Business News

Displaying 41-50 of 172 results.

এ দেশে অনেক ভালো পোশাক কারখানা আছে: মার্শা বার্নিকাট

Picture

এ দেশে অনেক ভালো পোশাক কারখানা আছে, কিন্তু কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ সেই দুর্ঘটনার কথাই বলবে। ভালো পোশাক কারখানার কথা বলবে না। তাই অনিরাপদ একটি পোশাক কারখানাও দেশের পোশাক খাতের জন্য ঝুঁকি।
আজ শনিবার ‘রানা প্লাজা দিবস’ উপলক্ষে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘রি ইমার্জিং ফ্রম রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: অ্যান অ্যাকাউন্ট অন দ্য থার্ড এনিভারসারি’ শীর্ষক এক সংলাপে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট এ কথা বলেন। মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
বার্নিকাট বলেন, পোশাক কারখানার সার্বিক মান নিশ্চিত করলে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এটা ব্যবসায়িক দিক দিয়েও লাভজনক এবং তা পরিসংখ্যানগতভাবে প্রমাণিত।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কারখানা সংস্কার ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ নেতৃত্ব পর্যায়ে আছে। আশা করি, বাংলাদেশ এটা ধরে রাখতে পারবে এবং প্রতিযোগিতায় সক্ষম থাকবে।’
এর আগে রাজধানীর গুলশানে স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ব্র্যাকের আয়োজনে ‘ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবনের পথে’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে মার্শা বার্নিকাট বলেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ও আহত শ্রমিকদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের পেশাগত ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পোশাক কারখানার অগ্নি ও ভবননিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে ১৫ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিকদের অগ্নি ও ভবননিরাপত্তা-বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সলিডারিটি সেন্টারকে ১০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকেরা অগ্নিনিরাপত্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

১৩ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে

Picture

মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ থেকে ১৩ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করছে সরকার। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে আনা হচ্ছে ৭ লাখ টন এবং আবুধাবি থেকে ৬ লাখ টন।
অপরিশোধিত এই ১৩ লাখ টন তেল কেনা হবে ৪ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকায়। প্রতি লিটারের দাম পড়ে ৩৭ টাকার মতো। আমদানির পর তেলগুলো পরিশোধন করা হবে সরকারি কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জ্বালানি তেল কেনার এ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ক্রয় কমিটির বৈঠকে মোট আটটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয় বলেও জানান তিনি। অতিরিক্ত সচিব জানান, আবুধাবি থেকে ৬ লাখ টনের দাম পড়বে ২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। আর সৌদি আরব থেকে ৭ লাখ টনের দাম পড়বে ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা।
অনুমোদিত বাকি সাতটির চারটিই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন কিশোরগঞ্জ সড়ক বিভাগের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাব। চারটি আলাদা প্যাকেজে এ সড়ক নির্মাণের জন্য ৫১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের চারটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
প্যাকেজ অনুযায়ী এগুলোর কাজ পেয়েছে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, মনিকো লিমিটেড, যৌথভাবে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ও এমবিইআই এবং যৌথভাবে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ও আরবিপিএল।
‘চরম দরিদ্রদের জন্য নিরাপত্তাবলয় পদ্ধতি’ শীর্ষক প্রকল্পের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মসূচি প্রশাসন’ শক্তিশালীকরণের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের জন্য পরামর্শক নিয়োগ পেয়েছে যৌথভাবে সিনোর্জি-সিনোসিস আইটি। এতে ব্যয় হবে ২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ইউনিট-২ স্থাপনের জন্য প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরামর্শক নিয়োগের একটি প্রস্তাব ক্রয় কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত হয়। ১১০ কোটি ৬০ লাখ টাকার এ কাজ পেয়েছে ভারতের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড।
এ ছাড়া চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট থেকে ৪ হাজার ১০৯ টন ঢেউটিন কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদিত হয় ক্রয় কমিটির বৈঠকে। প্রতি প্যাকেজে ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা করে পাঁচটি আলাদা প্যাকেজে এ ঢেউটিন কেনা হবে।
অতিরিক্ত সচিব জানান, ক্রয় কমিটির বৈঠকের আগে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে তিনটি প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে ২০১৬ সালে মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জ্বালানি তেল উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় আমদানির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব, সরকার-টু-সরকার ভিত্তিতে চীনা অর্থায়নে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ সহায়তা ও পুনর্বাসন, বাস্তবায়ন, নকশা রিভিউ ও নির্মাণকাজ তদারকির জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সরাসরি পরামর্শক নিয়োগ।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

বাজেটের কাজ শুরু করল এনবিআর

Picture

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের প্রথম সচিব (শুল্ক গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা) মোহাম্মদ আকবর হোসেনকে প্রধান বাজেট সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আগামী ১০ মার্চের মধ্যে বিভিন্ন চেম্বার ও বণিক সমিতির কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা আহ্বান করেছে এনবিআর। গতকাল রোববার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট চেম্বার ও সমিতিগুলো বাজেট প্রস্তাবনা ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ে পাঠাবে। আর সেই প্রস্তাবমালার একটি সফট কপি এনবিআরের ই-মেইলে পাঠাতে হবে। ই-মেইল ঠিকানা হলো-nbrbudget2016 @gmail.com।
এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দপ্তর কোনো চেম্বার বা সমিতির সদস্য নয়, তারা সরাসরি প্রধান বাজেট সমন্বয়কারীর কাছে সরাসরি কিংবা ই-মেইলে বাজেট প্রস্তাব পাঠাতে পারবে। এ ছাড়া শিগগিরই ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অংশীদার সংগঠনের সঙ্গে প্রাক্-বাজেট আলোচনা করবে এনবিআর।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

মুনাফা করা কঠিন, তবে বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় বাংলাদেশ

Picture

জাপানি কোম্পানিগুলোর জন্য চীন, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে মুনাফা করা বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। তা সত্ত্বেও জাপানি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে বেশ আকর্ষণীয় দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর বড় কারণ হলো এখানে শ্রম সস্তা। আর পণ্যের উৎপাদন খরচ তো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যেকোনো দেশের চেয়ে কম।
এমন তথ্য উঠে এসেছে জাপানের এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) এক জরিপে। জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর ব্যবসায়িক পরিবেশ যাচাইয়ে জরিপটি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এ জরিপে বলা হয়েছে, জাপানি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ খুবই আকর্ষণীয় দেশ। তবে এ দেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার কথাও উঠে আসে জরিপটিতে।
জেট্রো জানিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ২৩০টি জাপানি কোম্পানি ব্যবসা করছে। এর মধ্যে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ জরিপে তাঁদের মতামত দেন। তবে সার্বিকভাবে বাংলাদেশসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২০টি দেশে ব্যবসারত প্রায় সাড়ে ৯ হাজার জাপানি কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর মত নেওয়া হয় জরিপে। ২০১৫ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে জরিপটি করা হয়।
চীন, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের চেয়ে বাংলাদেশে মুনাফা করাটা কেন কষ্টকর? এ প্রশ্ন করা হলে জরিপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেট্রোর কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, জরিপের জন্য যেসব সিইও মতামত দিয়েছেন, তাঁদের প্রায় সবাই এ জন্য কাঁচামালের দুষ্প্রাপ্যতাকে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ, এখানে বেশির ভাগ কাঁচামালই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে খরচ বেশি পড়ে। পাশাপাশি কর্মীদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতার ঘাটতিও মুনাফা অর্জনকে কষ্টসাধ্য করে তোলে। এ ছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অবকাঠামো সমস্যা ও প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতার বিষয়গুলো তো রয়েছেই।
জরিপ প্রতিবেদনমতে, বাংলাদেশে ব্যবসা করা জাপানি কোম্পানিগুলোকে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ৭০ শতাংশের বেশি বিদেশ থেকে আনতে হয়। তা সত্ত্বেও জাপানি কোম্পানিগুলোর নির্বাহীদের আত্মবিশ্বাসের শীর্ষে বাংলাদেশ। তাঁদের মতে, চলতি ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হবে। যেখানে চীন ও থাইল্যান্ডে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হওয়ার বিষয়ে তাঁদের আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ভবিষ্যতে জাপানের ব্যবসা সম্প্রসারণের সম্ভাবনার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। চারটি কারণে এ সম্ভাবনা দেখছেন জাপানিরা। কারণগুলো হচ্ছে—উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা, ব্যবসার খরচ কমার সম্ভাবনা, উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি এবং শ্রমশক্তির সহজ প্রাপ্যতা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে সস্তায় শ্রম পাওয়া যায়। যেমন, চীনে শ্রমিকের মাসিক গড় মজুরি উৎপাদনশীল খাতে ৪২৪ মার্কিন ডলার ও অনুৎপাদনশীল খাতে ৮৪৫ ডলার। অথচ বাংলাদেশে উৎপাদনশীল খাতে শ্রমিকের মাসিক গড় মজুরি ১০০ ডলার আর অনুৎপাদনশীল খাতে ২১৫ ডলার। প্রতিবেশী ভারতে উৎপাদনশীল ও অনুৎপাদনশীল খাতে এ হার যথাক্রমে ২৩০ ও ৫৪৬ ডলার। আর পাকিস্তানে তা যথাক্রমে ১৮৫ ও ২৭৫ ডলার।
জাপান, পাকিস্তান, চীন, ভারত, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশসহ নয়টি দেশে পণ্যের উৎপাদন খরচের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে জরিপে। তাতে বলা হয়েছে, জাপানে যেখানে পণ্য উৎপাদনে ১০০ ডলার খরচ হয় সেখানে বাংলাদেশে তা সাড়ে ৪৯ ডলার। পাকিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড, ভারত ও ফিলিপাইনে এ খরচ যথাক্রমে সাড়ে ৮৭, ৮২, সাড়ে ৮১, ৮১ ও ৭৬ ডলার।
বাংলাদেশের বাইরে অন্য দেশগুলোতে ব্যবসা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান শ্রম মজুরি চিন্তার বড় কারণ হয়ে উঠছে বলে জানান জরিপে অংশ নেওয়া নির্বাহীরা।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

