Largest and fastest growing business Portals
Tweet
(ক) উৎস হতে কর্তিত/সংগৃহীত করঃ
আয় বছরে করদাতার আয় থেকে উৎসে কর কেটে রাখা হলে তা প্রচলিত রিটার্ন ফরম আইটি-১১গ এর ১৬ নং ক্রমিকে উল্লেখ করতে হবে। যেমন বেতন থেকে, ব্যাংক সুদ থেকে, গৃহ স¤পত্তির বার্ষিক ভাড়া থেকে, পেশাগত ফি থেকে উৎসে কেটে রাখা কর এখানে দেখাতে হবে। উৎসে কেটে রাখা করের স্বপক্ষে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে।
(খ) ধারা ৬৪/৬৮ অনুযায়ী প্রদত্ত অগ্রিম করঃ
করদাতা যদি অগ্রিম কর পরিশোধ করে থাকেন, তাহলে পরিশোধিত করের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে এবং চালানের কপিও সাথে দিতে হবে।
(গ) রিটার্নের ভিত্তিতে প্রদত্ত কর (ধারা ৭৪ অনুযায়ী)
রিটার্নে প্রদর্শিত মোট আয়ের ভিত্তিতে নিরূপিত প্রদেয় আয়কর হতে উৎসে কর্তিত কর এবং ৬৪ ধারায় অগ্রীম প্রদত্ত কর বিয়োগকরে অবশিষ্ট কর পরিশোধের সমর্থনে চালান, পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট, একাউন্ট পেয়ী চেকের কপি দাখিলসহ পরিশোধিত করের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে।
(ঘ) প্রত্যর্পনযোগ্য করের সমন্বয়ঃ
আগের বছরগুলোতে করদাতার যদি কর ফেরত দাবী থাকে তবে তা তিনি এখানে কর পরিশোধ হিসেবে দাবী করতে পারবেন। ধরা যাক ২০১৫-১৬ কর বছরে করদাতার ফেরতযোগ্য করের পরিমাণ ছিল ৫,০০০/- টাকা। ২০১৬-১৭ কর বছরে রিটার্নে প্রদর্শিত আয় অনুসারে প্রদেয় মোট আয়করের পরিমাণ ৮,০০০/- টাকা। এ অবস্থায় ২০১৫-১৬ কর বছরের ফেরতযোগ্য ৫,০০০/- টাকা ২০১৬-১৭ কর বছরে কর দাবীর বিপরীতে কর পরিশোধ হিসেবে দাবী করতে পারবেন এবং ২০১৬-২০১৭ কর বছরের জন্য তাঁকে অবশিষ্ট ৩,০০০/- টাকা পরিশোধ করতে হবে।
Leave a Comment