Business Article

Displaying 1-8 of 8 results.

ব্যবসা প্রসারে ফেসবুকের ব্যবহার

Picture

<strong>(প্রিয় টেক) </strong>ফেসবুক কেবল সময় কাটানোর জায়গা মনে করে যারা ফেসবুক ব্যবহার করা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চান, তাদের জন্য আমার আজকের লেখা। প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মানুষ নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন। সুতরাং বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা না, যে কোনো ব্যবসাকে প্রচারের জন্য পোস্টার, টিভি বিজ্ঞাপন কিংবা পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার চাইতে ফেসবুকের মাধ্যমে আরও কয়েকগুণ বেশি কার্যকরীভাবে ব্যবসার প্রসার করা সম্ভব। (প্রিয় টেক)

ফেসবুক কেবল সময় কাটানোর জায়গা মনে করে যারা ফেসবুক ব্যবহার করা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চান, তাদের জন্য আমার আজকের লেখা। প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মানুষ নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন। সুতরাং বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা না, যে কোনো ব্যবসাকে প্রচারের জন্য পোস্টার, টিভি বিজ্ঞাপন কিংবা পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার চাইতে ফেসবুকের মাধ্যমে আরও কয়েকগুণ বেশি কার্যকরীভাবে ব্যবসার প্রসার করা সম্ভব। কয়েকগুণ বেশি এই জন্য বলছি কারণ এখানে টার্গেটেড ক্রেতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব, সম্ভাব্য ক্রেতারা কিছু কেনার আগে পণ্যের মালিকের কাছ থেকে আরও কিছু বিষয় জেনে নেওয়ার সুযোগ পান এবং সবশেষে নিশ্চিত হয়ে কিনতে পারেন। এ সম্পর্কে প্রিয়.কমকে বিস্তারিত জানিয়েছেন ক্রিয়েটিভ আইটির প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. ইকরাম।

ব্যবসায়িক সুবিধা পেতে ফেসবুকের ব্যবহার

১. বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী এই ফেসবুক নিয়মিত ব্যবহার করে। ফেসবুকের অফিসিয়াল হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে ৯০০ মিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন এবং গড়ে প্রতি ইউজার প্রতি মাসে ৪০৫ মিনিট ফেসবুকে ব্যয় করেন। এতো মানুষের কাছে নিজের পণ্যকে পৌঁছানোর জন্য এটি সবচাইতে ভালো উপায়। ২. যারা আপনার পণ্য কিংবা সেবা নেয়ার জন্য খুঁজছে, তাদেরকে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। ৩. বর্তমান ক্রেতা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ক্রেতার সাথে সংযুক্ত থাকা যায়। ৪. আপনার ব্যবসা-কেন্দ্রিক একটি কমিউনিটি তৈরি করা যায় যেখানে সবাই পণ্যের বিষয়ে সমালোচনা কিংবা অন্য যে কোনো মতামত জানাতে পারে। ৫. আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত কোনো ব্লগি কিংবা কোনো আর্টিকেল লিখে থাকলে সেটায় আরও বেশি পাঠক পাবার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুক প্রোফাইল, ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক গ্রুপের মধ্যে তুলনা ফেসবুক পেজঃ কোন কোম্পানির ব্রান্ডিংয়ের জন্য কোম্পানির নামে পেজ তৈরি করতে হবে। অফিসিয়াল সকল নোটিশগুলো এখানে পোস্ট করতে হবে। পেজে শুধুমাত্র অ্যাডমিন পোস্ট করতে পারে। অ্যাডমিন হিসেবে এখানে পেজের নাম দেখায়, কোন ব্যক্তির নাম প্রকাশ পায় না। পেজের ফ্যানরা অ্যাডমিন কর্তৃক দেয়া বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট করতে পারেন কিংবা message অপশনের মাধ্যমে কোম্পানি সম্পর্কে যে কোনো প্রশ্ন করতে পারেন। ফেসবুক প্রোফাইল অনেকে কোম্পানির নামে প্রোফাইল তৈরি করে থাকেন। এটা কখনও করবেন না। কারণ এটি মানুষের মাঝে বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং অন্যদের এ প্রোফাইলের সাথে ফ্রেন্ড হতে নিরুৎসাহিত করে। এক্ষেত্রে উচিত হবে, ব্যক্তির নামে প্রোফাইল তৈরি করা এবং তাদেরকে এ কোম্পানির স্টাফ হিসেবে দেখানো। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্যক্তিকে দেখেই কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষদের আস্থা তৈরি হয়। সুতরাং ব্যক্তিকে জনপ্রিয় করাটাও ব্যবসার মার্কেটিংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রিকস। যেমনঃ মনির হোসেন ক্রিয়েটিভ আইটিতে গ্রাফিকসে কোর্স করায় দেখে গ্রাফিকস কোর্স করার ক্ষেত্রে মানুষ এ প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করে। ফেসবুক গ্রুপ ব্যবসায়িক পণ্যের কিংবা সেবার নামে গ্রুপ তৈরি করতে পারেন। অর্থাৎ যদি আপনার প্রতিষ্ঠান গ্রাফিকস সার্ভিস দিয়ে থাকে, তাহলে creative graphics work- এ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করতে পারেন। এ গ্রুপে বিভিন্ন গ্রাফিকস সম্পর্কিত পোস্ট থাকবে। যারা গ্রাফিকসের কাজ পছন্দ করেন, তাদের নিয়ে একটি কমিউনিটি হবে এটি। ব্যবসার প্রসারে পেজ আগেই বলেছি ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়, ব্যবসার ব্রান্ডিংয়ের জন্য। এ পেজ কেন কিংবা কিভাবে ব্রান্ডিংয়ে কাজে লাগে সেটি দেখবো এবার। ব্যবসায়িক পেজ থাকার সুবিধা ফেসবুক পেজে অনেকজন অ্যাডমিন থাকার সুযোগ আছে। সুতরাং অনেকজন মিলে পেজ ম্যানেজ করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ সার্চ ইঞ্জিনের সার্চে ওয়েবসাইটের পণ্যকে খুঁজে পেতে বা র‌্যাংকিং-এ পেতে এ পেজ ভালোই কাজ করে। পেজ তৈরির সময় বিভিন্ন ক্যাটাগরি সিলেক্ট (লোকাল বিজনেস, ব্র্যান্ড, মিউজিশিয়ান ইত্যাদি) করতে হয়, যা ব্যবহারকারীকে পেজটি আরও বেশি প্রাসঙ্গিকভাবে খুঁজে পেতে সহায়তা করে। ফেসবুক পেজ তৈরি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হলে লিংক এখানে এসে আপনার উপযুক্ত ক্যাটাগরি বাছাই করবেন। যেহেতু আমরা এখানে ব্যবসার মার্কেটিংয়ের জন্য ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ে কথা বলছি, সুতরাং একদম প্রথমটি অর্থাৎ local business এ ক্লিক করতে হবে। এখান থেকে পেজ তৈরি করে প্রোফাইল আপডেটের মতো করেই পেজে ব্যবসার তথ্য দিয়ে আপডেট করে নিন। সে জন্য এডিট পেজে গিয়ে আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত তথ্য, ওয়েবসাইট ঠিকানা, লোগো ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আপনার পেজকে সক্রিয় করার জন্য কয়েকজন অ্যাডমিন বানিয়ে নিতে পারেন। বাইরে থেকে কেউ জানতেও পারবে না কে এই পেজের অ্যাডমিন। যেই অ্যাডমিন সেখানে কমেন্ট কিংবা পো্স্ট করুক, সেখানে পোস্টদাতার নাম হিসেবে পেজের নাম দেখাবে। সুতরাং সেই পেজের কোন অ্যাডমিন যদি কোন কারণে না থাকে, তারপরও কোন সমস্যা নেই। কীভাবে আপনার পেজের প্রচার করবেন বা ফ্যান বাড়াবেন? পেজ তৈরি শেষ, এখন এখানে ফ্যান বাড়াতে বাড়াতে হবে। ফ্যান বাড়ানোর জন্য কয়েকটি আইডিয়া দিচ্ছি। মানুষ সংযুক্ত থাকার উপযোগী পেজ পেজ তৈরি করলেন এবং বিভিন্ন জায়গাতে পেজটি শেয়ার করলেন কিংবা লাইক বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কুটকৌশল অবলম্বন করলেন কিংবা বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে লাইক বাড়ালেন। এভাবে বাড়ালে যে ব্যবসার প্রসারের জন্য লাইক বাড়ালেন, সে ব্যবসার তেমন কোন উপকারই হবেনা। পেজে এমন সব কনটেন্ট নিয়মিত পোস্ট করতে হবে, যাতে ব্যবহারকারীরা সেই পেজে যুক্ত হওয়ার মতও কোন কারণ খুঁজে পান। ইতোমধ্যে আপনার বিভিন্ন নেটওয়ার্কে থাকা বন্ধুদেরকে পেজে যুক্ত করুন নিজের প্রোফাইলে থাকা বন্ধুদের সবার প্রথমে যুক্ত করে নিন। আপনার মেইল লিস্টে থাকা বন্ধুদেরকেও পেজে যুক্ত করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তাদেরকেও অনুরোধ করুন, তাদের বন্ধুদেরকে আমন্ত্রণ জানাতে। ফ্যানদেরকে প্রতিটি পোস্টে সক্রিয় রাখুন মাঝে মাঝে বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে এমন পোস্ট করুন, যাতে পেজে উপস্থিত ফ্যানরা কমেন্ট করতে বাধ্য হয়। হতে পারে, কোন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আসলেন, সবাই সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যই সেখানে কমেন্ট করবে। আর যারা কমেন্ট করবে, তাদের প্রত্যেকের নিজেদের নিউজ ফিডে সেই পোস্টটি তখন দেখাবে। তাতে করে তার লিস্টে থাকা সকল বন্ধুরা পোস্টটি দেখতে পারবে এবং পেজটি সম্পর্কেও জানতে পারবে। এভাবে করে আপনার পেজে আরও বেশি ফ্যান যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। দ্রুত কিছু ফ্যান বৃদ্ধির জন্য ফেসবুক বিজ্ঞাপন গুগল অ্যাডওয়ার্ডের মত ফেসবুকেও টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ গ্রুপ এমন কি ইভেন্টেরও বিজ্ঞাপন দেয়া যায়। গুগল অ্যাডওয়ার্ডের মতো করেই নির্দিষ্ট দেশ, নির্দিষ্ট বয়সের ব্যবহারকারীরা দেখবে এরকমভাবে বিজ্ঞাপন সেট করে দেয়া যায়। ব্লগিংয়ের সময় পেজের লিংক প্রচার বিভিন্ন জায়গাতে গেস্ট ব্লগিংয়ের সময় ফেসবুক পেজের লিংক প্রচার করে আসতে পারেন। সে সব গেস্ট ব্লগিংয়ের নিয়মিত কিছু নির্দিষ্ট ভিজিটর থাকে। এমন কোন আর্টিকেল লিখেন যাতে সেইসব ব্লগিং সাইটের পাঠকরা ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে নিজের থেকেই আগ্রহবোধ করেন। এইসব আর্টিকেল থেকে আসা ফেসবুক ফ্যানরা আপনার ব্যবসার জন্য সবচাইতে বেশি কার্যকরী হবে। পার্সোনাল প্রোফাইল তৈরি কিভাবে ফেসবুকে পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়, সেটি লিখে আর্টিকেল বড় করার প্রয়োজন মনে করি না। কিন্তু ব্যবসার প্রোমোট করার জন্য প্রোফাইল কিভাবে আপডেট করতে হবে, সেটি নিয়ে একটু কথা বলব। ১. পার্সোনাল প্রোফাইলের About লিংকে গিয়ে, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সাথে যদি কোন কোর্স করার থাকে, তাহলে সেগুলো উল্লেখ করতে হবে। ২. About You-এ এমন কোন তথ্য দিন, যাতে আপনার কাজের ক্ষেত্রটা সহজেই বোঝা যায়। আপনাকে প্রফেশনালভাবে উপস্থাপন করতে হবে। ৩. contact information এ যোগাযোগের সকল মাধ্যমগুলোর তথ্য এখানে অবশ্যই উল্লেখ করবেন। মেইল অ্যাড্রেস, পার্সোনাল ওয়েবসাইট থাকলে সেটির ঠিকানা, স্কাইপ আইডি ও মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করুন। ৪. আপনার দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়, এমন কিছু ডিজাইন করে কভার ফটো হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ৫. প্রোফাইল ফটো হিসেবে নিজের স্মার্ট কোনো ছবি ব্যবহার করুন। এমন কোনো ছবি ব্যবহার করবেননা, যা আপনার প্রফেশনাল পরিচয়ের সাথে যায়না। ব্যবসার প্রসারে ফেসবুক গ্রুপ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি না করে ব্যবসায়িক পণ্য কিংবা সেবার উপর ভিত্তি করে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করলে, একটি ভালো কমিউনিটি গড়ে উঠার সম্ভাবনা থাকে। কীভাবে গ্রুপ তৈরি করবেন? প্রথমে নিচের লিংকে প্রবেশ করুন। এ পেজটিতে নির্দিষ্ট ঘরগুলো পূরণ করে create বাটনে ক্লিক করলেই গ্রুপ তৈরি হয়ে যাবে। গ্রুপ তৈরি হয়ে যাওয়ার পর যেকোনো সময় যেকোনো তথ্য পরিবর্তন করা যাবে। এরপরের কাজ হচ্ছে, আপনার লিস্টে থাকা বন্ধুদেরকে গ্রুপে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো। তারপর মূল কাজ অর্থাৎ নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। গ্রুপটিকে সচল রাখার জন্য নিয়মিত পোস্ট দিতে হবে। আর অবশ্যেই পোস্ট দিতে হবে যাতে সকল গ্রুপ মেম্বাররা সেখানে সক্রিয় থাকে। গ্রুপ মেম্বার বৃদ্ধির জন্য পেজের ফ্যান বৃদ্ধির পদ্ধতিগুলোকেই অনুসরণ করতে হবে। নতুন করে তাই কিছু লিখলাম না। বাংলাদেশী সক্রিয় ফেসবুকগ্রুপের সবচাইতে আদর্শ উদাহরণ হচ্ছে এখানেব্যবসার প্রসারে ফেসবুক প্রোফাইল পেজ, গ্রুপের মত পার্সোনাল প্রোফাইলকেও ব্যবসার প্রচারের কাজে ব্যবহারের জন্য সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। মাথাতে রাখতে হবে, ফেসবুকে মানুষ বিজ্ঞাপন দেখার জন্য আসেন না। এখানে প্রবেশ করে আড্ডা দেওয়ার জন্য কিংবা এন্টারটেইনমেন্টের জন্য কিংবা ব্যস্ততার ফাঁকে কিছুটা রিল্যাক্স হওয়ার জন্য। সে জন্য এখানে ব্যবসার প্রচারটা এমনভাবেই বুদ্ধি দিয়ে করতে হবে, যাতে মানুষ বিরক্ত না হয়। এমন পোস্ট করতে হবে, যেই পোস্ট মানুষ বাধ্য হবে শেয়ার করার জন্য, কিংবা কমেন্ট করার জন্য কিংবা লাইক করার জন্য। বাকিটুকু মনে হয় বলার দরকার নেই, পোস্টটি কোন ধরনের হবে। তবে সেটির জন্য অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। কোম্পানির নামে ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করা খুব ভালো কোন আইডিয়া না। ফেসবুকে কীভাবে বিজ্ঞাপন দিবেন? ব্যবসা, গ্রুপ কিংবা পেজকে প্রচুর পরিমানে প্রমোট করার জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন শুরু এবং পরবর্তীতে ম্যানেজ করার পদ্ধতি গুগল অ্যাডওয়ার্ডের মতো একই রকম। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য নিচের লিংকে প্রবেশ করুন । এরপর ডানে থাকা Create an Ad এ ক্লিক করুন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ফেসবুকে লগইন থাকতে হবে। সেই বাটনে ক্লিক করলে নতুন যে পেজ আসবে সে পেজে নিজের ছবির মতো দেখতে পারবেন। এখান থেকে আপনি যেই বিষয়ের (group, page, website etc) প্রমোট করবেন, সেটিতে ক্লিক করবেন। যদি ওয়েবসাইটের প্রমোট করতে চান তাহলে সেটি সিলেক্ট করলে চিত্র:২ এর মতো কিছু দেখতে পারবেন। এবার নির্দিষ্ট ঘরে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখে continue বাটনে ক্লিক করলে অন্য একটি পেজ পাবেন। সেই পেজটি হচ্ছে আপনার আসল কাজের জায়গা। সেখানেই আপনার বিজ্ঞাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু পূরণ করতে হবে। কোন কোন দেশ থেকে দেখতে পারবে, কোন বয়সের মানুষদের প্রোফাইলে বিজ্ঞাপনটি প্রদর্শন করবে, ক্যাম্পেইন বাজেট সহ আরো অনেক কিছুই এ পেজ থেকে সেট করতে পারবেন। তারপর পুরো ক্যাম্পেইনকে মনিটরিং করার জন্য বিজ্ঞাপন ম্যানেজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। সেটির লিংক এখানেশেষ কথা বর্তমান যুগে ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে সকল মানুষগুলো প্রচুর পরিমানে উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সেজন্য চিরাচরিত পদ্ধতিগুলোতে মার্কেটিং করার চাইতে অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে মার্কেটিং করলে সবচাইতে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যাবে। গুগল প্লাসকেও মার্কেটিংয়ের কাজে অনেকটা একই পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু মার্কেটিংয়ের কাজে এমন কোন কাজ করা যাবেনা, যেটা আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের বিরক্তির কারণ সৃষ্টি হতে পারে। বিভিন্ন সময় এসব সাইটগুলোতে নতুন নতুন ফিচার যোগ করা হয়, আবার পূর্বের ফিচারগুলোতেও নতুন নতুন পরিবর্তন আনা হয়। সেজন্য নিজের থেকেও অনেক কিছু খুঁজে বের করতে হবে।

https://www.priyo.com/articles/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0

ব্যবসার পরিকল্পনার সময় যে পাঁচটি কাজ আপনাকে করতেই হবে

Picture

কথায় আছে, ‘পরিকল্পনা করতে যে ভুল করলো, সে যেন অকৃতকার্য হওয়ার পরিকল্পনাই তৈরি করলো।’ তাই যে কোন কাজ করার আগে একটি ভাল পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সেটি যখন ব্যবসায়ের জন্য করা হয়, তখন তা অবশ্যই হতে হবে নিখুঁত। ব্যবসায় পরিকল্পনা করার সময় যে পাঁচটি বিষয় আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে চলুন জেনে নিই সেসব।

১) পরিকল্পনা লিখিত হতে হবেঃ
ব্যবসায়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনে রাখতে হবে মৌখিক কোন পরিকল্পনা বা চুক্তির মূল্য নেই। পরিকল্পনা অবশ্যই লিখিত হতে হবে। উদ্যোক্তাদের মাথায় প্রতিদিনই কোন না কোন পরিকল্পনা আসে। তবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক তা লিখে ফেলতে হবে। পরিকল্পনা লিখিত হওয়ার জন্যে নিচের এই তিনটি কারণ যথেষ্ট।

  • কয়েকটি পরিকল্পনার সাথে তুলনা করা।
  • ব্যাংক ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করা।
  • বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করা।

২) ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য পরিষ্কার থাকতে হবেঃ
মনে রাখতে হবে, শুধু পণ্য বিক্রি করাটাকেই ব্যবসা বলে না। ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য সহজ সরল ও পরিষ্কার- মুনাফা অর্জন। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল ইঁদুর ধরার কল বানাতে পারেন, যার দাম ঠিক করলেন ৫০০ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা শুধু ২০০ টাকা দিতে রাজি। এইভাবে ব্যবস করার কোন যুক্তি নেই। যখন আপনার মনে হবে এই দামটা যুক্তিযুক্ত এবং এটির মাধ্যমে আপনার মুনাফা করার সুযোগ আছে কেবল তখনই সামনে এগোবেন।

৩) প্রচুর গবেষণা করতে হবেঃ
আপনার ব্যবসায় পরিকল্পনা তখনই সফল হবে যখন আপনি এর সাথে গবেষণা যোগ করবেন। “এই ব্যবসায় পরিকল্পনাটা কি কাজ করবে?” এই প্রশ্নটা যখন মাথায় আসবে তখনই উপযুক্ত সময় বাজার গবেষণা করে এর উত্তর খুঁজে নেয়ার। গবেষণা করে আরো যে সকল উত্তর খুঁজে নিতে পারেন।

  • এই ব্যবসায়ের ইতিহাস কেমন?
  • বাজারে এ পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান গুলোর কি অবস্থা?
  • ভোক্তাদের চাহিদা কেমন?
  • সারা বছরই কি এর চাহিদা থাকে?

প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেলে বুঝতে হবে এবার আপনি ব্যবসা শুরু করতে প্রস্তুত।

৪) পরীক্ষামূলক বাজারে প্রবেশঃ
‘আপনি’ এবং ‘আপনি কি করতে চাইছেন’ এটি ব্যবসায় পরিকল্পনা সমীকরণের অর্ধেকটা মাত্র। বাজার ভিন্ন একটি জিনিস। বই পড়ে পড়ে যতই আপনি সাঁতারের সব পরিকল্পনা করেন না কেন, পানিতে নামলে স্রোত দেখে তারপর আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি আগেও বলা হয়েছে, আপনি যদি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল পণ্যটি তৈরি করে বসে থাকেন, কিন্তু ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা না থাকলে এটির কোনই মূল্য নেই।
তাই ব্যবসায় পুরোপুরি শুরু করার আগে আপনার পণ্যটি পরীক্ষামূলক ভাবে বাজারে ছেড়ে দেখতে পারেন। এরপর বিক্রয় কর্মীর থেকে গ্রাহকদের মতামত জেনে নিন।

৫) আর্থিক পরিকল্পনা নিখুঁত রাখতে হবেঃ
ব্যবসায়ের একদম শুরু থেকেই যথাযথ ভাবে সব হিসাব সংরক্ষণ করুন। আপনাকে সবসময় নিচের তিনটি আর্থিক বিবরণী চোখের সামনে রাখতে হবে।

  • Income Statement
  • Cash flow projection
  • Balance Sheet

আর্থিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই দুইটি ভুল করে থাকেন। প্রথমত, তারা খরচের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। ভাবনাটা এমন থাকে প্রথম প্রথম পণ্য বাজারে ছাড়ার ক্ষেত্রে খরচ তো হবেই। এতে অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়েও অধিক খরচ হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ত, লাভের ক্ষেত্রে এরা অনেক বেশি পরিমাণ আশাবাদী হয়ে থাকে। এটা ঠিক যে, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা ভাল। তবে আপনাকে মুদ্রার অপর পিঠের চিত্রটাও মনে রাখতে হবে। মুনাফা তো হবেই-এই চিন্তাটা অনেক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

মনে রাখতে হবে, অধ্যবসায় আর সংকল্প কোন কাজে সফলতার চূড়ান্ত চাবিকাঠি। আর তার সাথে যদি যোগ হয় একটি ভাল পরিকল্পনা, সফলতা তাহলে কিন্তু খুব বেশি দূরে নয়। তাই আপনার ব্যবসায়ের জন্যে একটি নির্ভুল পরিকল্পনা তৈরি করুন।

তথ্যসূত্র : পরামর্শ.কম

ই-কমার্স ব্যবসায় পুঁজি পরিকল্পনা: ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে

Picture

আমাদের দেশে ই -কমার্সের ইতিহাস পনের বছরের। কিন্তু এর সাফল্য সে তুলনায় কম। ডেলিভারী ও পেমেন্ট গেটওয়ে নিয়ে সমস্যা ছিল বলে ব্যবসাটা এগোয়নি। আর বর্তমানে এই দুটি বিষয়ে অনেকটা সমাধান আসার পরও এই বিজনেস সেক্টর আমাদের আশপাশের দেশের তুলনায় পিছিয়ে, এমনকি ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার চেয়েও। এর কারণ হলো আমাদের এখানে ই-কমার্স মানে সবার ধারণা এটা একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে পন্যের ছবি তুলে দিলেই। বাজিমাত। অথচ অন্যান্য ব্যবসার মতো এটাও যে একটা ব্যবসা এই কথা সবাই ভুলে যায়। যদিও ইদানিং ফেসবুক মার্কেটিং করে অনেকে কাস্টমার কানেক্ট করছেন। তবুও ব্যবসায়ের জন্য আরও অনেক কিছু জানা বোঝা প্রয়োজন। তার মধ্যে অন্যতম হলো পরিকল্পনা।

আপনার কত টাকা পুঁজি হলে আপনি কিভাবে ব্যবসার প্লান করবেন, সেই রোডম্যাপ থাকলো আজ। আপনি যার কাছে যে সার্ভিসের জন্য যাবেন তার রেট অনুসারে ১৫-২০ শতাংশ বেশী খরচ হতে পারে। এটা কিন্তু ব্যবসার ধরন ও পর্যায় অনুসারে কম বেশী হবে। আবার উদ্যোক্তার যোগ্যতার উপর ভিত্তি করেও কমবেশী হবে। কারণ যিনি নিজে ওয়েব ডিজাইন করবেন। তার জন্য বিষয়টি একটু অন্যরকমই হবে।

আর একটা কথা বলে রাখা দরকার, এখানে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হিসেবটা দিলাম। আপনি একজন ব্যবসায়ী, আপনার নিজস্ব প্লান পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। জরুরী নয় যে সেটার সাথে আমার চিন্তা মিলতে হবে।

১. যদি আপনার পুঁজি হয় মাত্র ১০০,০০০ টাকা
অফিস: দরকার নেই, আপনার বাসাকে ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন
কর্মচারী বেতন: দরকার নেই, হয়তো একজন থাকতে পারে, যদি আপনার সময় না থাকে: ৮,০০০ টাকা
ডোমেইন, হোস্টিং ও ওয়েবসাইট: সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা
নাম লোগো ডিজাইন: নিজেই করুন, বা পরিচিত কারো সাহায্য নিন
কার্ড প্যাড খাম ছাপা: কার্ড ৫০০ টাকা, মানি রিসিপ্ট ১৫০০ টাকা: মোট ২০০০ টাকা
ব্রশিওর ছাপা: দরকার নেই,
শপিং ব্যাগ ছাপা: দরকার নেই,
পেমেন্ট গেটওয়ে: এই সার্ভিসটা নিন- ২০০০ টাকা:
ব্যাংক একাউন্ট: ২০০০ টাকা
মার্কেটিং- সোশ্যাল মিডিয়া: বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে পেইজ খুলুন
মার্কেটিং- ব্লগ: বিভিন্ন ব্লগে নিজেই লিখুন
মার্কেটিং- ফেস্টুন: ২০টা ফেস্টুন লাগান : খরচ কমপক্ষে ৪,০০০ টাকা
মার্কেটিং- ফোন: কিছু লোককে ফোন দিয়ে জানাতে পারেন, খরচ ২০০০ টাকা
মার্কেটিং- এসএমএস: আপনার ফোন থেকে কমদামে এসএমএস কিনুন, খরচ ১০০০ টাকা
মার্কেটিং- ফেইসবুক: ফেইসবুকে পেইজে লাইক ও মেম্বার বাড়ান, বুস্ট পোস্ট: ২০০০ টাকা
মার্কেটিং- ই মেইল: নিজের মেইল থেকে পরিচিতদের মেইল পাঠান
মার্কেটিং- লিফলেট/ স্টিকার: ৫০০০ স্টিকার বা লিফলেট ছাপুন- ৫০০০ টাকা,
প্যাকিং সরঞ্জাম: অর্ডারের পরে, আপাতত অল্পকিছু কিনুন খরচ ২০০০ টাকা
যাতায়াত ও যোগাযোগ: পণ্য ক্রয়মূল্যের সাথে হিসাব করুন। তবুও অন্যান্য : খরচ ২০০০ টাকা
পণ্য স্টক করা: দুই ধাপে ২০+২০= ৪০ হাজার টাকা
কুরিয়ার খরচ: প্রথমদিকে ৫,০০০ টাকা
ট্রেড লাইসেন্স ও টিন: ৩০০০ টাকা
ই ক্যাব মেম্বারশিপ: ৩০০০ টাকা
অন্যান্য খরচ: ৫০০০ টাকা
মোট খরচ: কমবেশী: ১০০, ০০০ টাকা। আপনার নিজস্ব প্লান এর উপর ভিত্তি করে কমবেশী হতে পারে।
নোট: একটা কথা মনে রাখবেন, আপনার পুঁজি যত কম হবে। পন্য এবং মার্কেটিংয়ে আপনি তত কম বিনিয়োগ করবেন। সূতরাং বিক্রিও সে হারে হবে। তাই এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে মাসে ৫০ হাজার টাকার লেনদেন করলে হয়তো ৮/১০ হাজার টাকা লাভ হবে। আপনাকে সেভাবেই ভাবতে হবে। যদি আপনি ব্যবসাটাকে চালিয়ে নিতে পারেন। তাহলে হয়তো একদিন কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।

২. যদি আপনার পুঁজি হয় মাত্র ২০০,০০০ টাকা
অফিস: দরকার নেই, আপনার বাসাকে ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন
কর্মচারী বেতন: যদি আপনার সময় না থাকে: ৮,০০০ টাকা। দক্ষ কর্মী হলে আরো বেশী প্রয়োজন হতে পারে।
ডোমেইন, হোস্টিং ওয়েবসাইট কমপক্ষে: ১০,০০০ টাকা, তবে ভালো একটা সাইটের জন্য বাজেট বাড়তে পারে।
নাম লোগো ডিজাইন: নিজেই করুন, বা পরিচিত কারো সাহায্য নিন। অথবা ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা
কার্ড প্যাড খাম ছাপা: কার্ড ৫০০ , রিসিপ্ট ১৫০০, প্যাড ২০০০: মোট ৪০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা
ব্রশিওর ছাপা: দরকার নেই,
শপিং ব্যাগ ছাপা: দরকার নেই,
পেমেন্ট গেটওয়ে: এই সার্ভিসটা নিন- ২০০০ টাকা।
ব্যাংক একাউন্ট: ২০০০ টাকা
মার্কেটিং- সোশ্যাল মিডিয়া: বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে পেইজ খুলুন
মার্কেটিং- ব্লগ: বিভিন্ন ব্লগে নিজেই লিখুন
মার্কেটিং- ফেস্টুন: ৩০টা ফেস্টুন লাগান : খরচ ৬, ০০০ টাকা
মার্কেটিং- ফোন: কিছু লোককে ফোন দিয়ে জানাতে পারেন, খরচ ২০০০ টাকা
মার্কেটিং- এসএমএস: আপনার ফোন থেকে কমদামে এসএমএস কিনুন, খরচ ২০০০ টাকা
মার্কেটিং- ফেইসবুক: ফেইসবুকে পেইজে লাইক ও মেম্বার বাড়ান, বুস্ট পোস্ট: ৩০০০ টাকা
মার্কেটিং- ই মেইল: পরিচিতদের মেইল পাঠান, ফ্রি। নেট বিল: ১০০০ টাকা
মার্কেটিং- লিফলেট/ স্টিকার:৫০০০ স্টিকার বা লিফলেট ছাপুন- ৫০০০ টাকা
প্যাকিং সরঞ্জাম: অর্ডারের পরে, আপাতত অল্পকিছু কিনুন খরচ ৩০০০ টাকা
যাতায়াত ও যোগাযোগ: পণ্য ক্রয়মূল্যের সাথে হিসাব করুন। তবুও অন্যান্য : খরচ ২০০০ টাকা
কুরিয়ার খরচ: প্রথমদিকে ৫০০০ টাকা
ট্রেড লাইসেন্স ও টিন: ৪০০০ টাকা
ই ক্যাব মেম্বারশিপ: ৩০০০ টাকা
অন্যান্য খরচ: ৬, ০০০ টাকা
পণ্য স্টক করা: তিন ধাপে ২০+৩০+৫০= ১০০,০০০ হাজার টাকা
কিছু টাকা ঝুঁকি তহবিল হিসেবে রাখুন: রিজার্ভ ফান্ড: ২০,০০০ টাকা
মোট: ২০০, ০০০ টাকা।
এভাবে আপনি একটা প্লান ২০০,০০০ টাকার মধ্যে করতে পারেন। তবে এই প্লান অনুসরণ করা আপনার কাজ নয়। আপনার কাজ হলো ধারনা নেয়া এবং নিজের পরিকল্পনা সব কিছু সাজিয়ে নেয়া। সফল হওয়ার জন্য আপনার চাই এমন এক ক্ষমতা যে ক্ষমতা থাকলে আপনি নিজেই পরিকল্পনা করতে পারেন। এটা দেখে আপনি কেবল নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পারেন।

৩. যদি আপনার পুঁজি হয় মাত্র ৩০০,০০০ টাকা
অফিস: দরকার নেই, আপনার বাসাকে ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ব্যবসার ধরণ ও অবস্থার উপর আপনার এটা প্রয়োজন হতে পারে।
কর্মচারী: একজন বা দুইজন লোক রাখতে পারেন: কমবেশী ২০,০০০ টাকা
ডোমেইন, হোস্টিং ওয়েবসাইট: ১০,০০০ টাকা- ২০,০০০ হাজার টাকা।
নাম লোগো ডিজাইন: নিজেই করুন, বা পরিচিত কারো সাহায্য নিন।
কার্ড প্যাড খাম ছাপা: কার্ড ৫০০, রিসিপ্ট ১৫০০, প্যাড ২০০০: মোট ৪০০০ টাকা -৫০০০ টাকা। আরো বেশী হতে পারে।
ব্রশিওর ছাপা: ২০০০ কপি: ৫০০০ টাকা। সংখ্যা ও কোয়ালিটির উপর নির্ভর করবে।
শপিং ব্যাগ ছাপা: দরকার নেই,
পেমেন্ট গেটওয়ে: এই সার্ভিসটা নিন- ২০০০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশী হতে পারে।
ব্যাংক একাউন্ট: ২০০০ টাকা। এটা কিন্তু খরচ নয়। এই টাকা আপনার একাউন্টে জমা থাকেবে।
মার্কেটিং- সোশ্যাল মিডিয়া: বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে পেইজ খুলুন
মার্কেটিং- ব্লগ: বিভিন্ন ব্লগে নিজেই লিখুন
মার্কেটিং- ফেস্টুন: ৬০টা ফেস্টুন লাগান : খরচ ১২,০০০ টাকা
মার্কেটিং- ফোন: কিছু লোককে ফোন দিয়ে জানাতে পারেন, খরচ ৩০০০ টাকা
মার্কেটিং- এসএমএস: আপনার ফোন থেকে কমদামে এসএমএস কিনুন, খরচ ৩০০০ টাকা
মার্কেটিং- ফেইসবুক: ফেইসবুকে পেইজে লাইক ও মেম্বার বাড়ান, বুস্ট পোস্ট: ৪০০০ টাকা
মার্কেটিং- ই মেইল: পরিচিতদের মেইল পাঠান, ফ্রি। নেট বিল: ১০০০ টাকা
মার্কেটিং- লিফলেট/ স্টিকার: ৫০০০ স্টিকার বা লিফলেট ছাপুন- ৫০০০ টাকা
প্যাকিং সরঞ্জাম: অর্ডারের পরে, আপাতত অল্পকিছু কিনুন খরচ ৫০০০ টাকা
যাতায়াত ও যোগাযোগ: পণ্য ক্রয়মূল্যের সাথে হিসাব করুন। তবুও অন্যান্য : খরচ ৩০০০ টাকা
কুরিয়ার খরচ: প্রথমদিকে ৭,০০০ টাকা
ট্রেড লাইসেন্স ও টিন: ৪০০০ টাকা
ই ক্যাব মেম্বারশিপ: ৩০০০ টাকা
অন্যান্য খরচ: ৭, ০০০ টাকা
নিজের খরচ: বেতন বা সম্মানী :১০,০০০ টাকা
পণ্য স্টক করা: তিন ধাপে ৩০+৪০+৫০= ১২০,০০০ হাজার টাকা
কিছু টাকা ঝুঁকি তহবিল হিসেবে রাখুন: রিজার্ভ ফান্ড: ৬০,০০০ টাকা
মোট: ৩০০, ০০০ টাকা।
নোট: সাধারণত ব্যবসায় বাণিজ্যের আধুনিক ধারনায় একটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে। সেটা হচ্ছে নিজের বেতন যোগ করা। কারণ আপনি যে কাজটা করেন। সেটা যদি আপনি না জানতেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন লোক নিয়োগ করার প্রয়োজন হত। তাই এটা হিসেব করবেন। এর আরেকটি সুবিধা হলো, আপনার ব্যবসায় লোকসান হলেও আপনার পারিশ্রমিকটা তো আপনি পেলেন।

৪. যদি আপনার পুঁজি হয় মাত্র ৫০০,০০০ টাকা
অফিস: এটা এক্ষেত্রে দরকার হতে পারে। খরচটা কিন্তু আপেক্ষিক। তবে ব্যবসা চালানোর মতো আপনার কোনো ঠিকানা থাকলে না নিলেও চলবে।
কর্মচারী: একজন বা দুইজন লোক রাখতে পারেন: ২০,০০০ টাকা , আরো একজন নিলে আরো বাড়বে।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার রাখুন: ১৪,০০০। ব্যক্তি ও কাজ অনুসারে খরচ আসবে।
ডোমেইন, হোস্টিং: ১০,০০০ টাকা। ওয়েবসাইটও ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু আপনি চাইলে ৮০,০০০ টাকা খরচ করতে পারেন। তবে সিকিউরিটি, কোয়ালিটি, মেইনটেনেন্স সব মিলিয়ে এটা ৫০,০০০ ধরে রাখতে পারেন।
নাম লোগো ডিজাইন: ৫০০০ টাকা
কার্ড প্যাড খাম ছাপা: কার্ড, রিসিপ্ট, প্যাড, মিনিপ্যাড ও খাম: ৮,০০০ টাকা। কোয়ালিটি মানসম্পন্ন এবং পরিমানে বেশী করলে এই খরচ দ্বিগুণের বেশিও হতে পারে।
ব্রশিওর ছাপা: ৫০০০ কপি: ৭,০০০ টাকা। এটা কোয়ালিটির উপর ৭০,০০০ টাকা খরচ করলেও আপনাকে কে নিষেধ করবে। কিন্তু প্রথম দিকে প্রচারণাটা যেমন একটু বেশী দরকার হবে। তেমনি হিসেব করে খরচ করাটাও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
শপিং ব্যাগ ছাপা: ১০০০ ব্যাগ: মোট ১৫,০০০ টাকা- ২০,০০০ টাকা
পেমেন্ট গেটওয়ে: এই সার্ভিসটা নিন- ২০০০ টাকা।। আরো বেশী কেউ 10,000 টাকাও নিয়ে থাকেন।
ব্যাংক একাউন্ট: ২০০০ টাকা
মার্কেটিং- সোশ্যাল মিডিয়া: বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে পেইজ খুলুন
মার্কেটিং- ব্লগ: বিভিন্ন ব্লগে নিজেই লিখুন
মার্কেটিং- ফেস্টুন: ১০০ টা ফেস্টুন লাগান : খরচ ২০,০০০ টাকা। যতো বেশী লাগাবেন তত বেশী খরচ।
মার্কেটিং- ফোন: কিছু লোককে ফোন দিয়ে জানাতে পারেন, খরচ ৫০০০ টাকা
মার্কেটিং- এসএমএস: আপনার ফোন থেকে কমদামে এসএমএস কিনুন, খরচ ৫০০০ টাকা
মার্কেটিং- ফেইসবুক: ফেইসবুকে পেইজে লাইক ও মেম্বার বাড়ান, বুস্ট পোস্ট: ১০,০০০ টাকা
মার্কেটিং- ই মেইল: পরিচিতদের মেইল পাঠান, ফ্রি। নেট বিল: ১০০০ টাকা
মার্কেটিং- লিফলেট/ স্টিকার: ১০,০০০ স্টিকার বা লিফলেট ছাপুন- ১৫,০০০ টাকা
মার্কেটিং এর বাজেটটা আপনি আলাদা তৈরী করবেন। তারপর খাত হিসেবে ভাগ করবেন। জরুরী নয় যে সব ধরনের মার্কেটিং করতে হবে। আপনার টার্গেট পিপল কোনটাতে বেশী আকৃষ্ট হবে। সেটা অবলম্বন করতে হবে।
প্যাকিং সরঞ্জাম: অর্ডারের পরে, আপাতত অল্পকিছু কিনুন খরচ ১০,০০০ টাকা
যাতায়াত ও যোগাযোগ: পণ্য ক্রয়মূল্যের সাথে হিসাব করুন। তবুও অন্যান্য : খরচ ৫০০০ টাকা
কুরিয়ার খরচ: প্রথমদিকে ১০,০০০ টাকা
ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট ও টিন: ৫০০০ টাকা
ই ক্যাব মেম্বারশিপ: ৩০০০ টাকা
ই ক্যাবে একটি প্রোগ্রামে স্পন্সরশীপ: ৫০০০ টাকা
অন্যান্য খরচ: ১০, ০০০ টাকা
একজন প্লানিং ও মার্কেটিং কনসালটেন্ট : একবারের জন্য: ১০,০০০ টাকা
নিজের খরচ: বেতন বা সম্মানী :১৫,০০০ টাকা
পণ্য স্টক করা: তিন ধাপে ৫০+৭০+১০০= ২২০,০০০ হাজার টাকা
কিছু টাকা ঝুঁকি তহবিল হিসেবে রাখুন: রিজার্ভ ফান্ড: ৮০,০০০ টাকা
মোট: ৫০০, ০০০ টাকা।
শেষ কথা: শুধুমাত্র খরচের প্লান দিয়ে একটা কোম্পানীর সফলতা ব্যর্থতা নির্ভর করে না। আরো অনেক নিয়ামক যোগ্যতা অভিজ্ঞতা মানসিকতা ব্যবসায় বোঝা এবং পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয়ের উপর তা নির্ভর করে । তবুও একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম। তবে ব্যবসায়ের ধরণ, পণ্যের ক্যাটাগরি এবং টার্গেট পিপলস এর উপর নির্ভর করে এই প্লানে অনেক হেরফের হবে।

আর একটা কথা এই প্লানটাতে মোটা দাগে ৫ ভাগের তিনভাগ অর্থ দেখানো হয়েছে পণ্য ক্রয় করার জন্য। বাকী ২ ভাগ মার্কেটিং সহ অন্য বিভাগে। আপনার পণ্য বিক্রি না হলে আপনি হয়তো সেগুলো পরে কমদামে বেচে কিছু টাকা তুলে আনতে পারবেন। কিন্তু অন্যান্য খরচ আপনার আর ফিরে আসবেনা। তাই খরচ করার সময় সঠিকভাবে করুন। জেনে বুঝে করুন। আপনার জন্য শুভ কামনা। ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র : প্রিয়টেক

ব্যবসা শুরুর আগে যা যা জানতে হবে

Picture

ভুমিকাঃ

বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত ও তৃতীয় বিশ্বের দেশ। আমাদের দেশে দারিদ্রের হার অনেক বেশি। রাজনীতিবিদদের খাম-খেয়ালীপনার কারনে আমাদের অর্থনীতি তেমনভাবে অগ্রসর হতে পারে নি। বেকারত্বের হার এ দেশে প্রকট। তার কারন শিক্ষিত তরুণদের অনুপাতে প্রয়োজনীয় পদ নেই।
এই কারনে আমাদের দেশে চাকরির বাজারে তীব্র প্রতিদ্বন্দীতার মুখামুখি হতে হচ্ছে তরুণদের। বর্তমানে বাংলাদেশে চাকরি পাওয়া সোনার হরিণ হাতে পাওয়ার মতই। এ ছাড়া সরকারি চাকরি পেতে লাগে মামা চাচা বা ঘুষ :p।
দূষ্প্রাপ্য চাকরির বাজারে বেকারত্ব দূর করতে পারে একমাত্র আত্ন-কর্মসংস্থান। নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি অন্যকেও চাকরি দেওয়া যায়। অনেকেই এখন ব্যবসায়ের দিকে ঝুকে পড়েছেন। ব্যবসা শুরু করতে হলে কিছু ব্যবসায়িক গুনাগুণ থাকতে হয়। একজন ব্যবসায়ির গুণাবলী আলোচনা করা হল।

ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যবসাঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ব্যবসাকে হালাল ও সম্মানজনক পেশা বলে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত হয় ব্যবসা হালাল পেশা। পৃথিবীতে সর্ব প্রথম কর্মের সূচনা হয়েছিল আত্ন-কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে। অনেক নবী-রাসূল ও সাহাবী ব্যবসা করেছে। কুদুরী গ্রন্থাকার আল্লামা কুদুরী হাড়ি পাতিলের ব্যবসা করতেন। কুদুরী অর্থ হাড়ি পাতিল। সেই থেকে উনার নাম হয়ে গেছে কুদুরী।

পূর্ব পরিকল্পনাঃ

শুধু ব্যবসা নয় যে কোন কাজের ক্ষেত্রেই পূর্ব পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্যবাসার ধরন কি হবে? প্রতিযোগি কেমন হবে? পুজি কত হবে? ওই ব্যবসা কেমন লাভজনক? ইত্যাদি পরিকল্পনা করে এগুতে হবে।

সঠিক স্থান নির্বাচনঃ

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে স্থান নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগলিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে আপনার ব্যবসা কেমন চলবে? সব সময় লোকে লোকারণ্য থাকে, ৩/৪ গ্রামের মানুষ এক সাথে মিলিত হয় এমন জায়গা, বড় বাজার, দৈনিক বাজার এই রকম জায়গা নির্বাচন করতে হবে। এ ছাড়া আশে পাশের এলাকায় আপনার ব্যবসায়িক পণ্যের চাহিদা আছে কিনা তাও খেয়াল রাখতে হবে।

কি ধরনের ব্যবসা করবেনঃ

বর্তমানে অনেক ব্যবসাই বহুল প্রচলিত। হয়ত দেখা যাবে আপনার পছন্দের জায়গায় একই রকম দোকানে ভরপুর। এ রকম হলে হালে পানি পাবেন না। তাই এমন ব্যবসা ব্যতিক্রমি কিন্তু লাভজনক। এই ধরনের ব্যতিক্রমি ব্যবসা করতে পারলে দ্রুত সফল হবেন এবং প্রতিদ্বন্দী ও অনেক কম। কি কি ব্যতিক্রমি ব্যবসা করা যায় তা আমরা পরবর্তীতে ডক আকারে জানাবো ইনশাআল্লাহ।

থাকতে হবে সততাঃ

ব্যবসা করার জন্য সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অসাদুপায় অবলম্বন করে সাময়িকভাবে লাভবান হওয়া গেলেও পরে অনেক মাশুল দিতে হয়। কোন কাষ্টমারের সাথে প্রতারণা করবেন তো সে আর এই জিন্দেগীতেও আপনার দোকানমুখি হবে না। এইভাবে একদিন দেখবেন আপনার ব্যবসা কাষ্টমার শূন্য হয়ে গেছে। প্রতারণা ও ধোকাবাজি শয়তানের কাজ। এ ছাড়া ক্রেতা ঠকিয়ে যত উপার্জন করবেন সবই হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই একজন আদর্শ ব্যবসায়ী হতে হলে সৎ, নিষ্ঠাবান হতে হবে এবং লোভ-লালসা থেকে দূরে থাকতে হবে।

হতে হবে ধৈর্য্যশীলঃ

ধৈর্য্য না থাকলে ব্যবসায়ে উন্নতি করা সম্ভব নয়। আজ ব্যবসা শুরু করবেন আর ২/৩ দিন পর কোটি পতি হয়ে যাবেন এই রকম আশা নিয়ে ব্যবসা শুরু করা ঠিক নয়। অনেকই আছেন অল্পতই হতাশ হয়ে পড়েন। হতাশ না হয়ে ধৈর্য্যের সাথে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ধীরে ধীরে এগুতে হবে।

দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হতে হবেঃ

দৃঢ় মনোবল ছাড়া ব্যবসা করা সম্ভব নয়। লাভ-ক্ষতি এগুলি ব্যবসায়েরই অংশ। কোন করনে ক্ষতির সম্মোখিন হলে তা মেনে নেয়ার মত মানসিকতা থাকতে হবে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে উত্থান-পতন আছেই। লোকশানে পড়লে ভেংগে না পড়ে আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার নব উদ্যোমে শুরু করতে হবে। আগের ব্যর্থতার কারনগুলি চিহ্নিত করে তার প্রতিকার করতে হবে। বারবার চেষ্টা করলে সাফল্য ধরা দেবেই ইনশাআল্লাহ।

কঠোর পরিশ্রমী হতে হবেঃ

শুধু ব্যবসা নয় যে কোন পেশাতেই পরিশ্রম ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব প্রায়। আপনি পরিশ্রম না করে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ব্যবসা করবেন তা হবে না। পরিশ্রম করার পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তার ও পরিচয় দিতে হবে। আপনার প্রতিদ্বন্দী কারা, তাদের ব্যবসায়ীক নীতি কি? এইসব বুঝে শুনে তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে হবে।

এ ছাড়াও একজন উদ্যোক্তার আরো যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তা হলো আত্নবিশাসী, স্বাধীনচেতা, উদ্যোমী, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, ঝুকি গ্রহণের ক্ষমতা ইত্যাদি।

  তথ্যসূত্র: কলতান.নেট

স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করার নিয়মাবলী

Picture

বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই তাদের ব্যবসা শুরু করে অল্প পুঁজি নিয়ে। পৃথিবীর বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো এদের বেশির ভাগই শুরু হয়েছিল অল্প পুঁজি নিয়ে। এদের মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান সফল হয়েছে তাদের নামই আমরা শুনতে পাই। যেসব প্রতিষ্ঠান সফল হতে পারে নি তাদের নাম আমরা শুনতে পাই না। তবে নিশ্চয়ই আমরা অনুমান করতে পারি যে, যারা সফল তাদের কাজের ধরণ আর যারা ব্যর্থ তাদের কাজের ধরণ এক ছিলো না। এখন আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলবো যেগুলো সফল ব্যাক্তিরা তাদের ব্যবসা শুরু করার সময় অনুসরণ করতেন।


যারা স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরুর চিন্তা করছেন তারা যদি এ বিষয়গুলো মেনে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন তবে তাদের দ্বারা সফল হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি হবে।
অন্যের কথায় ভয় পাওয়া যাবে না

অনেকেই খুব সহজে বলে থাকে তুমি যা করছো তা ঠিকমতো হচ্ছে না, তোমার এখন অন্য কিছু শুরু করা উচিত। এরকম কথা বলা খুবই সহজ। যদি আপনি এসব কথায় প্রভাবিত হোন তাহলে ভাববেন বিষাক্ত কোন ঔষধ গেলা আরম্ভ করছেন। আপনি যদি এরকম কথায় প্রভাবিত হয়ে থাকেন তবে এখনই এ প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজের মত করে আপনার প্রতিষ্ঠানকে চালিয়ে নিয়ে যান। আপনার নিজের কাছে যখন মনে হবে আর চালিয়ে নেয়া সম্ভব না ঠিক তখনই থামেন। অন্যের কথায় কখনো আপনার প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করা যাবে না।
মিতব্যায়ী হোন

কাস্টমার নিয়মিত আসা শুরু করার আগে জাঁকজমক অফিস নির্মানের কোন প্রয়োজন নেই। যদিও বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই এ ভুলটা করে থাকে। প্রথমেই সুন্দর ও আকর্ষনীয় অফিস দিয়ে কাস্টমারদের আকর্ষনের চেষ্টা করেন অনেকেই। তবে শুরুতেই এটা করতে যাওয়া এক ধরণের বোকামি। একইভাবে প্রথমেই উচ্চ প্রযুক্তির কম্পিউটার বা সফটওয়্যার এর কোন প্রয়োজন নেই। কারণ এর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন যা একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার পক্ষে ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
উৎসাহ ধরে রাখুন

উৎসাহ ধরে রাখা হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাজ। শুরুর দিকে উৎসাহ ধরে রাখা আরও বেশি কঠিন কাজ। শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের হতাশা চলে আসে। ব্যর্থতা মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়। সামান্য ব্যর্থ হলেই কাজ বন্ধ করে দেয় অনেকেই। এরকম কখনোই করা যাবে। সাফল্য আসার আগ পর্যন্ত নিজের উৎসাহ উদ্দীপনা ধরে রাখতে হবে।
আপনার টিমের ব্যাপারে সচেতন থাকুন

মনে রাখবেন আপনার টিম আপনাকে সাফল্য এনে দিতে পারে আবার ব্যর্থতাও এনে দিতে পারে। একা একা কখনোই কোন প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো সম্ভব নয়। আপনি যে কোন সফল উদ্যোক্তাকে যদি প্রশ্ন করেন, আপনার সফলতার রহস্য কি? তিনি একবাক্যে উত্তর দিবেন, আমার টিমের কারণে আমি সফল। সুতরাং টিমের দিকে আপনাকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। টিম যদি সর্বোচ্চ ত্যাগ করে আপনার জন্য কাজ করে তবেই আপনি সফল, আর যদি তা না করে তবে আপনি ব্যর্থ।

  তথ্যসূত্র: এনজে বিডি নিউজ.কম

সদ্যজাত কোম্পানির সফল উদ্যোক্তা কীভাবে হবেন?

Picture

নতুন যে কোনো সদ্যজাত (start-up) কোম্পানিই শুরু হয় কিছু অসাধারণ আইডিয়া থেকে। আনিসের কথা মনে আছে আপনাদের? ঐ যে হুমায়ূন আহমদের 'বহুব্রীহি' নাটকের জনপ্রিয় চরিত্র (আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত) যে কিনা 'উপদেশকেন্দ্র' নামে একটি কোম্পানি দিয়েছিলো। টাকার বিনিময়ে সে সমস্যাগ্রস্ত মানুষকে বুদ্ধি বাতলে দিতো।

১.
যার কাছে চমৎকার কিছু আইডিয়া আছে, তার নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণার অভাব হয় না। ব্যবসায় সাফল্য বলতে মূলত অর্থনৈতিক মুনাফাকে বোঝালেও সদ্যজাত কোম্পানির সাফল্য কেবল অর্থনৈতিক উন্নতিই নয়, আরো অনেক কিছু। নতুন কিছু করতে পারা, নতুন পথের সন্ধান দেয়া, নিজের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন, কাছের মানুষদেরকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেয়া, সামাজিক দায়বদ্ধতা মেটানো, এরকম অনেক কিছুই একজন সফল উদ্যোক্তার পক্ষে করা সম্ভব। অনেক সময়ই দেখা যায় যে, নিজের জন্য নয় বরং কাছের মানুষকে সাহায্য করতে গিয়েই অনেকে শিল্পোদ্যোক্তা হয়েছেন। হয়তো নিজের পরিবারে এমন কেউ আছে যাকে আপনি সাহায্য করতে চান। আপনার বুদ্ধি, মেধা, শিক্ষা আর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে একটি সদ্যজাত কোম্পানি গড়ে তুলুন, তারপর সেই মানুষটিকে আপনার কোম্পানির কাজে খাটান। আপনি যেমন উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হবেন, তেমনিভাবে আপনার দায়বদ্ধতাও আপনি মেটাতে পারবেন। উদ্যোক্তা হবার কোনো বয়স নেই, অন্যক্ষেত্রে সফল মানুষও শিল্পোদ্যোক্তা হতে পারেন।

আমি মনে করি, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মানুষের উদ্যোক্তা না হয়ে উঠা তার সম্ভাবনার এক চরম অপচয়।

এতকিছুর পরও সৃষ্টিশীল উপায়ে উদ্যোক্তা হবার পথে আমাদের অদৃশ্য সব জুজুর ভয়। অনেকে বাপ-দাদার দাড় করানো পারিবারিক ব্যবসাকে পেশা হিসেবে নেন, যত না আগ্রহে তার চেয়ে বেশি জীবিকার তাগিদে। অন্যথায় সহজে এই পথে হাটার লোক পাওয়া মুশকিল। ষোলো কোটি মানুষের এই দেশে হয়তো হাতে গোনা কিছু লোক পাওয়া যাবে যারা একেবারে শুরু থেকে, যাকে বলে ফ্রম স্ক্র্যাপ, কোনো প্রতিষ্ঠান দাড় করিয়েছেন। তা না হলে এখনো কেন একজন বিল গেটস, স্টিভ জবস, এন্ড্রু কার্ণেগি, হেনরি ফোর্ড, ডব্লিও কে কেলোগ, ওয়াল্ট ডিজনি, রালফ লরেন, টমাস এডিসন, জামশেদ টাটা কিংবা জন রকফেলার পেলাম না আমরা?

এখনো পাই নি তাই বলে যে কখনোই পাবো না, তা তো নয়। যদি বলি, আপনি নিজেই একজন টমাস এডিসন কিংবা একজন হেনরি ফোর্ড কিংবা আমাদের পরবর্তী স্টিভ জবস?

বিশ্বাস হচ্ছে না? সেটাই তো সমস্যা।

আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। দুনিয়ার তাবত প্রভাবশালী, সম্পদশালী আর ক্ষমতাবান মানুষের মধ্যে যদি একটা মিল থাকে তো ঐ আত্মবিশ্বাসের জোর। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আত্মবিশ্বাসের এভারেস্টে চড়ে বসতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সেটা থাকলে এরপর চাই শুধু এক মুঠো গুড় আর একটি চিমটি লবণ।

সেই গুড় আর লবণের খোঁজ করাই এই লেখার উদ্দেশ্য। লক্ষ্যণীয়, এই লেখার বিষয়বস্তু কেবলমাত্র সদ্যজাত কোম্পানি।

২.

যাই হোক, উদ্যোক্তা হবার জন্য আবশ্যকীয় কোনো পূর্বশর্ত নেই। যে কোনো অভিজ্ঞতাই মূল্যবান, কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, সাফল্যের কোনো সুনির্দিষ্ট ফর্মুলা নেই। যে কারো পক্ষেই সদ্যজাত কোম্পানির উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বিনিয়োগ করে যে লোকটি ভাতের হোটেল দিচ্ছে সেও একজন উদ্যোক্তা। হতে পারে লোকটির একটা দারুণ আইডিয়া আছে মাথায়, তার হোটেলটি আর সব হোটেলের মতন হবে না, একটু আলাদা হবে। সেই আলাদা ব্যাপারটা কতটা চমকপ্রদ ও আনকোড়া তার উপরে নির্ভর করবে সদ্যজাত কোম্পানি হিসেবে হোটেলটির ভবিষ্যৎ।

একটি সদ্যজাত কোম্পানির নিচের বৈশিষ্ট্যগুলি থাকেঃ

  • আইডিয়ার দিক থেকে এখনো এরকম কোনো কোম্পানির অস্তিত্ব নেই।
  • যে পণ্য বা সেবাকে লক্ষ্য রেখে কোম্পানিটি শুরু হতে যাচ্ছে সেটি একদম আনকোড়া, কিংবা এই ব্যবসার ধরণটা একদম নতুন, কিংবা ব্যবসাটা কিছু ব্যতিক্রমী ও আনকোড়া ধারণার (idea) উপর প্রতিষ্ঠিত।
  • অতিসত্ত্বর রাজস্ব অর্জনের সম্ভাবনা কম
  • ধরেই নেয়া যায় যে কোম্পানিটি শুরু থেকেই ক্ষতির মুখ দেখবে এবং কিছুদিন পর্যন্ত লস দিয়েই চলবে। সেই কিছুদিন আসলে দিন মাস পেরিয়ে কয়েক বছরও হতে পারে।
  • ব্যবসার শুরুর মূলধন জোগাড় করা হবে মূলত জমানো এবং ধার করা টাকায়, ব্যাংক লোন নিয়ে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে। কাছের ও পরিচিত মানুষেরা (Family, Friends & Fools) এইক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা রাখবেন। তবে নিজের ও পরিবারের সর্বস্ব কখনোই খোয়ানো যাবে না ।
  • বেশি ঝুঁকি, যেহেতু সদ্যজাত কোম্পানির সূদুরপ্রসারী লক্ষ্য বেশি উপার্জন

শুরুতেই বলেছি, সদ্যজাত কোম্পানির শুরু হয় এক বা একাধিক অসাধারণ আইডিয়ার ফলাফল হিসেবে। ধরুন আপনার একটি দারুণ আইডিয়া আছে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, আপনি পত্রিকায় দেখলেন যে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদিত হচ্ছে কিন্তু তার দাম খুবই সস্তা। কৃষকদেরকে কীভাবে আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা যায় সেই ব্যাপারটা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ আপনার মাথায় এক সমাধান উঁকি দিলো। আপনি চিন্তা করলেন যে যদি কোনোভাবে আলু থেকে নতুন একটি পণ্য তৈরি করা যায় যেটির চাহিদা উন্নত বিশ্বের এক বা একাধিক দেশে খুব বেশি, তাহলে ন্যায্যমূল্যে কেনা আলুকে কাঁচামাল হিসেবে নিয়ে একটা সদ্যজাত কোম্পানি শুরু করা যায়। এই ব্যাপারটা আপনার নিকটজনদের সাথে আলোচনা করলেন, জার্মানপ্রবাসী আপনার বন্ধু হিমু আপনাকে জানালো যে জার্মানিতে "কার্টোফেলপুরে" নামে আলুর তৈরি নতুন এক খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই পণ্য যেমন জার্মানিতে রপ্তানি করা যায়, তেমনিভাবে দেশেও এক অভিনব নতুন খাবারের ব্র্যান্ড হিসেবে চালু করা যায়। আরো খোঁজখবর নিয়ে জানলেন যে এই পণ্যটির শেলফ লাইফও বেশ ভালো, বাংলাদেশে আর কেউ পণ্যটি তৈরি করছে না, আপনার আরেকজন জার্মানপ্রবাসী ব্যবসায়ী বন্ধু জার্মানিতে পণ্যটির বিপণনের সার্বিক দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। এদিকে মুন্সিগঞ্জের আলুচাষীদের একটি সমিতির সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানালো যে যদি কোনো কোম্পানি ফসল উঠার সাথে সাথেই সেটি কিনতে আগ্রহী হয় তাহলে বাজারমূল্যের চেয়েও কম মূল্যে সেই কোম্পানির কাছে তারা তাদের উৎপাদিত আলু বিক্রি করবেন। এতে তাদেরও লাভ, কারণ এর ফলে আর আলুর সংরক্ষণ নিয়ে ভাবতে হবে না, হিমাগারের ভাড়া ও পরিবহন খরচও বেঁচে যাবে, এবং নিয়মিত আলু বিক্রির নিশ্চয়তা থাকলে তারা প্রতি মৌসুমেই আরো বেশি আলু চাষে উৎসাহী হবেন। সর্বোপরি, আপনি প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখলেন যে যদিও আপনার আইডিয়াগুলি ব্যবসায়িক দিক থেকে যথেষ্ট যৌক্তিক, দেশের বেশিরভাগ আলুশিল্পের কোম্পানিগুলিই কখনো এইভাবে তাদের কাঁচামাল সংগ্রহের কথা ভাবে নি।

এই আইডিয়াগুলি নতুন, কারণ এভাবে কেউ আগে ভাবে নি, কিংবা ভাবলেও কেউ কোম্পানি পর্যন্ত যায় নি। ফলে, সদ্যজাত কোম্পানির বৈশিষ্ট্যগুলি আপনি পূর্ণ করতে পেরেছেন। এই পর্যন্ত যা বললাম, সেটা হলো ধারণা স্তর, আপনি ধারণা করছেন যে একটি সফল উদ্যোক্তা হবার সুযোগ আপনি দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু ধারণাই সব নয়। এর জন্য চাই প্রচুর চিন্তাভাবনা, যাকে বলে ব্রেইন স্টর্মিংSpend time on business plan before you spend a dime of your money.

আর দরকার প্রচুর তথ্য। আপনার পণ্যের পুরো যোগান শৃংখলের প্রতিটা ধাপ- কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদন, প্রযুক্তি, বাজার, বিপণন সব সম্পর্কে সঠিক ও বিস্তারিত তথ্য আপনাকে জোগাড় করতে হবে। আর ব্যবসায়িক খসড়া, পরিকল্পনা, প্রযুক্তিগত নকশা, ধারণাগত নকশা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ, সম্ভাব্যতা যাচাই, সব করতে হবে দারুণ দক্ষতার সাথে। প্রয়োজনে যারা বিশেষজ্ঞ তাদের সাহায্য নিন, কিন্তু যতটুকু সম্ভব নিখুঁতভাবে করুন।

এই পর্যায়ে আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় কি কি জিনিস অন্তর্ভুক্ত থাকবে তার একটা লিস্টই না হয় করা যাক।

  • মিশনের বিবরণ
  • পণ্য/সেবার বিস্তারিত বর্ণনা
  • পণ্যের সম্ভাব্য বাজার
  • ব্যবসায়িক খসড়া/মডেল
  • মোট বিনিয়োগের সম্ভাব্য পরিমাণ
  • খাতওয়ারী প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ
  • সম্ভাব্য প্রতিযোগিতা
  • ব্যবস্থাপনা এবং অভিজ্ঞতা
  • অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত তথ্যাবলী

এবং অতি অবশ্যই, যদি ব্যবসা ধরা খায়, তাহলে নিরাপদে কীভাবে গুটিয়ে নেবেন (Exit Strategy) তার পরিকল্পনা।

এবার নিচের গ্রাফটা দেখুন।

 

গ্রাফটিতে সময়ের সাথে সাথে একটি শিল্প (বিশেষ করে সদ্যজাত শিল্প) যে ৬টি ধাপ পেরিয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করে তা দেখানো হয়েছে। ধাপগুলি হচ্ছে, (১) গবেষণা ও বিকাশ (Research & Development), (২) ধারণাগত নকশা (Conceptual design), (৩) বিস্তারিত নকশা, (৪) কারখানার প্রকৌশলগত নির্মান (Engineering construction), (৫)কোম্পানির রক্ষণাবেক্ষণ, এবং (৬) ব্যবসার সম্প্রসারণ। গবেষণা ও বিকাশ এবং ধারণাগত নকশা প্রণয়ন এই দুই ধাপেই আপনি আসলে আপনার ব্যতিক্রমী/অভূতপূর্ব ধারণাগুলিকে জন্ম দিয়েছেন, যা আপনার প্রকল্পের মূল চালিকাশক্তি। তারপর ৩ এবং ৪ নম্বর ধাপে আসলে আপনার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ে আপনি প্রযুক্তি কিনেছেন, কারখানা তৈরি করেছেন, জিনিসপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি কিনেছেন, মোটকথা আলু থেকে খাবার তৈরির প্লান্টটা দাড়িয়ে গেছে, লোকজন ভাড়া করে সেটা চালুও করে দিয়েছেন। অর্থাৎ, উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। এদিকে কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে পণ্যের উৎপাদন, বিপণন সব চলছে পরিকল্পনা অনুযায়ী। এই দুটি ধাপের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে পরিশ্রম, প্রযুক্তি, লোকবল ও বিনিয়োগ। সবশেষে আসে সম্প্রসারণের বিষয়টি। কোম্পানি সাধারণত মুনাফার মুখ দেখে ৫ ও ৬ নম্বর ধাপে এসে।

গ্রাফটিতে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার দেখানো হয়েছে। প্রথমত, ব্যবসার বিভিন্ন ধাপে নেয়া সিদ্ধান্তগুলির গুরুত্ব এবং কোম্পানির ভবিষ্যতের উপর তাদের প্রভাব কতটুকু তা দেখানো হয়েছে নীল কালিতে আঁকা রেখার মাধ্যমে। আর লাল রেখাটি দিয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের একদম শুরু থেকে মোট বিনিয়োগ (cumulative investment flow)। দেখা যাচ্ছে যে শুরুর দিকের ধাপগুলিতে নেয়া সিদ্ধান্তের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যতই সময় যাচ্ছে, সিদ্ধান্তের গুরুত্ব ও প্রভাব কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে, শুরুতে খুব বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় না বললেই চলে। বুদ্ধি কিনতে খুব বেশি পয়সা লাগে না। আর সেটা যদি নিজের হয়, তাহলে তো কোনো খরচই নেই। গবেষণা ও ধারণাগত নকশা প্রণয়নের খরচ সবচেয়ে কম, কিন্তু এই সময়ে নেয়া সিদ্ধান্তগুলির প্রভাবই সবচেয়ে বেশি, এগুলোই আপনার কোম্পানির ভবিষ্যত নির্ধারন করবে। সুতরাং, সদ্যজাত কোম্পানির জন্য শুরুতে বিনিয়োগের চাইতেও হোম ওয়ার্ক অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেবল সদ্যজাত কোম্পানিই নয়, যে কোনো ব্যবসার জন্যই প্রারম্ভিক কাজগুলিই আসলে ভবিষ্যতের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতাকে নির্ধারণ করে দেয়। যত পারুন বন্ধুত্বের সীমানা বাড়ান। আপনার বিজ্ঞানী বন্ধুরাই হয়তো দিতে পারে দারুণ সব ব্যবসায়িক পণ্যের সন্ধান, তাদের নিজেদের আবিস্কার হয়তো খুশি মনেই আপনার বিশ্বস্ত হাতে তুলে দিতে চায় এই বিশ্বাসে যে আপনিই পারবেন নৈতিকতার সাথে সেই আবিস্কারকে জনমানসের সামনে আনতে। প্রকৌশলী বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন, একদিন হয়তো তারাই আপনার পুরো কারখানার নকশা তৈরি করতে সাহায্য করবে। ব্যাংকার বন্ধুদেরকে মনে রাখুন।

শেষ করতে চাই আরেকটি গ্রাফ দিয়ে।

 

এই গ্রাফটিকে বলা যায় সদ্যজাত কোম্পানির অর্থনৈতিক চক্র। লাল রেখাটি দিয়ে সময়ের সাথে সাথে একটি সদ্যজাত কোম্পানির উপার্জন দেখানো হয়েছে। সাধারণত, শুরুতেই উপার্জনের আশা করাটা বৃথা। এই পর্যায়ে বরং খরচ করতে হবে। মেনে নিন। উপরে যে ৬টি ধাপের কথা বলেছি, তাদের প্রথম ৪টি ধাপে উপার্জনের চেয়ে খরচ বেশি হবে সেটাই স্বাভাবিক। একে বলা যায় ঋণাত্মক উপার্জন। ঝরে যাওয়া বেশিরভাগ সদ্যজাত কোম্পানির ইতি ঘটে এই পর্যায়েই। হয়তো সেজন্যই একে বলা হয় মৃত্যু উপতক্যা। সঠিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং চমকপ্রদ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোম্পানির বিলীন হয়ে যাওয়া ঠেকানো সম্ভব। কোম্পানির কর্ণধার হিসেবে আপনি কতটুকু যোগ্য তার পরীক্ষাও হয়ে যাবে এই কঠিন সময়ে।

ধৈর্য্য এবং প্রস্তুতি এই দুই হচ্ছে বিপর্যয় ঠেকানোর মূল অস্ত্র। আপনার স্বপ্নের কোম্পানিটি মৃত্যু উপতক্যা পেরিয়ে পরিপূর্ণ স্তরে পৌছাক, সেই কামনা করি।

  তথ্যসূত্র: সচলায়তন.কম

নতুন ব্যবসার জন্য অর্থ সংগ্রহের আটটি উপায়

Picture

নতুন ব্যবসা শুরুর পর উদ্যোক্তাদের প্রধান চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করা। আর ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখতে কিভাবে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে, এমনটা জানা না থাকলে যে কোনো নতুন উদ্যোক্তারই বিপদে পড়ার মতো অবস্থা হয়। এমন উদ্যোক্তাদের জন্যই এবারের লেখা। এতে থাকছে নতুন ব্যবসার জন্য অর্থ সংগ্রহের আটটি উপায়।

 

১. নিজের অর্থ

বহু উদ্যোক্তাই সফল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন সম্পূর্ণ নিজের অর্থে। নিজে কিছু অর্থ সংগ্রহ করে তা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারলে সবচেয়ে নির্ভাবনায় থাকা যায়। আর এটি ব্যবসা শুরুর একটি বনেদি উপায় হিসেবে খ্যাত। অল্প ব্যয়ের ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি যথেষ্ট কার্যকর হতে পারে। তবে ব্যয় যদি বেশি হয় তাহলে অন্য উৎস দেখতেই হবে। আর এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আগেই ব্যবসার খরচের পাশাপাশি নিজের জীবনযাপনের খরচও হিসাব করতে হবে।

২. ব্যবসা ঋণ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ দেয়। আর নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য এ ধরনের ঋণ নেওয়া কিছুটা কঠিন হলেও একেবারে অসম্ভব নয়। আপনি যদি ব্যাংকগুলোর সব চাহিদা পূরণ করতে পারেন তাহলে ঋণ পাওয়াও সম্ভব। এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে পেশাগত জীবনে আপনার ইমেজ ও পরিচিতি। এ ছাড়া ভালোভাবে করা বিজনেস প্ল্যান ঋণদাতাদের সন্তুষ্ট করতে সহায়ক হতে পারে।

৩. ব্যক্তিগত ঋণ

ব্যবসা শুরুর পর সেটা টিকিয়ে রাখার জন্য উদ্যোক্তার যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হয়। আর এসব চেষ্টার অন্যতম হতে পারে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে তা ব্যবসায় বিনিয়োগ করা। অনেকেই নিজের বাড়ির উন্নয়ন কিংবা গাড়ি কেনার কথা বলে ঋণ নিয়ে তা ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া এ ধরনের পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে অনেকেই ধার করার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহে কিছুটা সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। যাদের দ্রুত অর্থ প্রয়োজন হতে পারে, তাদের কাছ থেকে অর্থ না নেওয়াই ভালো। কারণ ব্যবসায় ক্ষতি হলে এ অর্থ শোধ করতে আপনার বহু বছর লেগে যেতে পারে।

৪. আর্থিক প্রণোদনা ও সহায়তা

আপনি যদি দারুণ কোনো ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন তাহলে আর্থিক প্রণোদনা বা সহায়তার সন্ধানও পেয়ে যেতে পারেন। বহু দেশের সরকার এ ধরনের সহায়তা দেয়। অনেক স্থানে সরাসরি অর্থসহায়তা না দিলেও অন্যভাবে সহায়তা দেওয়া হয়। যেমন সহজ নীতিমালা, ট্যাক্স ছাড়, সহজ শর্তে ব্যবসা পরিচালনার স্থান, মূলধন সহায়তা, পণ্য পরিবহনে সহায়তা কিংবা ক্রেতা খুঁজতে সহায়তা দেওয়া।

৫. কৃচ্ছতা সাধন

ব্যবসার প্রাথমিক অবস্থায় উদ্যোক্তা নানাভাবে কৃচ্ছতা সাধন করতে পারে। প্রচুর পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে যথাসম্ভব কম খরচ করে ব্যবসা পরিচালনা করা এ ধরনের একটি উদ্যোগ। এজন্য প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষনতা।

৬. সরকারি সহায়তা

বাংলাদেশসহ বহু দেশেই সরকার নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও কিছু নির্দিষ্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সহায়তার ব্যবস্থা রাখে। এ ছাড়া রয়েছে ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ ও তার পাশাপাশি অর্থ ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা।

৭. বিনিয়োগকারী খুঁজে দেখুন

আপনি যদি ব্যবসার দারুণ কোনো আইডিয়া নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারে। আর এভাবে আপনি যেমন ব্যবসা ভালোভাবে চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন তেমন পারবেন দ্রুত সাফল্য অর্জন করতেও। নতুন বিনিয়োগকারী পেলে অবশ্য আপনার ব্যবসার মালিকানাও ভাগাভাগি করতে রাজি থাকতে হবে। আর বিনিয়োগকারীরা সাধারণত উচ্চ প্রবৃদ্ধির ব্যবসার ক্ষেত্রেই এগিয়ে আসেন। এর মধ্যে থাকতে পারে প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি কিংবা বিকল্প জ্বালানীশক্তি।

৮. সাধারণের অর্থ সংগ্রহ

ক্রাউডফান্ডিং নেটওয়ার্ক নামে একটি ব্যবস্থা রয়েছে, যারা দারুণ সব আইডিয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে সহায়তা করে। আর এতে অর্থ দেয় সাধারণ জনগণ। আপনার যদি দারুণ কোনো সৃজনশীল আইডিয়া থাকে তাহলে এদের সাহায্য নিতে পারেন। এ ছাড়াও আপনার যদি যথেষ্ট সুনাম থাকে তাহলে পরিচিত-অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করাও অসম্ভব নয়।

 

  তথ্যসূত্র: বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম 

বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম 

একটি ব্যবসার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করবেন যেভাবে

Picture

কী ব্যবসা করবেন তা ঠিক করে হুট করে ব্যবসায় নামলেন আর তরতর করে এগিয়ে চললেন- তা নয়। কোন ধরণের ব্যবসা করবেন সে পরিকল্পনা তো নেওয়াই হয়েছে। তবে যখন ব্যবসা শুরু করবেন তখনই আসল পরিকল্পনা নেওয়ার পালা। অনেক পরিকল্পনার সমন্বয়ে একটি ব্যবসার পরিকল্পনা সফল হয়ে ওঠে। বলা যায় একাধিক পরিকল্পনাই একটি সম্পুর্ণ ব্যবসায় প্লান।

প্রাথমিক ভাবনা:
একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ওপরই নির্ভর করে ব্যবসার সফলতা। একটি সম্পূর্ণ নতুন কোম্পানির জন্য বিজনেস প্লান খুব শক্ত হয়। যেমন প্রাথমিক অবস্থায় কি রকম কোম্পানি, তার পণ্য বা সেবা কি হবে, মার্কেটিং কিভাবে হবে, অর্থনৈতিক বিষয়গুলো কিভাবে সমন্বয় হবে। এই সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট হলে একটা আদর্শ ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করা সহজ হয়ে যায়।

অভ্যান্তরীণ পরিকল্পনা:
ব্যবাসার বাজেট, নির্বাহী বোর্ড, বেতন কাঠামো, ইত্যাদি ব্যবসায়ের অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। তৃতীয় পক্ষের কোন কিছুই এই পরিকল্পনার ভিতর আসবেনা।

কার্যকরী পরিকল্পনা:
কার্যকরী পরিকল্পনাকে একক রকম অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা বলা যেতে পারে। এটাকে আরো সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে বলা যায় একটি ব্যবসার ধারণা কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, কিকি ডাটা নিয়ে প্লান তৈরি করা হবে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবস্থাপকের দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয় এই কার্যকরী পরিকল্পনায়।

পরিসংখ্যানগত পরিকল্পনা:
পরিসংখ্যানগত প্লানকেও এক রকম অভ্যান্তরীণ পরিকল্পনা বলা যেতে পারে। কিন্তু এটি সমস্ত বিষয়টিকে আরো বিশদভাবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তারিখের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এটি কোম্পানির ব্যবস্থাপক টিমের বিষয় বর্ণনা করে না বরং অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে নির্দিষ্ট সময় সীমার আওতায় এনে কোম্পানির বর্তমান ও সামনের গতিপথের ক্যালেন্ডার রচনা করে। এক কথায় সংখ্যার ধারণায় কবে কখন কিভাবে কোন কাজ করা হবে তার পরিকল্পনা করা হয়।

উন্নয়ন পরিকল্পনা বা নিউ প্রোডাক্ট প্লান:
বিজনেসের কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়কে আলাদা করে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এটি অভ্যন্তরীন পরিকল্পনা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। এই পরিকল্পনা সাধারণত লোন এ্যাপ্লিকেশন এবং নতুন ইনভেস্টমেন্টের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনার বর্তমান বিজনেসকে আরো বিস্তৃত পর্যায়ে পৌঁছাতে যে পরিকল্পনা তাই এক্সপানসন প্লান বা উন্নয়ন পরিকল্পনা।

সম্ভাব্য প্লান:
সম্ভাব্য প্লান সাধারণ প্রাথমকি পরিকল্পনার মতোই। সম্ভাব্য প্লানে একটি কোম্পানির সারাংশ, মিশন এস্টেটমেন্ট, কী টু সাকসেস, বেসিক মার্কেটিং এনালাইসিস, প্রাথমিক কস্ট এনালাইসিস, প্রাইসিং, সম্ভাব্য খরচ প্রভৃতির সন্নিবেশ থাকে। এই ধরনের প্লান সিদ্ধান্ত পৌঁছতে সাহায্য করে।

বিপণন পরিকল্পনা:
এই অংশে থাকবে কীভাবে আপনি আপনার উৎপাদিত পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের মাঝে পৌঁছে দিতে চান। ক্রেতার কাছে কীভাবে পণ্য পৌঁছাবে অর্থাৎ সরাসরি, পরিবেশক, নাকি পুনর্বিক্রেতার মাধ্যমে, তা এই অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্রেতার চাহিদা, তা কীভাবে পূরণ করা হবে, কীভাবে পণ্য তাঁদের মধ্যে জনপ্রিয় করা যায়, পণ্যের দামের বিষয়ে ক্রেতারা কতটুকু সচেতন-এসব বিষয়ও থাকবে বিপণন পরিকল্পনায়। সব মিলিয়ে একটি ভাল কৌশল অবলম্বনই হবে একটি পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য।

তথ্যসূত্র: আমিও পারিডটকম