Business News

Displaying 21-30 of 172 results.

থমকে আছে জ্বালানি খাত

দেশে জ্বালানির চাহিদা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চললেও দেশীয় জ্বালানিসম্পদ উন্নয়নের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশীয় প্রধান বাণিজ্যিক জ্বালানিসম্পদ গ্যাস খাতের পাশাপাশি আরেকটি সম্ভাবনাময় বাণিজ্যিক জ্বালানিসম্পদ কয়লার উন্নয়নেও কার্যকর কোনো অগ্রগতি নেই।

 

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এই স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের মধ্যে তীব্র মতভেদ রয়েছে। এই স্থবিরতা কাটাতে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সের পাশাপাশি বিদেশি কোম্পানির সহায়তা যে দরকার হবে, মতভেদ সে বিষয়ে নয়; মতভেদ হচ্ছে, কোন কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হবে তা নিয়ে।

মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার সূত্র জানায়, প্রায় আড়াই বছর আগে ২০১৪ সালের ১৪ জুন ঢাকার পার্শ্ববর্তী রূপগঞ্জে ছোট্ট একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপর দেশে আর কোনো নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়নি। কারণ, আবিষ্কারের তেমন কোনো উদ্যোগই ছিল না, এখনো নেই। বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে কিছু নতুন কূপ খনন করে যেটুকু উত্তোলন বাড়ছে, চাহিদার তুলনায় তা মোটেই উল্লেখযোগ্য নয়।

বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো থেকে দ্রুত উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বাপেক্সের পাশাপাশি রাশিয়ার কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে ১০টি কূপ খননের কাজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাপেক্সের নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে, বাপেক্সেরই করা নকশা অনুযায়ী এসব কূপ খননে তেমন কোনো সুফল আসেনি। এই ১০টি কূপ খননের পর দৈনিক গ্যাস উত্তোলন বেড়েছিল প্রায় ২৩ কোটি ঘনফুট। ইতিমধ্যে এর চারটি কূপ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যগুলো থেকে মোট উত্তোলনের পরিমাণ ৮ কোটি ঘনফুটেরও নিচে নেমে এসেছে। পরে গ্যাজপ্রমকে আরও পাঁচটি কূপ খননের কাজ দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যে চীনের কোম্পানি সিনোপেকও কূপ খননের কাজে ঢুকে পড়েছে। কয়েকটি কূপ খনন করেও ফেলেছে তারা। এই পর্যায়ে গ্যাজপ্রমকে দিয়ে কাজ করানোর বিষয়ে সরকারের মধ্যে তীব্র মতভেদ দেখা দিয়েছে। এর একটি মত গ্যাজপ্রমকে দিয়ে কূপ খনন ছাড়াও বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনুসন্ধানসহ গ্যাস খাতের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করানোর পক্ষে। অপর মতটি এর বিপক্ষে। তারা গ্যাজপ্রম ও সিনোপেকের কাজে প্রধানত ব্যয়ের তারতম্যের বিষয়টি তুলে ধরছে। তবে দুটি মতই প্রবল হওয়ায় সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই মতভেদ নিরসন সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। আর এর নিরসন না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জ্বালানি খাত।

দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় নিবিড়ভাবে গ্যাস অনুসন্ধানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের কথা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কয়েক বছর ধরে চলেছে। তারই একপর্যায়ে গ্যাজপ্রম বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গড়ার জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সমঝোতা স্মারকের একটি খসড়া পেট্রোবাংলায় পাঠায়। এর দুই মাস পর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান একটি চিঠি লিখে গ্যাজপ্রমকে জানান যে খসড়াটি তাঁদের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছেন। তারপর এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। অথচ গ্যাজপ্রম এখানে এসেছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া সরকারের শীর্ষপর্যায়ের সমঝোতার মাধ্যমে।

ইতিমধ্যে বাপেক্স জ্বালানি খাতে সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাঁচ বছরের একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়েছে। এই পরিকল্পনায় ২০২১ সালের মধ্যে ১১০টি (৫৫টি অনুসন্ধান, ৩২টি উন্নয়ন ও ২৩টি সংস্কার বা ওয়ার্কওভার) কূপ খনন ও তিন হাজার লাইন কিলোমিটার এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানোর কথা বলা হয়েছে। এই পরিকল্পনা থেকে দুই বছরে বাস্তবায়নের একটি কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাতে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে ২৮টি কূপ খনন (২২টি অনুসন্ধান, ৩টি উন্নয়ন, ৩টি সংস্কার) ও তিন হাজার লাইন কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ করার কথা বলা হয়েছে। এই ২৮টি কূপের মধ্যে ১৩টি করানো হবে কোনো বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে। আর ১৫টি বাপেক্স নিজেই করবে। অবশ্য এ কাজে বাপেক্সের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কেননা, গত পাঁচ বছরে বাপেক্স ১৫টি কূপ খনন ও ১৫টি সংস্কার করেছে। তা ছাড়া গত জুলাই থেকে কাগজে-কলমে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কিছুই দৃশ্যমান নয়।

সমুদ্রবক্ষে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানও বলতে গেলে শুরুই হয়নি। সমুদ্র বিজয়ের পর দেশের সমগ্র সমুদ্র অঞ্চলে ‘মাল্টি ক্লায়েন্ট সার্ভে’ নামে যে জরিপ চালিয়ে তেল-গ্যাস পাওয়ার প্রাথমিক সম্ভাবনা নিরূপণের উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল, তা-ও এখন পর্যন্ত শুরু করা যায়নি। কোন কোম্পানিকে এ কাজ দেওয়া হবে, এখনো সেই জটিলতার পুরোপুরি নিরসন হয়নি।

অবশ্য কয়েক দিন আগে ভারতের ওএনজিসি সমুদ্রবক্ষের দুটি ব্লকে প্রাথমিক জরিপের কাজ শুরু করেছে। অস্ট্রেলীয় কোম্পানি স্যান্তোস ও সিঙ্গাপুরের ক্রিস এনার্জি আরেকটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এসব উদ্যোগ থেকে ফল পেতে অন্তত তিন বছর লাগবে।

দেশের কয়লাক্ষেত্রের উন্নয়ন বলতেও এখন পর্যন্ত সেই ‘সবেধন নীলমণি’ বড়পুকুরিয়া, যে খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে বড় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোও সম্ভব নয়। নতুন কোনো কয়লাক্ষেত্র উন্নয়নের কার্যকর উদ্যোগও নেই।

এ অবস্থায় দেশে জ্বালানির ঘাটতি বাড়ছে। চাহিদা বাড়ছে জ্বালানি তেল, কয়লা প্রভৃতির। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার যে পরিকল্পনা করছে, তাতে কয়েক বছরের মধ্যে জ্বালানি খাত আমিদানিনির্ভর হয়ে পড়বে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, বর্তমানে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক জ্বালানির ৭৫ শতাংশ দেশের। ২৫ শতাংশ আমদানি করা হয়। স্থবিরতার কারণে চিত্র ক্রমেই বদলে যাচ্ছে। সরকার যে পরিকল্পনা করছে, তাতে ২০৩০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদার ৭৫ শতাংশ আমদানি করতে হবে। ২৫ শতাংশ ব্যবহৃত হবে দেশীয় জ্বালানি।

বর্তমানে বাণিজ্যিক জ্বালানির মধ্যে আমদানি করা হয় শুধু তেল। এর পরিমাণ বার্ষিক জ্বালানি ব্যবহারের এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কিংবা সরাসরি জ্বালানি হিসেবে আর তেমন কিছুই আমদানি করা হয় না।

সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের (সংশোধিত মহাপরিকল্পনা) জন্য কয়লা, ৪ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইউরেনিয়াম, দৈনিক ৩৫০ কোটি (৩৫০০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাসের সমপরিমাণ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হবে। ২০১৮ সালে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট দিয়ে আমদানি শুরু হবে উচ্চমূল্যের এই জ্বালানির।

সর্বোপরি প্রতিবেশী দেশসমূহ থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছে সরকার। আমদানি কম হলে এই বিদ্যুৎ দেশে উৎপাদনের জন্য আরও জ্বালানি আমদানির প্রয়োজন হবে।

এভাবে জ্বালানি আমদানির পরিমাণ বর্তমানের ২৫ শতাংশ থেকে বাড়তে বাড়তে ২০৩০ সালে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এই জ্বালানি আমদানির জন্য কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে, সেই হিসাব এখনো করা হয়নি। কারণ, কয়লা ও এলএনজির উৎসও এখনো চূড়ান্ত নয়।

এদিকে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বর্তমান ঘাটতি দৈনিক গড়ে প্রায় ৮০ কোটি ঘনফুট। চাহিদা ৩৫০ কোটি। সরবরাহ ২৭০ কোটি ঘনফুট। ২০০৯ সালে এই ঘাটতি ছিল ৫০ কোটি ঘনফুট। তারপর গত ছয়-সাত বছরে গ্যাসের উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে চাহিদাও। আর সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রের উৎপাদন কমেছেও।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ম. তামিম বলেন, দেশের জ্বালানি সম্পদের ব্যবহার বাড়াতে না পারলে জ্বালানি ঘাটতি মিটবে না। কম দামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহও অসম্ভব হবে। তাই গ্যাসের অনুসন্ধান বাড়াতে হবে। নিজস্ব কয়লা ব্যবহারেরও পদক্ষেপ নিতে হবে।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হচ্ছে

