য গঠিত এবং সরকার অনুমোদিত তহবিলে প্রদত্ত অনুদানকেও ঈঝজ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই ২০১৪ অর্থাৎ ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

ঞ) প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের আয়ের উপর কর অব্যাহতি সংক্রান্তঃ

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর অব্যাহতি সংক্রান্ত ২৭ মে ২০০৯ তারিখের এস.আর.ও নং- ৯১-আইন/২০০৯ সংশোধন করে উক্ত ফাউন্ডেশনের Endownment Fundহতে উদভূত আয়ের উপর আরোপনীয় আয়করকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করে এস.আর.ও নং-১৮৭-আইন-আয়কর/২০১৪ তারিখঃ ১ জুলাই ২০১৪ জারী করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-১৩)।

ট) স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানীর শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত মুনাফার উপর কর অব্যাহতি সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারীঃ

এস.আর.ও নং- ১৫৬-আইন/আয়কর/২০১৪, তাং-২৬/০৬/২০১৪ অনুসারে (পরিশিষ্ট-১) শেয়ারবাজার হতে অর্জিত মুনাফার উপর কর সংক্রান্ত এস.আর.ও নং ২৬৯-আইন/আয়কর/২০১০, তারিখঃ ১ জুলাই, ২০১০ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত একটি নতুন এস.আর.ও নং- ২১৭-আইন/আয়কর/২০১৪, তাং-১৮/০৮/২০১৪ জারী করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-১৪)।

উক্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে-

অ) শেয়ার বাজারে কতিপয় শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত মুনাফার উপর প্রদেয় আয়কর হ্রাস করে নিম্নরূপ কর হার ধার্য্য করা হয়েছেঃ

ক্রমিক
নং

করদাতার প্রকৃতি

আয়করের
হার

ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানী, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী, কে ডিলার বা কে ব্রোকার কোম্পানী এর স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার বা শেয়ারহোল্ডার
ডিরেক্টরদের সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে অর্জিত আয়ের উপর
৫%
‘মিক নং ১ এ বর্ণিত কোম্পানীসমুহের স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার বা শেয়ারহোল্ডার ডিরেক্টর ব্যতীত কে এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত অন্য কোন কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার যাদের সংশি-ষ্ট আয় বছরের যে কোন সময়ে কে এক্সেচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানী বা কোম্পানীসমুহের পরিশোধিত মুলধনের ১০% এর অধিক পরিমাণ শেয়ার রয়েছে, তাদের উক্ত কোম্পানী বা কোম্পানীসমুহের শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত আয়ের উপর ৫%।

আ) উপরে বর্ণিত করদাতাগণ এবং আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53M এবং 53O তে বর্ণিত করদাতা ব্যতীত অন্যান্য করদাতাদের স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানীর শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত আয়কে সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

ই) স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানীর অথবা কোন মিউচুয়াল ফান্ডের স্পন্সর শেয়ার হোল্ডার বা ডিরেক্টর বা প্লেসম্যান্টহোল্ডার কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর বা মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে অর্জিত মুনাফার উপর ধারা 53M অনুসারে ৫% হারে অগ্রিম কর সংগ্রহের বিধান পূর্বের ন্যায় বহাল রয়েছে।

ঈ) কোম্পানী বা অংশীদারী ফার্ম শ্রেণীর করদাতা কর্তৃক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানীর শেয়ার বা সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে অর্জিত মুনাফার উপর নবপ্রবর্তিত ধারা 53O অনুসারে বিনিয়োগকারীদের হিসাব সংরক্ষক বা তত্ত্বাবধানকারী (custodian) ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা Trading Right Entitlement Certificate (TREC) হোল্ডার কোম্পানী কর্তৃক ১০% হারে অগ্রিম কর সংগহ্র করতে হবে।

ঠ) তৈরি পোশাক এবং নীটওয়্যার উৎপাদনে নিয়োজিত কোম্পানীর কর হার সংক্রান্তঃ

এস.আর.ও নং-৬৮-আইন/২০১৪ তারিখঃ ২২/০৪/২০১৪ (পরিশিষ্ট-১৫) এবং এস.আর.ও নং-২০৬-আইন/আয়কর/২০১৪ তারিখঃ ২০/০৭/২০১৪ অনুসারে (পরিশিষ্ট-১৬) আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53BB তে বর্ণিত knit wear and woven garments,  terry  towel,  carton  and  accessories  of  garmentsএর রপ্তানী আয়ের উপর উৎসে কর কর্তনের হার ০.৮০% হতে হ্রাস করে ০.৩০% করা হয়েছে। তাছাড়া 53BB তে বর্ণিত jute  goods,  frozen  food,  vegetables, leather  goods,  packed  foodএর রপ্তানী আয়ের উপর এবং 53BBইই তে বর্ণিত অন্যান্য রপ্তানী আয়ের উপর উৎসে কর কর্তনের হার ০.৮০% হতে হ্রাস করে ০.৬০% করা হয়েছে। হ্রাসকৃত উৎসে কর কর্তনের এ হার ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এস.আর.ও নং-২০৫-আইন/আয়কর/২০০৫ তারিখঃ ৬ জুলাই, ২০০৫, এস.আর.ও নং- ২৬৫-আইন/আয়কর/২০১০, তারিখঃ ১ জুলাই, ২০১০ এবং এস.আর.ও নং-২১৭- আইন/আয়কর/২০১২, তারিখঃ ২৭ জুন, ২০১২ অনুসারে ১ জুলাই, ২০০৫ হতে ৩০ জুন, ২০১৪ সময়কালের জন্য তৈরি পোশাক এবং নীটওয়্যার উৎপাদনে নিয়োজিত কোম্পানী কর্তৃক রপ্তানী হতে অর্জিত আয়ের উপর আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 82C(4)অনুসারে আয় গণনার ক্ষেত্রে ধারণাগত আয়করের হার ১০% বিবেচনা করা হত।

১ জুলাই, ২০১৪ থেকে উক্ত এস.আর.ও সমূহের কার্যকারিতা না থাকায় আয়কর আইন অনুসারে সংশ্লিষ্ট বছরের করদাতার জন্য প্রযোজ্য করহার প্রয়োগ করে ধারা 53BB তে বর্ণিত অন্যান্য খাতের ন্যায় তৈরি পোশাক এবং নীটওয়্যার উৎপাদনে নিয়োজিত করদাতার ১ জুলাই, ২০১৪ তারিখ থেকে উদভূত রপ্তানী আয় ধারা 82C(4)অনুসারে গণনা করতে হবে।

৫২। আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ সংশোধনঃ-ঃ

এস.আর.ও নং-২১৬-আইন/আয়কর/২০১৪ তারিখঃ ১৮/০৮/২০১৪ জারীর মাধ্যমে (পরিশিষ্ট-১০) আয়কর বিধিমালায় নিম্নরূপ সংশোধনী আনা হয়েছেঃ-

ক) বাড়ি ভাড়া পরিশোধ সংক্রান্ত বিধি 8A ঃ

কোন বাড়ির মালিক মাসিক ২৫ হাজার টাকার বেশি ভাড়া প্রাপ্ত হলে ভাড়ার হিসাব রক্ষণ এবং ভাড়া পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারণ করার জন্য আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এ নতুন একটি বিধি 8Aসংযোজন করা হয়েছে। উক্ত বিধি অনুযায়ী কিভাবে বাড়ী ভাড়া পরিশোধিত হবে বা ব্যাংক হিসাবে জমা করা হবে তা নির্ধারিত রয়েছে। উক্ত বিধানের আলোকে বাড়ীর মালিক ও ভাড়াটিয়াগণের করণীয়সমূহ বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত পরিপত্র নং-২ (আয়কর)/২০১৪ তাং-২৩ জুলাই, ২০১৪ এ বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

খ) সরবরাহ ও ঠিকাদারী বিলের উপর উৎসে কর কর্তনের হার সংক্রান্ত বিধি 16 এর সংশোধনঃ

আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি 16 সংশোধন করতঃ ঠিকাদারী ও সরবরাহ বিলের
উপর কর কর্তনের হার নিম্নরূপে পুনঃনির্ধারণ করা হলোঃ-

ক্রমিক
নং

প্রদেয় বিলের পরিমাণ

কর কর্তনের হার

বিলের পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা অতিক্রম না করলে শূণ্য
২ লক্ষ টাকার বেশি, ৫ লক্ষ টাকা বা তার কম ১%
৫ লক্ষ টাকার বেশি, ১৫ লক্ষ টাকা বা তার কম ২.৫%
১৫ লক্ষ টাকার বেশি, ২৫ লক্ষ টাকা বা তার কম ৩.৫%
২৫ লক্ষ টাকার বেশি, ৩ কোটি টাকা বা তার কম ৪%
৩ কোটি টাকার বেশি ৫%
তৈল বিপণনকারী কোম্পানীর ক্ষেত্রেঃ
অ) বিলের পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা অতিক্রম না করলে আ) ২ লক্ষ টাকার বেশি হলে
শূণ্য
০.৬০%
তৈল বিপণনকারী কোম্পানীসমূহের এজেন্ট বা ডিলার
(পেট্রোল পাম্প ব্যতিত) কর্তৃক তৈল সরবরাহের ক্ষেত্রে
১%
তৈল শোধনাগার কোম্পানী কর্তৃক তৈল সরবরাহের ক্ষেত্রে ৩%
১০ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী কর্তৃক গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে ৩%

১ জুলাই, ২০১৪ তারিখ বা তার পর তৈল বিপণনকারী কোম্পানীসমূহের এজেন্ট বা ডিলার (পেট্রোল পাম্প ব্যতিত) কর্তৃক সরকার বা কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন বা সংস্থা, কোন কোম্পানী, ব্যাংক, বীমা, এনজিও, বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে জ্বালানী ‣তল সরবরাহের ক্ষেত্রে উক্ত সরবরাহমূল্য পরিশোধকালে ১% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।

১ জুলাই, ২০১৪ তারিখ বা তার পর লিখিত চুক্তিপত্রের আওতায় ‣তল শোধনাগার কোম্পানী কর্তৃক বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে জ্বালানী ‣তল সরবরাহের ক্ষেত্রে উক্ত সরবরাহমূল্য পরিশোধকালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জ্বালানী তৈল বিপণনকারী কোম্পানীসমূহ কর্তৃক ৩% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

গ) আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় অগ্রিম আয়কর সংক্রান্ত বিধি 17A সংশোধনঃ

আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি 17A এর দফা ১৫৫ ও ১৫৬ বিলোপ করা হয়েছে। এর ফলে রূপা এবং স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে ৫% হারে অগ্রিম আয়কর প্রযোজ্য হবে। এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

ঘ) জমি বা স্থাপনা রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদেয় অগ্রিম মূলধনী মুনাফা কর আরোপ সংক্রান্ত নতুন বিধি 17II সন্নিবেশঃ

জমি বা গৃহ সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রয় মূল্যের উপর বিদ্যমান উৎসে কর কর্তনের হার পরিবর্তন করে আয়কর বিধি 17II অনুসারে পৃথক তিনটি তফসিল (a), (b)এবং (c) অনুসারে নিম্নোক্ত হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান করা হয়েছেঃ

তফসিল (a)- নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থিত বাণিজ্যিক এলাকার জন্য কর হারঃ-

ক্রমিক
নং
বাণিজ্যিক এলাকাসমূহের নাম কাঠা প্রতি (১.৬৫
শতাংশ=১ কাঠা) অগ্রিম
আয়কর
ঢাকাস্থ গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলখুশা, নর্থ সাউথ রোড,মতিঝিল সমপ্রসারিত এলাকা এবং মহাখালী দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ১০,৮০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
ঢাকাস্থ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৬,০০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
চট্টগ্রামস্থ আগ্রাবাদ এবং সিডিএ এভিনিউ দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,৬০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, পোস্তগোলা এবং গেন্ডারিয়া দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,৬০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
ঢাকাস্থ উত্তরা সোনারগাঁও জনপথ, শাহবাগ, পান্থপথ, বাংলামটর, কাকরাইল দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৬,০০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
ঢাকাস্থ নবাবপুর, ফুলবাড়িয়া দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,০০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।

তাছাড়া জমির উপর কোন স্থাপনা (ভবন, ফ্ল্যাট, এপার্টমেন্ট, দোকান, ফ্যাক্টরী, অফিস স্পেস) থাকলে উক্ত স্থাপনার দলিল মূল্যের ৪% অথবা প্রতি বর্গমিটারে ৬০০ টাকা (দুটির মধ্যে যেটি বেশি) অতিরিক্ত কর পরিশোধ করতে হবে।

তফসিল(b)- নিমেড়ব নির্দিষ্টকৃত অন্যান্য এলাকার জন্য কর হারঃ-

ক্রমিক
নং

এলাকাসমূহের নাম

কাঠা প্রতি (১.৬৫
শতাংশ) অগ্রিম আয়কর

ঢাকাস্থ উত্তরা (সেক্টর ১-৯), খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা (১০০ ফুট রাস্তার পাশে), আজিমপুর, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা (বিশ্বরোড সংলগড়ব), বারিধারা ডিওএইচএস, বসুন্ধরা (বস্নক এ-জি), নিকেতন এবং চট্টগ্রামস্থ আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাচঁলাইশ, নাসিরাবাদ এবং মেহেদীবাগ । দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৯০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
ঢাকাস্থ গুলশান, বনানী এবং বারিধারা দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,০০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
ঢাকাস্থ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ২,৪০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
ঢাকাস্থ কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রীণ রোড, এলিফ্যান্ট রোড, ফকিরাপুল, আরামবাগ, মগবাজার (মূল সড়ক হতে ১০০ ফুট এর মধ্যে অবস্থিত), তেজগাঁও শিল্প এলাকা, শেরে বাংলানগর প্রশাসনিক এলাকা, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা, লালমাটিয়া, মহাখালী ডিওএইচএস, ক্যান্টনমেন্ট এবং চট্টগ্রামের
খুলশী।
দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ১,৮০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর,
ইস্কাটন, গ্রীণ রোড, এলিফ্যান্ট রোড (মূল
সড়ক হতে ১০০ ফুট এর বাইরে অবস্থিত)
দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ১,২০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
গ্রীণ রোড (ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩
নং রোড হতে ৮ নং রোড পর্যনত)
দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ২,৪০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
উত্তরা আবাসিক এলাকা (সেক্টর ১০ থেকে ১৪), নিকুঞ্জ (দক্ষিণ), নিকুঞ্জ (উত্তর), বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকা, গেন্ডারিয়া পুনর্বাসন এলাকা, শ্যামপুর পুনর্বাসন এলাকা, আইজি বাগান পুনর্বাসন এলাকা, টঙ্গী শিল্প এলাকা। দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৬০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
শ্যামপুর শিল্প এলাকা, পোস্তগোলা শিল্প
এলাকা এবং জুরাইন শিল্প এলাকা।
দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৪৮,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা (১০০ ফুটের কম রাস্তার পাশে), রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা (ভিতরের ৪০ ফুট ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রাস্তার পাশে)। দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৭২,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।
১০ গোড়ান (৪০ ফুট রাস্তার পাশে) এবং
হাজারীবাগ ট্যানারী এলাকা।
দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি।

তাছাড়া জমির উপর কোন স্থাপনা (ভবন, ফ্ল্যাট, এপার্টমেন্ট, দোকান, ফ্যাক্টরী, অফিস স্পেস) থাকলে উক্ত স্থাপনার দলিল মূল্যের ৪% অথবা প্রতি বর্গমিটারে ৬০০ টাকা (দুটির মধ্যে যেটি বেশি) অতিরিক্ত কর পরিশোধ করতে হবে।

তফসিল(c)- সারাদেশের অন্যান্য এলাকার কর হারঃ-

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং চট্টগ্রামের এলাকাসমূহ যা বিধি 17II এর তফসিল (a) এবং (b) তে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে, সে সকল এলাকা ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় জমি বা স্থাপনা রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে নিম্নরূপে অগ্রিম আয়কর আরোপ করার বিধান করা হয়েছেঃ

ক্রমিক
নং
এলাকা বা এলাকাসমূহের নাম করের হার
বিধি 17II এর তফসিল (a) এবং (b) তে সুনির্দিষ্ট এলাকাসমূহ ব্যতীত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর অধিক্ষেত্রাধীন অন্যান্য এলাকার জমি বা স্থাপনা জমি ও স্থাপনার
দলিল মূল্যের ৪%
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকা ব্যতীত, ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলা এবং যে কোন সিটি কর্পোরেশন এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এর অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার জমি ও স্থাপনা জমি ও স্থাপনার দলিল মূল্যের ৩%
যে কোন জেলা শহরের পে․রসভার অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার জমি ও স্থাপনা জমি ও স্থাপনার দলিল মূল্যের ৩%
অন্যান্য পে․রসভার অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার জমি ও স্থাপনা জমি ও স্থাপনার দলিল মূল্যের ২%
অন্যান্য সকল এলাকা জমি ও স্থাপনার দলিল মূল্যের ১%

নির্দিষ্টকৃত এলাকার জমির ক্ষেত্রে কাঠা প্রতি আয়কর এবং স্থাপনার ক্ষেত্রে বর্গমিটার প্রতি প্রদেয় আয়করের বিষয়ে পরিপত্র নং-১ (আয়কর)/২০১৪, তারিখঃ ৯ জুলাই, ২০১৪ তে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে কার্যকর হবে।

ঙ) চাকুরিজীবী করদাতাদের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত যানবাহন সুবিধা সংক্রান্ত বিধি 33D সংশোধনঃ

আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি 33D সংশোধন করে চাকুরিজীবী করদাতাগণের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত যানবাহনের ক্ষেত্রে করদাতার মূল বেতনের ৭.৫০% এর পরিবর্তে ৫% মোট আয়ের সহিত করযোগ্য আয় হিসেবে যোগ করার বিধান করা হয়েছে।
এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে প্রযোজ্য হবে।
চ) চাকুরিজীবী করদাতাদের নগদ চিকিৎসা ভাতা সংক্রান্ত বিধি 33I সংশোধনঃ
চাকুরিজীবী করদাতাগণ কর্তৃক নিয়োগকর্তার নিকট থেকে প্রাপ্ত নগদ চিকিৎসা ভাতাকে মূল বেতনের ১০% অথবা বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা (দুটির মধ্যে যেটি কম) পর্যন্ত কর অব্যাহতি প্রদান করে আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি 33I সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধি অনুযায়ী কোন করদাতা নিয়োগকর্তার নিকট থেকে নগদ চিকিৎসা ভাতা অথবা করদাতা কর্তৃক চিকিৎসা খাতে ব্যয়িত অর্থ নিয়োগকর্তার নিকট থেকে ফেরত (ৎবরসনঁৎংবসবহঃ) প্রাপ্ত হলে, উক্ত প্রাপ্ত অর্থ/ভাতা

যদি করদাতার মূল বেতনের ১০% অথবা বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা, এ দু’য়ের মধ্যে যেটি কম তার থেকে বেশি হয়, তাহলে অতিরিক্ত ভাতা করদাতার করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে প্রযোজ্য হবে।

ছ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আয়কর আইনজীবী হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান সংক্রান্ত বিধি 37 সংশোধনঃ

আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি 37 এর উপবিধি 2 এর clause (c) সংশোধন করে আয়কর বিভাগে অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার পদের নীচে নয় এমন পদে কমপক্ষে ৭ বছর সনেত্মাষজনক চাকুরি করে অবসর গ্রহণকারী কর্মকর্তাকে আয়কর আইনজীবী হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড স্বীকৃতি প্রদান করতে পারবে মর্মে বিধান করা হয়েছে।

১ জুলাই, ২০১৪ থেকে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।

জ) তৈল কোম্পানীর কণ্ট্রাক্টর ও সাব-কণ্ট্রাক্টরগণের অনুমিত আয় সংক্রান্ত বিধি 39 সংশোধনঃ

আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি 39 সংশোধন করে ‣তল কোম্পানীর কণ্ট্রাক্টর ও সাব- কণ্ট্রাক্টরগণের মোট প্রাপ্তির উপর ১০% এর পরিবর্তে ১৫% অনুমিত আয় গণনা করার বিধান করা হয়েছে। তবে পূর্বের ন্যায় ‣তল কোম্পানীর কণ্ট্রাক্টর ও সাব-কণ্ট্রাক্টরগণ অনুমিত আয়ের ভিত্তিতে অথবা হিসাবের খাতাপত্র অনুসারে প্রকৃত আয়ের ভিত্তিতে আয়কর প্রদানের ঐচ্ছিক বিধানটি বহাল রাখা হয়েছে।এছাড়াও বিধি ৩৯ এর উপবিধি ২ এর Clause (d) তে পেট্রোলিয়াম অপারেশনকে সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে প্রযোজ্য হবে।

ঝ) ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদে উল্লেখ্য করদাতার তথ্যাদি সুনির্দিষ্ট করে বিধি 64B সংশোধনঃ

আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি 64B এর sub-rule  (2) এর পর sub-rule  (3) সংযোজন করে করদাতাগণের টিআইএন সনদে করদাতার টিআইএন, করদাতার নাম, করদাতার পিতা-মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, ব্যবসা বা নিয়োগকর্তার নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), নিবন্ধিত অফিসের ঠিকানা (কোম্পানী ও অন্যান্য করতাদার ক্ষেত্রে), পুরাতন টিআইএন (যদি থাকে) এবং করদাতার মর্যাদা ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ করার বিধান করা হয়েছে।

ঞ) আন্তর্জাতিক লেনদেনের বিবরণীর ছক সংক্রান্ত বিধি 75A সংযোজনঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 107EE অনুসারে আন্তর্জাতিক লেনদেনের বিবরণীর সুনির্দিষ্ট ছক সম্বলিত একটি নূতন বিধি 75A আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে সংযোজন করা হয়েছে।

Transfer Pricing সংক্রান্ত উলিস্নখিত বিবরণী দাখিলের বিধানটি ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে অর্থাৎ ২০১৫-১৬ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আনীত আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ ও আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর সংশোধনী/পরিবর্তনসমূহ এবং নতুন জারীকৃত প্রজ্ঞাপনসমূহ স্পষ্টীকরণের উদ্দেশ্যে এ পরিপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিপত্রের কোন বক্তব্য বা উপস্থাপনা আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এবং নতুন জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে বা কোন মুদ্রণজনিত ত্রুটির কারণে অস্পষ্টতা দেখা দিলে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এবং মূল প্রজ্ঞাপনসমূহ প্রাধান্য পাবে।

(মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ)
প্রথম সচিব (কর নীতি)