INCOME TAX HOT

Displaying 1-10 of 11 results.

বিনিয়োগ ও দানকৃত অংকের কর রেয়াত

বিনিয়োগ ও দানকৃত অংকের কর রেয়াত
নির্দিষ্ট কয়েকটি খাতে করদাতার বিনিয়োগ/চাঁদা থাকলে করদাতা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত পান। মোট আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের অংক থেকে কর রেয়াতের অংক বাদ দিলে প্রদেয় করের অংক পাওয়া যায়। একজন করদাতার বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত পরিগণনার ক্ষেত্রে নি¤œরূপ ২টি বিষয় বিবেচিত হয়:
(ক) করদাতার মোট আয়:
(খ) রেয়াতের জন্য অনুমোদনযোগ্য অংক (eligible amount)

রেয়াতের জন্য অনুমোদনযোগ্য অংক (eligible amount) হবে-
(i) রেয়াত পাওয়ার যোগ্য খাতে করদাতার প্রকৃত বিনিয়োগ/চাঁদার পরিমাণ;
(ii) করযোগ্য মোট আয়ের (৮২সি ধারার (২) উপ-ধারায় বর্ণিত উৎস/উৎসসমূহ হতে প্রাপ্ত আয় এবং কর অব্যহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য এমন আয় থাকলে তা ব্যতীত) ২৫%;
(iii) ১ কোটি  টাকা; অথবা এই তিনটির যেটি কম।
মোট আয় ও অনুমোদযোগ্য অংক (বষরমরনষব ধসড়ঁহঃ) এর ভিত্তিতে আয়কর রেয়াতের পরিমাণ নিম্নরূপ হারে নির্ধারিত হবে:

মোট আয়  রিবেট
যদি মোট আয় ১৫ লক্ষ টাকার অধিক না হয়  ১৫% হারে
যদি মোট আয় ১০ লক্ষ টাকার অধিক হলে  ১০% হারে

বিনিয়োগ জনিত রেয়াত দাবির জন্য পৃথক তফসিল রয়েছে। নতুন রিটার্ন ফরমে তফসিলটি 24 ডি নামে চিহ্নিত। নতুন রিটার্ন দাখিলকারী করদাতা বিনিয়োগ দাবি করলে রেয়াত পাওয়ার যোগ্য বিনিয়োগ বা দান নতুন প্রবর্তিত তফসিল ২৪-ডি এ উল্লেখপূর্বক মূল রিটার্নের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং বিনিয়োগ বা দানের প্রমাণপত্র রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে।
বিনিয়োগের খাতঃ একজন করদাতার বিনিয়োগ ও দানের সম্ভাব্য খাতের তালিকা নীচে দেয়া হলোঃ
* জীবন বীমার প্রিমিয়াম।
* সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা।
* স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা।
* কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বীমা তহবিলে চাঁদা।
* সুপার এনুয়েশন ফান্ড প্রদত্ত চাঁদা।
* যে কোন তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কীমে
বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০,০০০ টাকা বিনিয়োগ।
* সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে বিনিয়োগ।
* বাংলাদেশের ষ্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্ত কো¤পানির শেয়ার, স্টক,

মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ;
* বাংলাদেশ সরকার ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগ;
দানঃ
* জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান;
* যাকাত তহবিলে দান।
* জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোন দাতব্য হাসপাতালে দান।
* প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দান।
* মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে প্রদত্ত দান।
* আগাঁ খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কে দান।
* আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালে দান।
* ICDDRB তে প্রদত্ত দান।
*CRP , সাভার এ প্রদত্ত দান।
* সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান।
* এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ এ দান।
* ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে দান।
* মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কোন প্রতিষ্ঠানে অনুদান;

রিটার্নের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে

রিটার্নের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে
বিভিন্ন উৎসের আয়ের সপক্ষে যে সকল ডকুমেন্টের ফটোকপি দাখিল করতে হবে আয়ের খাতওয়ারী সেগুলোর একটি তালিকা নিচে দেয়া হলোঃ
বেতন খাতঃ
(ক) বেতন বিবরণী;
(খ) ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থাকলে কিংবা ব্যাংক সুদ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী বা ব্যাংক সার্টিফিকেট
(গ) জীবন বীমার প্রিমিয়াম দাবী করা হলে প্রিমিয়াম জমার রশিদের কপি


নিরাপত্তা জামানতের সুদ খাতঃ
(ক) বন্ড বা ডিবেঞ্চার যে বছরে কেনা হয় সে বছরে বন্ড বা ডিবেঞ্চারের কপি;
(খ) সুদ আয় থাকলে সুদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র;
(গ) ব্যাংক বা প্রাতিষ্ঠানিক, ঋণ নিয়ে বন্ড বা ডিবেঞ্চার কেনা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে ব্যাংক সার্টিফিকেট/ব্যাংক বিবরণী বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র;


গৃহ সম্পত্তি খাতঃ
(ক) বাড়ি ভাড়ার সমর্থনে ভাড়ার চুক্তিনামা বা ভাড়ার রশিদের কপি মাসিক ভিত্তিক বাড়ি ভাড়া প্রাপ্তির বিবরণী এবং প্রাপ্ত বাড়ি ভাড়া জমা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব বিবরণী;
(খ) পৌর কর, সিটি কর্পোরেশন কর, ভুমি রাজস্ব প্রদানের সমর্থনে রশিদের কপি;
(গ) ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে বাড়ি কেনা বা নির্মাণ করা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে ব্যাংক সার্টিফিকেট;
(ঘ) গৃহ সম্পত্তি বীমাকৃত হলে বীমার প্রিমিয়ামের রশিদের কপি।


ব্যবসা বা পেশা খাতঃ
ব্যবসায়ের বা পেশার আয়-ব্যয়ের বিবরণী (Income Statemant) ও স্থিতিপত্র (Balance Sheet)


অংশীদারী ফার্মের আয়ঃ
ফার্মের আয়-ব্যয়ের বিবরণী (Income Statemant) ও স্থিতিপত্র (Balance Sheet)


মূলধনী মুনাফাঃ
(ক) স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের দলিলের কপি;
(খ) উৎসে আয়কর জমা হলে তার চালান/পে-অর্ডারের ফটোকপি;
(গ) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন থেকে মুনাফা হলে এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র;


অন্যান্য উৎসের আয়ের খাতঃ
(ক) লভ্যাংশ খাতে আয় থাকলে ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টের কপি বা সার্টিফিকেট;
(খ) সঞ্চয়পত্র হতে সুদ আয় থাকলে সঞ্চয় পত্র ভাঙ্গানোর সময় নেয়া সার্টিফিকেটের কপি;
(গ) ব্যাংক সুদ আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী/সার্টিফিকেট;
(ঘ) অন্য যে কোন আয়ের উৎসের জন্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র;

অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ

৩২। অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগঃ

ক.        অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 19AAAA এর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

১.         অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে প্রতিস্থাপিত ধারা 19AAAA এর মাধ্যমে অর্থের উৎসের ব্যাখ্যা ব্যতিরেকে সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ধারার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ বলতে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড                      এচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক, শেয়ার ,মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ এবং পুঁজিবাজারে ক্রয়—বিক্রয়যোগ্য সকল সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ড বুঝাবে।

২.       নতুন এ বিধান অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তি—করদাতা বিনিয়োগকৃত অংকের ২৫% হারে কর পরিশোধ করে পুঁজিবাজারে কোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকৃত অর্থের উৎস নিয়ে আয় কর কর্তৃপক্ষসহ অন্যকোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে                           পারবে না।

৩.       পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকৃত অর্থের উপর ২৫% হিসেবে যে পরিমাণ কর পরিগণিত হবে সে পরিমাণ করের ৫% অতিরিক্ত কর জরিমানা হিসেবে পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকৃত অর্থের উপর ২৬.২৫% হারে কর পরিশোধ করতে হবে।

৪.        এ ধারার অধীন পরিশোধিত কর কেবলমাত্র পে অর্ডার বা অটোমেটেড চালান (এ—চালান) এর মাধ্যমেপরিশোধ করতে হবে।

৫.        এছাড়াও এ ধারার অধীন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পরিপালন করতে হবে, যথা:

অ.       বিনিয়োগ অবশ্যই ১ জুলাই, ২০২১ হতে ৩০ জুন, ২০২২ (উভয় দিন অন্তর্ভুক্ত) সময়সীমার মধ্যে করতে হবে।

                          আ.       বিনিয়োগের ৩০ দিনের মধ্যে কর পরিশোধ করতে হবে।

ই.         উক্ত বিনিয়োগ সম্পর্কে উপকর কমিশনারের নিকট IT D2020 ফর্মে (বিধি ২৪ই অনুযায়ী) ঘোষণাপত্র দাখিল করতে হবে।

ঈ.        এ ধারার অধীন ঘোষিত বিনিয়োগের তারিখ হতে এক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজার হতে বিনিয়োগকৃত কোনো অর্থ উত্তোলন করা হলে সংশ্লিষ্ট করবছরে উত্তোলিত উক্ত অর্থের উপর ১০% হারে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।

                                        উ.        বিনিয়োগের তারিখে অথবা তার পূর্বে আয় কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধীন করফাঁকির অভিযোগে কোনো কার্যধারা (proceeding) বা অন্যকোনো আইনের অধীন আর্থিক বিষয়ে কোনো কার্যধারা চালু হলে এ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না ।

ঊ.      বি.ও. অ্যাকাউন্টে জমাকৃত টাকা ‘সিকিউরিটিজে’ বিনিয়োগ না করলে এ ধারার অধীন সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শেয়ার ক্রয়ে বিনিয়োগ না করে বি.ও. অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখাও পুঁজিবাজার হতে উত্তোলন বলে গণ্য হবে।                                         অর্থাৎ বিনিয়োগের  তারিখ হতে ৩৬৫ তম দিনেও ঘোষণাকৃত অর্থ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ আকারে অবশ্যই থাকতে হবে।

                          নতুন প্রবর্তিত এ বিধান ২০২২—২৩ কর বছর থেকে কার্যকর হবে

              খ. আয় কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এ ধারা 19AAAAA এর প্রতিস্থাপন

অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে আয় কর অধ্যাদেশের ধারা 19AAAAA প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অপ্রদর্শিত সম্পত্তি, নগদ অর্থ, ইত্যাদি ঘোষণা ও কর পরিশোধের বিশেষ বিধান হিসেবে এ ধারা সংযোজিত হয়েছে। নতুন এ বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি করদাতা পূর্বেরযেকোনো সময়ের অপ্রদর্শিত স্থাবর সম্পত্তির জন্য এ ধারার টেবিল—১ (জমির ক্ষেত্রে) ও টেবিল—২ ( বিল্ডিং বা এ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে) অনুযায়ী বর্গমিটার প্রতি একটি নির্দিষ্ট হারে কর পরিশোধ করে এবং টেবিল—৩ এ বর্ণিত পূর্বের যেকোনো সময়ের অপ্রদর্শিত অস্থাবর সম্পত্তির জন্য ২৫% হারে কর এবং পরিশোধযোগ্য করের উপর ৫% হারে অর্থাৎ মোট ২৬.২৫% হারে আয় কর পরিশোধ করে বর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি প্রদর্শন করতে পারবেন। করদাতার এ সকল অপ্রদর্শিত সম্পদের উৎস নিয়ে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্যকোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না যদি তিনি নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ করেন, যথা:

ক.          রিটার্ন অথবা সংশোধিত রিটার্ন (revised return) দাখিলের পূর্বে প্রযোজ্য কর পরিশোধ করতে হবে।

খ.           ১ জুলাই, ২০২১ হতে ৩০ জুন, ২০২২ (উভয় দিন অন্তর্ভূক্ত) সময়সীমার মধ্যে রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে। করদাতা যদি 82BB ধারায় আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন তাহলে ৩০ জুন অথবা রিটার্ন দাখিলের দিন হতে ৬ মাস, যেটি আগে হবে, এরমধ্যে ভুল—                               সংশোধনী  রিটার্ন (amended return) দাখিল করে এই ধারার  অধীন কর পরিশোধ করতে পারবেন। করদাতা সাধারণ পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করলে ৩০ জুনের মধ্যে সংশোধিত রিটার্ন (revised return) দাখিল করে এ ধারার অধীন কর পরিশোধ করতে পারবেন।

গ.           রিটার্ন অথবা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের তারিখে অথবা তার পূর্বে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধীন করফাঁকির অভিযোগে কোনো কার্যধারা (proceeding) বা অন্য কোনো আইনের অধীন আর্থিক বিষয়ে কোনো কার্যধারা চালু হলে এ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।

              ঘ.           এ ধারার অধীন আয়কর কেবলমাত্র পে অর্ডার বা এ—চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

             এই ধারার অধীন কর পরিশোধপূর্বক সম্পদ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনায় নিতে হবে, যথা:—

ক.          যেক্ষেত্রে নগদ (cash) প্রদর্শন করা হবে সেক্ষেত্রে তা ৩০ জুন ২০২১ তারিখের আইটি ১০বি তে হাতে নগদ বা ব্যাংকে নগদ অথবা ব্যবসায়ের পুঁজি হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে।

খ.          অপ্রদর্শিত জমি অথবা বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হার ব্যতীত অন্যকোনভাবে কর পরিশোধ করা যাবে না। অর্থাৎ অপ্রদর্শিত জমি অথবা বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের দলিলমূল্যকে অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ হিসেবে প্রদর্শন করে ২৫ শতাংশ হারে কর                                পরিশোধ করা যাবেনা। প্রতি বর্গমিটারের জন্য নির্ধারিত হারে  কর পরিশোধ করতে হবে এবং বর্গমিটার প্রতি প্রযোজ্য হারের উপর ৫ শতাংশ হারে কর পরিশোধ করতে হবে।

গ.         এ ধারার অধীন কর পরিশোধ করে সম্পদ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ঘোষণাপত্রের  প্রয়োজন হবে না। দাখিলকৃত রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্নের সম্পদ বিবরণী অংশে যথাস্থানে তা প্রদর্শন করে অন্যান্য প্রাপ্তির ঘরে” এতদ্সংক্রান্ত ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।                                   প্রযোজ্যতা মোতাবেক প্রমাণক হিসেবে ব্যাংক বিবরণী, দলিলাদি  প্রভৃতি সংযোজন/দাখিল করতে হবে।

ঘ.         এ ধারার শর্ত পরিপালনপূর্বক ঘোষিত সম্পদ এবং সম্পদ সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অন্যকোনো ধারায় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না।

                                টেবিল—১

                          জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে

ক্রমিক নং

জমি এর অবস্থান

কর হার (প্রতি বর্গমিটার)

 

ঢাকার গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত ভূমি

২০,০০০ টাকা

ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি (ডিওএইচএস), মহাখালী,লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, পূর্বাচল, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ^রী, কারওয়ান বাজার, বিজয়নগর, ওয়ারী, সেগুনবাগিচা এবং নিকুঞ্জ; চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশি, আগ্রাবাদ এবং নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থিত ভূমি

১৫,৫০০ টাকা

 

ক্রমিক নং ১ ও ২ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত ভূমি

 

৫,০০০ টাকা

কোনো পৌরসভা বা জেলা সদর এলাকায় অবস্থিত ভূমি

১,৫০০ টাকা

ক্রমিক নং ১ , ২ ,৩ ও ৪ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত অন্যান্যএলাকায় অবস্থিত ভূমি

৫০০ টাকা

                                টেবিল—২

                   বাড়ি/ এ্যাপার্টমেন্ট এর অবস্থান

ক্রমিক নং

জমি এর অবস্থান

কর হার (প্রতি বর্গমিটার)

 

 

ঢাকার গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত অনধিক দুইশত বর্গমিটার plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৪,০০০ টাকা

 

ঢাকার গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটরের অধিক plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৬,০০০ টাকা

ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি (ডিওএইচএস), মহাখালী, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ^রী, কারওয়ান বাজার, বনশ্রী, বিজয়নগর, ওয়ারি, সেগুনবাগিচা এবং নিকুঞ্জ; চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশি, আগ্রাবাদ এবং নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটর plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৩,০০০ টাকা

ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি (ডিওএইচএস), মহাখালী, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ^রী, কারওয়ান বাজার, বনশ্রী বিজয়নগর, ওয়ারী সেগুনবাগিচা ও নিকুঞ্জ; চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশি, আগ্রাবাদ এবং নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটরের অধিক plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৩,৫০০ টাকা

ক্রমিক নং ১, ২, ৩ ও ৪ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত অনধিক একশত বিশ বর্গমিটার plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৭০০ টাকা

ক্রমিক নং ১,২,৩ ও ৪ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত অনধিক একশত বিশ বর্গমিটারের অধিক তবে অনধিক দুইশত বর্গমিটার plinth area  বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৮৫০ টাকা

 

ক্রমিক নং ১, ২, ৩ ও ৪ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটরের অধিক plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

১,৩০০ টাকা

কোনো জেলা সদরের পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত অনধিক একশত বিশ বর্গমিটার plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৩০০ টাকা

কোনো জেলা সদরের পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত একশত বিশ বর্গমিটারের অধিক তবে অনধিক দুইশত বর্গমিটার plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৪৫০ টাকা

১০

কোনো জেলা সদরের পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটরের plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৬০০ টাকা

১১

ক্রমিক নং ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ ও ১০ এ উল্লেখিত এলাকা ব্যতীত অন্যকোনো এলাকায় অবস্থিত অনধিক একশত বিশ বর্গমিটার plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

২০০ টাকা

১২

ক্রমিক নং ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ ও ১০ এ উল্লেখিত এলাকা ব্যতীত অন্যকোনো এলাকায় অবস্থিত একশত বিশ বর্গমিটরের অধিক তবে অনধিক দুইশত বর্গমিটার plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৩০০ টাকা

 

১৩

ক্রমিক নং ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ ও ১০ এ উল্লেখিত এলাকা ব্যতীত অন্যকোনো এলাকায় দুইশত বর্গমিটারের অধিক plinth area বিশিষ্ট বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট

৫০০ টাকা

                                টেবিল—৩

                   আমানত, বন্ড ইত্যাদির ক্ষেত্রে

ক্রমিক নং

জমি এর অবস্থান

কর হার (প্রতি বর্গমিটার)

 

নগদ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, আর্থিক স্কিম ও ইনস্ট্রুমেন্টস্ (financial schemes and instruments) সকল প্রকার ডিপোজিট বা সেভিং ডিপোজিট, সেভিং ইনস্ট্রুমেন্টস্ বা সার্টিফিকেট

২৫%

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক, শেয়ার ,মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ, পুঁজিবাজারে ক্রয়়বিক্রয়যোগ্য সকল সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ড এবং যেকোনো প্রকার অগ্রিম ও ঋণ প্রদান আর্থিক ইনস্ট্রুমেন্টস্ (financial instruments) হিসেবে প্রদর্শন করা যাবে।

গ. আয় কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এ ধারা 19AAAAAA এর সংযোজন

           অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে আয় কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এ ধারা 19AAAAAA এর সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ ধারানুযায়ী একজন ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা ১০ শতাংশ হারে কর পরিশোধকরে ১ জুলাই, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ হতে ৩০ জুন ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখের মধ্যে নূতন একটি শিল্প               প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলে উক্ত বিনিয়োগের উৎস  সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবেনা। উল্লেখ্য, এ ধারার অধীন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনায় নিতে হবে, যথা —

ক.        নূতন শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে হবে এবং দৃশ্যমান বিনিয়োগ করতে হবে। দৃশ্যমান  বিনিয়োগ বলতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচিত হবে না

                          অ.        কোম্পানি গঠন করে কেবলমাত্র পরিশোধিত মূলধন গঠন;

                          আ.       কোম্পানির নামে কেবল জায়গা ক্রয়;

                           ই.         এ বিধানের আওতায় ঘোষণাকৃত পরিশোধিত মূলধন হতে ঋণ দেয়া হলে;এবং

ঈ.        অবকাঠামো নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর ও মেশিনারিজ ক্রয়ের জন্য এলসি খোলা হলে কিন্তু পরবর্তীকালেএই ধারায় প্রদত্ত সময়সীমার মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু না হলে অথবা এলসি বাতিল হলে।

 খ.         প্রযোজ্য কর আবশ্যিকভাবে পে অর্ডার বা অটোমেটেড চালান (এ—চালান) এর মাধ্যেমে পরিশোধ করতে হবে।

ঘ.  অর্থ আইন ২০১৯ দ্বারা আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে ধারা 19BBBBB এর সন্নিবেশ [আবাসিক বাড়ি/এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ/ক্রয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদান] ঃ

         19BBBBB ধারা অনুযায়ী একজন করদাতা যদি আবাসিক ও বাণ্যিজিক উভয় ধরনের বাড়ি বা এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে/নির্মাণে বিনিয়োগ করেন এবং সংশ্লিষ্ট বাড়ি বা এ্যাপার্টমেন্টের পরিমাপের উপর নির্দিষ্ট হারে কর প্রদান করেন তাহলে কর বিভাগ কর্তৃক বিনিয়োগের উৎস সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা হবে না। নিম্নের সারণীতে বাড়ি/                               এ্যাপার্টমেন্টের অবস্থানভেদে করের হার দেখানো হলো ঃ

বাড়ি/ এ্যাপার্টমেন্ট এর অবস্থান

কর হার

১। গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায়

(ক) ২০০ বর্গমিটার আয়তনের মধ্যে হলে

(খ) ২০০ বর্গমিটার এর অধিক আয়তনের ক্ষেত্রে

প্রতি বর্গমিটারে ৪,০০০ টাকা

প্রতি বর্গমিটারে ৫,০০০ টাকা

২। ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিওএইচএস, মহাখালী, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কারওয়ান বাজার,বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা এবং নিকুঞ্জ; চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশি, আগ্রাবাদ এবং নাসিরাবাদএলাকায়

(ক) ২০০ বর্গমিটার আয়তনের মধ্যে হলে

(খ) ২০০ বর্গমিটার এর অধিক আয়তনের ক্ষেত্র

প্রতি বর্গমিটারে ৩,০০০ টাকা

প্রতি বর্গমিটারে ৩,৫০০ টাকা

৩। ক্রমিক নং ১ ও ২ এ বর্ণিত এলাকা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য এলাকা এবং অপরাপর সিটি কর্পোরেশনভূক্ত এলাকায়

(ক) ১২০ বর্গমিটার আয়তনের মধ্যে হলে

(খ) ১২০ বর্গমিটারের বেশি কিন্তু ২০০ বর্গমিটারের কম (গ) ২০০ বর্গমিটারের অধিক হলে

প্রতি বর্গমিটারে ৮০০ টাকা

প্রতি বর্গমিটারে ১,০০০ টাকা

প্রতি বর্গমিটারে ১,৫০০ টাকা

৪। জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভায়

(ক) ১২০ বর্গমিটার আয়তনের মধ্যে হলে

(খ)১২০ বর্গমিটারের বেশি কিন্তু ২০০ বর্গমিটারের পর্যন্ত

(গ) ২০০ বর্গমিটারের অধিক হলে

প্রতি বর্গমিটারে ৩০০ টাকা

প্রতি বর্গমিটারে ৫০০ টাকা

প্রতি বর্গমিটারে ৭০০ টাকা

৫। অন্যান্য এলাকায়

(ক) ১২০ বর্গমিটার আয়তনের মধ্যে হলে

(খ)১২০ বর্গমিটারের বেশি কিন্তু ২০০ বর্গমিটারের পর্যন্ত

(গ) ২০০ বর্গমিটারের অধিক হলে

প্রতি বর্গমিটারে ২০০ টাকা

প্রতি বর্গমিটারে ৩০০ টাকা

প্রতি বর্গমিটারে ৫০০ টাকা

এ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নিম্নবর্নিত শর্ত পরিপালন করতে হবে ঃ

•          যে বছর নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন/পজেশন হস্তান্তর সমাপ্ত হয়েছে সে বছরের সাথে সংশিষ্ট কর বছরে এরূপ বিনিয়োগ প্রদর্শন/ঘোষণা করতে হবে।

•         কোন করদাতা যদি ইতোপূর্বে দেশের যে  প্রদান করতে হবে। একইভাবে কোন করদাতা যদি একই সাথে একাধিক বাড়ি অথবা এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে/ নির্মাণে বিনিয়োগ এ পদ্ধতিতে ঘোষণা প্রদান করতে চান তাহলে ঐ করদাতাকেও এরূপ একাধিক বাড়ি অথবা এ্যাপার্টমেন্ট                        প্রত্যেকটির জন্য প্রযোজ্য হারের অতিরিক্ত ২০% কর প্রদান করতে হবে।

             উদাহরণ ঃ

জনাব বি আলম ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একটি এ্যাপার্টমেন্ট এর মালিক। তিনি ২০২০ ২০২১ অর্থ বছরে ঢাকার বারিধারা এলাকায় ১৯০ বর্গমিটার আয়তন বিশিষ্ট আরো একটি এপার্টমেন্ট ক্রয় করেছেন। তিনি ২০২১—২০২২ কর বছরে এই বিনিয়োগ 19BBBBB ধারায় ঘোষণা করতে চাইলে তাঁকে কর মামলা নিষ্পত্তির পূর্বেই নিম্নরূপ অংকের কর পরিশোধ করতে হবে ঃ

ঢাকার বারিধারায় অবস্থিত ১৯০ বর্গ মিটার বিশিষ্ট এপার্টমেন্টের বিপরীতে প্রতি বর্গ মিটারে করের হার ৫,০০০ টাকা

১৯০ বর্গ মিটার আয়তনের এপার্টমেন্ট ক্রয়ে বিনিয়োগ বাবদ করের পরিমাণ দাড়ায়—১৯০ বর্গমিটার ঢ ৫০০০ টাকা = ৯,৫০,০০০ টাকা

তিনি ইতোপূর্বে একটি এ্যাপার্টমেন্টের মালিক বিধায় তাঁকে আরো ২০% অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হবে। ফলে 19BBBBB ধারায় এ্যাপার্টমেন্টের বিনিয়োগ প্রদর্শন করতে চাইলে তাঁকে অতিরিক্ত ১,৯০,০০০ টাকা ( ৯,৫০,০০০ ঢ ২০%) কর প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে তাঁকে মোট কর প্রদান করতে হবে (৯,৫০,০০০ টাকা + ১,৯০,০০০ টাকা) = ১১,৪০,০০০ টাকা।

•          অবৈধ উপায়ে বা অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা যাবে না।

•          বিনিয়োগ সংক্রান্ত কর প্রদানের এ বিধানটি ঐচ্ছিক। অর্থাৎ যে কোন করদাতা ইচ্ছা করলেই 19BBBBB ধারায় এরূপ কর প্রদান ছাড়াই প্রচলিত নিয়মে বিনিয়োগের ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারবেন।

•          অনাবাসিক বাড়ি বা এ্যাপার্টমেন্ট অর্থাৎ বাণিজ্যিক বাড়ি বা এ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ প্রদর্শন করা যাবে না।

•          কর মামলা অনিষ্পন্ন থাকলে পূর্ববর্তী বিনিয়োগ সংশিষ্ট যে কোন কর বছরের কর নির্ধারণের পূর্বে কর পরিশোধের মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ প্রদর্শনের সুযোগ গ্রহণ করা যাবে।

•          কোন কর মামলা যদি একবার নিষ্পত্তি হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে কোন কার্যক্রমের (যেমন ৯৩ ধারা, ১২০ধারা, ১৫৬ ধারা, ১৫৯ ধারা বা অন্য কোন ধারার অধীন চালু কার্যক্রম) মাধ্যমে কর মামলা পুনঃনিষ্পত্তির পূর্বে 19BBBBB ধারায় বিনিয়োগ প্রদর্শনের সুযোগ থাকবে না।

(ঙ)      আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর নতুন ধারা ১৯ ডিডি সংযোজন করে অর্থনৈতিক জোন বা হাইটেক পার্কে বিনিয়োগঃ

            ১৯ ডিডি ধারা অনুযায়ী কোন করদাতা কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান জুলাই ২০১৯ থেকে ৩০জুন ২০২৪ পর্যন্ত এর মধ্যে শিল্প স্থাপনে কোনো কোম্পানি কর্তৃক বিনিয়োগকৃত অপ্রদর্শিত অর্থের উপর দশ শতাংশ হারে কর প্রদান করা হলে উক্ত বিনিয়োগকৃত অপ্রদর্শিত অর্থের উৎস সম্পর্কে আয়কর                      বিভাগ থেকে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা হবে না। যে আয়  বছরে এরূপ বিনিয়োগ করা হবে সে আয় বছর সংশ্লিষ্ট কর বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের পূর্বে এ ধরার বিধান অনুযায়ী প্রদেয় কর পরিশোধ করতে হবে।        

গোল্ডেন বাংলাদেশ এর কার্যক্রম

Picture

গোল্ডেন বাংলাদেশ একটি সামাজিক, অরাজনৈতিক, বেসরকারি দাতব্য প্রতিষ্ঠান।  এটি ২০০২ সালে সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন আইন ১৮৬০ এর অধীনে নিবন্ধিত হয়।  গোল্ডেন বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠা কাল  থেকে মানবতার জন্য ভাল কিছু করার লক্ষ্যে তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন, গনসচেতনতা বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন ও যুব সমাজকে  দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ করার মধ্যদিয়ে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

গোল্ডেন বাংলাদেশের লক্ষ্যঃ
তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের মধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে সৃজনশীল কর্মকান্ড পরিচালনা এবং ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক দায়দ্ধতার উপর সচেতনতা বৃদ্ধি করে দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার লেেক্ষ্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখা গোল্ডেন বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য।

গোল্ডেন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যঃ

  • বহির্বিশ্বের সাথে বাংরাদেশের সামাজিক, সংস্কৃতিক, ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক, এবং রাজনৈতিক অবস্হার সমন্বয় সাধন এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সম্মানিত করে গড়ে তোলার একটা প্রচেষ্টা।
  • ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা।
  • দেশের উন্নয়ন ভিত্তিক কার্যক্রম সম্পর্কে দেশের মানুষ কে সচেতন করে গড়ে তোলা।
  • তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে একটি দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়া।
  • সৃজনশীল, উদ্ভাবনী এবং ইতিবাচক কার্যকরী বিভিন্ন ধারনার মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং অগ্রগতির পথ উন্মচন।
  • ব্যাপক ডাটাবেজ উন্নয়নের মাধ্যমে ইতিবাচক ধারনা তৈরী এবং সমন্বীত পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তির উপর সচেতনতা বৃদ্ধি।
  • বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রগ্রামের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরী।
  • সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বের অগ্রগতী এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে বিকশিত করা।
  • তথ্য-প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন রকম সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারনা প্রদান।
  • বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একটি তরুন, অনলস এবং গতিশীল স্বেচ্ছাসেবী দল তৈরী।  যারা সংগঠনের সাথে সমন্বিত প্রক্রিয়াই দেশের জন্য কাজ করবেন।
  • নারীর ক্ষমতায়ন, ওয়েব সাইটে দুঃস্হ নারীদের ডাটাবেজ তৈরী তাদের আবাসন এবং বিয়ের ব্যবস্হা করা।
  • বেকার সমস্য সমাধানে কর্মসংস্হানের পরিবেশ তৈরী।
  • যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ।
  • দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য আয়কর সম্পর্কে গনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা।
  • বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সেতুবন্ধন তৈরী করা।

গোল্ডেন বাংলাদেশের ইতিহাসঃ

গোল্ডেন বাংলাদেশ ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তার কার্যক্রম শুরু করে ৭ই মার্চ ২০০২ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর থেকে।  শুরুতে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো তৈরী না হলেও একটি মহৎ স্বপ্নকে লালন করার মধ্য দিয়ে অপার সম্ভাবনার পথে রওনা হয় প্রতিষ্ঠানটি।  স্বল্প পরিসর, আর্থীক অনিশ্চয়তা আর নানান প্রতিকুলতাকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্য পথে কুড়িয়ে পাওয়া অভিজ্ঞতা আর নিজেদের মেধা ও মননশীলতাকে কাজে লাগিয়ে আজকের অবস্হানে সেই গোল্ডেন বাংলাদেশ।  অগ্রগতির ধারাবহিকতা রক্ষার্থে গোল্ডেন বাংলাদেশ সন্দেহাতীত ভাবে সাফল্যের শীর্ষে আরোহনে দৃঢ় প্রত্যয়ী।  শুরুর দিকে (অর্থাৎ ২০০০ সালে) বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভাবনাময়ী পরিবহন সেক্টরে বিশেষ ভাবে মনোযোগী হয় প্রতিষ্ঠানটি।  দুটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শুরু হয় কার্যক্রম।  এক. সরক দুর্ঘটনা রোধে গণসচেতনতা সৃষ্টি।  দুই. দক্ষ ড্রাইভার ও মেকানিক তৈরীতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্হা করা।  ফলাফলে ১৫ জনেরও অধিক ড্রাইভার ও বেশ কিছু মেকানিক তৈরীতে গোল্ডেন বাংলাদেশের ভূমিকা অনস্বীকার্য।  তাদের প্রত্যেক কেই কাজের সুযোগ তৈরী করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।  পরবর্তিতে বিস্তৃত হতে থাকে কার্যক্রম।  সংকীর্ণ গন্ডি পেরিয়ে যুক্ত হয় মাদকাশক্ত পুনর্বাসন, দুর্যগ ব্যবস্হাপনা কার্যক্রম সহ বেশ কিছু সমাজ সেবা মূলক কাজ।  যদিও আইটি সেক্টরই ছিলো আমাদের প্রধান পরিকল্পনা।  এসময় বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যৌথ উদ্যোগে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।  তার মধ্যে “আহ্বান উল্লেখ যোগ্য।  মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসনে গোল্ডেন বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে।  তন্মধ্যে প্রচার-প্রচারনার জন্য বিভিন্ন প্রগ্রাম ও র‌্যালি পরিচালনা ও মাদকাশক্তদের চিকিৎসা প্রদান অন্যতম।  পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়ায় তার মূল কেন্দবিন্দুতে।  মনোযোগী হয় তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টায়।  কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পুরো দেশকে প্রযুক্তির জালে একত্রিত করতে।  একই সাথে দেশের গ্রামীণ জনপদ যারা নিজেদের অধিকার টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে ব্যর্থ হয় বারংবার।  নিগৃহীত হয় অর্থের অনটনে, তাদের জন্য সাহায়ের হাত বাড়িয়ে দেয় গোল্ডেন বাংলাদেশ।  বিশেষ করে দুঃস্হ নারী সমাজ যারা প্রতিনীয়তই নিষ্পেষিত, নিগৃহীত আর নির্যাতিত হচ্ছে সমাজের কাছে।  বয়স বাড়ার পরেও অর্থাভাবে বিয়ে করতে পারছেনা যারা সে সকল মানুষের সেবাই গোল্ডেন বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আজ।  কাজ করে যাচ্ছে নিরলস ভাবে।  আমাদের বিশ্বাস ও প্রচেষ্টা সফলতার দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমরা মনে করি।

ONLINE RETURN FILLING GUIDELINE

1. Sign up online filing account                                                                                                               

•   Register online filing account (Bangla)

•   Register online filing account (English)

•   Online account application form

•   Video tutorial in Bengali

 

2. Computer configuration and setup (first time only)                                                                                     

•   Setup Taxpayer’s computer (Bangla)

•   Setup Taxpayer’s computer (English)

 

3. Common Instruction                                                                                                                        

•   Common Instruction (Bangla)

•   Common Instruction (English)

 

4. Submit Other than company (Individual) return (IT-11GA)                                                                           

•   Submit Individual return IT-11GA (Easy Bangla version)

•   Submit Individual return IT-11GA (Bangla)

•   Submit Individual return IT-11GA (English)

•   Video tutorial in Bengali

 

5. Submit Company return (IT-11GHA)                                                                                                      

•   Submit Company return IT-11GHA (Bangla)

•   Submit Company return IT-11GHA (English)

•   Video tutorial in Bengali

 

6. Submit Withholding return                                                                                                                 

•   Submit Withholding return (Bangla)

•   Submit Withholding return (English)

•   Video tutorial in Bengali

 

7. Submit Exemption/Tax holiday application                                                                                                

•   How to submit exemption/tax holiday application (Bangla)

•   How to submit exemption/tax holiday application (English)

•   Video Exemption tutorial in Bengali

•   Video Tax Holiday tutorial in Bengali

 

8. Submit Appeal application                                                                                                                  

রিটার্ন তৈরি করার আগের চেক লিষ্ট

রিটার্ন তৈরি করার আগে একটি চেক লিষ্ট তৈরি করুন                 
আয়ের বিবরণীঃ                            
১.বেতন খাতে আয়                                    টাকা.........    প্রমানাদি (ফটোকপি সংযুক্ত করবেন)
২.সিকিউিরিটির উপর সুদ খাতে আয়              টাকা.........    
উপযুক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত বেতন সার্টিফিকেট।
                                                                               অর্জিত সুদের স্বপক্ষে ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত
৩.গৃহ সম্পত্তি কাতে আয়ঃ
ক. গৃহের তলা ভিত্তিক ফ্লোরস্পেস ও ভাড়া    ...............    ভাড়ার চুক্তিপত্র।
খ. পৌর করের পরিমান                           টাকা.........    পৌরকর প্রদানের রশিদ,
গ. বন্ধকী ঋণের উপর সুদ                       টাকা.........    ব্যাংকের ইস্যুকৃত বিবরণী বা কম্পিউটার নীট
ঘ. বাসস্থান খালি থাকলে তার সময়কাল       টকা..........    উপ কর কমিশনারকে জানানো হলে পত্রের কপি।

৪.কৃষি আয়ঃ
ক. কৃষি জমির পরিমাণ                            ...............
খ. ফলনকৃত শস্যের পরিমাণ                     ...............
গ. ......... বাজারমূল্য                              টাকা.........
৫.ব্যবসা বা পেশা খাতে আয়ঃ                    টকা..........    স্থিতি পত্র ও আয়-ব্যয়ের বিবরণী (যদি থাকে)

৬.মূলধনী লাভঃ
ক. মূলধনী সম্পদের বিক্রয়মূল্য                  টাকা.........    বিক্রিত চুক্তিপত্র ও বিক্রয়ের রসিদ
খ. বিক্রিত সম্পদের ক্রয়মূল্য                     টাকা.........    ক্রয়ের দলিল অথবা প্রমানপত্র
গ. আনুষঙ্গিক মূলধনী ব্যয়                         টাকা.........    ক্রয় ও আনুষঙ্গিক মূলধনী ব্যায়ের প্রমাণপত্র

৭. অন্যান্য উৎস খাতে আয়ঃ
ক.লভ্যাংশ                                            টাকা.........    ডিভিডেন্ট ওয়ারেন্ট
খ. সুদ                                                 টাকা.........    ব্যাংক সার্টিফিকেট সুদেও উপর উৎসে কর কর্তনের এবং ব্যাংক বিবরনী
গ. অন্যকোন উৎস                                  টাকা.........    আয়ের স্বপক্ষে প্রমাণপত্র
ঘ. এফডিআর/সঞ্চয়                                 টাকা.........

বাদঃ কর রেয়ায়েতের জন্য বিবেচ্য বিনিয়োগ
ক. জীবন বিমার প্রদত্ত কিস্তি                        টাকা.........    প্রিমিয়ার রিসিট
খ. ভবিষ্যতে প্রাপ্য বার্ষিক ভাতা প্রাপ্তির
    উদ্দেশ্যে চাঁদা                                     টাকা..........    উপযুক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত বেতনরে
গ. ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ অনুযায়ী
    প্রযোজ্য ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা         টাকা.........    সার্টিফিকেট।
ঘ. স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে স্বীয়
    ও নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা             টাকা.........    সার্টিফিকেটের ফটোকপি
ঙ. অনুমোদিত বয়সজনিত তহবিলে
    প্রদত্ত চাঁদা                                         টাকা.........    নিয়োগ কর্তার সার্টিফিকেট
চ. অনুমোদিত ঋণপত্র বা ডিবেঞ্চার স্টক,
    স্টক বা শেয়ার এ বিনিয়োগ                    টাকা.........    বিনিয়োগের প্রমাণপত্র
ছ. ডিপোজিট পেনশন স্কীমে প্রদত্ত চাঁদা          টাকা.........    ব্যাংকের সার্টিফিকেট সর্বোচ্চ ৬০,০০০
জ. কল্যান তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা এবং
    গোষ্ঠী বিমা স্কীমের অধীন প্রদত্ত কিস্তি          টাকা.........    নিয়োগ কর্তার সার্টিফিকেট
ঝ. যাকাত তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা                      টাকা.........  প্রমাণপত্র
ঞ. অন্যান্য, যদি থাকে (বিবরণ দিন)             টাকা.........  প্রমাণপত্র

 

করের ই-ফাইলিং করার নিয়মাবলী

-ফাইলিং

ই-ফাইলিং এর কাজ চলছে। সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া যাবে। আপনার রিটার্ন তৈরি করার আগে NBR এর ওয়েবসাইটে চেক করে নিবেন।

২০২১-২০২২ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর হার

২০২১-২০২২ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর হার
(ক) ব্যক্তি শ্রেণীর কর হারঃ
(১) অর্থ আইন, ২০
২১ এর মাধ্যমে ব্যক্তি করদাতা, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার, অংশিদারী ফার্ম, ব্যক্তি সংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির করমুক্ত প্রদেয় আয়করের এবং সারচার্জ আরোপের বিধানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০১৯-২০২০কর বছরের জন্য এরূপ করদাতাদের আয়ের উপর প্রযোজ্য কর হার নিস্নরূপঃ

প্রথম ৩,০০,০০০/-  টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর শূন্য
পরবর্তী ১-,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ৫%
পরবর্তী ৩,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১০%
পরবর্তী ৪,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১৫%
পরবর্তী ৫,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০%
অবশিষ্ট টাকার আয়ের উপর......... ২৫%

(২) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ বয়সের পুরুষ করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩,৫০,০০০/-টাকা।
(৩) প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,৫০,০০০/-টাকা ।
(৪) গেজেটভূক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার আয়ের সীমা  ৪,75,০০০ টাকা করা হয়েছে। 
(৫) করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ এলাকাভেদে নিম্ন রূপভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছেঃ

এলাকার বিবরণ ন্যূনতম করের হার
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৫,০০০/-টাকা
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা   ৪,০০০/-টাকা
সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতা  ৩,০০০/-টাকা
  • ন্যূনতম আয়করের এ বিধানের ফলে একজন করদাতার আয় যে কোন স্থানেই অর্জিত হউক না কেন তিনি যেখানে অবস্থান করবেন তাঁর সে অবস্থানের ভিত্তিতেই ন্যূনতম করের হার নির্ধারণ হবে। তবে কোন করদাতা যদি একই আয় বছরে একাধিক স্থানে অবস্থান করে থাকেন তাহলে যে স্থানে তিনি সর্বাধিককাল অবস্থান করেছেন সে অবস্থানস্থলের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম কর হার তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
  • ব্যবসা আয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনার মুখ্য স্থানই ন্যূনতম করের জন্য একজন করদাতার অবস্থানস্থল হিসেবে বিবেচিত হবে।
  • একজন চাকুরীজীবি করদাতা আয়বছরে একাধিক স্থানে কর্মরত থাকলে যে স্থানে তিনি অধিক কাল কর্মরত ছিলেন ন্যূনতম করের জন্য সে স্থানই তাঁর অবস্থানস্থল বলে বিবেচিত হবে।
  • করদাতা অনিবাসী হলে বাংলাদেশে তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেন সে ঠিকানাই তাঁর অবস্থানস্থল হিসেবে বিবেচিত হবে।
  • করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ হিসাব অনুযায়ী তাঁর জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ অপেক্ষা কম হলে বা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয়  আয়করের পরিমাণ প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের কম বা ঋণাত্মক হলেও তাঁকে তাঁর জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।