Picture

বাংলাদেশ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইপিজেড ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বেপজিয়া) চেয়ারম্যান ও কোরিয়ান বিনিয়োগকারী ইয়াংওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান কিহাক চং। গতকাল চট্টগ্রামে বেপজিয়ার বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

নগরীর রেডিসন ব্লু হোটেলে অনুষ্ঠিত এজিএমে সভাপতির বক্তব্যে কিহাক চং বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এখন বেশ শক্তিশালী। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ বিনিয়োগ-বান্ধব হওয়ায় বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছেন দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা।

বাংলাদেশের স্থিতিশীল অবস্থার কথা উল্লেখ করে কিহাক চং বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ শিল্পপণ্য উৎপাদনে যেকোনো ধনী দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।

সাধারণ সভায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কর্ণফুলী, কোরিয়ান, ঈশ্বরদী, মংলা ইপিজেডের অর্ধশত দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন। সভায় আগামী মেয়াদে কিহাক চংকে চেয়ারম্যান, নাসির উদ্দিনকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, জারাফ কাদেরকে ট্রেজারার করে ১২ সদস্যের বেপজিয়ার কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। খাজা মাঈনুদ্দিন ফরহাদকে প্রেসিডেন্ট, জিন্নাহ চৌধুরীকে জেনারেল সেক্রেটারি, মো. তানভিরকে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আবু সুফিয়ানকে ট্রেজারার করে বেপজিয়ার চট্টগ্রাম জোন গঠন করা হয়।

তথ্যসূত্র : বণিকবার্তা

থমকে আছে জ্বালানি খাত

দেশে জ্বালানির চাহিদা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চললেও দেশীয় জ্বালানিসম্পদ উন্নয়নের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশীয় প্রধান বাণিজ্যিক জ্বালানিসম্পদ গ্যাস খাতের পাশাপাশি আরেকটি সম্ভাবনাময় বাণিজ্যিক জ্বালানিসম্পদ কয়লার উন্নয়নেও কার্যকর কোনো অগ্রগতি নেই।

 

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এই স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের মধ্যে তীব্র মতভেদ রয়েছে। এই স্থবিরতা কাটাতে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সের পাশাপাশি বিদেশি কোম্পানির সহায়তা যে দরকার হবে, মতভেদ সে বিষয়ে নয়; মতভেদ হচ্ছে, কোন কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হবে তা নিয়ে।

মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার সূত্র জানায়, প্রায় আড়াই বছর আগে ২০১৪ সালের ১৪ জুন ঢাকার পার্শ্ববর্তী রূপগঞ্জে ছোট্ট একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপর দেশে আর কোনো নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়নি। কারণ, আবিষ্কারের তেমন কোনো উদ্যোগই ছিল না, এখনো নেই। বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে কিছু নতুন কূপ খনন করে যেটুকু উত্তোলন বাড়ছে, চাহিদার তুলনায় তা মোটেই উল্লেখযোগ্য নয়।

বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো থেকে দ্রুত উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বাপেক্সের পাশাপাশি রাশিয়ার কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে ১০টি কূপ খননের কাজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাপেক্সের নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে, বাপেক্সেরই করা নকশা অনুযায়ী এসব কূপ খননে তেমন কোনো সুফল আসেনি। এই ১০টি কূপ খননের পর দৈনিক গ্যাস উত্তোলন বেড়েছিল প্রায় ২৩ কোটি ঘনফুট। ইতিমধ্যে এর চারটি কূপ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যগুলো থেকে মোট উত্তোলনের পরিমাণ ৮ কোটি ঘনফুটেরও নিচে নেমে এসেছে। পরে গ্যাজপ্রমকে আরও পাঁচটি কূপ খননের কাজ দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যে চীনের কোম্পানি সিনোপেকও কূপ খননের কাজে ঢুকে পড়েছে। কয়েকটি কূপ খনন করেও ফেলেছে তারা। এই পর্যায়ে গ্যাজপ্রমকে দিয়ে কাজ করানোর বিষয়ে সরকারের মধ্যে তীব্র মতভেদ দেখা দিয়েছে। এর একটি মত গ্যাজপ্রমকে দিয়ে কূপ খনন ছাড়াও বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনুসন্ধানসহ গ্যাস খাতের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করানোর পক্ষে। অপর মতটি এর বিপক্ষে। তারা গ্যাজপ্রম ও সিনোপেকের কাজে প্রধানত ব্যয়ের তারতম্যের বিষয়টি তুলে ধরছে। তবে দুটি মতই প্রবল হওয়ায় সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই মতভেদ নিরসন সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। আর এর নিরসন না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জ্বালানি খাত।

দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় নিবিড়ভাবে গ্যাস অনুসন্ধানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের কথা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কয়েক বছর ধরে চলেছে। তারই একপর্যায়ে গ্যাজপ্রম বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গড়ার জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সমঝোতা স্মারকের একটি খসড়া পেট্রোবাংলায় পাঠায়। এর দুই মাস পর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান একটি চিঠি লিখে গ্যাজপ্রমকে জানান যে খসড়াটি তাঁদের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছেন। তারপর এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। অথচ গ্যাজপ্রম এখানে এসেছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া সরকারের শীর্ষপর্যায়ের সমঝোতার মাধ্যমে।

ইতিমধ্যে বাপেক্স জ্বালানি খাতে সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাঁচ বছরের একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়েছে। এই পরিকল্পনায় ২০২১ সালের মধ্যে ১১০টি (৫৫টি অনুসন্ধান, ৩২টি উন্নয়ন ও ২৩টি সংস্কার বা ওয়ার্কওভার) কূপ খনন ও তিন হাজার লাইন কিলোমিটার এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানোর কথা বলা হয়েছে। এই পরিকল্পনা থেকে দুই বছরে বাস্তবায়নের একটি কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাতে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে ২৮টি কূপ খনন (২২টি অনুসন্ধান, ৩টি উন্নয়ন, ৩টি সংস্কার) ও তিন হাজার লাইন কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ করার কথা বলা হয়েছে। এই ২৮টি কূপের মধ্যে ১৩টি করানো হবে কোনো বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে। আর ১৫টি বাপেক্স নিজেই করবে। অবশ্য এ কাজে বাপেক্সের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কেননা, গত পাঁচ বছরে বাপেক্স ১৫টি কূপ খনন ও ১৫টি সংস্কার করেছে। তা ছাড়া গত জুলাই থেকে কাগজে-কলমে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কিছুই দৃশ্যমান নয়।

সমুদ্রবক্ষে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানও বলতে গেলে শুরুই হয়নি। সমুদ্র বিজয়ের পর দেশের সমগ্র সমুদ্র অঞ্চলে ‘মাল্টি ক্লায়েন্ট সার্ভে’ নামে যে জরিপ চালিয়ে তেল-গ্যাস পাওয়ার প্রাথমিক সম্ভাবনা নিরূপণের উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল, তা-ও এখন পর্যন্ত শুরু করা যায়নি। কোন কোম্পানিকে এ কাজ দেওয়া হবে, এখনো সেই জটিলতার পুরোপুরি নিরসন হয়নি।

অবশ্য কয়েক দিন আগে ভারতের ওএনজিসি সমুদ্রবক্ষের দুটি ব্লকে প্রাথমিক জরিপের কাজ শুরু করেছে। অস্ট্রেলীয় কোম্পানি স্যান্তোস ও সিঙ্গাপুরের ক্রিস এনার্জি আরেকটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এসব উদ্যোগ থেকে ফল পেতে অন্তত তিন বছর লাগবে।

দেশের কয়লাক্ষেত্রের উন্নয়ন বলতেও এখন পর্যন্ত সেই ‘সবেধন নীলমণি’ বড়পুকুরিয়া, যে খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে বড় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোও সম্ভব নয়। নতুন কোনো কয়লাক্ষেত্র উন্নয়নের কার্যকর উদ্যোগও নেই।

এ অবস্থায় দেশে জ্বালানির ঘাটতি বাড়ছে। চাহিদা বাড়ছে জ্বালানি তেল, কয়লা প্রভৃতির। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার যে পরিকল্পনা করছে, তাতে কয়েক বছরের মধ্যে জ্বালানি খাত আমিদানিনির্ভর হয়ে পড়বে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, বর্তমানে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক জ্বালানির ৭৫ শতাংশ দেশের। ২৫ শতাংশ আমদানি করা হয়। স্থবিরতার কারণে চিত্র ক্রমেই বদলে যাচ্ছে। সরকার যে পরিকল্পনা করছে, তাতে ২০৩০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদার ৭৫ শতাংশ আমদানি করতে হবে। ২৫ শতাংশ ব্যবহৃত হবে দেশীয় জ্বালানি।

বর্তমানে বাণিজ্যিক জ্বালানির মধ্যে আমদানি করা হয় শুধু তেল। এর পরিমাণ বার্ষিক জ্বালানি ব্যবহারের এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কিংবা সরাসরি জ্বালানি হিসেবে আর তেমন কিছুই আমদানি করা হয় না।

সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের (সংশোধিত মহাপরিকল্পনা) জন্য কয়লা, ৪ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইউরেনিয়াম, দৈনিক ৩৫০ কোটি (৩৫০০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাসের সমপরিমাণ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হবে। ২০১৮ সালে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট দিয়ে আমদানি শুরু হবে উচ্চমূল্যের এই জ্বালানির।

