Paripatra- 2015-2016

Displaying 1-1 of 1 result.

Paripatra- 2015-2016

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
রাজস্ব ভবন
সেগুনবাগিচা, ঢাকা।

নথি নং-০৮.০১.০০০০.০৩০.০৩.০০৯(অংশ-১).১৫/৫৬   তারিখঃ ০৩ ভাদ্র, ১৪২২ বঙ্গাব্দ / ১৮ আগস্ট, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ  
পরিপত্র-০১ (আয়কর )/২০১৫

বিষয়ঃ ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের বাজেট কার্যক্রমের আওতায় আয়কর আইন, বিধি ও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আনীত পরিবর্তন সম্পর্কিত স্পষ্টীকরণ।

সূচিপত্র

১। ২০১৫-২০১৬ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর হারঃ 
২। সার্বজনীন Income Year এর প্রবর্তন- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 2 এর উপ-ধারা (35) এর প্রতিস্থাপনঃ 
৩। অতিরিক্ত কর আরোপ সংক্রান্ত-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 16B এর প্রতিস্থাপনঃ 
৪। উৎপাদনমূখীনতুন industrial undertaking জন্য ন্যূনতম কর হার পুনঃনির্ধারণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 16CCCএর সংশোধনঃ
৫। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদ ঋণ গ্রহণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা  19 এর উপ- ধারা (21) এর সংশোধনঃ
৬। কোম্পানীর মোটর গাড়ী ক্রয়ে অনুমোদনযোগ্যসীমা বৃদ্ধিকরণ-আয়কর  অধ্যাদেশের  ধারা  19  এর  উপ-  ধারা  (27)এর  সংশোধনঃ 
৭। বাকীতে ক্রয়কৃত এবং দায় হিসাবে প্রদর্শিত নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য পরবর্তী বছরে পরিশোধ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এ উপ- ধারা (29) এর সংযোজনঃ 
৮। গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, ইত্যাদি খাতে  অনুমোদিত  খরচের  অব্যয়িত অংশ  আয়  হিসেবে বিবেচনাকরণ-  আয়কর  অধ্যাদেশের  ধারা 19  এ  উপ-ধারা(30) এর সংযোজনঃ
৯। মূল  আয়কর  রিটার্নে  প্রদর্শিত  আয়  অপেক্ষা  পরবর্তীতে দাখিলকৃত রিটার্ন বা সংশোধিত রির্টানে স্বল্প হারে করযোগ্য বা করমুক্ত  খাতের  অতিরিক্ত  প্রদর্শিত  আয়কে  করযোগ্য  আয় হিসেবে বিবেচনাকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এ নতুন উপ- ধারা (31) এর সংযোজনঃ
১০। আবাসিক ভবন এবং এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ/ক্রয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ কর হার পুনর্বিন্যাস- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19BBBBB এর সংশোধনঃ
১১। স্বেচ্ছায়  পূর্বের  কর-অনারোপিত  আয়  ঘোষণার  পরিসীমা বহির্ভূত খাত সম্প্রসারণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19E এর সংশোধনঃ 
১২। Financial Institution এর ক্ষেত্রে   bad or doubtful শ্রেণীভুক্ত ঋণের সুদকে প্রকৃত প্রাপ্তির ভিত্তিতে আয় গণ বিধান সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 28 এর উপ-ধারা  (3) এর সংশোধনঃ 
১৩। আমদানীকৃত  সফট্ওয়্যার  ব্যতীত  অন্যান্য  স্থায়ী  সম্পদের ক্ষেত্রে   obsolescence allowance অনুমোদন সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 29 এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (xi) এর সংশোধনঃ 
১৪। ব্যবসা  বা  পেশা  আয়ের  ক্ষেত্রে  পারকুইজিট  বাবদ অনুমোদনযোগ্য খরচের সর্বোচ্চ সীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 30 এর সংশোধনঃ 
১৫। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এ নব প্রবর্তিত উপ-ধারা (29)এবং (31) কে ধারা 33   এ  “অন্যান্য সূত্রের আয়” হিসাবে অন্তর্ভুক্তকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 33 এর সংশোধনঃ 
১৬। সিগারেট প্রস্তুতকারকের সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবসায় অর্জিত আয় অন্য কোন উৎসের ক্ষতির সাথে সমন্বয়যোগ্য না হওয়া সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 37 এর সংশোধনঃ 
১৭। Industrial undertaking শিল্পের   কর  অবকাশ  সুবিধা সম্প্রসারণ   সংক্রান্ত-  আয়কর  অধ্যাদেশের  ধারা  46B  এর  সংশোধনঃ 
১৮। ভৌত অবকাঠামো (physical infrastructure facility) এর কর অবকাশ বাতিল সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা  46C এর সংশোধনঃ 
১৯। কো-অপারেটিভ সোসাইটির কর আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর  অধ্যাদেশের ধারা 47 এর সংশোধনঃ
২০। উৎসে  কর কর্তনের  পরিধি সম্প্রসারণ-আয়কর  অধ্যাদেশের  ধারা 49 এর সংশোধনঃ 
২১। সরকারি   চাকুরিজীবীদের  বেতন-ভাতার  উপর  উৎসে  কর  কর্তনের বিধান প্রবর্তন- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 50 এর  সংশোধনঃ 
২২। ট্রেজারী বন্ড ও ট্রেজারী বিলের উপর upfront উৎসে কর কর্তন এর বিধান রহিতকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 51 এর সংশোধনঃ  
২৩। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদিকে অর্থ পরিশোধ সম্পর্কিত উৎসে  কর কর্তনের খাত সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52 এর  সংশোধনঃ  
২৪। Professional বা Technical service প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন অব্যাহতি সংশ্লিষ্ট সনদপত্র ইস্যুকরণ- আয়কর  অধ্যাদেশের ধারা 52A এর প্রোভাইসো এর সংশোধনঃ  
২৫। বিভিন্ন সেবা প্রদান সম্পর্কিত উৎসে কর কর্তন খাত ও হার  সুনির্দিষ্টকরণ-  আয়কর  অধ্যাদেশের  ধারা  52AA  এর প্রতিস্থাপনঃ 
২৬। সিগারেট প্রস্তুতকারকের সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রয়ের উপর  উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রবর্তন-  আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52B এর সংশোধনঃ  
২৭। ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড হতে অর্জিত আয়কে উৎসে কর কর্তন হতে অব্যাহতি প্রদান- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা  52D এর বিদ্যমান প্রোভাইসো সংশোধন ও নতুন প্রোভাইসো সংযোজনঃ 
২৮। ট্রাভেল  এজেন্ট  হতে  উৎসে  কর  আরোপ  সংক্রান্ত  বিধান সংশোধন- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52JJ এর প্রতিস্থাপনঃ
২৯। কোমল পানীয়, ইত্যাদি উৎপাদনের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন হার   পুনর্বিন্যাস-  আয়কর  অধ্যাদেশের  ধারা  52S  এর সংশোধনঃ
৩০। কম্পিউটার, কম্পিউটার এক্সেসরীজ, পাট, তুলা ও সূতাে লোকাল এলসি’র মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ে উৎসে কর কর্তন হতে  অব্যাহতি প্রদান সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52U এর  প্রোভাইসো সংশোধনঃ 
৩১। নিবাসী  শিপিং  ব্যবসায়  উৎসে  কর  কর্তন  সংশ্লিষ্ট  সনদপত্র  ইস্যুকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53AA এর সংশোধনঃ
৩২। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53CC এর বিলোপঃ 
৩৩। প্রস্তুতকৃত   পণ্য  বাজারজাতকরণ/বিতরণের  জন্য  প্রদেয়  কমিশন, ফি ইত্যাদি হতে উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত- আয়কর  অধ্যাদেশের ধারা 53E এর উপ-ধারা (1) এর সংশোধনঃ 
৩৪। বিদেশী  ক্রেতার  এজেন্টকে  কমিশন/রেমুনারেশন  প্রদান সম্পর্কিত  উৎসে  কর  কর্তনের  হার  পুনর্বিন্যাস-  আয়কর  অধ্যাদেশের ধারা 53EE এর সংশোধনঃ 
৩৫। কয়েকটি  ক্ষেত্রে  সঞ্চয়ী  আমানত  এবং  মেয়াদী  আমানতের সুদের  উপর  উৎসে  কর  কর্তন  হার  পুনর্বিন্যাস- আয়কর  অধ্যাদেশের ধারা 53F এর সংশোধনঃ 
৩৬। দীর্ঘ মেয়াদী লীজ দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে উৎস করের পরিধি বিস্তৃতকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53HH এর সংশোধনঃ  
৩৭। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন বিজ্ঞাপনের উৎসে কর কর্তনের পরিধি সম্প্রসারণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53K এর সংশোধনঃ
৩৮। শেয়ার বাজারের মুনাফার উপর উৎসে কর আরোপ সংক্রান্ত-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53O এর বিলোপঃ
৩৯। রিয়েল  এস্টেট  ব্যবসায়ী  কর্তৃক  জমির  মালিককে  অথ পরিশোধকালে উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রবর্তন- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 53P সংযোজনঃ 
৪০। নগদ লভ্যাংশ আয়ের উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 54 এর প্রতিস্থাপনঃ
৪১। অনিবাসীদের   (non-resident)  আয়ের  উপর  উৎসে  কর কর্তন সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 56 এর উপ-ধারা (1)  এর প্রতিস্থাপনঃ 
৪২। করদাতার  আবেদনের  প্রেক্ষিতে  রিটার্ন  দাখিলের  সময়সীমা বৃদ্ধিকরণ  সংক্রান্ত-  আয়কর  অধ্যাদেশের  ধারা  75  এর সংশোধনঃ 
৪৩। সার্বজনীন স্ব-নির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82BB এর সংশোধনঃ 
৪৪। চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ সংক্রান্ত বিধান পরিবর্তন- আয়কর  অধ্যাদেশের ধারা 82C এর সংশোধনঃ
৪৫। ফার্মের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 84 এর সংশোধনঃ
৪৬। ট্রান্সফার  প্রাইসিং  বিষয়ে  একাউন্টেন্টের  রিপোর্ট  দাখিল  সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 107F এর প্রতিস্থাপনঃ 
৪৭। ট্রান্সফার  প্রাইসিং  বিষয়ে  107EE   ধারায়  আন্তর্জাতিক  লেনদেনের তথ্য প্রদানে ব্যর্থতায় জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 107HH এর সংযোজনঃ 
৪৮। ব্যক্তি-করদাতার  রিটার্ন  দাখিলের  ব্যর্থতার  ক্ষেত্রে  জরিমানা  আরোপের   সর্বোচ্চ   সীমা   নির্ধারণ   সংক্রান্ত-   আয়কর  অধ্যাদেশের  ধারা  124  এর  উপ-ধারা  (1)  এ  proviso সংযোজনঃ 
৪৯। করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর যাচাইয়ে ব্যর্থতার জন্য জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 124AA এর সংযোজনঃ 
৫০। রিটার্নে  প্রদর্শিত  আয়ের  উপর     74  ধারায়  কর  পরিশোধে ব্যর্থতায় জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 127 এর সংশোধনঃ 
৫১। জাল বা নকল (fake) নিরীক্ষিত অডিট রিপোর্ট দাখিলের কারণে জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুন ধারা 129B এর সংযোজনঃ 
৫২। জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে শুনানীর সুযোগ প্রদানের পরিসর বৃদ্ধি- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 130 এর সংশোধনঃ 
৫৩। উপ কর কমিশনার বরাবর আপীলাত যুগ্ম কর কমিশনার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত জরিমানার আদেশ প্রের  সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 132 এর সংশোধনঃ 
৫৪। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) তে আবেদন দাখিল সংক্রান্ত-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 152I এর সংশোধনঃ 
৫৫। উপ  কর  কমিশনার  এবং  পরিদর্শী  যুগ্ম  কর  কমিশনারের  আদেশের   বিরুদ্ধে   আপীল           দায়ের   সংক্রান্ত-আয়কর  অধ্যাদেশের ধারা 153 এর সংশোধনঃ 
৫৬। জাল বা নকল (fake) অডিট রিপোর্ট দাখিলকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনাকরণ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 165AA এর সংযোজনঃ 
৫৭। বিদেশী নাগরিককে অননুমোদিতভাবে কাজে নিয়োগের জন্য শাস্তিমূলক বিধান প্রবর্তন সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুন   ধারা 165C এর সংযোজনঃ 
৫৮। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন, ইত্যাদি দাখিলের শর্ত সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 184A এর সংশোধনঃ 
৫৯। আয়কর অধ্যাদেশের   THE THIRD SCHEDULE এর  সংশোধনঃ 
৬০। আয়কর অধ্যাদেশের THE SIXTH SCHEDULE, PART-A এর সংশোধনঃ 
৬১। আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর সংশোধনীসমূহঃ
৬২। জারীকৃত প্রজ্ঞাপনসমূহঃ 

অর্থ আইন, ২০১৫ এবং বিভিন্ন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এবং আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। নব প্রবর্তিত ও সংশোধিত আইন, বিধি ও প্রজ্ঞাপনসমূহের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতকল্পেও করদাতাদের সংশ্লিষ্ট বিধি বিধানসমূহ সহজভাবে অবহিত করার লক্ষ্যে আনীত সংযোজন/ সংশোধন/ পরিবর্তন/ পরিমার্জনসমূহনিম্নরূপে উপস্থাপন করা হলোঃ
১। ২০১৫-২০১৬ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর হারঃ
(ক) ব্যক্তি শ্রেণীর কর হারঃ
(i) অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যক্তি-করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশীসহ), হিন্দু যে․থ পরিবার, অংশীদারী ফার্ম, ব্যক্তি-সংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ২,২০,০০০/-টাকা হতে বৃদ্ধি করে ২,৫০,০০০/- টাকা করা হয়েছে। ২০১৫-২০১৬ কর বছরের জন্য এরূপ করদাতাদের আয়ের উপর প্রযোজ্য কর হার নিম্নরূপে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছেঃ-

 

মোট আয়

কর হার

(ক)

প্রথম ২,৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

শূন্য

(খ)

পরবর্তী ৪,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

১০%

(গ)

পরবর্তী ৫,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

১৫%

(ঘ)

পরবর্তী ৬,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

২০%

(ঙ)

পরবর্তী ৩০,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

২৫%

(চ)

অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর

৩০%

তবে, উপরোল্লিখিত কর হার করদাতার মর্যাদা নির্বিশেষে সিগারেট প্রস্তুতকারকের উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
(ii) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ২,৭৫,০০০/- টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩,০০,০০০/- টাকা করা হয়েছে।
(iii) প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩,৫০,০০০/- টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩,৭৫,০০০/- টাকা করা হয়েছে।
(iv) মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেরগেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,০০,০০০/- টাকা হতে বৃদ্ধি করে ৪,২৫,০০/- টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নং মুবিম/প্রঃ৩/মুক্তিযোদ্ধা/গেজেট/২০০৩/৪৭৯, তারিখঃ ২০শে ভাদ্র ১৪১০/ ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০০৩ এ উল্লিখিত তালিকায় যে সকল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সে সকল করদাতা এ সুবিধা পাবেন।
(v) করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় ন্যূনতম আয়করের পরিমাণঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতাদের জন্য ৫,০০০/- টাকা, অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতাদের জন্য ৪,০০০/- টাকা এবং সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতাদের জন্য ৩,০০০/- টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বে আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ বা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ ন্যূনতম আয়করেরচেয়ে কম, শূন্য বা ঋণাত্মক হলেও তাঁকে প্রযোজ্যহারে ন্যূনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
(খ) ব্যক্তি-করদাতার উপর প্রযোজ্য সারচার্জের হার পুনর্বিন্যাসঃ-
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ব্যক্তি-করদাতার প্রদেয় আয়করের উপর প্রযোজ্য সারচার্জ আরোপের বিধানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আয়কর রিটার্নের সাথে দাখিলকৃত পরিসম্পদ, দায় ও খরচের বিবরণী (statement of assets, liabilities and expenses) তে প্রদর্শিত নীট পরিসম্পদের মূল্যমান (total net worth) ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার অধিক হলে নীট পরিসম্পদের উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত হারে প্রদেয় আয়করের উপর সারচার্জ আরোপিত হবেঃ

 

নীট পরিসম্পদের মূল্যমান    

সারচার্জের হার

(ক)

দুইকোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

শূন্য

(খ)

দুইকোটি পঁচিশ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু দশ কোটি টাকার অধিক নয়

১০%

(গ)

দশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু বিশ কোটি টাকার অধিক নয়

১৫%

(ঘ)

বিশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু ত্রিশ কোটি টাকার অধিক নয়

২০%

(ঙ)

ত্রিশ কোটি টাকার অধিক যে কোন অংকের উপর

২৫%

(গ) নূ্যূনতম সারচার্জ নির্ধারণঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ব্যক্তি-করদাতার প্রদর্শিত নীট পরিসম্পদের মূল্যমানের উপর ন্যূনতম সারচার্জ আরোপের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। নব প্রবর্তিত এ বিধান অনুযায়ীউক্ত সারচার্জ বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনা পরবর্তী প্রদেয় আয়করের উপর প্রযোজ্য হবে। উপরে বর্ণিত হার অনুযায়ী কোন ব্যক্তি-করদাতার প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ ৩,০০০/- টাকার কম হলেও তাঁকে ন্যূনতম ৩,০০০/-টাকা সারচার্জ বাবদ পরিশোধ করতে হবে। সারচার্জ কিভাবে আরোপিত হবে তা নিচের উদাহরণগুলোর মাধ্যমে স্পষ্টীকরণ করা হলোঃ-

    টাকা
(১) (i) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান     ২,২০,০০,০০০/-
  (ii) মোট আয় ৫,০০,০০০/-
  (iii) আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ  ২৫,০০০/-
  (iv) প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ     শূন্য 
(২)  (i) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান ২,৩০,০০,০০০/-
  (ii) মোট আয় ৫,০০,০০০/-
  (iii) আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ    ২৫,০০০/-
  (iv) প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (১০%) ২,৫০০/-

এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩,০০০/- টাকা সারচার্জ বাবদ পরিশোধ করতে হবে। তবে, কোন করদাতার আয় করযোগ্যসীমা অতিক্রম না করলে ন্যূনতম সারচার্জ পরিশোধ সংক্রান্ত এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।

    টাকা
(৩) (i) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান     ১১,০০,০০,০০০/-
  (ii) মোট আয় ৫,০০,০০০/-
  (iii) আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ ২৫,০০০/-
  (iv) প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (১৫%)    ৩,৭৫০/-
(৪) (i) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান ২০,৫০,০০,০০০/-
  (ii) মোট আয় ৫,০০,০০০/-
  (iii) আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ    ২৫,০০০/- 
  (iv) প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (২০%)  ৫,০০০/-

 

(৫) (i) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান ৩০,১০,০০,০০০/-
  (ii) মোট আয় ৫,০০,০০০/-
  (iii) আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ    ২৫,০০০/-
  (iv) প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (২৫%) ৬,২৫০/-

                    
উল্লেখ্য, ব্যক্তি-করদাতা (individual) ব্যতীত অন্য কোন শ্রেণীর করদাতার উপর এ সারচার্জ
আরোপযোগ্য নয়।
(ঘ) অনিবাসী ব্যক্তি-করদাতার করহারঃ
অনিবাসী বাংলাদেশী ব্যতীত বাংলাদেশে অনিবাসী এমন ব্যক্তি-করদাতার কর হার ৩০% বলবৎ আছে। তবে অনিবাসী ব্যক্তি-করদাতা বাংলাদেশী নাগরিক হলে তাঁর আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য হারে অর্থাৎ ০%, ১০%, ১৫%, ২০%, ২৫% ও ৩০% আয়কর এবং সারচার্জ প্রদেয় হবে।
(ঙ) অবস্থান ভিত্তিক ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্প থেকে উদ্ভূত আয়ের উপর আয়কর রেয়াতঃ
কোন ব্যক্তি-করদাতা যদি স্বল্প উন্নত এলাকা (less developed area)বা সবচেয়ে কম উন্নত এলাকায় (least developed area) অবস্থিত কোন ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্পের মালিক হন এবং উক্ত কুটির শিল্পের দ্রব্যাদি উৎপাদনে নিয়োজিত থাকেন, তাহলে তিনি উক্ত ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্প থেকে উদ্ভূত আয়ের উপর নিম্নবর্ণিত হারে আয়কর রেয়াত লাভ করবেন, যথা :-

 

বিবরণ রেয়াতের হার
(অ) যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বছরের উৎপাদনের পরিমাণ    পূর্ববর্তী  বছরের উৎপাদনের  পরিমাণেরতুলনায় ১৫% এর অধিক, কিন্তু ২৫% এর অধিক নয়  প্রদেয় আয়করের ৫%
(আ) যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বছরের উৎপাদনের পরিমাণ    পূর্ববর্তী  বছরের  উৎপাদনের  পরিমাণেরতুলনায় ২৫% এর অধিক হয় প্রদেয় আয়করের ১০%

    
(চ) কোম্পানীর কর হারঃ
পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে বিদ্যমান কর হার ২৭.৫% হতে হ্রাস করে ২৫% নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী ৩০% এর অধিক নগদ লভ্যাংশ প্রদান করলে ১০% হারে কর রেয়াত সুবিধা সংক্রান্ত পূর্বের বিধানটি রহিত করা হয়েছে। অপরদিকে ১০% এর কম লভ্যাংশ ঘোষণা করলে অথবা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশ প্রদান না করলে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানীর কর হার ৩৫% এ নির্ধারণ করার বিধানও রহিত করা হয়েছে।

তবে, নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানীর করহার গত বছরের ন্যায় ৩৫% বহাল রয়েছে।

২০১৫-২০১৬ কর বছরের জন্য কোম্পানীর আয়করের হার (লভ্যাংশ আয় ও মূলধনী আয় ব্যতীত) নিম্নরূপঃ

 

কোম্পানীর ধরণ কর হার মন্তব্য
(অ) নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী (স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানী)     ৩৫%  

(আ)

পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী (স্টকএক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানী) ২৫% শর্তঃ যদি এরূপ কোম্পানী যাচঁনষরপষু Publicly traded company নয়, তার পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ২০% শেয়ার Initial Public Offerings (IPO) এর মাধ্যমে হস্তান্তর কর তাহলে এরূপ কোম্পানী উক্ত হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট বছরে প্রযোজ্য আয়করের উপর ১০% হারে আয়কর রেয়াত লাভ করবে।
(ই) ব্যাংক,  বীমা,  আর্থিক  প্রতিষ্ঠানসমূহ (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত)
(i) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে
(ii) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত  হলে
(iii) সরকার  কর্তৃক  ২০১৩  সালে অনুমোদিত  ব্যাংক,  বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করের হার
৪০%
৪২.৫% ৪০% 
 
(ঈ) মার্চেন্ট ব্যাংক  ৩৭.৫%  
(উ) সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানী  ৪৫%   
(ঊ) মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানী    ৪৫% শর্তঃ (১)এরূপকোন কোম্পানী তার পরিশোধিত মূলধনের   কমপক্ষে ১০% শেয়ার,  যার  মধ্যে Pre  Initial Public Offering Placement ৫% এর অধিক হবে না; স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে হস্তান্তর করে Publicly traded company তে রূপান্তরিত হলে  তার  কর  হার  হবে     ৪০%; (২) এরূপ কোন কোম্পানীযদিতারপরিশোধিতমূলধনের২০% শেয়ার Initial Public Offerings (IPO)এরমাধ্যমেহস্তান্তরকরে, তাহলেহস্তান্তরসংশ্লিষ্টবছরেপ্রযোজ্য আয়কর এর উপর১০%হারেকররেয়াতপাবে।

               

(ছ) অন্যান্য কর হারঃ                

(অ) কোন কোম্পানী কর্তৃক প্রাপ্ত লভ্যাংশ আয়ের    ক্ষেত্রে/বিদেশী কোম্পানীর মুনাফা প্রত্যাবাসন, যা লভ্যাংশ হিসেবে গণ্য, এর উপর ২০%
(আ) কোম্পানী ব্যতীত সিগারেট     প্রস্তুতকারক অন্যান্য শ্রেণীর করদাতার সিগারেট উৎপাদন   পূর্বক  বিক্রয় ব্যবসার আয়ের উপর ৪৫% 
(ই) সমবায় সমিতির আয়ের উপর ১৫%

    
অর্থ আইন, ২০১৫ অনুযায়ী ১ জুলাই, ২০১৫খ্রিস্টাব্দ তারিখে আরব্ধ কর বছরের জন্য আয়করের হার পরিশিষ্ট-১৯ এ দেখানো হয়েছে।
২। সার্বজনীন Income Year এর প্রবর্তন- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 2 এর উপ-ধারা(35) এর প্রতিস্থাপনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা2 এর উপ-ধারা (35) এ Income Year এর বিদ্যমান সংজ্ঞাটি অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী একজন করদাতা বছরের যে কোন দিনকেই হিসাব সমাপ্তির তারিখ হিসেবে গণ্য করে হিসাবের খাতাপত্র সংরক্ষণ এবং সে অনুযায়ী হিসাব বিবরণী ও আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন। প্রতিস্থাপিত সংজ্ঞা অনুযায়ীব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য করদাতার ক্ষেত্রে হিসাব সমাপ্তির অভিন্ন তারিখ ৩০ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।প্রতিস্থাপিত সংজ্ঞার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপঃ

  • ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য সকল করদাতার আয় বছরের হিসাব সমাপ্তির তারিখ হবে ৩০ জুন;
  • ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আয় বছর হবে ১ জানুয়ারীহতে শুরু করে পরবর্তী ১২ মাস। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে হিসাব সমাপ্তির তারিখ হবে সংশ্লিষ্ট বছরের ৩১ ডিসেম্বর;

 

  • নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে আয় বছর হবে ব্যবসা শুরুর তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কাল;
  • ব্যবসা বন্ধ, কোম্পানীর অবসায়ন বা কোন করদাতার মৃত্যুজনিত কারণে আয় বছর হবে ১ জুলাই হতে ব্যবসা বন্ধ, কোম্পানীর অবসায়ন বা করদাতার মৃত্যুর তারিখ পর্যন্ত সময়কাল।

 

  • নিবন্ধিত নয় এরূপ কোন unincorporated body বা সংস্থা (অংশীদারী ব্যবসা, ব্যক্তি-সংঘ, ইত্যাদি) এর কোন অংশগ্রহণকারীর অবসর গ্রহণ বা মৃত্যুরক্ষেত্রে আয়

     বছর হবে-

  • ১ জুলাই হতে ৩০ জুনের মধ্যে কোন অংশগ্রহণকারীর অবসর বামৃত্যু হলে ১ জুলাই হতে অবসর বা মৃত্যুর তারিখ পর্যন্ত সময়কাল;
  • কোন অংশগ্রহণকারীর অবসর বা মৃত্যুর তারিখের পরবর্তী ৩০ জুনের পূর্বে অপর কোন অংশগ্রহণকারীর অবসর বা মৃত্যু হলে, পূর্ববর্তী অংশগ্রহণকারীর
  • অবসর বা মৃত্যুর তারিখ হতে পরবর্তী অংশগ্রহণকারীর অবসর বা মৃত্যুর তারিখ পর্যন্ত; এবং
  • কোন অংশগ্রহণকারীর অবসর বা মৃত্যুর তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ জুনের মধ্যে অন্য কোন অংশগ্রহণকারীর অবসর বা মৃত্যু না হলে উক্ত অংশগ্রহণকারীর অবসর বা মৃত্যুর তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কাল।
  • তবে কোন ক্ষেত্রেই আয় বছরের পরিব্যাপ্তি বা সময়কাল ১২ মাসের বেশী হবে না।

প্রতিস্থাপিত উক্ত সংজ্ঞার ফলে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য যে সকল করদাতা ৩০ জুন ভিন্ন অন্য কোন তারিখকে হিসাব সমাপ্তির কাল হিসেবে গণ্য করে আসছেন, সে সকল করদাতা কিভাবে নতুন প্রবর্তিত বিধান অনুসারে ৩০ জুন তারিখকে হিসাব সমাপ্তির বা আয় বছর সমাপ্তির তারিখ গণ্য করে হিসাব বিবরণী প্রস্তুত এবং আয় বছর ও কর বছর নির্ধারণ করবেন, তা নীচের উদাহরণের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হলোঃ
উদাহরণ ঃ
ABC লিমিটেড কোম্পানীর (যা ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়) হিসাব সমাপ্তির তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে সমাপ্ত আয় বছর
( income year) সংশ্লিষ্ট কর বছর ( assessment year ) ২০১৬-২০১৭। আয়কর
অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৭৫ ধারার বিধান অনুযায়ী উক্ত কোম্পানী করদাতার ২০১৬-২০১৭ কর বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ জুলাই, ২০১৬।প্রতিস্থাপিত বিধান
অনুযায়ী ৩০ জুনআয় বছরের হিসাব সমাপ্তির তারিখ বিধায় কর নির্ধারণে আয় বছরের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনে ১ জানুয়ারী, ২০১৬ হতে ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত সময়কালের জন্য
ABC লিমিটেড কোম্পানীকে আরেকটি পৃথক হিসাব বিবরণী ও আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত করতে হবে। এক্ষেত্রেও ABC কোম্পানীর আয় বছর সংশ্লিষ্ট অভিন্ন কর বছর হবে ২০১৬-২০১৭। অর্থাৎ, একই কর বছর ২০১৬-২০১৭ তে ABC কোম্পানীর দু’টি কর নির্ধারণ প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে; প্রথমটি পূর্বের অনুসৃত হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী জানুয়ারী-ডিসেম্বর অর্থাৎ প্রথম ১২ মাসের জন্য এবং শেষোক্তটি নব প্রবর্তিত বিধানের আলোকে পরবর্তী জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। একই কর বছরের জন্য দুটি হিসাবকাল অনুসরণের কারণে এরূপ কোম্পানী করদাতাদের ক্ষেত্রে ৭৫ ধারায় আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা হবে নিম্নরুপঃ
(১) ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত আয় বছরের ক্ষেত্রে পরবর্তী বছরের ১৫ জুলাই; এবং
(২) ৩০ জুন তারিখে সমাপ্ত আয় বছরের ক্ষেত্রে পরবর্তী ৩১ ডিসেম্বর।

উল্লেখ্য, কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতাদের ক্ষেত্রে উপরোক্ত উদাহরণ অনুযায়ী দুটি হিসাবকালের জন্য অভিন্ন কর বছরের ক্ষেত্রেআয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৭৫ ধারা অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।
অর্থাৎ, পরিবর্তিত এ বিধানের প্রয়োগিকতা বিবেচনায় এ বিধান কার্যকর সংশ্লিষ্ট কর বছরের ক্ষেত্রে ১২ মাসের অধিক সময়কাল বিবেচনায় প্রথম বারের মত দু’টি পৃথক সময়কালের জন্য হিসাব বিবরণী ও আয়কর রিটার্ন দাখিল করার প্রয়োজন হতে পারে। পরবর্তী কর বছর থেকে যথানিয়মে জুলাই- জুন সময়কালের তথা ১২ মাস ভিত্তিক আয় বছরের জন্য হিসাব বিবরণী ও রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
অর্থ আইন, ২০১৫ এর ধারা ১ এর উপ-ধারা (৩) মোতাবেক Income Year এর প্রতিস্থাপিত সংজ্ঞাটি ১ জুলাই, ২০১৬ হতে আয়কর অধ্যাদেশের যথাস্থানে প্রতিস্থাপিত মর্মে গণ্য হবে যা ২০১৬-২০১৭ কর বছর হতে কার্যকর হবে।
 ৩। অতিরিক্ত কর আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 16B এর প্রতিস্থাপনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 16B প্রতিস্থাপন করে এতে ক্লজ
(a) ও ক্লজ (b) সন্নিবেশ করা হয়েছে, যা নিম্নরূপঃ
(ক) লভ্যাংশ বা বোনাস শেয়ার ইস্যু, ঘোষণা বা বিতরণে ব্যর্থতাঃ
ধারা 16B এর ক্লজ (a) অনুযায়ী বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে যা কিছুইবলা থাকুক না কেন ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ব্যতীত বাংলাদেশের কোনস্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোন
পাবলিক লিঃ কোম্পানী যদি তার পরিশোধিত মূলধনের কমপক্ষে ১৫% লভ্যাংশ নগদে বা বোনাস শেয়ার হিসেবে তার আয় বছর শেষ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ইস্যু, ঘোষণ বা বিতরণ না করে তাহলে অবন্টিত মুনাফার(ফ্রি রিজার্ভসহ সঞ্চিত মুনাফা)উপর ৫% হারে অতিরিক্ত কর আরোপিত হবে।
(খ) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কোন বিদেশী নাগরিককে কাজেনিয়োগ সংক্রান্তঃ
ধারা 16B এর ক্লজ (b) অনুযায়ী বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে যা কিছুইবলা থাকুক না কেন কোন ব্যক্তি (person) যদি বিনিয়োগ বোর্ড বা সরকারের কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতীতকোন বিদেশী নাগরিককে কোন কাজে নিয়োগ প্রদান করে, সেক্ষেত্রে নিয়োগকারী ব্যক্তির (person) এরূপ অ‣বধ নিয়োগ প্রদান সংশ্লিষ্ট কর বছর এবং অ‣বধ নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সংশ্লিষ্ট পরবর্তী কর বছরসমূহেরপ্রদেয় কর এর উপর অতিরিক্ত ৫০% কর আরোপিত হবে। তবে, এরূপ অতিরিক্ত কর এর পরিমাণ কোন ভাবেই ৫ লক্ষ টাকার কম হবে না।
৪। উৎপাদনমূখী industrial undertaking জন্য ন্যূনতম কর হার পুনির্ধারণঃ-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 16CCC এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 16CCC এর বিদ্যমান বিধানে কোন ফার্ম বা কোম্পানীকে তার গ্রস প্রাপ্তি/টার্নওভারের উপর ০.৩০% হারে ন্যূনতম কর পরিশোধ করতে হয়।অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে উক্ত ধারায় একটি প্রোভাইসো সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ প্রোভাইসোর বিধানমতে কেবলমাত্র পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে (industrial undertaking) তার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর প্রথম তিনটি আয় বছরে ০.৩০% এর পরিবর্তে ০.১০% হ্রাসকৃতহারে ন্যূনতম কর পরিশোধ করতে হবে। তবেউক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রদর্শিত/নিরূপিত আয়ের উপর প্রদেয় কর যদি ন্যূনতম করের বেশিহয় তাহলে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শিত/নিরূপিত আয়ের উপর প্রদেয় কর পরিশোধ করতে হবে। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পর ৭৫ ধারায় রিটার্ন দাখিলযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন সংযোজিত এ প্রোভাইসো অনুযায়ী ন্যূনতম কর রিগণনাপ কেবলমাত্র প্রথম তিনটি আয় বছরের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ ধরনের নতুনশিল্প প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য কোম্পানী বা ফার্মের ক্ষেত্রে ০.৩০% হারে ন্যূনতম কর প্রদানের বিধান প্রযোজ্য হবে।
৫। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদ ঋণ গ্রহণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এর উপ- ধারা (21)এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এর উপ-ধারা (21) অনুযায়ীআয় গণনায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির (person) কাছ থেকে crossed cheque‟ ব্যতীত অন্য কোন মাধ্যমে এক বা একাধিক উৎস হতে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পরিশোধ না করলে উক্ত গৃহীত ঋণ বা তার অপরিশোধিত অংককে অন্যান্য উৎস হতে আয় হিসেবে গণ্য করার বিধান রয়েছে। অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে “crossed cheque”এর সাথে “bank transfer”কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ বিধান ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে কার্যকর হবে।

৬। কোম্পানীর মোটর গাড়ী ক্রয়ে অনুমোদনযোগ্য সীমাবৃদ্ধিকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এর উপ- ধারা (27) এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এর উপ-ধারা (27) এ কোন কোম্পানী paid up capital এর ১০ শতাংশের অধিক মূল্যে মোটরকার বা জীপ ক্রয় করলে, গাড়ীর ক্রয়মূল্য paid up capitalএর ১০% এর পার্থক্যের ৫০ শতাংশকে উক্ত কোম্পানীর “অন্যান্য সূত্রের আয়” হিসেবে বিবেচনা করার বিধান রয়েছে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে উক্ত ধারাটি সংশোধন করে উক্ত ১০ শতাংশ পরিগণনার ভিত্তি হিসেবে paid up capital Ges reserve and accumulated profit এর যোগফলকে বিবেচনা করার বিধান করা হয়েছে।

ধরা যাক, কোন একটি কোম্পানীর paid up capital ১,০০,০০,০০০/- টাকা এবং reserve and accumulated profit এর স্থিতি ১,০০,০০,০০০/- টাকা। উক্ত কোম্পানী যদি ৬০,০০,০০০/- টাকা মূল্যের একটিমোটর কার বা জীপ ক্রয় করে তবে পরিবর্তিত আইনের বিধান অনুযায়ী ধারা ১৯ এর উপ-ধারা (২৭) এর আয় নিম্নরুপে পরিগণনা করতে হবে-

Paid up Capital + Reserve and accumulated Profit =   ২,০০,০০,০০০/-

এর ১০%    

=    ২০,০০,০০০/-

গাড়ীর ক্রয়মূল্য      

=    ৬০,০০,০০০/-

পার্থক্য

=    ৪০,০০,০০০/-

পার্থক্যের ৫০%     

=    ২০,০০,০০০/-

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আনীত সংশোধনী মোতাবেক এক্ষেত্রে ২০,০০,০০০/- টাকা উক্ত করদাতা কোম্পানীর ধারা 19 এর উপ-ধারা (27) অনুসারে“অন্যান্য উৎস হতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে।
 ৭। বাকীতে ক্রয়কৃতএবং দায় হিসাবে প্রদর্শিত নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য পরবর্তী বছরে পরিশোধ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এ উপ-ধারা (27) এর সংযোজনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে ধারা 19 এ একটি নতুনউপ-ধারা (29) সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ নতুন উপ-ধারার বিধান অনুসারে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় নিয়োজিত কোন করদাতা ব্যতীত অন্য কোন করদাতা যদি কোন দালান বা গৃহ-সম্পত্তি বা তার কোন ইউনিট নির্মাণের ব্যাখ্যায় উৎস হিসেবে বাকীতে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় এবং তা দায় (liabilities) হিসেবে প্রদর্শন করে, তাহলে যে কর বছরে এরূপ দায় প্রদর্শিত হবে তার পরবর্তী কর বছরের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় অপরিশোধিত দায়ের সম্পূর্ণ অংশ উক্ত আয় বছর সংশ্লিষ্ট কর বছরে করদাতার “অন্যান্য উৎস হতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে।
ধরা যাক, এরূপ কোন করদাতা ২০১৫-২০১৬ কর বছরে দালান নির্মাণের বিপরীতে ৬০,০০,০০০/- মূল্যের নির্মাণ সামগ্রী বাকীতে ক্রয়হিসেবে তার দাখিলকৃত আইটি-১০বি/ স্থিতিপত্রে দায় বাবদ প্রদর্শন করে। পরবর্তী কর বছরে অর্থাৎ ২০১৬-২০১৭ কর বছরে এ দায় হতে তিনি ২০,০০,০০০/- টাকা পরিশোধ করেন এবং আইটি-১০বি/ স্থিতিপত্রে ৪০,০০,০০০/- টাকা দায়ের স্থিতি হিসেবে প্রদর্শন করেন। ধারা 19 এর উপ-ধারা (29) এর বিধান অনুসারে অপরিশোধিত দায়ের স্থিতি অর্থাৎ ৪০,০০,০০০/- টাকা ২০১৬-২০১৭ কর বছরে “অন্যান্য উৎস হতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে।
৮। গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, ইত্যাদি খাতে অনুমোদিত খরচের অব্যাহতি অংশ আয়    হিসেবে বিবেচনাকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এর উপ- ধারা (30) এর সংযোজনঃ
গৃহ-সম্পত্তি খাতের আয় নিরূপণে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 25 এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ
(h) অনুযায়ী আবাসিকভবনের বার্ষিক ভাড়া মূল্যের ২৫% এবং বাণিজ্যিক ভবনের ৩০% আইনানুগভাবে মেরামত, আদায়, ইত্যাদি খরচ হিসেবে অনুমোদন করা হয়।গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় এরূপ ব্যয় দাবী সত্বেও কোন করদাতা আইনানুগভাবে অনুমোদিত এ খরচের সম্পূর্ণ বাঅংশ বিশেষ মেরামত বাবদ খরচ হয়নি- এ যুক্তিতেযদি কোন অংক তার সম্পদ পরিবৃদ্ধিরতহবিলের উৎস হিসেবে প্রদর্শন করেন, তবে সমপরিমাণ অংক অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এ সংযোজিত উপ-ধারা (30) এর বিধানমতে “গৃহ-সম্পত্তি খাতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে।
ধরা যাক, একজন ব্যক্তি-করদাতা একটি আবাসিক ভবন ভাড়ায় প্রদান হতে আয় অর্জন করেন। উক্ত ভবনের বার্ষিক ভাড়ামূল্য ১২,০০,০০০/- টাকা। আয়কর রিটার্নে তিনি গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 25 এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (h) অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য খরচ ৩,০০,০০০/- টাকা দাবী করেন। কিন্তু উক্ত অংক খরচ হয়নি দাবী করে তিনি সংশ্লিষ্ট কর বছরের সম্পদ পরিবৃদ্ধির উৎস ব্যাখ্যায় তা তহবিল হিসেবে প্রদর্শন করেন । এ ক্ষেত্রে নব প্রবর্তিত বিধান অনুযায়ী বিধিবদ্ধ ব্যয়ের অব্যয়িত সমুদয় অংক আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 19 এর উপ- ধারা (30) এর বিধান অনুসারে“গৃহ-সম্পত্তির আয়” হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, দাবী অনুযায়ী এ ধরণে অব্যয়িত সমুদয় অংক বা অংশ বিশেষের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।
ব্যক্তি-করদাতা ব্যতীত অন্যান্য পর্যায়ের করদাতাও যদি হিসাব বিবরণীতে গৃহ-সম্পত্তি খাতের আয় গণনায় দাবীকৃত এরূপ খরচ অব্যয়িত অংক হিসেবে প্রদর্শন করে, সেক্ষেত্রেও এ ধারার বিধানটি সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
৯।মূল আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত আয় অপেক্ষা পরবর্তীতে দাখিলকৃত রিটার্ন বা সংশোধিত রির্টানে স্বল্প হারে করযোগ্য বা করমুক্তখাতের অতিরিক্ত প্রদর্শিত আয়কে করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচনাকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের নতুন ধারা 19 এর উপ- ধারা (31) এর সংযোজনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এ একটি নতুনউপ-ধারা (31) সংযোজন করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত এর ধারার বিধান অনুযায়ী কোন করদাতা তার মূলআয়কর রিটার্নে করমুক্ত বাহ্রাসকৃতহারে কর আরোপযোগ্য খাতে যে পরিমাণ আয় প্রদর্শন করবেন, পরবর্তীতে ৭৮ ধারা অনুযায়ীসংশোধিত অথবা কর মামলা পুনঃউন্মোচন জনিত ৯৩ ধারার নোটিশ জারীর প্রেক্ষিতে বা অন্য কোন প্রেক্ষিতে দাখিলকৃত রিটার্ন/সংশোধিত রিটার্ন/রিটার্নে করমুক্ত বা হ্রাসকৃতকর হার সংশ্লিষ্ট খাতে যে পরিমাণ অংক অতিরিক্ত আয় হিসেবে প্রদর্শন করবেন তার সম্পূর্ণ অংশই (একই খাতে মূল আয়কর রিটার্নে ও সংশোধিত আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত করমুক্ত বাহ্রাসকৃতহারে কর আরোপযোগ্য আয়ের পার্থক্য) করদাতার “অন্যান্য উৎস হতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে এবং করমুক্ত/হ্রাসকৃত হারের পরিবর্তে তফসিলে বর্ণিত হারে কর আরোপযোগ্য হবে।
ধরা যাক, কোন করদাতা ২০১২-২০১৩ কর বছরে গৃহ-সম্পত্তি খাতে ৩,০০,০০০/- টাকা এবং ব্যবসা খাতে ৪,০০,০০০/- টাকা সর্বমোট করযোগ্য আয় ৭,০০,০০০/- এবং পোল্ট্রি খাতে ২০,০০,০০০/- টাকা করমুক্তআয় প্রদর্শন করে মূলআয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। পরবর্তীতে তিনি স্বপ্রণোদিতভাবে ৭৮ ধারায় অথবা কর বছরের কর মামলাটি ৯৩ ধারায় পুনঃউন্মোচরে প্রেক্ষিতে বা অন্য কোন প্রেক্ষিতে পোল্ট্রি খাতে ৩৫,০০,০০০/- টাকা করমুক্ত আয় প্রদর্শনকরে সংশোধিত রিটার্ন/রিটার্ন দাখিল করেন বা উৎসের সম্পদ পরিবৃদ্ধির ব্যাখ্যায় উক্ত পোল্ট্রি খাতের আয়কে উৎস হিসেবে প্রদর্শন করেন। অর্থাৎ, পোল্ট্রি খাতে করমুক্ত বর্ধিত আয়/তহবিলের উৎস প্রদর্শন করেন ১৫,০০,০০০/-। নতুন সংযোজিতউপ-ধারা (31) এর বিধান অনুসারে এ ১৫,০০,০০০/- টাকা করদাতার এরূপ আয় প্রদর্শন সংশ্লিষ্ট কর বছর অর্থাৎ ২০১২-২০১৩ কর বছরে “অন্যান্য উৎস” হতে করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
১০। আবাসিক ভবন এবং এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ/ক্রয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ কর হার পুনর্বিন্যাস- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19BBBBB এর সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৩ এর মাধ্যমে আবাসিক ভবন/এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ/ক্রয়ে বিনিয়োগকারী করদাতাগণের জন্য বিশেষ কর ব্যবস্থা সংক্রান্ত ধারা 19BBBBB আয়কর অধ্যাদেশে সংযোজিত হয়। অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে বিদ্যমান এ ধারাটির উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (d) এর সাব-ক্লজ (i) ও সাব-ক্লজ (ii) তে এবং ক্লজ (e) এর সাব-ক্লজ (i) এর ও সাব-ক্লজ (ii) তে পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে আবাসিক ভবন/ এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ/ক্রয়ের জন্য পরিমাপের ভিত্তিতে পরিশোধযোগ্য কর এর পরিমাণ হ্রাস করা হয়েছে। ক্লজ (d) তে আনীত পরিবর্তন অনুযায়ী জেলা সদরের পে․র এলাকায় অবস্থিত ২০০ বর্গমিটার পর্যন্ত আয়তনের দালান এবং এ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে বর্গমিটার প্রতি ১০০০/- টাকার পরিবর্তে ৬০০/- টাকা হারে এবং ২০০ বর্গমিটারের অধিক আয়তনের দালান এবং এ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে বর্গমিটার প্রতি ১৫০০/- টাকার পরিবর্তে ৮০০/- টাকা হারে কর পরিশোধ করতে হবে। একই আইনের মাধ্যমে আনীত সংশোধনী অনুযায়ী ক্লজ (e) তে বর্ণিত এলাকায় দালান এবং এ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে আয়তন ২০০ বর্গমিটারের কম হলে বর্গমিটার প্রতি ৭০০/- টাকার পরিবর্তে ৪০০/- টাকা হারে এবং ২০০ বর্গমিটারের অধিক আয়তনের দালান এবং এ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে বর্গমিটার প্রতি ১০০০/- টাকার পরিবর্তে ৬০০/- টাকা হারে কর পরিশোধ করতে হবে। এ বিধানের অন্যান্য শর্তাবলী পূর্বের ন্যায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
১১। স্বেচ্ছায় পূর্বের কর অনারোপিত আয় ঘোষণার পরিসীমা বহির্ভূত খাত সম্প্রসারণ-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19E এর সংশোধনঃ
স্বেচ্ছায় পূর্বের কর অনারোপিতআয় ঘোষণা সংক্রান্ত ধারা 19E অর্  আইন, ২০১২ এর মাধ্যমে আ য়কর অধ্যাদেশে সংযোজিত হয়। উক্ত ধারার উপ-ধারা (3) অনুযায়ীকয়েকটি ক্ষেত্রকে উক্ত ধারার অধীনে স্বেচ্ছায় পূর্বের কর অনারোপিত আয় ঘোষণার পরিসীমার বহির্ভূত রাখা হয়েছে। অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে 19E ধারার উপ-ধারা (3) এর ক্লজ (d) এর পর  ক্লজ (e) সংযোজন করে তাতে দুটি সাব-ক্লজ যথা সাব-ক্লজ (i) ও সাব-ক্লজ (ii) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত এ দু’টিসাব-ক্লজ অনুযায়ী ধারা 19E এর অধীনে স্বেচ্ছায় পূর্বের কর অনারোপিতআয় ঘোষণার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর বছরের করমুক্ত কোন খাতের আয় কিংবা আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 44 অনুসারে হ্রাসকৃতহারে কর আরোপযোগ্য কোন খাতের আয় প্রদর্শন করে এ বিধানের সুযোগ গ্রহণ করা যাবে না। এ বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যদি এরূপ কোন করমুক্ত আয় বা হ্রাসকৃত হারে কর আরোপযোগ্য কোন খাতের আয়কে ধারা 19E এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করে রিটার্নে প্রদর্শন করা হয় তাহলে প্রদর্শিত এরূপ আয় আয়ক র অধ্যাদেশের ধারা 33 অনুযায়ী “অন্যান্য উৎস হতে আয়” হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তফসিলে নির্ধারিত হারে কর আরোপযোগ্য হবে।
১২। Financial Institution এর ক্ষেত্রে bad or doubtful শ্রেণীভুক্ত ঋণের সুদকে প্রকৃত প্রাপ্তির ভিত্তিতে আয় গণনার বিধান সংক্রান্ত-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 28 এর উপ-ধারা (3) এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 28 এর উপ-ধারা (3) এ বিদ্যমান “Investment Corporation of Bangladesh” শব্দগুলির পর “any financial institution” শব্দগুলি সংযোজন করা হয়েছে। পরিবর্তিত এ বিধান অনুযায়ী আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 28 এর উপ-ধারা (3) এ বিদ্যমান বিধানাবলী Bangladesh Development Bank, Bangladesh Krishi Bank সহ যে কোন Commercial Bank এবং Rajshahi Krishi Unnayan Bank এর সাথে financial institution সমূহের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে। এর মাধ্যমে financial institution সমূহের ক্ষেত্রেও bad or doubtfu শ্রেণীভুক্ত ঋণেরসুদকে প্রকৃত প্রাপ্তির ভিত্তিতে আয় হিসাবে গণনা করা যাবে।
১৩। আমদানীকৃত সফটওয়্যার ব্যতীত অন্যান্য স্থায়ী সম্পদের ক্ষেত্রে obsolescenceallowance অনুমোদনসংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 29 এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (xi) এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 29 এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (xi) অনুসারে কোন করদাতা কর্তৃক ব্যবসায় ব্যবহৃত হওয়ার পরপরিত্যক্ত, ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ব্যবহার অনুপযোগীবা বিক্রিত বা হস্তান্তরিত, ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিল্ডিং, মেশিনারী অথবা প্লান্ট এর উপর obsolescence allowance অনুমোদন করার বিধান বিদ্যমান আইনে আছে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে অনুরূপ সুবিধা আমদানীকৃত সফটওয়্যার ব্যতীত অন্যান্য স্থায়ী সম্পদের ক্ষেত্রে বিস্তৃত করা হয়েছে। এর ফলেকোন করদাতা কর্তৃক ব্যবসায় ব্যবহৃতঅন্যান্য স্থায়ী সম্পদের (আমদানীকৃত সফট্ওয়্যার ব্যতীত) ক্ষেত্রেও আয়কর অধ্যাদেশের তৃতীয় তফসিলের অনুচ্ছেদ (১০)obsolescence allowance প্রযোজ্য হবে।
১৪। ব্যবসা বা পেশা আয়ের ক্ষেত্রে পারকুইজিট বাবদ অনুমোদনযোগ্য খরচের সর্বোচ্চ সীমা বৃদ্ধিসংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 30 এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 30 এর ক্লজ (e) এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে কোন করদাতা কর্তৃক তার কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বাৎসরিক ৩,৫০,০০০/- টাকার অধিক পারকুইজিট [আয়কর অধ্যাদেশের 2(45) ধারায় সংজ্ঞায়িত] বাবদ প্রদান করলে উক্ত অংকের অতিরিক্ত অংশ করদাতার আয় হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে বর্ণিত সীমা ৩,৫০,০০০/- টাকা থেকে বৃদ্ধি করে৪,৫০,০০০/- টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে, নিয়োগকারী করদাতা কর্তৃক তার কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে প্রদত্ত বাৎসরিক পারকুইজিট ৪,৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত অনুমোদনযোগ্য খরচ হিসেবে বিবেচিত হবে। উক্ত নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত পারকুইজিটপ্রদান করা হলে অতিরিক্ত অংক নিয়োগকারীর হাতে করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
১৫। নব প্রবর্তিত ধারা 19 এর উপ-ধারা (29) এবং (31) কে ধারা 33অন্যান্য সূত্রের আয়হিসাবে অন্তর্ভুক্তকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 33 এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে প্রবর্তিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ব্যতীত অন্যান্য করদাতা কর্তৃকবাকীতে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয়কে দায় হিসেবে প্রদর্শন সংক্রান্ত ধারা 19 এর উপ-ধারা (29) এবং সংশোধিত আয়কর রিটার্ন/রিটার্ন/ব্যখ্যায় প্রদর্শিত অতিরিক্ত করমুক্ত বা হ্রাসকৃত হারে করারোপনযোগ্য আয়কে করারোপন সংক্রান্ত ধারা 19 এর উপ-ধারা (31) কে 33 ধারার বিধানের আওতায় “অন্যান্য সূত্রের আয়” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১৬। সিগারেট প্রস্তুতকারকের সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবসায় অর্জিত আয় অন্য কোন উৎসের ক্ষতির সাথে সমন্বয়যোগ্য না হওয়া সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 37 এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 37 এ বিদ্যমান তিনটি প্রোভাইসো’র পর আরও একটি নতুন প্রোভাইসোসংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ প্রোভাইসো’র বিধান অনুসারে কোন করদাতার অন্যকোন উৎসের অর্জিত ক্ষতি জনিত আয়কে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবসা খাতের আয়ের সাথে সমন্বয় করা যাবে না। তবে, সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবসা খাতের ক্ষতি অন্য ব্যবসা খাতের আয়ের সাথে সমন্বয় করা যাবে।
১৭। Industrial undertaking এর  কর  অবকাশ  সুবিধা সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 46B এর সংশোধনঃ
(ক) অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 46B এর উপ-ধারা (2) তে বর্ণিত কর অবকাশযোগ্য বিদ্যমান খাত সমূহের সাথে নতুন ৪ (চার) টি খাত সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন এ ৪ (চার)টি খাত হলোঃ automobile manufacturing industry, bi-cycle manufacturing industry, brick made of automatic Tunnel Kiln technology এবং tyre manufacturing industry| এর ফলে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 46B এর শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে বর্ণিত ৪ (চার)টি খাতের শিল্পসমূহ উক্তধারায় বর্ণিত সময়সীমা ও হার অনুযায়ীজন্য কর অবকাশ সুবিধা প্রাপ্ত হবে।

(খ) অর্থ  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 46B এর উপ-ধারা (11) তে বর্ণিত বিদ্যমান বিধানটি পুনর্বিন্যাস করে এতেএকটি নতুন বিধান সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশী নাগরিক ব্যতীত বিনিয়োগ বোর্ড বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নুমোদনঅ ব্যতিরেকে কোন বিদেশী নাগরিককে কর অবকাশ সুবিধা ভোগরত কোন industrial undertaking এ কাজে নিয়োগ করা হলে উক্ত industrial undertaking এর কর অবকাশ সুবিধা বাতিল বলে গণ্য হবে। Industrial
undertaking কর্তৃক এ ধরনের অ‣বধ নিয়োগ প্রদান সংশ্লিষ্ট কর বছর এবং যদি পরবর্তীতে এ অ‣বধ নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট পরবর্তী কর বছর সমূহের কর অবকাশ সুবিধা বাতিলের ক্ষেত্রেও এ বিধান প্রযোজ্য হবে।

১৮। ভৌত অবকাঠামো (physical infrastructure facility) এর কর অবকাশ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 46C এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 46C অনুযায়ীকয়েক শ্রেণীর ভে․ত অবকাঠামো (physical Infrastructure) কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্জিত আয়ের উপর কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে থাকে।শর্ত পরিপালনে ব্যর্থতা বা ভঙ্গের কারণে ধারা 46C এর উপ-ধারা (9) অনুসারে উপ কর কমিশনারকে উক্ত ধারার অধীনে প্রদত্ত কর অবকাশ সুবিধা বাতিল করে কর আরোপের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ভে․ত অবকাঠামোর কর অবকাশ সুবিধা বাতিল করারজন্য বর্ণিত ধারার বিদ্যমান বিধান পুনর্বিন্যাস করে এতেএকটি নতুন বিধান সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ নতুন বিধান অনুযায়ীবাংলাদেশী নাগরিক ব্যতীত বিনিয়োগ বোর্ড বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন বিদেশী নাগরিককে কর অবকাশ সুবিধাভোগরত কোন ভে․ত অবকাঠামো এর কাজে নিয়োগ করা হলে উক্ত ভে․ত অবকাঠামো এর কর অবকাশ সুবিধাবাতিল বলে গণ্য হবে। ভে․ত অবকাঠামো কর্তৃক এ ধরনের অ‣বধ নিয়োগ প্রদান সংশ্লিষ্ট কর বছর এবং যদি পরবর্তীতে এ অ‣বধ নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট পরবর্তী কর বছর সমূহের কর অবকাশ সুবিধা বাতিলের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে। কর অবকাশ বাতিল সংক্রান্ত বিদ্যমান অন্যান্য বিধানও কার্যকর থাকবে।

১৯। কো-অপারেটিভ সোসাইটির কর আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 47 এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 47 এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যাংকিং ব্যবসা ব্যতীত অন্য সকল কার্যক্রম হতে অর্জিত আয় কর অব্যাহতি প্রাপ্ত। অর্থ
আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ধারা 47 এর উপ-ধারা (1) এর clause (a) এবং clause
(c) বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর ফলে কোন কো-অপারেটিভ সোসাইটির কেবলমাত্র ধারা 47 এর উপ-ধারা (1) এর clause (b) এবং clause (d) খাতে বর্ণিত আয়ের উপর কর অব্যাহতি সুবিধা বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ উক্তধারা এর উপ-ধারা (1) এর clause (b) এবং clause (d) এর আওতা বহির্ভূত খাতের অর্জিত আয়ের উপর ১৫% হারে কর আরোপিত হবে।
২০। উৎসে কর কর্তনের পরিধি সম্প্রসারণ-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 49 এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 49 এ যে সকল আয় উৎসে কর কর্তনযোগ্য তার উল্লেখ রয়েছে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে উৎসে কর কর্তনের পরিধি বিস্তৃত করা হয়েছে। নব প্রবর্তিত ধারা 53P অনুযায়ী রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কর্তৃক জমির মালিককে পরিশোধকৃত যে কোন অংকের উপর ১৫% হারে উৎসে কর কর্তনের বিষয়টি ধারা 49 এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
২১। সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন-ভাতার উপর উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রবর্তন-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 50 এর সংশোধনঃ
ক. (ক) অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 50 এর উপ-ধারা (1) এর পরে উপ-ধারা (1A) সংযোজন করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত আইনের বিধানঅনুসারে একজন সরকারি চাকুরিজীবী, যিনি নিজে Drawing and Disbursing Officer, তিনি আয় বছরের শুরুতে তাঁর প্রাপ্য বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাসের পরিমাণ এর ভিত্তিতে বেতন খাতে করযোগ্য আয় নিরূপন করবেন। বেতন খাতে করযোগ্য আয়ের উপর বিদ্যমান কর হার প্রয়োগ করে মোট প্রদেয় কর এর পরিমাণ নিরূপন এবং তা হতে বিদ্যমান হারে কর রেয়াত বাদ নিয়ে নীট প্রদেয় কর এর পরিমাণ নির্ধারণ করবেন। এক্ষেত্রে তিনি ব্যক্তিগত গাড়ীর মালিক হলে গাড়ীর ফিটনেস নবায়নকালে পরিশোধকৃতঅগ্রিম আয়কর বাদ দিয়ে নীট প্রদেয় কর এর পরিমাণ নিরূপন করবেন। উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে নিরূপিত নীট প্রদেয় কর ১২ (বার) দিয়ে ভাগ করে মাসিক প্রদেয় কর এর পরিমাণ নির্ধারণ করতঃ এবং প্রতি মাসের বেতন বিলে উক্ত পরিমাণ অর্থ কর পরিশোধ হিসেবে বাদ দিয়ে নীট প্রাপ্য বেতন ভাতার পরিমাণ নিরূপন করে বেতন বিল প্রণয়ন করবেন। কোন Drawing and Disbursing Officer, তাঁর অধীনস্থদের বেতন বিল স্বাক্ষরের সময়েও উপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
ক. (খ) অর্থ আইন ২০১৫ এর মাধ্যমে সংযোজিত ধারা 50 এর উপ-ধারা (1B) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আয় বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী জুলাই মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে ধারা 50 এর উপ-ধারা (1A) অনুযায়ী উৎসে কর কর্তনের পরিমাণ উল্লেখ করেবিধি ১৮অ অনুসারে নিম্নবর্নিত ছকে একটি সনদপত্র প্রদান করবেনঃ

 

 

Certificate of deduction of tax under section 50(1B) on income chargeable
under the head “Salaries” for the year ended as on …………..

Name of the
employee

Name of
the office

Designation

Taxpayer‟s
Identification
Number

Amount of
tax
deducted

Remarks

1

2

3

4

5

6

 

Date ………………………                                                       Signature, name and designation
of the Accounts Officer/any
other authorized officer  

  
২২। ট্রেজারী বন্ড ও ট্রেজারী বিলের উপর upfront উৎসে কর কর্তন এর বিধান রহিতকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 51 এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 51 এর পরে একটি প্রোভাইসো সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ প্রোভাইসো অনুযায়ীসরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত ট্রেজারী বন্ড ও ট্রেজারী বিলের সুদ বা মুনাফার upfront উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে না।
১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে এ বিধান কার্যকর হবে।
২৩। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদিকে অর্  পরিশোধ সম্পর্কিত উৎসে কর কর্তনের খাত সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52 এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 52 সংশোধন করা হয়েছে। উক্ত ধারায় বর্ণিত indenting commissionএবং shipping agency commission- দু’টি খাতের উৎসে কর কর্তনের বিষয়টিঅর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত ধারা 52AA তে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।এ পরিপ্রেক্ষিতে ধারা 52 কেবলমাত্র বা supply of goods বা execution of contract এর ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় প্রযোজ্য হবে।
২৪। Professional বা Technical service প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন অব্যাহতি সংশ্লিষ্ট সনদপত্র ইস্যুকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52A এর প্রোভাইসো এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52A এর উপ-ধারা (3) এর বিদ্যমান প্রোভাইসোটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রোভাইসোর বিদ্যমান বিধান অনুসারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড professional অথবা technical services প্রদানকারীর কর আরোপযোগ্য আয় নেই অথবা উক্ত সেবা প্রদানকারীর আয় অধ্যাদেশের অন্য কোন বিধান অনুযায়ীকর অব্যাহতিপ্রাপ্ত মর্মে বিবেচনা করলে উক্ত ধরনের সেবা প্রদানকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উৎসে কর কর্তন ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট সেবার বিপরীতে প্রদেয় বিল পরিশোধের সনদপত্র প্রদান করতে পারে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আনীত সংশোধনী অনুসারে কোন ঢ়ৎড়ভবংংরড়হধষ অথবা ঃবপযহরপধষ ংবৎারপব প্রদানকারীর আয় কেবলমাত্র কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হলেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেক্ষেত্রে আবেদন বিবেচনায় উৎসে কর কর্তন ব্যতিরেকে বর্ণিত সেবার বিপরীতে প্রদেয় বিল পরিশোধের সনদপত্র প্রদান করতে পারবে।
২৫। বিভিন্ন সেবা প্রদান সম্পর্কিত উৎসে কর কর্তন খাত ও হার সুনির্দিষ্টকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52AA এর প্রতিস্থাপনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52AA সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত ধারার বিধান মতে সরকার অথবা কোন কর্র্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন অথবা এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা এর অধীন ইউনিট/প্রতিষ্ঠানসমূহ,যার গঠন ও কার্যাবলী কোন আইন দ্বারা অনুমোদিত, আয়কর অধ্যাদেশেরধারা 2 এর উপ-ধারা (20) দ্বারা সংজ্ঞায়িত কোম্পানী অথবা কোন ব্যাংকিং কোম্পানী অথবা কোন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী অথবা কোন কো-অপারেটিভ ব্যাংক অথবা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যুরোতে নিবন্ধিত কোন বেসরকারী সংস্থা, অথবা কোন স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কোন হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার যদি নিম্নরুপ ‘ছক’ এ বর্ণিত কোন সেবা গ্রহণের বিপরীতে অর্  পরিশোধ করে সেক্ষেত্রে অর্  পরিশোধকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিম্নবর্ণিত হারে উৎসে কর কর্তন করবেঃ

SL.
No
Description of payment Rate of
deduction
1. Catering service 10%
2. Cleaning service
(a) commission
(b) gross receipts
10%
1.5%

3.

Collection and Recovery agency-
(a) commission
(b) gross receipts
10%
1.5%

4.

Contract or toll manufacturing 10%

5.

Credit rating agency 10%

6.

Event management-
(a) commission
(b) gross receipts
10%
1.5%

7.

Indenting commission 7.5%

8.

Meeting fees, training fees or honorarium 10%

9.

Mobile network operator, technical support
service provider or service delivery agents
engaged in mobile banking operations
10%

10.

Motor garage or workshop 5%

11.

Printing service 3%

12.

Private container port or dockyard service 5%

13.

Private security service provider-
(a) commission
(b) gross receipts
10%
1.5%

14.

Product processing charge 10%

15.

Shipping agency commission 5%

16.

Stevedoring/berth operation commission 10%

17.

Supply of manpower-
(a) commission
(b) gross receipts
10%
1.5%

18.

Transport provider 3%

19.

Any other service which is not mentioned in
Chapter VII of this Ordinance and is not a
service provided by any bank, insurance or
financial institutions
10%

প্রতিস্থাপিত ধারা 52AA এর প্রোভাইসো অনুযায়ী উপরের ‘ছকে’ বর্ণিত কোন সেবা প্রদানকারীর আয় আয়কর অধ্যাদেশের যে কোন বিধানের আওতায় কেবলমাত্র কর অব্যাহতি প্রাপ্ত হলেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আবেদন বিবেচনায় স্বল্প হারে অথবা কর কর্তন ব্যতিরেকে বর্ণিত সেবার বিপরীতে প্রদেয় অংক পরিশোধের সনদপত্র প্রদান করতে পারবে।
২৬। সিগারেট প্রস্তুতকারকের সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রয়ের উপর উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রবর্তন- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52B এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 52B কে ধারা 52B এর উপ-ধারা (1) হিসেবে সংখ্যায়িত করা হয়েছে এবং একই সাথে একটি নতুনউপ -ধারা (2) সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন বিধান অনুসারে মূল্য সংযোজন করআইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২২ নং আইন) অনুযায়ী মূল্য সংযোজন করআদায়কারী কর্তৃপক্ষ উক্ত কর আদায়কালে কোন সিগারেট প্রস্তুতকারক উৎপাদন ও বিক্রয়কারীর কাছ থেকে সিগারেটের বিক্রয়যোগ্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) এর উপর ৩% হারে অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ করবে। উক্তরূপে সংগৃহীতআয়কর সিগারেট প্রস্তুতকারক ও বিক্রয়কারী করদাতার অগ্রিম কর পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রদেয় আয়কর এর সাথে সমন্বয়যোগ্য হবে।
উৎসে কর কর্তনের এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে প্রযোজ্য হবে।
২৭। ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড হতে অর্জিত আয়কে উৎসে কর কর্তন হতে অব্যাহতি প্রদান- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52D এর বিদ্যমান প্রোভাইসো সংশোধন ও নতুন প্রোভাইসো সংযোজনঃ
(ক) আয়কর অধ্যাদেশের বিদ্যমান ধারা 52D অনুসারে সকল ধরনের সঞ্চয়পত্রের অর্জিত সুদের উপর ৫% হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান আছে।অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52D এর দ্বিতীয় প্রোভাইসো হতে “or wage earners development bond”শব্দগুলো বাদ দেয়া হয়েছে। এর ফলে wage earners development bond এবং pensioners savings certificate এ দু’টির মধ্যে pensioners savings certificate হতে অর্জিত সুদেরক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে। উল্লেখ্য যে, Pensioners savings certificate এ কোন করদাতার কোন আয় বছরে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অতিক্রম না করলে উক্তবিনিয়োগের উপর অর্জিত সুদ/মুনাফাপরিশোধকালে ৫% হারে উৎসে কর কর্তন না করার বিধানটি বলবৎ আছে।

(খ) অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52D এর দ্বিতীয় প্রোভাইসোর পর নতুন একটিপ্রোভাইসো সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন এ প্রোভাইসোর বিধান অনুসারেডধমব Wage earners development bond, US dollar premium bond, US dollar investment bond, Euro premium bond, Euro investment bond, Pound sterling investment bond Ges Pound sterling premium bond এর অর্জিত সুদ বা মুনাফা পরিশোধকালে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ ১ জুলাই, ২০১৫ তারিখ হতে উপরোল্লিখিত সকল প্রকার বন্ড এর সুদ বা মুনাফা পরিশোধকালেউৎসে কর কর্তন করতে হবে না।

২৮। ট্রাভেল এজেন্ট হতে উৎসে কর আরোপ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52JJএর প্রতিস্থাপনঃ
Collection of tax from travel agent সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52JJ অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত বিধান অনুসারে কোন এয়ারলাইন্স এর পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কোন নিবাসী ট্রাভেল এজেন্টকে যাত্রী পরিবহন জনিত টিকিট বিক্রয়ের বিপরীতে কমিশন অথবা ডিসকাউন্ট অথবা ইনসেনটিভ বোনাস অথবা অর্  মূল্যে পরিবর্তনশীলঅন্য যে কোন নামে অভিহিত করা হোক না কেন কোন অর্  পরিশোধকালে টিকিট মূল্যঅথবা পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কার্গো ভাড়া মূল্যের((charges)উপর সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস্ কর্তৃপক্ষ,General Sales Agent (GSA) বা অনুরূপ অন্য কোন কর্তৃপক্ষকে ০.৩০% হারে উৎসে কর কর্র্তন করতে হবে। প্রতিস্থাপিত নতুন বিধানে টিকিট মূল্য বা কার্গো ভাড়ামূল্যের একটি ব্যাখ্যা সংযোজন করা হয়েছে। এ ব্যাখ্যা অনুসারে ০.৩০% হারে কর্তনযোগ্য অংক নির্ধারণে টিকিটমূল্য বা কার্গো ভাড়ামূল্য হতেপ্রযোজ্যতা অনুযায়ী embarkation fees, travel tax, flight safety insurance, security tax এবং airport tax বাদ যাবে। এভাবে টিকিট মূল্য বা কার্গো ভাড়া মূল্য হতে প্রযোজ্যতা অনুযায়ী উপরোক্ত embarkation fees, travel tax, flight safety insurance, security tax এবং embarkation fees, travel tax, flight safety insurance, security tax বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অংকের উপর ০.৩০% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে। এ খাতে কর্তনকৃত কর করদাতার চূড়ান্ত করদায় হিসাবে বিবেচ্য হবে।

০.৩০% হারে উৎসে কর কর্তনের এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে কার্যকর হবে।

২৯। কোমল পানীয়, ইত্যাদি উৎপাদনের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন হার পুনর্বিন্যাস- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52S এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52S এ বর্ণিত উৎসে কর কর্তনের হার ৩% এর পরিবর্তে ৪% এ নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিবর্তিত বিধান অনুসারে ব্যান্ডরোল সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিঃ বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কোমল পানীয় বা মিনারেল ওয়াটার প্রস্তুতকারকের নিকট ব্যান্ডরোল সরবরাহকালে ৩% এর স্থলে ৪% হারে উৎসে কর কর্তন করবে।
কর কর্তনের নতুন এ হার ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে কার্যকর হবে।
৩০। কম্পিউটার, কম্পিউটার এক্সেসরীজ, পাট, তুলা ও সূতাকে লোকাল এলসির মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ে উৎসে কর কর্তন হতে অব্যাহতি প্রদান সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52U এর প্রোভাইসো সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52U এর বিদ্যমান বিধান অনুসারেকতিপয় পণ্য ব্যতীত লোকাল এলসি’র মাধ্যমে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৩% হারে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য। তবে উক্ত ধারার প্রোভাইসোতে উল্লিখিত পণ্যসমূহের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে বিদ্যমান প্রোভাইসোতে কয়েকটি নতুন পণ্যসংযোজন করা হয়েছে যাদের ক্ষেত্রেও উৎসে কর কর্তনের বিধানটি প্রযোজ্য হবে না। সংযোজিত পণ্যগুলো হচ্ছে কম্পিউটার অথবা কম্পিউটার এক্সেসরীজ, পাট, তুলা ও সূতা। এর ফলে, ধারা 52U এর প্রোভাইসোতে বিদ্যমান পণ্যসহ কম্পিউটার বা কম্পিউটার এক্সেসরীজ, পাট, তুলা ও সূতা লোকাল এলসি’র মাধ্যমে যে কোন অংকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে কোন কর কর্তন করতে হবে না।
নতুন প্রবর্তিত এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে কার্যকর হবে।
৩১। নিবাসী শিপিং ব্যবসায় উৎসে কর কর্তন সংশ্লিষ্ট সনদপত্র ইস্যুকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53AA এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53AA এর বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী নিবাসী করদাতার মালিকানাধীন বা চার্টার্ড জাহাজ কর্তৃক বিদেশে মালামা পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত জাহাজ ভাড়ার উপর ৫% অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ৩% হারে উৎসে কর পরিশোধ করতে হয় যা চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচ্য। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনার কর্তৃক উৎসে কর কর্তনের সনদপত্র প্রদান এবং তা পোর্ট ক্লিয়ারেন্সের জন্য কমিশনার অব কাস্টমস্ এর নিকট দাখিলের বিধান থাকলেও উপ কর কমিশনার কর্তৃক এরূপ সনদ প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন ফরম ছিল না। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে উপ কর কমিশনার কর্তৃক ইস্যুযোগ্য এরূপ ঢ়ৎবংপৎরনবফ ভড়ৎস সংযোজন করা হয়েছে। নির্ধারিত ফরমটি বিধি 62A সংশ্লিষ্ট পরিশিষ্ট-০৪ এ সংযুক্ত আছে।
৩২। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53CC এর বিলোপঃ
অর্থ আইন, ২০০৬ এর মাধ্যমে অনিবাসী কুরিয়ার ব্যবসায়ের উপর উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রবর্তন করা হয়। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত ধারা 56 তে এ খাতের উৎসে কর কর্তনের বিধান ও হার অন্তর্ভুক্ত করায় 53CC ধারাটি বিলোপ করা হয়েছে।

৩৩। প্রস্তুতকৃত পণ্য বাজারজাতকরণ/বিতরণের জন্য প্রদেয় কমিশন, ফি ইত্যাদি হতে উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53E এর উপ-ধারা (1) এর সংশোধনঃ
আয়কর  অধ্যাদেশের  ধারা  53E  এর  উপ-ধারা  (1)  এর  বিদ্যমান  বিধান  অনুযায়ী কোম্পানী/কর্পোরেশন/সংস্থা তাদের প্রস্তুতকৃত পণ্য বিতরণ বা বাজারজাতকরণের জন্য বিপণনকারী/বাজারজাতকারীকে প্রদেয়/প্রদত্ত কমিশন, ডিসকাউন্ট বা ফিস এর উপর ১০% হারে উৎসে কর কর্তন করে থাকে। অর্থ  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে কমিশন, ডিসকাউন্ট বা ফিস এর পর “or dealer’s promotional charges or fees or commission or any other payment called by whatever name” শব্দগুলো সংযোজন করা হয়েছে। বর্ণিত খাতসমূহসংযোজনের প্রেক্ষিতে কোন কোম্পানী/ কর্পোরেশন/সংস্থা তাদের প্রস্তুতকৃতপণ্যসামগ্রী বিতরণ বা বাজারজাতকরণের জন্য তাদের নিয়োজিত বিপণনকারী অথবা বাজারজাতকারীকে কমিশন, ডিসকাউন্ট, ফিস, ডিলার’স প্রোমোশনাল চার্জেস, ইত্যাদি বাবদ, তা যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, যে কোন অর্থ সংশ্লিষ্টের খাতে ক্রেডিট প্রদান বা অর্থ পরিশোধ, এ দু’টির যেটি আগে ঘটবে, সেক্ষেত্রে১০% হারে উৎসে কর কর্তন করবে।

নতুন প্রবর্তিত এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে কার্যকর হবে।

৩৪। বিদেশী ক্রেতার এজেন্টকে কমিশন/রেমুনারেশন প্রদান সম্পর্কিত উৎসে কর কর্তনের হার পুনর্বিন্যাস- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53EE এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53EE এর বিদ্যমান বিধান অনুসারেবায়িং হাউজসহ বিদেশী ক্রেতার এজেন্টকে কমিশন, চার্জেস বা রেমুনারেশন পরিশোধের ক্ষেত্রেপ্রদত্ত এরূপ কমিশন, ইত্যাদির উপর ৭.৫% হারে উৎসে কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হয়। অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে কর কর্তনের এ হার পুনর্বিন্যাসকরে ৭.৫% এর পরিবর্তে ১০% এ নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশোধিত হার অনুসারে ব্যাংকসমূহ কোন রপ্তানীকারকের ব্যাংক হিসাবে রপ্তানী মূল্য (export proceeds) ক্রেডিট করার সময় তার অংশ বিশেষ উক্ত পণ্যের বিদেশী ক্রেতার কোন স্থানীয় এজেন্ট বা প্রতিনিধিকে পরিশোধকালে বা তার ব্যাংক হিসাবে এরূপ অর্  ক্রেডিট প্রদানকালে ১০% এর সমপরিমাণ অর্থ উৎসে কর বাবদ কর্তন করে তা সরকারী কোষাগারে জমা করবে। উৎসে কর্তিত এ করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করেধারা 82C তে সংশোধনী আনা হয়েছে।
উৎসে কর কর্তনের পরিবর্তিত এ হার ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিঃ হতে প্রযোজ্য হবে।
৩৫। কয়েকটি ক্ষেত্রে সঞ্চয়ী আমানত এবং মেয়াদী আমানতের সুদের উপর উৎসে কর কর্তন হার পুনর্বিন্যাস- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53F এর সংশোধনঃ
(ক) অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53F এর উপ-ধারা (1) এ একটি নতুন ক্লজ (c) সংযোজন করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত এ বিধান অনুসারে টিআইএন থাকুক বা না থাকুক নিম্নবর্ণিত গ্রাহকগণের হিসাবে সুদ বা মুনাফা প্রদানকালে উক্ত সুদ বা মুনাফার উপর সুদ/মুনাফা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ১০% হারে উৎসে কর কর্তন করবে এবং উক্ত উৎসে কর্তিত কর চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবেঃ
(i)   পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়;
(i i) এরূপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদের শিক্ষকগণ এমপিওভুক্ত (MPO), যারা সরকার অনুমোদিত কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠদান করোকে এবং যাদের পরিচালনা পর্ষদ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত হয়; অথবা

(iii) আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পেশাজীবী পর্ষদ কর্তৃক পরিচালিত যথা Institute of Chartered Accountants of Bangladesh, Institute of Cost and Management Accountants of Bangladesh এবং Institute of Chartered Secretaries|

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82C এর উপ-ধারা (2) এর সাথে একটি নতুনক্লজ (mmmm) সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন এ বিধান অনুসারেউপরে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের সঞ্চয়ী/মেয়াদী আমানতের উপর প্রাপ্ত সুদ বা মুনাফার ক্ষেত্রে কর্তিত উৎসে কর চূড়ান্ত করদায়পরিশোধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের THE SIXTH SCHEDULE, PART-A তে দু’টি নতুনঅনুচ্ছেদ 52 ও অনুচ্ছেদ 53 সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ দু’টি নতুনঅনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে উপরে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহেরনামে পরিচালিত কোন হিসাবে প্রাপ্ত সুদ বা মুনাফাএবং লভ্যাংশ খাতের অর্জিত আয় ব্যতীত অন্য সকল খাতের আয় কর অব্যাহতি প্রাপ্ত মর্মে গণ্য হবে।

(খ) অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ধারা 53F এর উপ-ধারা (2) এর ক্লজ (b) তে সংশোধনী আনয়ন করা হয়েছে। আনীত সংশোধনী অনুযায়ীসঞ্চয়ী আমানত, স্থায়ী আমানত বা মেয়াদী আমানত, ইত্যাদি খাতে অর্জিত সুদ বা মুনাফা গ্রাহকের (payee) হাতে কর অব্যাহতিযোগ্য হলে উক্ত গ্রাহকের আবেদনক্রমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ খাতের উৎসে কর কর্তন কে অব্যাহতি প্রদান করে সনদপত্র প্রদান করতে পারবে।
৩৬। দীর্ঘ মেয়াদী লীজ দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে উৎস করের পরিধি বিস্তৃতকরণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53HH এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53HH এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) বা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ)ই এ৫ টি সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক১০ (দশ) বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের জন্য কোনস্থাবর সম্পত্তির লীজ দলিল সম্পাদনকালে রেজিষ্ট্রেশন কর্তৃপক্ষলীজদাতার কাছ থেকে লীজ মূল্যের উপর ৪% হারে উৎসে কর সংগ্রহ করে থাকে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে উক্ত ধারার বিদ্যমান বিধান অপরিবর্তিত রেখে লীজদাতার পরিধি বিস্তৃত করে ব্যক্তি, ফার্ম, ব্যক্তি-সংঘ, হিন্দু যে․থ পরিবার, কোম্পানী বা আইনের দ্বারা সৃষ্ট কোন কৃত্রিম ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।ফলে, বিদ্যমান আইনে বর্ণিত কর্তৃপক্ষসমূহের পাশাপাশি কোন ব্যক্তি, ফার্ম, ব্যক্তি-সংঘ, হিন্দু যে পরিবার, কোম্পানী বা অন্য কোন কৃত্রিম ব্যক্তিসত্ত্বা (যেমন কো-অপারেটিভ সোসাইটি) কর্তৃক ১০ (দশ) বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের জন্য স্থাবর সম্পত্তির লীজ দলিল সম্পাদনকালে রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষলীজদাতার কাছ থেকে ৪% হারে উৎসে কর সংগ্রহ করে পূর্বের অনুসৃত পন্থায় তা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করবেন।
নতুন প্রবর্তিত এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিঃ হতে কার্যকর হবে।
৩৭। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন বিজ্ঞাপনের উৎসে কর কর্তনের পরিধি সম্প্রসারণ- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53K এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53K এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল, প্রাইভেট রেডিও স্টেশন ও ওয়েব সাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার বাবদ প্রদেয় বিল এবং প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল ও প্রাইভেট রেডিও স্টেশনের এয়ারটাইম ক্রয়জনিত প্রদেয় বিলের উপর ৩% হারে উৎসে কর কর্তনযোগ্য। অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে এই কর কর্তনের আওতা সম্প্রসারণ করে যে কোন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যে কাউকে অর্থ পরিশোধ করা হলে তা উৎসে কর কর্তনযোগ্য করা হয়েছে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট সকল খাতে বিল পরিশোধকালে উৎসে কর কর্তনের হার ৩% এর স্থলে ৪% এ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিল বোর্ড, নিয়ন সাইনসহ যে কোন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখ হতে এ সংক্রান্ত বিল বা অর্  যে কাউকে পরিশোধকালে উক্ত বিল বা অর্থের উপর ৪% হারে উৎসে আয়কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে।
৩৮। শেয়ার বাজারের মুনাফার উপর উৎসে কর আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53O এর বিলোপঃ
কোম্পানী ও ফার্ম শ্রেণীর করদাতা কর্তৃক শেয়ার বাজার থেকে অর্জিত মুনাফার উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত বিদ্যমান ধারা 53O অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে বিলোপ করা হয়েছে। তবে এস,আর,ও নং ১৯৬-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিঃ অনুযায়ী এ সকল করদাতার শেয়ার বাজার হতে অর্জিত মুনাফার উপর রিটার্ন দাখিলকালে ১০% হারে আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
৩৯। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী কর্তৃক জমির মালিককেঅর্  পরিশোধকালে উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রবর্তন- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 53P সংযোজনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে একটি নতুনধারা 53P সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ ধারার বিধান অনুসারে রিয়েল এস্টেট বা ভূমি উন্নয়নব্যবসায় নিয়োজিত কোন ব্যক্তি (person) পাওয়ার অব এ্যাটর্নী বা কোন চুক্তি বলে বা লিখিত চুক্তিমতে কোন জমিতে ভবন নির্মাণ বা জমি উন্নয়ন বাবদ signing money, subsistence money, house rent বা অন্য যে কোন নামে অভিহিত করা হোক না কেন উক্ত জমির মালিককে যে পরিমাণ অর্  পরিশোধ করবেন তার সমুদয় অংকের উপর ১৫% হারে উৎসে কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে কর্তনযোগ্য অংক নির্ধারণে কোন অংক বিয়োজন করা যাবে না। রিয়েল এস্টেট বা ভূমি উন্নয়নকারী যদি জমির মালিককে বর্ণিত খাত/খাতসমূহেএককালীন অর্  পরিশোধ না করে কিস্তি বা মাসিক ভিত্তিতে তা পরিশোধ করে, সেক্ষেত্রে প্রতিটি অর্থ পরিশোধের সময় পরিশোধিত অংকের উপর ১৫% হারে উৎসে কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করবেন।
নতুন প্রবর্তি এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে কার্যকর হবে।
৪০। নগদ লভ্যাংশ আয়ের উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 54 এর প্রতিস্থাপনঃ
নগদ লভ্যাংশ আয়ের উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 54 অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত এ ধারাটিতে ক্লজ (a) ও ক্লজ (b) সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত ধারা 54 এর বিধান অনুসারেবাংলাদেশে নিবন্ধিত কোন কোম্পানী বা অন্য কোন কোম্পানী কর্তৃক কোন নিবাসী বা অনিবাসী বাংলাদেশী শেয়ারহোল্ডারকে লভ্যাংশ প্রদানকালে লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানীর প্রিন্সিপ্যাল অফিসার নিম্নবর্ণিত হারে উৎসে কর কর্তনপূর্বকসরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করবেনঃ
(i) লভ্যাংশ গ্রহীতা কোম্পানী হলে কোম্পানীর জন্য প্রযোজ্য হারে;
(ii) লভ্যাংশ গ্রহীতা কোম্পানী ব্যতীত অন্য যে কোন পর্যায়ভুক্ত হলে এবং ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল করা হলে প্রদেয় লভ্যাংশের উপর ১০% হারে। তবে, এরূপ কোন করদাতা ১২ ডিজিটের টিআইএন দাখিলে ব্যর্থ হলে উৎসে কর কর্তনের হার হবে ১৫%।
৪১। অনিবাসীদের (non-resident) আয়ের উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 56 এর উপ-ধারা (1) এর প্রতিস্থাপনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 56 এর উপ-ধারা (1) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত এ ধারার মাধ্যমে সরকার বা কোন কোম্পানী বা কোন প্রতিষ্ঠান বা ধারা 2 এর উপ-ধারা (46) অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত কোন person কর্তৃক কোন অনিবাসীকে কোন অর্  পরিশোধকালে এরূপ পরিশোধযোগ্য অর্থের উপর উৎসে কর কর্তনের হার খাত ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।তবে পরিশোধকারী অনিবাসীর পক্ষে নিজে এজেন্ট হিসেবে আয়কর অধ্যাদেশের অধীনে কর পরিশোধে বাধ্য থাকলে সেক্ষেত্রে এ ধারায় উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রযোজ্য হবে না। সরকার বা যে কোন ব্যক্তি (any person)অর্থাৎ যে কোন শ্রেণীর করদাতা কর্তৃক কোন অনিবাসীকে র্অ পরিশোধকালে নিম্নবর্ণিত ছকে বিবৃত খাত ও হার অনুযায়ী উৎসে কর কর্তন করতে হবেঃ

SL.
No

Description of Payment

Rate of deduction

1

Accounting or tax consultancy

20%

2

Advertisement making

15%

3

Advertisement broadcasting

20%

4

Advisory or consultancy service

30%

5

Air transport or water transport

7.5%

6

Architecture, interior design or landscape
design

20%

7

Artist, singer or player

30%

8

Capital gain received-
(a) from capital assets (not being securities listed with stock exchange)—

(b) by a company or firm if such gain is arisen from securities listed with any
stock exchange in Bangladesh which is not exempted from tax in the country
of such non-resident—–

15%

 

10%

9

Certification

30%

10

Charge or rent for satellite, airtime or
frequency

20%

11

Contractor, sub-contractor or supplier

5%

12

Courier service

15%

13

Dividend-
(a) company——

(b) any other person, not being a company-

20%

30%

14

Insurance premium

10%

15

Interest, royalty or commission

20%

16

Legal service

20%

17

Machinery rent

15%

18

Management or event management

20%

19

Pre-shipment inspection service

30%

20

Professional service, technical services fee, technical know how fee or technical assistance fee

20%

21

Salary or remuneration

30%

22

Exploration or drilling in petroleum operations

5.25%

23

Survey for oil or gas exploration

5.25%

24

Any service for making connectivity between
oil or gas field and its export point

5.25%

25

Any other payments

30%

                    
উৎসে কর কর্তনের নব প্রবর্তিত এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে কার্যকর হবে।
৪২। করদাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধিকরণ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 75 এর সংশোধনঃ
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 75 এর উপ-ধারা (3) এর বিদ্যমান প্রোভাইসোটি অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত প্রোভাইসো’র মাধ্যমে করদাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধির বিদ্যমান সময়সীমা হ্রাস করা হয়েছে। বিদ্যমান প্রোভাইসো অনুসারে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 75 এর উপ -ধারা (2) এর ক্লজ (c) তে বর্ণিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর উপ কর কমিশনার উপ-ধারা (3) অনুযায়ীনিজ ক্ষমতাবলে ৩ (তিন) মাস এবং পরিদর্শী অতিরিক্ত/যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে আরও ৩ (তিন) মাসঅর্থাৎ সর্বমোট ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করতে পারেন। কিন্তু পরিবর্তিত বিধান অনুসারে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য আইনানুগ সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর উপ কর কমিশনার নিজ ক্ষমতাবলে ২ (দুই) মাস এবং পরিদর্শী অতিরিক্ত/যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে আরও ২ (দুই) মাসঅর্থাৎ সর্বমোট ৪ (চার) মাস পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
পরিবর্তিত এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫খ্রিস্টাব্দ থেকে কার্যকর হবে।
৪৩। সার্বজনীন স্ব-নির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82BB এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের বিদ্যমান ধারা 82BB এর উপ-ধারা (1) এবং উপ-ধারা (2) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত বিধান অনুসারে কোন করদাতা ১২ ডিজিটের টিআইএন (e-TIN) দাখিল, ধারা 74 অনুযায়ী কর পরিশোধ এবং ধারা 75 এ বর্ণিত শর্তাদি পূরণপূর্বকনর্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রিটার্ন দাখিল- এ তিনটি শর্ত পূরণ করে ধারা 82BB উল্লেখপূর্বক রিটার্ন দাখিল করলে উপ কর কমিশনার নিজে অথবা তার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বাক্ষর প্রদানপূর্বকপ্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করবেন, যা উপ-ধারা (2) ও (3) এর বিধান সাপেক্ষে উপ কর কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত করনির্ধারণী আদেশ হিসেবে গণ্য হবে।
(২) ধারা  82BB  এর উপ-ধারা (1) এর আওতায় দাখিলকৃত রিটার্ন এর ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার প্রতিস্থাপিত উপ-ধারা (2) এর বিধান অনুযায়ী process এর কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তাছাড়া বিদ্যমান বিধান অনুসারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদনক্রমে উপকর কমিশনার উপ-ধারা (3) এর বিধান অনুযায়ী উক্ত রিটার্ন এর audit কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেন। অধিকন্তু আয় গোপন বা কর ফাঁকির কোন তথ্য পাওয়া গেলে ধারা 93 অনুযায়ী কার্যক্রমও গ্রহণ করা যাবে।
(৩) উপ কর কমিশনার return processএর ক্ষেত্র এবং পরিসর এর বিষয়টি নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
Return process কার্যক্রমে উপ কর কমিশনার পরীক্ষা করে দেখবেন যে দাখিলকৃত রিটার্নে কোন গাণিতিক ত্রুটি (arithmetic error) আছে কি না বা করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত তথ্যের আলোকে দৃশ্যমান কোন অশুদ্ধ দাবী (incorrect claim) আছে কি না।
গাণিতিক ত্রুটি (arithmetic error) বা অশুদ্ধ দাবী (incorrect claim) এর কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
(ক) প্রদর্শিত খাতভিত্তিক আয়ের যোগফল সঠিক না হওয়াঃ উদাহরণস্বরূপ, একজন করদাতা রিটার্নের আয় বিবরণী অংশে বেতনাদি কলামে ২,৫০,০০০/- টাকা ও গৃহ-সম্পত্তি কলামে ২,০০,০০০/- টাকা আয় প্রদর্শন করেছেন, কিন্তু মোট আয় কলামে ৩,৫০,০০/- টাকা প্রদর্শন করেছেন। এক্ষেত্রে করদাতার মোট আয় হবে ৪,৫০,০০০/- টাকা, কিন্তু করদাতা গাণিতিক ভুলেরকারণে মোট আয় প্রদর্শন করেছেন ৩,৫০,০০০/- টাকা। ফলে রিটার্নটির ক্ষেত্রে উপ-ধারা (2) অনুযায়ী process এর কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
(খ) আয়কর অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী দাবীকৃবিনিয়োগজনিত কর রেয়াত গণনা সঠিক না হওয়াঃ উদাহরণস্বরূপ, একজন করদাতা ১০,০০,০০০/- টাকা মোট আয় এবং কর রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগের পরিমাণ ২,০০,০০০/- টাকা প্রদর্শনপূর্বক বিনিয়োগের উপর ৪০,০০০/- টাকা কর রেয়াত দাবী করেন। এক্ষেত্রে করদাতার দাখিলকৃত তথ্য অনুযায়ীকর রেয়াতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০,০০০/- টাকা (২,০০,০০০/- টাকার ১৫%), অথচ করদাতা কর রেয়াত গ্রহণ করেছেন ৪০,০০০/- টাকা। এরূপ ক্ষেত্রেও উপ-ধারা (2) অনুযায়ী process এর কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
(গ) গৃহ সম্পত্তি খাতের আয় নিরূপণে মেরামত, আদায়, ইত্যাদি বাবদ বিধিবদ্ধ সীমার বাইরে অনুমোদনযোগ্য খরচ দাবী করাঃ উদাহরণস্বরূপ, কোন করদাতা যদি আবাসিক ভবনের বার্ষিক ভাড়া মূল্যেরপরিমাণ ২০,০০,০০০/- টাকা প্রদর্শন করে ৮,০০,০০০/- টাকা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ দাবী করেন তাহলে তার দাবীকৃতখরচ বিধিবদ্ধ অনুমোদিত সীমা (২০,০০,০০০/- টাকার ২৫% = ৫০০,০০০/- টাকা) থেকে বেশি হবে এবং রিটার্নটি উপ-ধারা (2) অনুযায়ী process যোগ্য হবে।
গাণিতিক ত্রুটি বা অশুদ্ধ দাবী এর আরো কয়েকটি নমুনা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

  • অনুমোদিত খাতসমূহে বিনিয়োগ না করেও তার উপর কর রেয়াত দাবী;
  • ব্যবসা খাতে প্রদর্শিত আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 30 এর ক্লজ (g), (h), (j), (k) এবং আয়কর বিধিমালার বিধি 65 এবং 65C তে বর্ণিত অনুমোদনযোগ্য খরচের সর্বোচ্চ সীমার অধিক খরচ দাবী;
  • অবচয় ভাতার ক্ষেত্রে তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত হার অপেক্ষা অধিক হারে অবচয় দাবী; বেতন খাতে আয় প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালার বিধি 33A, 33B,
  • 33C, 33D, 33E, 33G, 33H, 33Iও 33J এর বিধানাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ না করে কম আয় পরিগণনা করা, ইত্যাদি।

উপরে উল্লিখিত ক্ষেত্র ছাড়াও আরো অনেক ক্ষেত্রে রিটার্নে গাণিতিক ত্রুটি বা অশুদ্ধ দাবী থাকতে পারে, যা উপ-ধারা (2) অনুযায়ী process এর কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হবে।
উল্লেখ্য, উপ-ধারা (2) এর আওতায় গাণিতিক ত্রুটি বা অশুদ্ধ দাবী চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র করদাতার দাখিলকৃত তথ্যের উপরইনির্ভর করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কোন করদাতার কর রেয়াত গ্রহণের ক্ষেত্রে করদাতা কর্তৃক দাবীকৃত বা প্রদর্শিত বিনিয়োগের সমর্থনে প্রমাণপত্র সংযুক্ত করা হয়নি-এরূপ বিবেচনায় প্রদর্শিত বিনিয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্থাপন করে উপ-ধারা (2) এর আওতায় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। অনুরূপভাবে, কোন করদাতা দাবীকৃত সম্পদ ক্রয় বা সংযোজনের প্রমাণ দাখিল করেন নি- এ বিবেচনায় অবচয়ের যাচাইযোগ্যতার প্রশ্ন উত্থাপন করে উপ-ধারা (2) এর আওতায় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। এ সকল ক্ষেত্রে উপ-ধারা (3) এর আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ অবারিত থাকছে।
(4) রিটার্নে কোন গাণিতিক ত্রুটি ও অশুদ্ধ দাবী পাওয়া গেলে উপ কর কমিশনার তা সমন্বয় করে করদাতার আয় নিরূপণ ও কর পরিগণনার কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। সমন্বয়ের কারণে যদি করদাতার করদায় বৃদ্ধি পায় তাহলে আয়নিরূপণ ও কর পরিগণনার পূর্বেযুক্তিসংগত সময় দিয়ে করদাতাকে লিখিতভাবে বক্তব্য প্রদানের জন্য পত্র প্রেরণ করতে হবে। করদাতার নিকট প্রেরিত পত্রে গাণিতিক ভুল বা অশুদ্ধ দাবীর বিবরণ, সমন্বয়ের ফলশ্রুতিতে নিরূপণযোগ্য আয়ের পরিমাণ, প্রযোজ্য করের পরিমাণ, কর রেয়াত বা ক্রেডিটের পরিমাণ, পরিশোধিত করের পরিমাণ, নীট প্রদেয়/ফেরৎযোগ্য করের পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। করদাতার বক্তব্য চাওয়ার ক্ষেত্রে করদাতা বা তার প্রতিনিধিকে শুনানীতে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাবে না।
প্রেরিত পত্রে করদাতাকে যে তারিখের মধ্যে তার বক্তব্য দাখিল করতে বলা হবে উক্ত তারিখ অতিক্রান্ত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আয় ও কর পরিগণনা পত্র এবং নির্ধারিত ফরমে দাবীর নোটিশ যথাযথভাবে করদাতার নিকট প্রেরণ করতে হবে।
(৫) করদাতা যে অর্থ বছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন সে অর্থ বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ১২ (বার) মাস পর্যন্ত উপ-ধারা (2) এর আওতায় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। উক্ত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর কোন রিটার্ন process করা যাবে না।
(৬) যে ক্ষেত্রে রিটার্নে কোন গাণিতিক ভুলঅথবা অশুদ্ধ দাবী নেই সে ক্ষেত্রে ধারা 82BB এর উপ-ধারা (2) এর আওতায় রিটার্ন process সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না।
(৭) অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ধারা 82BB এর উপ-ধারা (3) এ কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। ফলে উপ-ধারা (1) এর আওতায় দাখিলকৃত রিটার্ন পূর্বের ন্যায়উপ-ধারা (3) এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অডিটের জন্য নির্বাচনযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে কোন রিটার্নের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (2) এর আওতায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি হয়নি তা বিবেচনায় আসবে না।
পরিবর্তিত এ বিধান ২০১৫-১৬ কর বছর হতে প্রযোজ্য হবে।
৪৪। চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ সংক্রান্ত বিধান পরিবর্তন-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82C এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82C এর উপ-ধারা (2) তে বিদ্যমান clauses এ কিছু পরিবর্তন/সংযোজন করাহয়েছে যার বিবরণ নিম্নরূপঃ
(ক) বিড়ির ব্যান্ডরোল বিক্রয় সম্পর্কিত বিধানঃ আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52B এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে হাতে প্রস্তুতকৃত সিগারেট, যা বিড়ি নামে পরিচিত, এর ব্যান্ডরোল বিক্রয়কালে ব্যান্ডরোল বিক্রেতা ১০% হারে উৎসে কর সংগ্রহ করেন যা উক্ত ব্যবসায় চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ধারা 52B এর বিদ্যমান বিধানটি ধারা 52B এর উপ-ধারা (1) হিসেবে সংখ্যায়িত করার প্রেক্ষিতে ধারা 82C এর উপ-ধারা (2) এর ক্লজ (d) তে ধারা 52B এর স্থলে ধারা 52B এর উপ-ধারা (1) সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে, বিড়ির ব্যান্ডরোল সরবরাহকালে উৎসে সংগৃহীত কর উক্ত ব্যবসায় আয়ের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য হবে।
(খ)Savings instrument এর আয় সম্পর্কিতঃ আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82C এর উপ-ধারা (2) এর ক্লজ (eee) এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে pensioners savings certificate ও wage earners development bond হতে অর্জিত সুদের উপর উৎসে কর্তিত কর উক্ত সুদ আয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে গণ্য করা হয়। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে “pensioners savings certificate or wage earners development bond” শব্দগুলোকে “savings instruments” শব্দগুলো দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত যে কোন savings instrument এর অর্জিত সুদ আয়ের উপর উৎসে কর্তিত কর উক্ত সুদ আয়ের উপর চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে। নতুন এ বিধান প্রবর্তনের ফলে পূর্বে যেকোন সময়ে ক্রয়কৃত উক্তরূপ savings instruments এর অর্জিত সুদ আয় ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে।

(গ) ট্রাভেল এজেন্ট এর আয় সম্পর্কিতঃ অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82C এর উপ-ধারা (2) এর ক্লজ (eee) এর পর একটি নতুনক্লজ (eeee) সংযোজন করা হয়েছে। নতুন প্রবর্তিত এক্লজ এর বিধান অনুসারে আয়করঅধ্যাদেশের ধারা 52JJ অনুযায়ী travel agent এর ক্ষেত্রে ০.৩০% হারে উৎসে কর্তিত কর উক্ত ব্যবসা আয়ের ক্ষেত্রে ২০১৬-২০১৭ কর বছর হতে চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে।
২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে এ খাতে ৩% হারে যে উৎসে কর কর্তন করা হয়েছে তা চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে বিবেচিত হবে না।
(ঘ) সকল রপ্তানী পণ্যের উপর উৎসে কর্তিত কর সংক্রান্তঃ অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82C এর উপ-ধারা (2) এর ক্লজ (k) এর পরে একটি নতুন ক্লজ (kk) সংযোজন করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত এ বিধান অনুযায়ী আয়কর অধ্যাদেশের 53BB ধারায় ক্সতরি পোশাক ও অন্যান্য রপ্তানী খাতসহ ধারা 53BBBB তে বর্ণিত সকল প্রকার রপ্তানীর ক্ষেত্রে উৎসে কর্তিত কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ সংক্রান্ত নতুন প্রবর্তিত এ বিধানটি ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে কার্যকর হবে।
(ঙ) বায়িং হাউস কমিশন এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইত্যাদি সংক্রান্তঃ অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82C এর উপ-ধারা (2) এর ক্লজ (mm)) এর পর দুটি নতুন ক্লজ (mmm) এবং ক্লজ (mmmm) সংযোজন করা হয়েছে।
(i) সংযোজিত নতুনক্লজ (mmm) অনুযায়ী বায়িং হাউজ কমিশনের উপরধারা 53EE এর বিধান অনুসারেউৎসে কর্তনকৃত করহার ৭.৫% হতে ১০% শতাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে যা চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে। ১০% শতাংশ হারে উৎসে কর্তিত কর উক্ত ব্যবসা আয়ের ক্ষেত্রে ২০১৬-২০১৭ কর বছর হতে চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে বিবেচিত হবে। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে এ খাতে ৭.৫% হারে যে উৎসে কর কর্তন করা হয়েছে তা চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবেবিবেচিত হবে না।

(ii) সংযোজিত নতুন ক্লজ (mmmm) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি প্রফেশনাল বডি কর্তৃক সঞ্চয়ী বা মেয়াদী আমানতের উপর অর্জিত সুদ বা মুনাফার ক্ষেত্রে ১০% হারে উৎসে কর কর্তন সংশ্লিষ্ট। সংযোজিত ক্লজ অনুযায়ী বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রে উৎসে কর্তিত কর ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
(চ) Gas distribution কোম্পানীর আয় সংক্রান্তঃ অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82C এর উপ- ধারা (2) এর বিদ্যমান proviso এর ক্লজ (d) তে Ògas transmissionÓ শব্দগুলোর পর Ò or gas distributionÓ শব্দগুলো সংযোজন করা হয়েছে। পরিবর্তিত এ বিধান অনুসারে gas distribution ব্যবসায় নিয়োজিত কোম্পানী কর্তৃক গ্যাস সরবরাহের বিপরীতে সরবরাহ গ্রহণকারী বা ভোক্তাগণ কর্তৃক ৫২ ধারার অধীনে উৎসে কর্তিত করকে চূড়ান্ত করদায় পরিশোধের আওতা হতে বাদ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে উৎসে কর্তিত কর স্বাভাবিক নিয়মে করারোপনে বিবেচিত হবে।

নতুন এ বিধান ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে কার্যকর হবে।

৪৫। ফার্মের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 84 এর সংশোধনঃ

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 84 এর উপ-ধারা (1) এ বিদ্যমান “;and in the case of firm, may refuse to register it or may cancel its registration if it is already registered,” শব্দগুলো অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে বিলোপ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে অর্থ আইন, ১৯৯৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশেরধারা 84 এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (a) এর registered firm সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী বিলোপ করা হয়। ফলে, ধারা 84 এর উপ-ধারা (1) এর কোন প্রাসঙ্গিকতা না থাকায় বর্ণিত শব্দগুলো বিলোপ করা হয়েছে।

৪৬। ট্রান্সফার প্রাইসিং বিষয়ে একাউন্টেন্টের রিপোর্ট দাখিল সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 107F এর প্রতিস্থাপনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ এর ধারা 107F প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত এ বিধান অনুযায়ী কোন করদাতার কোন আয় বছরে আন্তর্জাতিক লেনদেনের পরিমাণ ৩ কোটি টাকার বেশি হলে উপ কর কমিশনার নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বা কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট এর কাছ থেকে রিপোর্ট দাখিল করার জন্য করদাতাকে নোটিশ ইস্যু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার কর্তৃক লিখিত নোটিশের মাধ্যমে উক্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হলে করদাতাকে তা দাখিল করতে হবে।

৪৭। ট্রান্সফার প্রাইসিং বিষয়ে 107EE ধারায় আন্তর্জাতিক লেনদেনের তথ্য প্রদানে ব্যর্থতায় জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 107HH এর সংযোজনঃ

বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর বছরে কোন করদাতার আন্তর্জাতিক লেনদেন থাকলে আয়কর রিটার্নের সাথে ধারা 107EE অনুযায়ী statement of international transactions দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্   আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে নতুনধারা 107HH সংযোজন করে এরূপ বিধান করা হয়েছে যে, কোন করদাতা ধারা 107EE এর বিধান পরিপালনে ব্যর্  হলে উপ কর কমিশনার উক্ত করদাতার সংশ্লিষ্ট কর বছরের প্রত্যেক আন্তর্জাতিক লেনদেনের অনধিক ২% পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারবেন।

৪৮। ব্যক্তি-করদাতার রিটার্ন দাখিলের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 124 এর উপ-ধারা (1) এ proviso সংযোজনঃ

আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থতার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-করদাতার উপর জরিমানা আরোপের সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 124 এর উপ-ধারা (1) এ ক্লজ (a) ও ক্লজ (b) সম্বলিত একটি নতুন proviso সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ proviso এর ক্লজ দুটি কেবলমাত্র ব্যক্তি-করদাতাগণের জন্য প্রযোজ্য হবে। ধারা 124 এর উপ-ধারা
(1)এ সংযোজিত প্রোভাইসোর শর্তানুযায়ী-

 (১)কোন নতুন ব্যক্তি-করদাতা, যিনি ইতোপূর্বে কখনো করারোপিত হন নাই, তাঁর ক্ষেত্রে ধারা 124 এর উপ-ধারা (1) অনুযায়ী আরোপযোগ্য মোট জরিমানার পরিমাণ ৫,০০০/- টাকার বেশি হবে না;

 (২)ইতোপূর্বে করারোপিত হয়েছেন এমন কোন পুরোনো ব্যক্তি-করদাতার ক্ষেত্রে এরূপ জরিমানার পরিমাণ তাঁর সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ৫০% বা ১,০০০/- টাকা, দু’টির মধ্যে যেটি বেশি, তা আরোপযোগ্য হবে।

৪৯। করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর যাচাইয়ে ব্যর্থতার জন্য জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 124AA এর সংযোজনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে একটি নতুনধারা 124AA সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন এধারার বিধান অনুসারে আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 184A এর উপ-ধারা (1) অনুযায়ী সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে দাখিলকৃত ১২ ডিজিটের টিআইএন (e-TIN) এর যথার্থতা ধারা 184A এর উপ-ধারা (2) অনুযায়ী যাচাইয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যদি যে․ক্তিক কারণ ব্যতিরেকে উক্ত দায়িত্ব পরিপালনে ব্যর্  হন, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনার বা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্তৃপক্ষ ঐ ব্যক্তির উপর ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারবেন।

৫০। রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের উপর ৭৪ ধারায় কর পরিশোধে ব্যর্থতায় জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 127 এর সংশোধনঃ

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 127 এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে কোন করদাতা যদি আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের ভিত্তিতে ধারা 74 অনুসারে প্রদেয় করের ৮০% অপেক্ষা কম কর পরিশোধপূর্বক রিটার্ন দাখিল করে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনারধারা 74 অনুযায়ী প্রদেয় কর ও পরিশোধিত করের পার্থক্যের উপর ২৫% পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারেন। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে বিদ্যমান ধারা 127 সংশোধন করে ৮০% কর পরিশোধের শর্তটি বিলোপ করা হয়েছে। এর ফলে কোন করদাতা যদি রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের ভিত্তিতে ধারা 74 অনুসারে প্রদেয় সম্পূর্ণ কর পরিশোধ ব্যতিরেকে রিটার্ন দাখিল করে তাহলে সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনার ধারা 74 অনুসারে প্রদেয় কর ও করদাতার পরিশোধকৃত করের পার্থক্যের উপর ২৫% পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারবেন।

সংশোধিত এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ হতে দাখিলকৃত যে কোন কর বছরের রিটার্নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

৫১। জাল বা নকল (fake) নিরীক্ষিত অডিট রিপোর্ট দাখিলের কারণে জরিমানা আরোপ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 129B এর সংযোজনঃ

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে একটি নতুনধারা 129B সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন এ ধারার বিধান অনুসারে আয়কর অধ্যাদেশের বিধানাবলী প্রয়োগের কোন পর্যায়ে উপ কর কমিশনার, আপীলাত যুগ্ম কর কমিশনার, কর কমিশনার (আপীল) অথবা আয়কর আপীলাত ট্রাইবুনালের কাছে যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট কর বছরে বা অন্য কোন কর বছরে করদাতার দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নের সাথে সংযুক্ত বা পরবর্তীতে দাখিলকৃত audit report এ প্রদত্ত স্বাক্ষর কোন Chartered Accountant এর নয় অথবা দাখিলকৃত audit report এ প্রদত্ত Chartered Accountant এর স্বাক্ষরটি জাল বা নকল (fake) সেক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত আয়কর কর্তৃপক্ষ বা ট্রাইবুনাল করদাতার উপর সংশ্লিষ্ট আয় বছরের জন্য ১,০০,০০০/- টাকা জরিমানা আরোপ করবেন।

৫২। জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে শুনানীর সুযোগ প্রদানের পরিসর বৃদ্ধি- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 130 এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 130 এ বর্ণিত “under this chapter” শব্দগুলোর পর “or chapter XIA” শব্দগুলো সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে আয়কর অধ্যাদেশের chapter XV এবং chapter XIA তে বিদ্যমান কোন ধারার আলোকে কোন জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট করদাতাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে আবশ্যিকভাবে ধারা 130 অনুসারে নোটিশ জারী করতে হবে। অর্থাৎ, সংশোধিত এ বিধানের প্রেক্ষিতে জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে শুনানীর সুযোগ প্রদানের ক্ষেত্র বিস্তৃত করা হয়েছে।

৫৩। উপ কর কমিশনার বরাবর আপীলাত যুগ্ম কর কমিশনার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত জরিমানার আদেশ প্রেরণ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 132 এর সংশোধনঃ

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 132 এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে আপীলাত যুগ্ম কর কমিশনার, কর কমিশনার (আপীল) অথবা কর আপীলাত ট্রাইবুনাল কর্তৃক কোন করদাতার পরউ chapter XV অনুসারে কোন জরিমানা আরোপ করা হলে জরিমানা আরোপকারী কর্তৃপক্ষ জরিমানার আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনারের নিকট প্রেরণ করেন, যা সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ মর্মে গণ্য হয় এবং উক্ত জরিমানা আদায়ের জন্য আয়কর অধ্যাদেশে বর্ণিত দাবী আদায়ের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে উপরে বর্ণিত বিধানে দু’টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথমতঃ জরিমানা আরোপকারী কর্তৃপক্ষের তালিকায় উপরে বর্ণিত তিনটি কর্তৃপক্ষের সা“ any other income tax authority” সংযুক্ত করা হয়েছে এবং দ্বিতীয়তঃ জরিমানাধার্যের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করে chapter XV এর সাথে chapter XIA যোগ করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনের অন্যান্য বিধানাবলী অপরিবর্তিত আছে।

৫৪। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) তে আবেদন দাখিল সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 152ও এর সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (alternative dispute resolution) সংশ্লিষ্ট আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 152I এর উপ-ধারা (3) এ বর্ণিত “income tax authority or the court” শব্দগুলোকে  “income tax authority, tribunal or the court” শব্দগুলো দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ গ্রহনে আগ্রহী করদাতাগণ উক্ত ধারার উপ-ধারা (2) অনুযায়ী আবেদনকালে ট্রাইবুনালে নিষ্পন্নের জন্য অপেক্ষমান কোন মামলার ক্ষেত্রেও ট্রাইবুনালের অনুমতি বা অনাপত্তি গ্রহণ করতে পারবেন।

৫৫। উপ কর কমিশনার এবং পরিদর্শী যুগ্ম কর কমিশনারের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 153 এর সংশোধনঃ
(ক) ফার্মের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত আপীলের বিধান বিলোপঃ অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 153 এর উপ- ধারা (1) এর ক্লজ (d) বিলোপ করা হয়েছে। Registered firmসংশ্লিষ্ট ধারা 85 এর বিধানাবলী অর্থ আইন, ১৯৯৫ এর মাধ্যমে বিলোপ করার প্রেক্ষিতে উক্ত ক্লজ (d) অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ায় তা বিলোপ করা হয়েছে।
(খ) জরিমানা সংক্রান্ত  আপীলযোগ্য মামলার পরিধি সম্প্রসারণঃ উপ কর কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত জরিমানা আদেশের বিরুদ্ধে আপীলাত যুগ্ম কর কমিশনার বা কর কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল মামলা দায়ের সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 153 এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (e) এবং একই ধারার উপ- ধারা (1A) এর ক্লজ (b) অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন/সংশোধন করে জরিমানা সংক্রান্ত আপীলযোগ্য মামলার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা হয়েছে। পরিবর্তিত বিধান এর ফলে আয়কর অধ্যাদেশের chapter XIA, chapter XV এর অধীন যে কোন ধারায় এবং chapter XVI এর অধীন ধারা 137 এ উপ কর কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত জরিমানা আদেশের বিরুদ্ধে আপীলাত যুগ্ম কর কমিশনার বা কর কমিশনার (আপীল) বরাবর আপীল মামলা দায়ের করা যাবে।

(গ) রিটার্ন দাখিলের পূর্বে বা সময়েধারা 74 অনুযায়ীসমুদয় কর পরিশোধ ব্যতিরেকে আপীল দায়েরকে অগ্রহণযোগ্য বিবেচনাঃ আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 153 এর উপ- ধারা (3) এর বিধানে উপ কর কমিশনার কর্তৃক প্রণীত কর নির্ধারণী আদেশের বিরুদ্ধে আপীলাত যুগ্ম কর কমিশনার বা কর কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে করদাতার দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের ভিত্তিতেধারা 74 অনুযায়ী প্রদেয় কর বর্ণিত আপীল কর্তৃপক্ষের কাছে মামলা দায়ের করার পূর্বে পরিশোধের শর্ত বিদ্যমান আছে। অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে বর্ণিত উপ-ধারা (3) এর শেষ বাক্য হতে  “before filing that appeal” শব্দগুলো বিলোপ করা হয়েছে। এর ফলে ধারা 153 তে বর্ণিত কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল মামলা দায়েরে পূর্বশর্তটি পরিবর্তিত হয়েছে। পরিবর্তিত শর্তানুসারে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 74 অনুযায়ী প্রদেয় কর এর সমুদয় অংক আয়কর রিটার্ন দাখিলের পূর্বে বা সময় পরিশোধ করা না হলে উক্ত কর বছর সংশ্লিষ্ট কর নির্ধারণী আদেশের বিরুদ্ধে আপীল মামলা আইনসম্মতভাবে দাখিলকৃত বা গ্রহণযোগ্য মর্মে গণ্যহবে না।
সংশোধিত এ বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে যে কোন আপীল মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

৫৬। জাল বা নকল (fake) অডিট রিপোর্ট দাখিলকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনাকরণ সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 165AA এর সংযোজনঃ

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 165A এর পরে একটি নতুনধারা 165AA সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন এধারার বিধান অনুসারে কোন ব্যক্তির (person) দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নের সাথে সংযুক্ত অডিট রিপোর্ট বা পরবর্তীতে দাখিলকৃত অডিট রিপোর্টে Chartered Accountant এর প্রদত্ত স্বাক্ষর জাল বা নকল (fake) প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে কারাদন্ডের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন মাস হতে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত বা সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক দন্ড অথবা উভয় প্রকার দন্ড আরোপযোগ্য।

৫৭। বিদেশী নাগরিককে অননুমোদিতভাবে কাজে নিয়োগের জন্য শাস্তিমূলক বিধান প্রবর্তন সংক্রান্ত- আয়কর অধ্যাদেশে নতুনধারা 165C এর সংযোজনঃ

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে বিদ্যমান ধারা 165B এর পরে একটি নতুন ধারা 165C সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ নতুন ধারার বিধান অনুসারে বিনিয়োগ বোর্ড বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন বিদেশী নাগরিককে কাজে নিয়োগ আয়কর আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কোন ব্যক্তি (person) বর্ণিত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনবিহীন কোনবদেশীি নাগরিককে কাজে নিয়োগ করলে উক্ত নিয়োগকারীর সর্বনিম্ন তিন মাস হতে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক দন্ড অথবা উভয় প্রকার দন্ড আরোপযোগ্য হবে।

৫৮। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন, ইত্যাদি দাখিলের শর্ত সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 184A এর সংশোধনঃ

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 184A এর নিম্নরূপ সংশোধন/সংযোজন করা হয়েছেঃ

 (ক) ISD টেলিফোন সংযোগ সংক্রান্তঃ

উক্ত ধারা এর উপ- ধারা (1) এর ক্লজ (k) বিলোপ করা হয়েছে। এর ফলে, ১ জুলাই, ২০১৫ তারিখ হতে টেলিফোনের ISD সংযোগের জন্য আবেদনকালে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিলের বাধ্যবাধকতা আর থাকবে না ।

(খ) বিদেশী নাগরিকের কোম্পানীর পরিচালক পদ গ্রহণ সংক্রান্তঃ

উক্ত ধারা এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (l) এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে কোন শেয়ার হোল্ডার কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আছে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে সংযোজিত ক্লজ (ll) এর বিধান অনুসারে ১ জুলাই, ২০১৫ হতে কোন অনিবাসী বিদেশী নাগরিকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কোন কোম্পানীর পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ার হোল্ডারের পদের জন্য বাধ্যতামূলক ১২ ডিজিটের টিআইএন গ্রহণ করতে হবে না।

(গ) ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষাথী ভর্তি সংক্রান্তঃ
উক্ত উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (w) এর পর একটি নতুন ক্লজ (x) সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ নতুন বিধান অনুসারে ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিঃ তারিখ হতে কোন সিটি কর্পোরেশন অথবা জেলা সদরের পে․রসভা এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষাদানরত কোন ইংলিশ মিডিয়াম ¯‥ুলে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে উক্তশিক্ষার্থীর মাতা বা পিতা বা অভিভাবকের ১২ ডিজিটের টিআইএন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন প্রাপ্তির বিধানটি কার্যকর করবেন।

৫৯। আয়কর অধ্যাদেশের THE THIRD SCHEDULE এর সংশোধনঃ

(ক)অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের তৃতীয় তফসিলে বিদ্যমান অনুচ্ছেদ3 এর Table এর কলাম 1 এর ক্রমিক নং 3 এর বিপরীতে কলাম 2 এ উল্লিখিত ক্লজ (2)(b) এর এন্ট্রি (vi) এর পর একটি নতুন এন্ট্রি (vii) সংযোজন করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত এই এন্ট্রির বিধান অনুসারে আমদানীকৃত কম্পিউটার সফট্ওয়্যার এর উপর ১০% হারে অবচয় ভাতা অনুমোদনযোগ্য হবে।
(খ)অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে একই তফসিলের অনুচ্ছেদ11 এর ক্লজ (6) এর সাব-ক্লজ (a) তে ব্যবসা বা পেশায় ব্যবহৃত মোটর গাড়ীর অনুমোদনযোগ্য সর্বোচ্চ ক্রয়মূল্য সীমার পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তিত বিধানে অবচয় পরিগণনার জন্য গাড়ীর সর্বোচ্চ অনুমোদনযোগ্য ক্রয়মূল্য ২০ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।

পরিবর্তিত এ বিধান দু’টি ২০১৫-২০১৬ কর বছর থেকে প্র্রযোজ্য হবে।

৬০। আয়কর অধ্যাদেশের THE SIXTH SCHEDULE, PART-Aএর সংশোধন :

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ষষ্ঠ তফসিল, পার্ট-এ তে আনীত পরিবর্তন/সংযোজনসমূহ নিম্নরূপঃ

(ক) উল্লিখিত তফসিলের অনুচ্ছেদ11A প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত বিধান অনুসারে বাংলাদেশের যে কোন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানী হতে ডিভিডেন্ড হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রাপকের হাতে করমুক্ত থাকবে। কোন করদাতা কর্তৃক প্রাপ্ত এরূপ ডভিডেন্ডের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকার অধিক হলে ২৫ হাজার টাকার অতিরিক্ত অংক করযোগ্য আয় হিসেবে মোট আয়ের সাথে যোগ হবে। উল্লেখ্য, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোন কোম্পানী হতে প্রাপ্ত সমুদয় লভ্যাংশ আয় করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য হবে।

(খ)উল্লিখিত তফসিলের অনুচ্ছেদ 20 প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত বিধান অনুসারে কোন করদাতা কর্তৃক ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্তগ্র্যাচুইটি হিসেবে প্রাপ্ত অর্  করমুক্ত আয় হিসেবে গণ্য হবে। কোন করদাতা কর্তৃক এরূপ খাতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বেশি হলে অতিরিক্ত অংক করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

(গ)উল্লিখিত তফসিলের অনুচ্ছেদ21 এর উপ-অনুচ্ছেদ (d) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত এ বিধান অনুসারে কোন শ্রমিক কর্তৃক workers participation fund হতে প্রাপ্ত সমুদয় অংক করমুক্ত আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রেবাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন) এর ২(৬৫) ধারায় প্রদত্ত সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত  ব্যক্তিগণই কেবলমাত্র শ্রমিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। ফলে বর্ণিত শ্রম আইনের উল্লিখিত সংজ্ঞা বহির্ভূত কোন ব্যক্তি কর্তৃক workers participation fund হতে প্রাপ্ত যে কোন অংক প্রাপকের হাতে করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

(ঘ)উল্লিখিত তফসিলের অনুচ্ছেদ22A হতে “ডিভিডেন্ড” শব্দটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ডিভিডেন্ড শব্দটি বিলোপের প্রেক্ষিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড অথবা ইউনিট ফান্ড হতে কোন করদাতা কর্তৃক বছরে প্রাপ্ত যে কোন আয় তা সুদ, মুনাফা বা ডিভিডেন্ড, ইত্যাদি যে নামেই অভিহিত হোক না কেন ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে। কোন করদাতা কর্তৃক বর্ণিত খাত হতে বছরে প্রাপ্ত আয় ২৫ হাজার টাকার বেশি হলে অতিরিক্ত অংক করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

(ঙ) উল্লিখিত তফসিলের অনুচ্ছেদ 24 এর পর একটি নতুন অনুচ্ছেদ 24A সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ নতুনধারার বিধান অনুসারে কোন করদাতা কর্তৃক ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ইউরো প্রিমিয়াম বন্ড, ইউরো ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, পাউন্ড স্টার্লিং ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও পাউন্ড স্টার্লিং প্রিমিয়াম বন্ডে বিনিয়োগ হতে অর্জিত সমুদয় আয় করদাতার করমুক্ত আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

উপরোক্ত (ক), (খ), (গ), (ঘ) এবং (ঙ) উপ-অনুচ্ছেদে উল্লিখিত বিধানসমূহ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে প্রযোজ্য হবে।

(চ)উল্লিখিত তফসিলের অনুচ্ছেদ 33 এ বর্ণিত সফট্ওয়্যার এবং সফট্ওয়্যার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় আয়ের কর অব্যাহতির সময়সীমা ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে কোন করদাতার Software Development ev Nationwide Telecommunication Transmission Network (NTTN) ev Information Technology Enabled Services (ITES) সংশ্লিষ্ট ব্যবসা  খাতের অর্জিত আয় ৩০ জুন, ২০১৯ তারিখের পরিবর্তে ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে। অর্থাৎ, উল্লিখিত ব্যবসাসমূহ থেকে অর্জিত আয়ের উপর ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত কোন আয়কর প্রদেয় হবে না।

(ছ)উল্লিখিত তফসিলের অনুচ্ছেদ 35 এ বর্ণিত কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সংযোজিত এ বিধান অনুসারে হস্ত শিল্পজাত পণ্য রপ্তানী থেকে কোন করদাতার অর্জিত আয় ৩০ জুন, ২০১৫ তারিখের পরিবর্তে ৩০ জুন, ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে। ফলে ৩০ জুন, ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত এ শিল্পের রপ্তানী আয়ের উপর কোন আয়কর প্রদেয় হবে না।

(জ)উল্লিখিত তফসিলের অনুচ্ছেদ 49, 50 ও 51 এ বিদ্যমান crossed cheque শব্দগুলির পর crossed cheque শব্দগুলি বর্ণিত অর্  আইনের মাধ্যমে সংযোজন করা হয়েছে। পরিবর্তিত এ বিধান অনুসারে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত দেশের কোন গার্লস স্কুল বা গার্লস কলেজ; টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট; এবং কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পোন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে গবেষণারত গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) প্রতিষ্ঠানে কোন আয় বছরে কোন করদাতা তার আয় বা আয়ের অংশ বিশেষ ক্রসড্ চেকের পাশাপাশি ব্যাংক স্থানান্তরের মাধ্যমেও অনুদান হিসেবে প্রদান করতে পারবেন। বর্ণিত যে কোন মাধ্যমে এরূপ অনুদান প্রদান করা হলে অনুদানকৃত অংকের উপর করদাতার কোনআয়কর প্রদেয় হবে না।

(ঝ) উল্লিখিত তফসিলে একটি নতুন অনুচ্ছেদ 52 সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ নতুন বিধান অনুসারে যে সকল ক্ষাশি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত, যারা সরকারি

কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠদান করে থাকে এবং যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত হয়, এরূপ সকল শর্ত পালনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক সুদ ও লভ্যাংশ আয় ব্যতীত অন্য সকল খাতের আয় করমুক্ত বলে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য, অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ধারা 53F এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (b) এর পর নতুনক্লজ (c) সংযোজন করে উপরে বর্ণিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যাংক আমানত হতে অর্জিত সুদ বা মুনাফার উপর উৎসে কর কর্তনের হার, ১২ ডিজিটের টিআইএন/টিআইএন থাকা বা না থাকা নির্বিশেষে, ১০% হারে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। একই সাথে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্জিত ব্যাংক সুদ বা মুনাফার উপর উৎসে কর্তিত করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনার বিধানধারা 82C তে সংযোজন করা হয়েছে। তবে, এ সকল প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ খাতে কোন আয় থাকলে তা স্বাভাবিক নিয়মে করারোপিত হবে।

(ঞ) উল্লিখিত তফসিলে অনুচ্ছেদ 52 এর পর আরো একটি নতুন অনুচ্ছেদ 53 বর্ণিত অর্থ আইনের মাধ্যমে সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ নতুন বিধান অনুসারে যে কোন public university, Institute of Chartered Accountants of Bangladesh (ICAB), Institute of Cost and Management
Accountants of Bangladesh (ICMAB)এবং Institute of Chartered Secretaries of Bangladesh (ICSB) কর্তৃক অর্জিত ব্যাংক সুদ ও লভ্যাংশ আয় ব্যতীত অন্য সকল খাতের আয় করমুক্ত বলে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য, অর্   আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে ধারা 53F এর উপ-ধারা (1) এর ক্লজ (b) এর পর নতুনক্লজ (c) সংযোজন করে public university সহ উপরে বর্ণিত পেশাজীবী সংগঠনসমূহের ব্যাংক আমানত হতে অর্জিত সুদ/ মুনাফার উপর উৎসে কর কর্তনের হার, ১২ ডিজিটের টিআইএন/টিআইএন থাকা বা না থাকা নির্বিশেষে, ১০% হারে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। একই সাথে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্জিত ব্যাংক সুদ বা মুনাফার উপর উৎসে কর্তিত করকে চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে বিবেচনার বিধানধারা ৮২c তে সংযোজন করা হয়েছে। তবে, এ সকল প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ খাতে কোন আয় থাকলে তা স্বাভাবিক নিয়মে করারোপিত হবে।

৬১। আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর সংশোধনীসমূহঃ

(i) ১২ ডিজিটের ই-টিআইএন এর যথার্থতা যাচাই সংক্রান্ত rule-64BB এর সংযোজনঃ

এস,আর,ও নং ৭৬-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ০৫ এপ্রিল, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে rule-64BB নামে একটি নতুন বিধি সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত এ বিধির মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 184A তে উল্লিখিত ব্যাংক, বীমা, রাজউকসহ ২৫টি ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকালে দাখিলকৃত ই-টিআইএন যাচাই সংক্রান্ত বিধান যথাযথভাবে পরিপালনের লক্ষ্যে কার্যপ্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-০২)।
(ii) আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ সংক্রান্তঃ

এস, আর, ও নং ১৯২-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে কতিপয় বিধি সংযোজন/ সংশোধন/ পরিমার্জন/ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে যা এ পরিপত্রের পরিশিষ্ট অংশে সংযুক্ত করা হয়েছে(পরিশিষ্ট-০৪)। এ সকল সংযোজন/ সংশোধন/ পরিমার্জন/ প্রতিস্থাপনের বিষয়াবলী নিম্নরূপে উপস্থাপন করা হলোঃ

(ক) সরবরাহ ও ঠিকাদারী বিলের উপর উৎসে কর কর্তনের হার সংক্রান্ত rule-16 এ নতুন খাত সংযোজনঃ
বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিদ্যমান rule-16 এ উৎসে কর কর্তনের নতুন একটি খাত ও উক্ত খাতে উৎসে কর কর্তনের হার সংযোজন করা হয়েছে। নতুন খাত হিসেবে সংযোজিত গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনে নিয়োজিত কোম্পানী শ্রেণীর করদাতার যে কোন অংকের গ্যাস বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে ৩% হারে উৎসে কর কর্তনযোগ্য হবে। তবে এরূপ কর্তিত/সংগৃহীত কর 82C ধারায় আনীত সংশোধনীর প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে বিবেচিত হবে না।

 (খ) ইন্ডেন্টিং কমিশন ও শিপিং এজেন্সী কমিশন খাতে উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত Rule-17 এর বিলোপঃ

বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে বিদ্যমান rule-17 বিলোপ করা হয়েছে। rule-17 তে ইন্ডেন্টিং কমিশন ও শিপিং এজেন্সী কমিশন খাতে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কর্তনযোগ্য উৎসে করের হার উল্লেখ ছিল। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে ধারা 52AA প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত ধারার 7 ও 15 নং ক্রমিকে ইন্ডেন্টিং কমিশন ও শিপিং এজেন্সী কমিশন খাতে উৎসে কর কর্তনের হার যথাক্রমে ৭.৫% এবং ৫% হারে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।

(গ) আমদানিকারকদের কাছ হতে আমদানি পর্যায়ে উৎসে কর সংগ্রহের হার সম্পর্কিত Rule -17Aএর প্রতিস্থাপনঃ
বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে আমদানি পর্যায়ে উৎসে কর সংগ্রহ সংক্রান্ত Rule-17A প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53 এর বিদ্যমান বিধান অনুযায়ীRule-17A অনুসারে Commissioner of Customs আমদানী পর্যায়ে উৎসে কর সংগ্রহ করে থাকেন। প্রতিস্থাপিত Rule-17A তে আমদানিযোগ্য সকল পণ্য সামগ্রীকে (a), (b), (c) এবং proviso এর মাধ্যমে 04 টি ক্যাটাগরীভুক্ত করা হয়েছে। উক্ত বিধির (a), (b), (c) ক্রমিকে বর্ণিত পণ্য আমদানি পর্যায়ে উৎসে কর সংগ্রহের হার যথাক্রমে ৫%, ২% এবং টন প্রতি টাকা ৮০০/- হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে proviso দুটিতে উল্লিখিত কোন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উৎসে কর সংগ্রহের বিধান প্রযোজ্য হবে না।

(ঘ) উৎসে কর কর্তন/সংগ্রহের সার্টিফিকেট প্রদানের সময়সীমা সংক্রান্ত Rule-18 এর সংশোধনঃ

আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর Rule-18 এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে উৎসে কর্তনকারী/সংগ্রহকারী কর্তৃপক্ষ উৎসে কর কর্তন/সংগ্রহের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে উৎসে কর কর্তন/সংগ্রহ সম্পর্কিত সনদপত্র প্রদান করে থাকেন। Rule-18 তে আনীত সংশোধনীতে যে মাসে উৎসে কর কর্তন/সংগ্রহ করা হবে তার পরবর্তী মাসের ০২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যেএরূপ সনদ প্রদানের বিধান করা হয়েছে। সময়সীমা পরিবর্তন ব্যতীত Rule-18 তে অন্য কোন পরিবর্তন আনা হয়নি।

(ঙ) সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ভাতার উপর উৎসে কর্তিত করের সনদপত্র প্রদান সম্পর্কিত Rule -18A এর সংযোজনঃ

অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে ধারা 50 এ একটি নতুন উপ-ধারা (1A) সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত নতুন এ উপ-ধারায় সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন উত্তোলনের সময় উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। উৎসে কর্তিত করের বিষয়ে Accounts Officer/any other
authorised officer এর স্বাক্ষরে rule-18A অনুযায়ী অর্ বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩১ জুলাই তারিখের মধ্যে উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত সনদপত্র ইস্যুর বিধান সংযোজন করা হয়েছে। এ পরিপত্রের ২১ অনুচ্ছেদেএরূপ সনদপত্রের ছক উল্লেখ করা হয়েছে।

(চ)Return of withholding taxসংক্রান্ত Rule -24Aএর প্রতিস্থাপনঃ

বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে return of withholding tax সংক্রান্ত বিধি-24A প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের chapter VII এ উৎসে কর কর্তন/সংগ্রহের কতিপয় নতুন খাত সংযোজন ও বিদ্যমান খাত পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। সংযোজিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত উৎসে কর কর্তন/সংগ্রহের খাতসমূহ প্রতিস্থাপিত বিধি-24A তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

(ছ) নগদ বাড়ী ভাড়া ভাতা প্রাপ্তির করমুক্ত সীমা বৃদ্ধি- Rule 33A এর সংশোধনঃ

বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে নগদ বাড়ী ভাড়া ভাতার করমুক্ত সুবিধা সংক্রান্ত Rule -33A সংশোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে করমুক্ত মাসিক নগদ বাড়ী ভাড়া প্রাপ্তির পরিমাণ ২০,০০০/- টাকা হতে ২৫,০০০/- টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। অন্য শর্ত অর্থাৎ মূল বেতনের ৫০% এর অতিরিক্ত অংক করারোপনযোগ্য হিসেবে গণ্য করার বিধানটি পূর্বের ন্যায় বহাল আছে। পরিবর্তিত এ বিধান ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে কার্যকর হবে।

(জ) নিয়োগকর্তা কর্তৃক কর্মকর্তা/কর্মচারীকে প্রদত্ত যাতায়াত সুবিধা সংক্রান্ত- Rule- 33D এর সংশোধনঃ

Rule-33D এর বিদ্যমান বিধান অনুসারে কোন করদাতা তার নিয়োগকর্তা থেকে যানবাহন সুবিধা প্রাপ্তহলে উক্ত করদাতার বাৎসরিক মূল বেতনের ৫% বেতন খাতের করযোগ্য আয়ের সাথে যোগ করা হয়। বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে বিধি-33D এর উক্ত বিধান অপরিবর্তিত রেখে একটি নতুন বিধান সংযোজন করা হয়েছে। নতুন বিধানমতে মূল বেতনের ৫% যদি ৬০,০০০/- টাকার কম হয় সেক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬০,০০০/- টাকা এ খাতের আয় হিসেবে করযোগ্য আয়ের সাথে যোগ হবে। তবে, মূল বেতনের ৫% যদি ৬০,০০০/- টাকার বেশি হয় সেক্ষেত্রে মূল বেতনের ৫% সমপরিমাণ অংক করযোগ্য আয়ের সাথে যোগ হবে। পরিবর্তিত এ বিধান ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে কার্যকর হবে।

(ঝ) চাকুরিজীবী করদাতার নগদ চিকিৎসাভাতা সংক্রান্ত- Rule-33I এর সংশোধনঃ

বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে কোন চাকুরিজীবী করদাতা কর্তৃক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত নগদ চিকিৎসা ভাতাকে মূল বেতনের ১০% অথবা বার্ষিক ১,২০,০০০/- টাকা, দু’টির মধ্যে যেটি কম, পর্যন্ত কর অব্যাহতি প্রদান করে আয়কর বিধিমালা এর বিধি -33I সংশোধন করা হয়েছে। করমুক্ত নগদ চিকিৎসা ভাতা সংশ্লিষ্ট বিধি-33I তে বর্ণিত অন্যান্য শর্তাবলী পূর্বের ন্যায় বলবৎ আছে। পরিবর্তিত এ বিধান ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে কার্যকর হবে।

(ঞ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত association of accountants  সংক্রান্ত Rule-37 এর সংশোধনঃ

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 174 এর উপ-ধারা (2) এর ক্লজ (e) অনুযায়ী association of accountants এর তালিকা বিধি-37 এর উপবিধি-(1) এ উল্লেখ আছে। বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে উক্ত উপবিধি (1) সংশোধন করে কেবলমাত্র দুটি professional body যথা Institute of Chartered Accountants of Bangladesh (ICAB) এবং Institute of Cost and Management Accountants of Bangladesh (ICMAB) কে উক্ত ধারার বিধান অনুসারে Òassociation of accountantsÓহিসাবে গণ্য করা হয়েছে। এ দুটি পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোন প্রতিষ্ঠান ধারা 174 এর অধীনে association of Accountants বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে Rule-37 সংশোধন করে association of ccountants এর আওতা থেকে নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাদ দেয়া হয়েছেঃ

1.            The Institute of Chartered Accountants in England and Wales.

2.            The Institute of Chartered Accountants in Scotland.

3.            The Society of Incorporated Accountants and Auditors, London.

4.            Institute of Chartered Accountants of Pakistan and India.

5.            Institute of Cost and Management Accountants of
Pakistan.

(ট) নিবাসী শিপিং ব্যবসার উৎসে কর সংগ্রহের সনদপত্র প্রদান সংক্রান্ত নতুন Rule- 62A এর সংযোজনঃ

আয়কর অধ্যাদেশের 53AA ধারার বিদ্যমান বিধান অনুসারে নিবাসী করদাতার মালিকানাধীন বা চার্টার্ড জাহাজ কর্তৃক বিদেশে মালামাল পরিবহজনিত প্রাপ্ত জাহাজ ভাড়ার উপর ৫% অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ৩% হারে উৎসে কর পরিশোধের ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার কর্তৃক সনদপত্র প্রদানের জন্য একটি নির্ধারিত ফরম নব প্রবর্তিত বিধি-62A তে সংযোজন করা হয়েছে। কমিশনার অব কাস্টমস্ এর নিকট পোর্ট ক্লিয়ারেন্সের জন্য ১ জুলাই, ২০১৫ তারিখ হতে বিধি-62A অনুযায়ী ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।

(ঠ)Transfer pricing সংক্রান্ত Rule-73 এর সংশোধনঃ

বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 107F G transfer pricing এর ক্ষেত্রে maintenance and keeping of information, documents and records সংক্রান্ত বিধি-73 এর উপবিধি-(1) এর ক্লজ (q) প্রতিস্থাপন করে “the list of database utilized” শব্দগুলো সংযোজন করা হয়েছে।

 (ড)Transfer pricing সংক্রান্ত Rule-74 এর বিলোপঃ

বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের 107F ধারায় transfer pricing এর ক্ষেত্রে report from a certified accountant to be furnished সংক্রান্ত বিধি-74 এর কার্যকারিতা না থাকায় উক্ত বিধিটি বিলোপ করা হয়েছে।

(ঢ)Transfer pricing সংক্রান্ত Rule-75 এর প্রতিস্থাপনঃ
বর্ণিত এস, আর, ও এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের 107F ধারায় transfer pricing এর ক্ষেত্রে form of report from a certified accountant to be furnished সংক্রান্ত বিধি-75 অধিকতর কার্যকর ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে নতুন একটি form দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

৬২। জারীকৃত প্রজ্ঞাপনসমূহঃ

অর্থ আইন, ২০১৪ সংশ্লিষ্ট আয়কর পরিপত্র নং-১, ২, ৩ (পরিপত্র-২০১৪) জারীর পর হতে অদ্যাবধি জারীকৃত উল্লেখযোগ্য প্রজ্ঞাপনসমূহ(এস,আর,ও) এ পরিপত্রের পরিশিষ্ট অংশে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ সকল প্রজ্ঞাপনেরসংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

 (ক) এস,আর,ও নং ৯৯-আইন/২০১৫, তারিখঃ ১৭ মে, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ এ প্রজ্ঞাপনের দফা ৭(গ) এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০ শে ভাদ্র ১৪১০/৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০০৩ তারিখে জারীকৃত প্রজ্ঞাপন নং মুবিম/প্রঃ৩/মুক্তিযোদ্ধা/ গেজেট/২০০৩/

                ৪৭৯ অনুসারে গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মালিকানাধীন মোটরকার, জীপ বা মাইক্রোবাসের রেজিস্ট্রেশনের সময় অথবা ফিটনেস নবায়নকালে অগ্রিম আয়কর প্রদানের বিধান প্রত্যাহার করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-৩)। মোটরকার, জীপ বা মাইক্রোবাসের মালিকদের অনুমিত আয়কে অগ্রিম আয়কর প্রদান সাপেক্ষে কর প্রদান সম্পর্কিত ইতঃপূর্বেকার সকল প্রজ্ঞাপনকে বাতিল করেএ নতুন প্রজ্ঞাপনটি জারী করা হয়েছে যেখানে গাড়ীর ধরণ, প্রদেয় আয়করের হার, অব্যাহতি, ইত্যাদি বর্ণিত আছে।

 (খ) এস,আর,ও নং ১৯২-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ এ প্রজ্ঞাপনটি আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ সংশোধন/ সংযোজন/ পরিমার্জন সংশ্লিষ্ট। এ

পরিপত্রের ৬১(ii) অনুচ্ছেদে উক্ত প্রজ্ঞাপনের বিষয়াবলী বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-০৪)।

 (গ) এস,আর,ও নং ১৯৩-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বস্ত্র উৎপাদনের সাথে জড়িত সুতা উৎপাদন, সুতা ডাইয়িং, ফিনিশিং, কোনিং, কাপড় ক্সতরী, কাপড় ডাইয়িং, ফিনিশিং, প্রিন্টিং অথবা উক্তরূপ এক বা একাধিক প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত কোন কোম্পানীর উল্লিখিত শিল্পের ব্যবসা হতে অর্জিত আয়ের উপর প্রদেয় আয়কর হার ১৫% এ হ্রাস করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত কর হার ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে ৩০ জুন, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বহাল থাকবে (পরিশিষ্ট-০৫)। এ ধরণের শিল্পের ব্যবসায় আয়ের উপর ২০১৫-২০১৬ কর বছরের প্রযোজ্য কর হার হবে
১৫%।
(ঘ) এস,আর,ও নং ১৯৪-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পাটজাত দ্রব্য উৎপাদনে নিয়োজিত কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কেবল উক্ত শিল্প হতে অর্জিত আয়ের উপর প্রদেয় আয়কর হার ১৫% এ হ্রাস করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত কর হার ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে ৩০ জুন, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে (পরিশিষ্ট-০৬)। এ ধরণের ব্যবসা হতে অর্জিত আয়ের উপর ২০১৫-২০১৬ কর বছরে ১৫% কর হার প্রযোজ্য হবে।

(ঙ) এস,আর,ও নং ১৯৫-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর আয়কে নিম্নবর্ণিত মেয়াদ ও হারে আয়কর হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছেঃ

কর অব্যাহতির মেয়াদ

কর অব্যাহতির হার

প্রথম বৎসর

১০০%

দ্বিতীয় বৎসর

৮০%

তৃতীয় বৎসর

৬০%

চতুর্থ বৎসর

৪০%

পঞ্চম বৎসর

২০%

এ প্রজ্ঞাপনের বিধান ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে কার্যকর হবে (পরিশিষ্ট-০৭)।

(চ) এস,আর,ও নং ১৯৬-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইতোপূর্বে জারীকৃতএস,আর,ও নং ২১৭-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখঃ ১৮ আগস্ট, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ এর কার্যকারিতা রহিত করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সরকারী সিকিউরিটিজ ব্যতীত অন্য কোন সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে অর্জিত আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের বিভিন্ন হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনের বিধান ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে কার্যকর হবে (পরিশিষ্ট-০৮)। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কয়েকটি ক্ষেত্র ব্যতীত ব্যক্তি-করদাতাগণ কর্তৃক পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ার -দেনলেন হতে অর্জিত মুনাফা পূর্বের ন্যায় সম্পূর্ণ করমুক্ত রয়েছে।

(ছ) এস,আর,ও নং ১৯৭-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৬ জুন, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনএস,আর,ও নং ১৫৮-আইন/আয়কর/২০১৪, এর দফা (দ) ও (ন) রহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হ্রাসকৃত হারে কর প্রদান সম্পর্কিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা হতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে বাদ দেয়া হয়েছে (পরিশিষ্ট-০৯)।

(জ) এস,আর,ও নং ১৯৮-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইতোপূর্বে জারীকৃত এস,আর, ও নং ২২৮-আইন-আয়কর/২০১১, তারিখঃ ৪ জুলাই, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ রহিতক্রমেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মূল বেতন( basic salary ), উৎসবভাতা এবং বোনাস ব্যতীত সকল প্রকার ভাতা ও সুবিধাদিকে আয়করপ্রদান হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ কর্তৃক প্রাপ্ত মূল বেতন ( basic salary ),   উৎসব ভাতা ও বোনাস ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে (পরিশিষ্ট-১০)।

(ঝ) এস, আর, ও নং ১৯৯-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে pelleted poultry feed উৎপাদন, গবাদি পশু, চিংড়ি ও মাছের pelleted feed উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প (horticulture), তুঁত গাছের চাষ, মে․মাছির চাষ প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক  (mushroom)  উৎপাদন  খামার  এবং  ফুল  ও  লতাপাতার  চাষ 12345(floriculture) হতে অর্জিত আয়ের উপর প্রদেয় আয়কর হার হ্রাস করে নিম্নরূপে ধার্য করা হয়েছেঃ

আয়ের পরিমাণ

আয়করের হার

প্রথম ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

৩%

পরবর্তী ২০ লক্ষ টাকা

১০%

অবশিষ্ট আয়ের উপর

১৫%।

               
প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত কর হার ২০১৬-২০১৭ কর বছর হতে কার্যকর হবে (পরিশিষ্ট-১১)। উল্লেখ্য, ২০১৫-২০১৬ কর বছরের ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধান অনুযায়ী এ খাতে অর্জিত আয়ের উপর ৩% হারে কর প্রদেয় হবে।

 (ঞ) এস,আর,ও নং ২২৪-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ০২ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ

এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53BB ও ধারা 53BBBB তে বর্ণিত ক্সতরী পোশাকসহ সকল প্রকার পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানি মূল্যের (export proceeds)উপর উৎসে কর কর্তনের হার ০.৬০% এ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত উৎসে কর কর্তনের হার ১ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে ৩০ জুন, ২০১৬

খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে (পরিশিষ্ট-১২)।

 (ট) এস,আর,ও নং ২২৬-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ০৮ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ

এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থ‣নতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪২ নং আইন) এর ধারা ৫ ও ৪ এর বিধান অনুযায়ী যথাক্রমে ঘোষিত ও প্রতিষ্ঠিত অর্থ‣নতিক অঞ্চলে পণ্য উৎপাদন বা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পরিচালিত এবং আয়কর অধ্যাদেশের ২(২০) ধারা অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত কোম্পানীকে উক্ত অর্ ‣নতিক অঞ্চলে পরিচালিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম হতে উদ্ভূত সকল প্রকার আয়ের উপর প্রদেয় আয়কর হতে ১০ বছরের জন্য যথাঃ ১ম, ২য় ও ৩য় বছরের জন্য ১০০%, ৪র্  বছরের জন্য ৮০%, ৫ম বছরের জন্য ৭০%, ৬ষ্ঠ বছরের জন্য ৬০%, ৭ম বছরের জন্য ৫০%, ৮ম বছরের জন্য ৪০%, ৯ম বছরের জন্য ৩০% এবং ১০ম বছরের জন্য ২০% হারে কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-১৩)।

(ঠ) এস,আর,ও নং ২২৭-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ০৮ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ

এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থ‣নতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪২ নং আইন) এর ধারা ৫ ও ৪ এর বিধান অনুযায়ী যথাক্রমে ঘোষিত ও প্রতিষ্ঠিত অর্থ‣নতিক অঞ্চলে উক্ত আইনের ধারা ৮ অনুসারে নিয়োগকৃত অর্ ‣নতিক অঞ্চল ডেভেলপারকে অর্ ‣নতিক অঞ্চলে পরিচালিত তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম হতে উদ্ভূত সকল প্রকার আয়ের উপর প্রদেয় আয়কর হতে ১২ বছরের জন্য যথাঃ প্রথম ১০ বছর ১০০%, ১১ তম বছর ৭০% এবং ১২ তম বছর ৩০% হারে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-১৪)।

 (ড) এস,আর,ও নং ২২৮-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ০৮ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ

এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৮ নং আইন) এর ধারা ২২ এর বিধান অনুযায়ী ঘোষিত পার্কে পণ্য উৎপাদন বা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পরিচালিত এবং আয়কর অধ্যাদেশের ২(২০) ধারা অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত কোন কোম্পানীর উক্ত হাই-টেক পার্কে পরিচালিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম হতে উদ্ভূত সকল প্রকার আয়ের উপর প্রদেয় আয়কর হতে ১০ বছরের জন্য যথাঃ ১ম, ২য় ও ৩য় বছরের জন্য ১০০%, ৪র্  বছরের জন্য ৮০%, ৫ম বছরের জন্য ৭০%, ৬ষ্ঠ বছরের জন্য ৬০%, ৭ম বছরের জন্য ৫০%, ৮ম বছরের জন্য ৪০%, ৯ম বছরের জন্য ৩০% এবং ১০ম বছরের জন্য ২০% হারে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে
(পরিশিষ্ট-১৫)।

 (ঢ) এস,আর,ও নং ২২৯-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ০৮ জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ

এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৮ নং আইন) এর ধারা ২০ অনুসারে নিয়োগকৃত ডেভেলপারকে পার্কে পরিচালিত তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম হতে উদ্ভূত সকল প্রকার আয়ের উপর প্রদেয় আয়কর হতে ১২ বছরের জন্য যথাঃ প্রথম ১০ বছর ১০০%, ১১তম বছর ৭০% এবং ১২ তম বছর ৩০% হারে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-১৬)।

 (ণ) এস,আর,ও নং ২৫৪-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ১৬ আগস্ট, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ

এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হাঁস-মুরগীর খামার হতে অর্জিত আয়ের উপর হ্রাসকৃত হারে কর ধার্য করা হয়েছে যা নিম্নরূপঃ

আয়ের পরিমাণ

আয়করের হার

প্রথম ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর

শূন্য

পরবর্তী ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপর

৫%

অবশিষ্ট আয়ের উপর

১০%।

               
এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ধার্যকৃত করহার ২০১৬-২০১৭ কর বছর হতে কার্যকর হবে

(পরিশিষ্ট-১৭)।

(ত) এস,আর,ও নং ২৫৫-আইন/আয়কর/২০১৫, তারিখঃ ১৬ আগস্ট, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দঃ

এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হাঁস-মুরগী, চিংড়ি ও মাছের হ্যাচারী এবং মৎস্য চাষ হতে অর্জিত আয়ের উপর হ্রাসকৃত হারে কর ধার্য করা হয়েছে যা নিম্নরূপঃ

আয়ের পরিমাণ

আয়করের হার

প্রথম ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর

শূন্য

পরবর্তী ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপর

৫%

অবশিষ্ট আয়ের উপর

১০%।

 

এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ধার্যকৃত কর হার ২০১৫-২০১৬ কর বছর হতে কার্যকর হবে

(পরিশিষ্ট-১৮)।

অর্  আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আনীত আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ ও আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর সংশোধনী/পরিবর্তনসমূহ এবং নতুন জারীকৃত প্রজ্ঞাপনসমূহ স্পষ্টীকরণের উদ্দেশ্যে এ পরিপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিপত্রের কোন বক্তব্য বা উপস্থাপনা আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অথবা আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ অথবা জারীকৃত নতুন প্রজ্ঞাপনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে বা কোন মুদ্রণজনিত ত্রুটির কারণে অস্পষ্টতা দেখা দিলে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এবং মূল প্রজ্ঞাপনসমূহ প্রাধান্য পাবে।

 

 

(জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ)
প্রথম সচিব (কর নীতি)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা।