FAQ

Displaying 21-30 of 41 results.

প্রশ্ন: আয় ইত্যাদি গোপন করবার শাস্তি কি?

যদি কোন ব্যাক্তি তার আয় সম্পর্কিত  কোন জ্ঞতব্য বিষয়দি  গোপন করেন অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত অসত্য তথ্যদি দাখিল করেন, তবে উনি  উক্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে অনধিক পাঁচ বৎসর পর্যন্ত কিন্তু তিন মাসের কম নয় কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
প্রশ্ন:  প্রতিপাদন ইত্যাদিতে  অসত্য বিবৃতি প্রদানের জন্য শাস্তি কি
কোন  ব্যক্তি নিম্নোক্ত  কোন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে অনধিক তিন বছর কারাদন্ড কিন্তু তিন মাসের কম নয় । অথবা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবেন, যেমন-
(ক) এই অধ্যদেশের কোন বিধানবলির আওতায় দাখিল করা হয়েছ এরুপ কোন রিটার্ন বা অন্য কোন দলিলাদি যদি অসত্য হয়;
(খ) এই অধ্যদেশের আওতায় কোন অসত্য রিটার্ন, হিসাব, বিবৃতি, সনদ বা ঘোষনা প্রণয়ন ও দাখিল করার জন্য জ্ঞানত: ও স্বেচ্ছায় কাউকে সহায়তা, প্ররোচিত,
কুপ্ররোচনা প্রদান করে বা অন্তর্ভুক্ত করে বা নিজে স্বেচ্ছায় বা সজ্ঞানে অন্য কোন ব্যক্তির পক্ষে অনুরুপ অসত্য রিটার্ন, হিসাব, বিবৃতি, সনদ বা ঘোষনা প্রদান করেন
(গ) অসত্য বলে জ্ঞাত থেকে বা বিশ্বাশ করে অথবা সত্য নয় বিশ্বাশ করা সত্ত্বে ও ৮২ ধারার প্রথম ও দ্বিতীয় বিধিতে বর্ণিত কোন সনদ সাক্ষর এবং ইস্যু করে থাকেন;
 (ঘ) ১১৫ ধারার অধীনে জরীপের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিল করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে

প্রশ্ন: আয়কর কর্তৃপক্ষকে বাধা প্রদানের দন্ড।-

উত্তর:  কোন আয়কর কর্তৃপক্ষকে এই এই আদেশের আওতায় উহার কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করলে, এরুপ ব্যাক্তি এক  বছরের অধিক নয় এরুপ মেয়াদে কারাবরণ বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডীয় একটি অপরাধ করবেন ।

প্রশ্ন: করদাতা নিজে ছাড়া আর কার মাধ্যমে আয়কর মামলা পরিচালনা/হাজিরা দিতে পারবেন

উত্তর:  (১) করদাতার পিতামাতা, স্বামী স্ত্রী, পুত্র কন্য ভাই অথবা বোন ইত্যাদি আত্বীয়
(২) আইনজীবি, আই টি.পি চাটার্ড একাউন্টেন্ট, কষ্ট এবং ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট
(৩) করদাতার একজন সার্বক্ষনিক কর্মচারী
এই বিষয়ে আয়কর অধ্যাদেশের ১৭৪ ধারায় বিস্তারিত উল্যেখ আছে
      প্রশ্ন:  করের টাকা কি ভগ্নাংশে দেওয়া যায় অর্থাৎ কর যদি ৬০০০.৬৫ টাকা হয় তবে কি করতে হবে
      উত্তর:  ১৭৫ ধারা মতে করের পরিমান অথবা ফেরত প্রদানযোগ্য অর্থের পরিমান নিরুপন করার সময় টাকার ভগ্নাংশ পঞ্চাশ পয়সার কম হলে তা বাদ    দিতে হবে। ভগ্নাংশ পয়সার বেশি হলে অথবা সমান হলে এক টাকা হিসেবে গণ্য করতে হবে । অর্থাৎ ৬০০১ টাকা কর প্রদান করতে হবে।

প্রশ্ন: কর নির্ধারনের স্থান আছে কি এবং একাধিক স্থানে ব্যাবসা থাকলে কোন স্থানে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে

উত্তর:(১) যেক্ষেত্রে একজন করদাতা  যে স্থানে  ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তিমূলক  কাজ পরিচালনা করেন, উক্ত স্থান  যে উপকর কমিশনারের আওতাধীন এলাকায় অবস্থিততার মাধ্যমে কর নির্ধারিত হবে অথবা যেক্ষেত্রে ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তি একাধিক স্থানে পরিচালিত হয়, যেক্ষেত্রে তার ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তির প্রধান কার্যলয় যে স্থানে অবস্থিত সে স্থানের উপকর কমিশনার ঐ কর নির্ধারণ করবেন ।
 (২)  অন্যন্য মামলার ক্ষেত্রে করদাতা যে এলাকায় বসবাস করেন উক্ত এলাকার উপকর কমিশনার দ্বারা উক্ত কর নির্ধারিত হবে ।
(৩) যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীনে কর নির্ধারনের স্থান নিয়ে কোন প্রশ্ন উত্থপিত হয় সেক্ষেত্রে কমিশনার এ প্রকার পশ্নের মিমাংসা করবেন অথবা যেক্ষেত্রে একাধিক কমিশনারের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা নিয়ে প্রশ্ন উথ¦াপিত হয় সেক্ষেত্রে  সংশ্লিষ্ট কমিশনারবৃন্দ কর্তৃক  বা এ ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক   ঐ বিষয়টি  মিমাংসা করতে হবে তবে শর্ত থাকে যে, অনুরুপ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের পূর্বে করদাতাকে  ঐ বিষয়ে তার মতামত প্রদানে সুযোগ দিতে হবে ।
(৪) কোন ব্যক্তি মোট আয়সয়ক্রান্ত রিটার্ন দাখিল করার পর অথবা এরুপ রিটার্ন দাখিলের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে যে সময় নির্ধারণ করা হযেছে সে সময় উত্তীর্ণ হবার পর উপকর কমিশনারের কার্য পরিধি বিষয়ে কোন প্রশ্ন উথ্থপিত করতে পারবেন না ।

আয় কর কি

সরকারের রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ করের মধ্যে অন্যতম হলো আয়কর।করদাতা আয় বিবেচনায় এ কর প্রযোজ্য হয়। কোন ব্যক্তির আয় নিদির্ষ্ট সীমার উপর হলে উক্ত আয়ের উপর আয়ের স্তর ভিত্তিতে বিভিন্ন হার অনুযায়ী আয়কর প্রদান করতে হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে সরকারী ব্যয় নির্বাহ এবং দেশের অভ্যন্তরীন উন্নয়ন।

২০১৫-২০১৬ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর হার

(ক) ব্যক্তি শ্রেণীর কর হারঃ

(১)অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ব্যক্তি করদাতা, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার, অংশিদারী ফার্ম, ব্যক্তি সংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির করমুক্ত প্রদেয় আয়করের এবং সারচার্জ আরোপের বিধানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০১৫-২০১৬ কর বছরের জন্য এরূপ করদাতাদের আয়ের উপর প্রযোজ্য কর হার নিম্নরূপঃ

প্রথম ২,৫০,০০০/ -টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর শূন্য
পরবর্তী ৪,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১০%
পরবর্তী ৫,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১৫%
 পরবর্তী ৬,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০%
পরবর্তী ৩০,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২৫%
সর্বমোট ৪৭,৫০,০০/- টাকার অধিক আয়ের উপর..........  ৩০%

 

(২) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ বয়সের পুরুষ করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা  ২,৭৫,০০০/-টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩,০০,০০০/-টাকা করা হয়েছে।

 

(৩) প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩,৫০,০০০/-টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩,৭৫,০০০/-টাকা করা হয়েছে।

(৪) গেজেটভূক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার আয়ের সীমা ৪,০০,০০০/-টাকা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নং মুবিম/প্রঃ৩/মুক্তিযোদ্ধা/গেজেট/২০০৩/৪৭৯, তারিখঃ ২০শে ভাদ্র ১৪১০/ ৪ঠা ১৪সেপ্টেম্বর ২০০৩ এ উল্লেখিত তালিকায় যে সকল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেসকল করদাতা এ সুবিধা পাবেন।

(৫) করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ এলাকাভেদে নিম্নরূপভাবে বিন্যস্ত করা

হয়েছেঃ

এলাকারবিবরণ ন্যূনতম করের হার
ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৫,০০০/-টাকা
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা  ৪,০০০/-টাকা
সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৩,০০০/-টাকা

 

  • ন্যূনতম আয়করের এ বিধানের ফলে একজন করদাতার আয় যে কোন স্থানেই অর্জিত হউক না কেন তিনি যেখানে অবস্থান করবেন তাঁর সে অবস্থানের ভিত্তিতেই ন্যূনতম করের হার নির্ধারণ হবে। তবে কোন করদাতা যদি একই আয়  বছরে  একাধিক  স্থানে  অবস্থান  করে  থাকেন  তাহলে  যে  স্থানে  তিনি  সর্বাধিককাল  অবস্থান  করেছেন  সে অবস্থানস্থলের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম কর হার তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
  • ব্যবসা আয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনার মূখ্য স্থানই ন্যূনতম করের জন্য একজন করদাতার অবস্থানস্থল হিসেবে বিবেচিত হবে।একজন চাকুরীজীবি করদাতা আয়বছরে একাধিক স্থানে কর্মরত থাকলে যে স্থানে তিনি অধিক কাল কর্মরত ছিলেন ন্যূনতম করের জন্য সে স্থানই তাঁর অবস্থানস্থল বলে বিবেচিত হবে।
  • করদাতা অনিবাসী হলে বাংলাদেশে তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেন সে ঠিকানাই তাঁর অবস্থানস্থল হিসেবে বিবেচিত হবে।
  • করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ হিসাব অনুযায়ী তাঁর জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ অপেক্ষা কম হলে বা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের কম বা ঋণাত্মক হলেও তাঁকে তাঁর জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।

 

(খ) ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তি করদাতাদের উপর সারচার্জ আরোপঃ

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ব্যক্তি করদাতাদের প্রদেয় আয়করের উপর প্রযোজ্য সারচার্জ আরোপের বিধানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পূর্বের ন্যায় আয়কর রিটার্নের সাথে দাখিলকৃত সম্পদ ও দায় বিবরণীতে প্রদর্শিত নীট সম্পদের পরিমাণ ২ (দুই) কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে হলে নীট সম্পদের উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত হারে প্রদেয় আয়করের উপর সারচার্জ আরোপিত হবেঃ

নীট পরিসম্পদের মূল্যমান সারচার্জের হার
(ক) দুই কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত - শূন্য
(খ) দুই কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু দশ কোটি টাকার অধিক নয়- ১০%
(গ) দশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু বিশ কোটি টাকার অধিক নয়- ১৫%
(ঘ) বিশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু ত্রিশ কোটি টাকার অধিক নয়- ২০%
(ঙ) ত্রিশ কোটি টাকার অধিক যে কোন অংকের উপর- ২৫%

      

 

নূন্যতম সারচার্জ এর পরিমাণ ৩,০০০/- টাকা।

 

উক্ত সারচার্জ বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বাদে প্রদেয় আয়করের উপর প্রযোজ্য হবে। সারচার্জ কিভাবে আরোপিত হবে তা অপর পৃষ্ঠার উদাহরণগুলোর সাহায্যে স্পষ্ট করা হলোঃ

 

                                টাকা

(১) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                                               ২১,০০০,০০০/-

মোট আয়-                                                                                            ১০,০০,০০০/-

আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ                                              ৯২,৫০০/-

প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ                                                                         শূন্য।

 

(২) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                                               ২,৩৫,০০,০০০/-

মোট আয়                                                                                              ১০,০০,০০০/-

আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ                                                         ৯২,৫০০/-

প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (১০%)                                                               ৯,২৫০/-

 

(৩) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                                                ১১,০০,০০,০০০/-

মোট আয়-                                                                                             ১০,০০,০০০/-

আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ                                                ১২,২৫০/-

প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (১৫%)                                                               ১৩,৮৭৫/-

 

(৪) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                                              ২০,৫০,০০,০০০/-

মোট আয়-                                                                                           ১০,০০,০০০/-

আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ                                              ৯২,৫০০/-

প্রদেয় সারচার্জের পরিমান ২০%                                                               ১৮,৫০০/-

 

(৫) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                                              ৩০,১৪,০০,০০০/-

মোট আয়-                                                                                           ১০,০০,০০০/-

আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ                                               ৯২,৫০০/-

প্রদেয় সারচার্জের পরিমান ২৫%                                                                ২৩,১২৫/-

 

(৬) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                                               ৩২,০০,০০,০০০/-

মোট আয়-                                                                                            ১০,০০,০০০/-

আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ                                                ৯২,৫০০/-

বিনিয়োগজনিত আয়কর রেয়াত                                                                   ১০,০০০/-

বিনেয়োগজনিত আয়কর রেয়াত বাদে প্রদেয়                                                   ৮২,৫০০/-

             অগ্রিম আয়কর পরিশোধ                                                                        ৭০,০০০/-

             অবশিষ্ট প্রদেয় আয়কর                                                                          ১১,০০০/-

              প্রদেয় সারচার্জের পরিমান ৮৬,০০০/-টাকার ২৫%                                      ১২,৫০০/-

 

*ব্যক্তি (individual)শ্রেণীর করদাতা ভিন্ন অন্য কারো উপর এ সারচার্জ আরোপিত হবে না

(গ) অনিবাসী ব্যক্তির করহার:

বাংলাদেশী নয় এমন অনিবাসী ব্যক্তিদের কর হার ৩০% করা হয়েছে। তবে অনিবাসী ব্যক্তি করদাতা বাংলাদেশী নাগরিক হলে তাদের আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য হারে (০%, ১০%, ১৫%, ২০%, ২৫% ও ৩০%) কর প্রদেয় হবে।

রিটার্ণ দাখিল না করলে

সময়মত আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা আরোপেরবিধান আছে। এ বিধান অনুসারে আয়কর অধ্যাদেশের ৭৫ ধারানুসারে নির্ধারিত/বর্ধিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থতাজনিত কারনে সর্বশেষ নিরুপিত আয়ের উপর প্রদেয় করের ১০% অথবা কমপক্ষে ১০০০/-টাকা এককালীন জরিমানা আরোপের এবং পরবর্তী প্রতি দিবসের জন্য ৫০/-টাকা হারে জরিমানা আরোপের বিধান আছে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি-করদাতার উপর আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারায় আরোপযোগ্য জরিমানার সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এরূপ জরিমানার সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে ইতোপূর্বে করারোপিত হয়েছেন এমন কোন পুরোনো ব্যক্তি-করদাতার ক্ষেত্রে তার সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকত করের ৫০% অথবা ১,০০০/-টাকা, দু’টির মধ্যে যেটি বেশি।অপরদিকে, কোন নতুন ব্যক্তি-করদাতার ক্ষেত্রে আরোপযোগ্য মোট জরিমানার পরিমাণ ৫,০০০/-টাকার বেশি হবে।

 

 

টিআইএন ফরমের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে

চাকরীজীবি হলে:

(ক) পূরণ করা দুটি টিআইএন ফরম

(খ) দুকপি পাসপোট সাইজের ছবি।

(গ) ভোটার আইডি  এর ফটোকপি

(ঘ) বেতনের সার্টিফিকেট/ নিয়োগ পত্র

ব্যবসার ক্ষেত্রে:

এক মালিকানাধীন হলে-

 (ক) পূরণ করা দুটি টিআইএন ফরম

(খ) দুকপি পাসপোট সাইজের ছবি।

(গ) ভোটার আইডি  এর ফটোকপি

(ঘ) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইন্সেস এর ফটোকপি।

পার্টনারশীপ হলে -

(ক) পূরণ করা দুটি টিআইএন ফরম

(খ) ম্যানেজিং পার্টনার এর দুকপি পাসপোট সাইজের ছবি।

(গ) ভোটার আইডি  এর ফটোকপি

(ঘ) পার্টনারশীপ চুক্তিপত্রের ফটোকপি।

(ঙ) ট্রেড লাইন্সেস এর ফটোকপি

লিমিটেড কোম্পানী হলে-

 ক) পূরণ করা দুটি টিআইএন ফরম

(খ) ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের দুকপি পাসপোট সাইজের ছবি।

(গ) ভোটার আইডি  এর ফটোকপি

(ঘ) মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েসন এর সার্টিফাইট কপি এর ফটোকপি

(ঙ) ইনকরপরেশন সার্টিফিকেটের ফটোকপি

(চ) ট্রেড লাইন্সেস এর ফটোকপি

(ছ) ডিরেক্টরদের টিআইএন সার্টিফিকেট এর ফটোকপি

রিটার্ণ কোথায় দাখিল করতে হবে

প্রত্যেক শ্রেণীর করদাতার রিটার্ণ দাখিলের জন্য আয়কর সার্কেল ঠিক করা আছে। পুরোনো করদাতারা তাঁদের বর্তমান সার্কেলে রিটার্ণ দেবেন। নতুন করদাতারা তাঁদের নাম, চাকুরীস্থল বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার ভিত্তিতে নির্ধারিত সার্কেলে টিআইএন (TIN) ফরমসহ আয়কর রিটার্ণ দাখিল করবেন। করদাতারা প্রয়োজনে কাছাকাছি আয়কর অফিস বা কর পরামর্শ কেন্দ্র থেকে আয়কর রিটার্ণ দাখিল করার সার্কেল সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

কখন আয়ের বিবরণ বা রিটার্ণ দাখিল করিতে হইবে-

ব্যাক্তি শ্রেনীর করদাতার ক্ষেত্রে ১লা জুলাই থেকে ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আয়ের বিবরণী দাখিল করিতে হইবে।
এ ছাড়া কোন করদাতা উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনারের কাছে আবেদন করিতে পারেন। উপ কর কমিশনার নিজ ক্ষমতাবলে “সাধারন” বা “সার্বজনীন স্বনির্ধারনী” পদ্ধতিতে রির্টান দাখিলের জন্য  নির্ধারিত সময়সীমা ২(দুই) মাস পর্যন্ত  সময় বর্ধিত করিতে পারেন। এছাড়াও যুগ্ম কর কমিশনার/অতিরিক্ত কর কমিশনার ২ মাস সময় বৃদ্ধি করতে পারেন।