সর্বোপরি প্রতিবেশী দেশসমূহ থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছে সরকার। আমদানি কম হলে এই বিদ্যুৎ দেশে উৎপাদনের জন্য আরও জ্বালানি আমদানির প্রয়োজন হবে।

এভাবে জ্বালানি আমদানির পরিমাণ বর্তমানের ২৫ শতাংশ থেকে বাড়তে বাড়তে ২০৩০ সালে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এই জ্বালানি আমদানির জন্য কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে, সেই হিসাব এখনো করা হয়নি। কারণ, কয়লা ও এলএনজির উৎসও এখনো চূড়ান্ত নয়।

এদিকে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বর্তমান ঘাটতি দৈনিক গড়ে প্রায় ৮০ কোটি ঘনফুট। চাহিদা ৩৫০ কোটি। সরবরাহ ২৭০ কোটি ঘনফুট। ২০০৯ সালে এই ঘাটতি ছিল ৫০ কোটি ঘনফুট। তারপর গত ছয়-সাত বছরে গ্যাসের উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে চাহিদাও। আর সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রের উৎপাদন কমেছেও।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ম. তামিম বলেন, দেশের জ্বালানি সম্পদের ব্যবহার বাড়াতে না পারলে জ্বালানি ঘাটতি মিটবে না। কম দামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহও অসম্ভব হবে। তাই গ্যাসের অনুসন্ধান বাড়াতে হবে। নিজস্ব কয়লা ব্যবহারেরও পদক্ষেপ নিতে হবে।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

ঢাকায় ১০ নভেম্বর বিনিয়োগ সম্মেলন

Picture

ঢাকায় প্রথমবার ‘ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ নামে এক বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ১০ নভেম্বর। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো ‘ড্রাইভিং দ্য সাসটেইনেবল এজেন্ডা’ বা ‘টেকসই এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়া’। এটির উদ্যোক্তা বিল্ড বাংলাদেশ। ওয়েস্টিন হোটেলে সম্মেলনটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ)।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য বেশ কয়েকটি অধিবেশন থাকবে। এ ছাড়া রয়েছে চারটি প্যানেল আলোচনার ব্যবস্থা। এসব আলোচনায় বক্তব্য দেবেন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা। এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টিং মার্কেটের গুরুত্ব অনুধাবন এবং বাংলাদেশে এটির সম্ভাবনা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা। ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে সেই সব বিনিয়োগ, যেগুলোর মাধ্যমে আর্থিক বিনিময়ের সমান্তরালে সমাজ ও পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়ে। বিজ্ঞপ্তি।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

শেষ হলো সাত দিনের আয়কর মেলা

Picture

শাহিদা আক্তার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। থাকেন পূর্ব রাজাবাজার এলাকায়। গত রোববার বেলা তিনটার দিকে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু ব্যাংক বুথ, রিটার্ন জমার দীর্ঘ লাইন দেখে রিটার্ন না দিয়েই ফিরে গেছেন। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মেলায় এসেছেন। মেলায় বসেই ফরম পূরণ করেছেন। পরে দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে ব্যাংকে করের অর্থ জমা দিয়েছেন শাহিদা আক্তার। এরপর রিটার্ন জমা দিয়ে বের হতে বেলা প্রায় দুইটা।

 

 

মেলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শাহিদা আক্তারের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। শাহিদা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুধু হয়রানির ভয়ে এত ভিড় ঠেলে মেলায় রিটার্ন জমা দিয়েছি। সার্কেল কার্যালয়ে গেলে কর্মচারীরা এই কাগজ নেই, ওই কাগজ নেই—এসব বলে। সব কাজ শেষ করতে দু-তিন দিন ঘুরতে হয়। রিটার্ন জমার পর আবার বিবরণীর জমার রসিদের জন্য আরেক দিন যেতে হয়। মেলায় এক দিনেই সব পাওয়া যায়।’ রিটার্ন জমার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে পেরে তিনি বেশ খুশি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে অনুষ্ঠিত কর মেলায় ভিড় ঠেলে নানা ঝক্কি-ঝামেলা পেরিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়ার পর সব করদাতার মধ্যেই একধরনের স্বস্তি ছিল। কর কার্যালয়ের রিটার্ন জমার হয়রানি থেকে তো পার পাওয়া গেল! গতকাল রাজধানীসহ দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত কর মেলা শেষ হয়েছে।
তবে যাঁরা বাড়ি থেকে রিটার্ন ফরম এবং ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করে রসিদ নিয়ে এসেছেন; তাঁরা অনেকটা ঝামেলামুক্তভাবে রিটার্ন দিয়েছেন। ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পেরেছেন তাঁরা। এমনই একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী মহিউদ্দিন আহমেদ। খিলগাঁওয়ে তাঁর বাড়িভাড়া আয়ের প্রধান উৎস। অবসর গ্রহণের পর কয়েক বছর ধরেই তিনি মেলায় রিটার্ন জমা দেন। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও রিটার্ন ফরম পূরণ এবং করের অর্থ পরিশোধ করেই মেলায় এসেছেন। তিনি জানান, বেলা দুইটা রিটার্ন জমার পর আধঘণ্টার মধ্যেই তিনি কর দেওয়ার প্রাপ্তি রসিদ পেয়ে গেছেন। এতে তিনি বেশ খুশি।
এবারের কর মেলায় তরুণদের মধ্যে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নেওয়ায় বেশ আগ্রহ ছিল। কারণ হলো, এবারের বাজেটে সব চাকরিজীবীর ই-টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই চাকরিজীবী তরুণ-তরুণীরা নতুন ই-টিআইএন নিতে ভিড় করেছেন কর মেলায়। গত সাত দিনজুড়েই রাজধানীর কর মেলায় ই-টিআইএন নেওয়ার বুথগুলোতে বেশ ভিড় ছিল। গতকাল তা আরও বেড়েছে।
কর অফিসে গেলে নানা ধরনের হয়রানি হতে হয়; ঘুষ ছাড়া ফাইল চলে না—বছরের পর বছর এই অভিযোগ করে আসছেন করদাতারা। ২০১০ সাল থেকে কর মেলা চালু হওয়ার পর প্রতিবছরই মেলায় রিটার্ন জমার আগ্রহ করদাতাদের মধ্যে দিন দিন বেড়ে চলেছে। এবার তো অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এবার রাজধানীসহ সাতটি বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলাসহ দেড় শ স্থানে আয়কর মেলা হয়েছে। যাঁরা মেলায় রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তাঁরা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর কার্যালয়ে রিটার্ন দিতে পারবেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এবারের দেশজুড়ে মেলায় মোট ৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭৩ জন করদাতা-দর্শনার্থী এসেছেন। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সেবা নিয়েছেন। এ ছাড়া ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জন করদাতা রিটার্ন জমা দিয়ে ২ হাজার ১২৯ কোটি টাকা দিয়েছেন। গতবারের মেলায় ১ লাখ ৬১ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছিল। এতে রাজস্ব প্রাপ্তি হয়েছিল ২০৩ কোটি টাকা।
মেলায় ৩৬ হাজার ৮৫৩ জন নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন, যা গতবারের চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বেশি। মেলায় প্রথমবার রাজধানীর কর মেলায় কর শিক্ষণ ফোরাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মেলা পরিদর্শনের পাশাপাশি কর বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করেছেন। মেলা সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

৬ দিনে রাজস্ব আদায় ১৭২৭ কোটি

Picture

আয়কর মেলার ৬ দিনে সারাদেশে মোট ১ হাজার ৭২৭ কোটি ৭২ লাখ ৭ হাজার ৪৫৭ টাকার আয়কর সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সময়ে সারাদেশে ৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৯৪ জন সেবাগ্রহণ ও ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৪ জন আয় রিটার্ন দাখিল করেছেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মেলার ৬ষ্ঠ দিন আজ রোববার ৩১০ কোটি ৫৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৬ টাকার আয়কর সংগ্রহ হয়েছে। এছাড়া ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৮ জন সেবা গ্রহণ করেছেন।

কর প্রদানের প্রতি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের উৎসাহিত করতে প্রতিবছর আয়কর মেলার আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মেলায় ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, ই-পেমেন্ট ও অনলাইনে আয়কর বিবরণী দাখিলসহ কর সংক্রান্ত সব সেবা পাওয়া যায়।

‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ স্লোগানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিজস্ব ভবনে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া আয়কর মেলা চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে।

মেলায় করদাতাদের আসার সুবিধার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাস দেওয়া হয়েছে। মেলায় করদাতারা আয়কর বিবরণীর ফরম থেকে শুরু করে কর পরিশোধের জন্য ব্যাংক বুথও পাচ্ছেন। আর করদাতাদের সহায়তা করার জন্য সহায়তা কেন্দ্র আছে। একই ছাদের নিচে মিলছে সব সেবা। করদাতার শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনলেই হবে। এ ছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো অনলাইনে রিটার্ন জমা বা ই-ফাইলিং করার সুযোগ দিয়েছে এনবিআর।

তথ্যসূত্র : অর্থসূচক

কর মেলায় শেষ মুহূর্তের ভিড়

Picture

কর মেলায় চলছে শেষ মুহূর্তের ভিড়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত করদাতারা মেলায় রিটার্ন দিচ্ছেন। আবার কেউ নতুন ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিচ্ছেন। কেউ বা ব্যাংকের বুথের সামনে দীর্ঘ সময় লাইন দিয়ে করের টাকা পরিশোধ করেছেন। অন্যদিকে মেলা যতই শেষের দিকে গড়াচ্ছে, প্রায় সব বুথেই কর কর্মকর্তাদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কর মেলায় গিয়ে এ চিত্র পাওয়া গেছে। আজ সোমবার মেলার শেষ দিন। মেলা চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
গতকাল রোববার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্মাণাধীন রাজস্ব ভবনে ঢুকতেই দেখা গেল বিশাল লাইন মূল ভবন ছাড়িয়ে বাইরের চলে এসেছে। ব্যাংকে করের অর্থ পরিশোধের জন্য শত শত করদাতা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। চাহিদার তুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা জমা নেওয়ার কাউন্টারসংখ্যা বেশ কম। মাত্র ৮-১০টি কাউন্টার থেকে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। পল্লবীর আবদুর খালেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু লাইন যেন এগোচ্ছে না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কাউন্টার বাড়ালে ভোগান্তি কিছুটা কমত।’
কিছুটা এগিয়ে মূল মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেল, স্থানসংকুলানের অভাবে শতাধিক করদাতা মেঝেতে বসে আয়কর বিবরণীর ফরম পূরণ করছেন। অথচ তাঁরা প্রত্যেকেই নিজের গাঁটের পয়সা দিতে এসেছেন। রামপুরার বনশ্রী থেকে আসা হাবিবুর রহমান একটি বায়িং হাউসে কাজ করেন। দুপুরে এসে দেখেন, করদাতাদের বিবরণী পূরণ করার টেবিল-চেয়ার সবই পূর্ণ হয়ে আছে। তাই তিনি বাধ্য হয়েই মেঝেতে বসে ফরম পূরণ করছেন।

 

 

রাজধানীর মেলায় গতকাল বিকেলে এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক। এইচ টি ইমাম এক পরামর্শ সভায় অংশ নিয়ে বলেন, মেলায় করদাতাদের উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উপস্থিতিই প্রমাণ করে কর সংস্কৃতিতে বিপুল পরিবর্তন এসেছে। তিনি কর শিক্ষণ ফোরামের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ করদাতা তৈরির ধারণাটির প্রশংসা করেন।

মোহাম্মদ সাদিক জানান, রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে দ্রুত জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। পরামর্শক সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।

এদিকে কর শিক্ষণ ফোরামে গতকাল এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৫০ জন শিক্ষার্থী।

গতকাল সারা দেশের ৬৭টি আয়কর মেলায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৮ জন এসেছেন। তাঁরা রিটার্ন জমা, ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নেওয়া, ই-ফাইলিংসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে এসেছেন কিংবা কর সম্পর্কে খোঁজ নিতে এসেছেন।

গতকাল এসব মেলা থেকে ৩১০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন ২৮ হাজার ৮৬৩ জন। নতুন টিআইএন নিয়েছেন ৪ হাজার ৫৫৯ জন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, গতকাল ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এ পর্যন্ত তাঁরা মোট ১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা কর দিয়েছেন। নতুন করদাতা পাওয়া গেছে ৩১ হাজার ৭৮১ জন।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

মেলায় আয়কর সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছে গোল্ডেন বাংলাদেশ

Picture

আয়কর মেলাসহ প্রতিটি মেলায় গোল্ডেন বাংলাদেশের সরব উপস্থিতি রয়েছে। অমর একুশে বইমেলা, বাণিজ্য মেলা, বৈশাখী মেলাসহ বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করে আসছে দেশের জনগণকে আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন তখ্য দিয়ে আসছে গোল্ডেন বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়কর মেলায় এ সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিজস্ব ভবনে আয়কর মেলার মধ্যে স্থান না পাওয়ায় কর মেলার বিপরীতে বাংলাদেশ বেতার ভবনের পাশে একটি ভ্রাম্যমাণ স্টল স্থাপনের মাধ্যমে মেলার শুরু থেকে আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে আসছে গোল্ডেন বাংলাদেশ।

কর মেলায় আগত দর্শনার্থীদের গোল্ডেন বাংলাদেশের ব্যতিক্রমী স্টল অভীভূত করছে। স্টলে রিটার্ন ফিলাপ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ আয়কর সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও তারা www.goldenbusinessbd.com এর মাধ্যমে আয়কর সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রদান করছে।

মেলায় চতুর্থ দিন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী তাদের স্টল পরিদর্শন করেছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার জন সেবা গ্রহণ করেছেন।

গোল্ডেন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আয়কর বিষয়ে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। এর জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজসহ সকল পেশাজীবীদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। গোল্ডেন বাংলাদেশ পরিচালিত দেশের জন্য ১০মিনিট স্লোগানগুলোর মধ্যে আয়কর ও ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়কে ১ নম্বরে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গোল্ডেন বাংলাদেশ ২৫ হাজার ভলান্টিয়ারদের আয়কর সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে। মেলায় ট্রেনিং এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে।

 

আয়কর মেলা শুরু আজ

Picture

ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা। ‘সমৃদ্ধির সোনালী দিন, আনতে হলে আয়কর দিন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এ মেলা চলবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে মেলার উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের কর দিতে উৎসাহিত করতে সপ্তমবারের মতো এ মেলার আয়োজন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এ উপলক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, প্রথমবারের মতো এবার ঢাকায় এনবিআরের নিজস্ব ভবনের সুবিশাল চত্বরে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আয়কর মেলা ইতোমধ্যে করদাতাদের মধ্যে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এর সুখ্যাতি বেড়েছে। তাই কর তথ্য ও কর সেবা আরও সহজ করতে এবার মেলার ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে। মেলায় অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পাবেন করদাতারা।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ করদাতাদের প্রতি বছর ২০টি ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হলেও এবার ১২৫ জনকে ট্যাক্স কার্ড দেওয়া হবে। রাজস্ব প্রদানে করদাতাদের উৎসাহ বাড়াতে ট্যাক্স কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে করদাতাদের মেলায় যাতায়াতের সুবিধার্তে এবার ৮টি শাটল বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এ বছর ৮ বিভাগীয় শহরে ৭দিন, জেলা শহরগুলোতে ৪দিন এবং ২৯টি উপজেলায় ২ দিনব্যাপী স্থায়ী আয়কর মেলা এবং ৫৭টি উপজেলায় ১দিন ভ্রাম্যমাণ আয়কর মেলা হবে। রঙ্গিন ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে আঞ্চলিক পর্যায়েও মেলা আকর্যণীয় ও ফলপ্রসু করার উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।

নজিবুর রহমান বলেন, কর তথ্য ও সেবা সহজে পেতে আয়কর মেলায় ঢাকার প্রতিটি কর অঞ্চলের জন্য পৃথক বুথ থাকবে। এনবিআরের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনেও কর পরিশোধ করতে পারবেন করদাতারা। ফরম পূরণে সহায়তার জন্য থাকছে হেল্প ডেস্ক। এছাড়া নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। কর পরিশোধে মেলায় সোনালী ও জনতা ব্যাংকের বুথ থাকছে।

তিনি জানান, মেলায় ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। দাখিল ও ফরম পূরণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবেন এনবিআরের রাজস্ব কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আয়কর মেলায় উল্লেখযোগ্য হারে রিটার্ন জমা পড়েছিল। কর আদায় হয়েছিল ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সেবা গ্রহণকারী করদাতার মোট সংখ্যা ছিল সাড়ে ছয় লাখ করদাতা।

তথ্যসূত্র : অর্থসূচক

ভ্যাট দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে

Picture

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, অনেকের কর দেওয়ার সামর্থ্য থাকলেও তাদের মধ্যে সেই মানসিকতা নেই। কিন্তু দেশ উন্নত করতে গেলে ভ্যাট অনেক জরুরি। এজন্য ভ্যাট দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। ভ্যাট দিতে ব্যবসায়ীদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। ভ্যাটের পরিমাণ যত বাড়বে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বাজেটও তত বাড়বে।

আজ সোমবার নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বাস্তবায়নের লক্ষে এ সেমিনার আয়োজিত হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কর আপীল আদালত চট্টগ্রামের কমিশনার মাহবুব হোসেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্যাট্রিসের সভাপতি, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শিগগির নতুন আইন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এটা বাস্তবায়ন হলে ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমবে। এ আইন ব্যবসায়ীবান্ধব হবে বলে আশা রাখি।

সেমিনারে চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ বলেন, অনেক সময় দেখায় ফাঁক ফোকর দিয়ে বড় বড় প্রতিষ্টান ভ্যাটের আওতায় আসে না। আবার চায়ের দোকানদারকেও অনেক সময় মূল্যরশিদ না থাকার কারণে জরিমানা গুণতে হয়। এই পার্থক্য থাকার কারণে ভ্যাট দেয়ার ক্ষেত্রে ভয় কাজ করছে। এই পার্থক্য দূর করতে হবে। ব্যবসায়ী ও ভ্যাট আদায়কারীদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। তাহলে ভ্যাট অনলাইন আইন বাস্তবায়ন সহজ হবে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, একটি দেশকে এগিয়ে নিতে এনবিআরকে আরও শক্তিশালী ভুমিকা পালন করতে হবে। নতুন আইন যাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সকল ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে বাস্তবায়ন করা হয়। যাতে করে অনলাইন ভ্যাট পদ্ধতি সবার কাছে সহজতর মনে হয় সে ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া উচিত।

তথ্যসূত্র : অর্থসূচক