উন্নয়ন ব্যয়ের কার্যকর বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন অন্বেষণ বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সরকারি বিনিয়োগের কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি বিনিয়োগের গুণগত মান অসন্তোষজনক। পাশাপাশি অবকাঠামোর ঘাটতি এবং ব্যবসায়িক আস্থার অভাবে বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতিও মন্থর।
একই সঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করারও আহ্বান জানিয়েছে। কেননা, তা মানব উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পর্যালোচনা ২০১৬ ’-এর জানুয়ারি সংখ্যায় এসব কথা বলা হয়েছে। সংগঠনটির মতে, চলমান মন্থর বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতি এবং সরকারি বিনিয়োগ বাস্তবায়নে অদক্ষতার কারণে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
উন্নয়ন অন্বেষণ বিশ্লেষণের জন্য সরকারি বিনিয়োগের পাঁচটি অন্যতম প্রধান খাতকে বেছে নিয়েছে। যেমন, সড়ক ও মহাসড়ক, সেতু, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ। এ খাতগুলোতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়নের হার গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় চলতি ২০১৫-১৬ এর অর্থবছরের একই সময়ে অসন্তোষজনক। ছয় মাসে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের বরাদ্দের ২৯ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৯ শতাংশই ছিল। অন্যদিকে, সেতু বিভাগে বাস্তবায়নের হার মাত্র ১৮ শতাংশ, আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৮ শতাংশ। আবার চলতি অর্থবছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে এডিপি বাস্তবায়নের হার হচ্ছে যথাক্রমে ১৬ শতাংশ, ২৬ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ। আগে যা ছিল যথাক্রমে ২২ শতাংশ, ৩২ শতাংশ এবং ৩৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে এ প্রবণতা থেকে বলা যায়, এবার প্রধান ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পদ্মা সেতু নিয়ে উন্নয়ন অন্বেষণের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে নির্মাণকাজের ১২ শতাংশ সম্পন্ন হওয়ার সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়েছিল মাত্র ১০ শতাংশ। আবার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। নির্মাণকাজের অগ্রগতির এ ধারা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের ৯০ শতাংশ শেষ করা প্রায় অসম্ভব। একইভাবে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজের ৫ শতাংশ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনো অগ্রগতিই হয়নি। আবার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নির্মাণকাজ ৪০ শতাংশ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। সুতরাং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কাজটি শেষ করাটাও অসম্ভব।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দের হ্রাসমান প্রবণতার কথা উল্লেখ করে সবশেষে উন্নয়ন অন্বেষণ বলেছে, সামাজিক খাতসমূহে উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ কমার এ হার বজায় থাকলে দেশে সামাজিক উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হতে পারে।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

আরও সহজ হলো মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি

Picture

আরও সহজ হলো শিল্পে ব্যবহৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রক্রিয়া। এখন থেকে আর সরাসরি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতি লাগবে না। কাস্টমস কমিশনারের অনুমতিতেই দেশের উদ্যোক্তারা এ মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারবেন।

দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে শিল্পে ব্যবহৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি আরও সহজ করতে একটি নীতিমালা করেছে এনবিআর। নীতিমালাটি আদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।

নীতিমালায় এই সুযোগের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, নীতিমালা করার ফলে এখন শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে আগের মতো এনবিআরের অনুমতি লাগবে না। সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কমিশনারের অনুমতিতেই পণ্য খালাস করা যাবে। তবে কমিশনারের কাছে শিল্পের প্রোফরমা ইনভয়েস, লে-আউট প্ল্যান, নকশা, প্রকল্পপত্র, টার্নকি চুক্তিসহ অন্যান্য দলিলাদি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। কমিশনারের অনুমোদন পেলে এক বা একাধিক চালান/ঋণপত্রের মাধ্যমে এক বা একাধিক দেশ থেকে একটি কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারবে আমদানিকারক।

তবে একই পদ্ধতিতে একাধিক কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারককে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ এনবিআর সদস্য (শুল্ক নীতি) বরাবর আবেদন করতে হবে। পরে শর্ত সাপেক্ষে এনবিআর থেকে শংশ্লিষ্ট কা্স্টমস হাউসের কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিবে।

এছাড়া রেয়াতি প্রজ্ঞাপনে আওতাভুক্ত নয়- এমন নতুন ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করতে চাইলে কী ধরনের শুল্ক রেয়াত সুবিধা দেওয়া যেতে পারে- এসব বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য জাতীয় পর্যায়ে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের কথা নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ বোর্ড, ট্যারিফ কমিশন ও এনবিআরের প্রতিনিধি থাকবেন। তারা বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, প্লান্ট বা শিল্প কারখানা স্থাপনের কাজে ব্যবহৃত সব ধরনের মেশিন এবং এগুলোর সংযোগকারী পাইপ, কেবল, ট্রান্সমিশন, অ্যাঙ্গেলসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশকে মূলধনী যন্ত্রপাতি (এইচএস কোড) হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য কারখানার লে-আউট প্ল্যান, নকশা ও অন্যান্য কাগজপত্র এনবিআর ও কাস্টমস স্টেশনের কমিশনারের কাছে জমা দিতে হবে। প্লান্টের প্রত্যেক অংশকে আলাদা পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে আলাদা এইচএস কোডে শ্রেণিবিন্যাস করা হবে না। শিল্পের মূল কাজ অনুযায়ী এসব যন্ত্রপাতিকে সংশ্লিষ্ট হেডিংয়ের অধীনে এইচএস কোডে শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে শুল্ক আদায় করা হবে।

তথ্যসূত্র : অর্থসূচক

সাত মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি

Picture

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশের পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৯২৬ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার; যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৭৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলার।
আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দেশের রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

চলতি অর্থবছরের এই সাত মাসে বরাবরের মতো তৈরি পোশাক খাত থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় হয়েছে। নিট ও ওভেন মিলিয়ে এই আয়ের পরিমাণ ১ হাজার ৫৭৬ কোটি ডলার; যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি।

শুধুমাত্র গত জানুয়ারিতে মোট ৩১৮ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। যা গত বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করবে ডিএসই-বিএমবিএ

Picture

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে একত্রে কাজ করতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আজ মঙ্গলবার বিএমবিএর নবনির্বাচিত কমিটির ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এমন আশ্বাস দেন ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিএমবিএর নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যরা।

বৈঠক শেষে বিএমবিএর সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান অর্থসূচককে জানান, আজ বিকেল ৫টায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সঙ্গে বিএমবিএর নবনির্বাচিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। এসময় ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিএমবিএর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে।

তিনি বলেন, যার যার অবস্থান থেকে পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যদি কাজগুলো সবাই মিলে একত্রে করতে পারি তাহলে এটার ফল পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক কিছুু বয়ে আনবে; চাঙ্গা হবে বাজার। 

এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে বসে নতুন কমিটি। সেখানেও গভর্নর একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন।

তথ্যসূত্র : অর্থসূচক

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা বাড়িয়েছে মার্কিন এক্সিম ব্যাংক

Picture

বাংলাদেশ সরকার এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা বাড়িয়েছে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক ব্যাংক অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদার করার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানিয়েছে মার্কিন এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বুধবার রাজধানী ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিনে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফ্রেড হচবার্গ।

তিনি বলেন, বিমান, মেশিনারি যন্ত্রপাতি, স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য এই ঋণের অর্থ ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ও সেবা খাতে রপ্তানি বাড়াতে এই ঋণ ব্যবস্থা চালু করেছে এক্সিম ব্যাংক।

মার্কিন এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানান, ২০১১ এবং ২০১৩ সালে দূরে যাত্রী পরিবহন উপযোগী বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর বিমান কিনতে ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থৈনিতক উন্নয়ন জোরদার করার উদ্দেশ্যে এই ঋণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল।

ফ্রেড হচবার্গ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হলো বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের উপরে ধরে রেখেছে এ দেশ। সেইসঙ্গে এর সুফল হিসেবে নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

তিনি জানান, আমেরিকান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং পণ্য ও সেবার উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী।

বাংলাদেশের অবকাঠামো এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নয়নে বিদেশিদের সরাসরি বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশের ব্যবসায়ের উন্নয়নে এই ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করতে মন্ত্রী ও দেশের ব্যবসায় কমিউনিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফ্রেড হচবার্গ।

তথ্যসূত্র : অর্থসূচক

অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ চান চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা

Picture

শিল্পকারখানার প্রয়োজনে কোনো সনদ নিতে হলে এখনো ঢাকায় দৌড়াতে হয়। জেনারেটর বসাতে ওয়েভার সনদ, বয়লার বসানোর জন্য সনদ, আমদানি-রপ্তানি নিবন্ধন সনদের অনুমোদনও হয় ঢাকা থেকে। সব ধরনের সনদ ওয়ান স্টপ সার্ভিসের (এককেন্দ্রিক সেবা) মাধ্যমে কখন পাবেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা?
মঞ্চে বসা পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রতি এই প্রশ্ন রাখলেন অতিথিদের সারিতে বসা বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এস এম আবু তৈয়ব। বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্ন ছিল আরও বড় আঙ্গিকে। ‘সব সিদ্ধান্তই এখন ঢাকাকেন্দ্রিক। ফলে ঢাকার বাইরে সম্ভাবনা অনুযায়ী ব্যবসা সম্প্রসারণ হচ্ছে না। উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবসা ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে বিকেন্দ্রীকরণের ব্যবস্থাপনা আশা করতে পারি কি না আমরা?’ একই সমস্যার কথা বললেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ।
এই প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল গতকাল রোববার সকালে নগরের র্যা ডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক ব্যবসা সম্মেলনে’। শতবর্ষ উৎসব উপলক্ষে এই সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম চেম্বার। মূল বক্তব্যের পরই প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়।
ব্যবসায়ীদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী আশার বাণী শোনালেন। তিনি বলেন, ‘দেশে সবকিছু এখন ডিজিটালাইজড হচ্ছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসও এখানে হবে। ২০১৭ সালের শেষ বা ২০১৮ সালের মাঝামাঝি দেশে কোনো পেপার ওয়ার্ক থাকবে না। ফলে অনেক সমস্যাই তখন আর থাকবে না।’
এর আগে বক্তৃতায় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য জেলায় সরকার সাত বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চারটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলও হচ্ছে চট্টগ্রামে। চার থেকে পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। তিন বছর পর চট্টগ্রাম শহর চেনা যাবে না।’
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন কাশেম খান। মূল প্রবন্ধের বিষয় ছিল ‘দ্য বে অব বেঙ্গল গ্রোথ ট্রায়াঙ্গল অ্যান্ড দ্য মেরিটাইম সিল্ক রুট’। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সালাউদ্দিন কাশেম খান বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিবছর শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে ২০ লাখ লোক। এটি আমাদের বড় শক্তি।’ চট্টগ্রামে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল, এলএনজি টার্মিনাল, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মাতারবাড়ী এনার্জি হাব, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ অনেক মেগা প্রকল্প হচ্ছে।
সম্মেলনে কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া পিয়ের লাঘামে বলেন, ‘সমুদ্রসীমার বিরোধ নিরসন হওয়ায় বাংলাদেশের সামনে সমুদ্র অর্থনীতি বাস্তবায়নের বড় সুযোগ আছে। অবকাঠামো, দক্ষ জনশক্তি ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন হলেই বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছাবে।’
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ওলেগ তনকনোজেনকভ বলেন, ‘ভারত, চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা কাজ করছি।’
জাইকার জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি হিতোশি আরা বলেন, ‘অবকাঠামো উন্নয়ন সব নয়। এর রক্ষণাবেক্ষণ, সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ এবং সুশাসন গুরুত্বপূর্ণ।’
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবরার এ আনোয়ার বলেন, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য দরকার। সে ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি, জুতা, খেলনাসহ বহু খাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এম এ ছালাম বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য পড়ে যাওয়ার পরেও এখানে দাম সমন্বয় না করায় রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাগুলো প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে মার খাচ্ছে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সাংসদ এম এ লতিফ, মিসরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জত, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের প্রথম সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বেঙ্গল চেম্বারের সভাপতি সুতনু ঘোষ প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো